“রাব্বুনাল্লাহ্” অর্থাৎ আল্লাহ্ই আমাদের একমাত্র রব্ব-সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক, সার্বভৌম আইনদাতা, বিধানদাতা ও নিরংকুশ কর্তা, অন্য কেউ নয়।“ইসলামী সমাজ”

লিখেছেন লিখেছেন স্বপন২ ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৬:১৫:৫৬ সন্ধ্যা


বিতাড়িত অভিশপ্ত শয়তানের প্ররোচনা থেকে মহান রব্বের নিকট আশ্রয় প্রার্থণা করে

দয়াময় পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি


ইসলাম :

ইসলাম হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা। ইসলামের বিধি-বিধান মেনে চলার মধ্যেই দুনিয়ার কল্যাণ, শান্তি এবং আখিরাতে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে লাভ হবে জান্নাত।

‘ইসলাম’এর মৌলিক বিষয় তিনটি :

ইসলাম’এর প্রথম মৌলিক বিষয় হচ্ছে-

আল্লাহর রুবুবিয়্যাতে তাওহীদ অর্থাৎ সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর, মানুষের নয়। এটাই আল্লাহর প্রতি ঈমান। আল্লাহর প্রতি ঈমানের ঘোষণা হচ্ছে- “রাব্বুনাল্লাহ্” অর্থাৎ আল্লাহ্ই আমাদের একমাত্র রব্ব-সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক, সার্বভৌম আইনদাতা, বিধানদাতা ও নিরংকুশ কর্তা, অন্য কেউ নয়।


সার্বভৌমত্ব হচ্ছে- মানুষের জীবনের সকল দিক ও বিভাগসহ সমগ্র সৃষ্টিজগতের চূড়ান্ত মালিকানা এবং হুকুম, নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করার সর্বোচ্চ ক্ষমতা। সার্বভৌমত্ব যার, আইন-বিধান ও কর্তৃত্বও তাঁরই।

‘ইসলাম’এর দ্বিতীয় মৌলিক বিষয় হচ্ছে-

আল্লাহর উলুহিয়্যাতে তাওহীদ অর্থাৎ দাসত্ব, আইনের আনুগত্য ও উপাসনা একমাত্র আল্লাহর, অন্য কারও নয়। উলুহিয়্যাতে তাওহীদের অঙ্গীকার হচ্ছে- ‘‘আশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ” অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নেই কোন ইলাহ্ (মা’বুদ)- দাসত্ব, আইনের আনুগত্য ও উপাসনা পাওয়ার অধিকারী সত্ত্বা একমাত্র আল্লাহ্ ব্যতীত। এটা মূলতঃ ইসলামের অঙ্গীকার।


‘ইসলাম’এর তৃতীয় মৌলিক বিষয় হচ্ছে-

শর্তহীন আনুগত্য-অনুসরণ ও অনুকরণ একমাত্র আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর, অন্য কারো নয়। এর অঙ্গীকার হচ্ছে- “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ” অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল-শর্তহীন আনুগত্য-অনুসরণ ও অনুকরণ পাওয়ার অধিকারী একমাত্র নেতা; অন্য কেউ নয়”
। এটা মূলতঃ ইসলাম বাস্তবায়নের অঙ্গীকার।

‘ইসলাম’এর এই মৌলিক তিনটি বিষয় মেনে নিলেই একজন ব্যক্তির অবস্থান ইসলামে স্বীকৃত হবে।র্থাৎ জ্ঞানের ভিত্তিতে অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাসসহ “রাব্বুনাল্লাহ” বলে ঈমানের ঘোষণা এবং “আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু” বলে ‘ইসলাম’এর অঙ্গীকার ও “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ” বলে ইসলাম বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করলেই একজন ব্যক্তির অবস্থান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রদত্ত্ব জীবন ব্যবস্থা ‘ইসলাম’এ স্বীকৃত হবে।

ইসলাম’এর মৌলিক বিষয়গুলির ভিত্তিতে গঠিত ও পরিচালিত সমাজ’ই “ইসলামী সমাজ”।

বিষয়: বিবিধ

১৩৫০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

380678
১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ রাত ১২:১৭
তবুওআশাবা্দী লিখেছেন : ভালো লাগলো | অনেক ধন্যবাদ |
১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ সকাল ০৫:১১
314996
স্বপন২ লিখেছেন : @তবুওআশাবা্দী,পড়ার জন্য শু-কুরিয়া।আমি যখন বাংলাদেশে ছিলাম,তখন ওনাদের দাওয়াত পেয়েছিলাম।সরকারী প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য আমিও সরাসরি যোগদান করতে পারিনি।সুধী ছিলাম।বর্তমান আমীর একটি বৃহত্তম ছাএ সংগঠনের জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের সভাপতি ছিল। আমারও ধারনা ছিল না, সংগঠন টিকে যাবে।মাএ ৪ মাস আগে পত্রিকায় সংবাদ পাই।তারপর আমীর সাহেবের সাথে যোগাযোগ করি।বাংলাদেশের সমস্ত দল মানুষের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী।
380689
১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ দুপুর ০২:৫২
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতাহু পরম শ্রদ্ধেয় ভাইয়া।

সুন্দর উদ্যোগ। একই সাথে অন্যান্য ইসলামী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার অনুরোধ রইলো।


জাজাকাল্লাহু খাইর।
১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ রাত ১২:১১
315022
স্বপন২ লিখেছেন : সন্ধাতারা আপু,জামায়াতে ইসলামীর আবুল আলা মওদুদী ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত একই চিন্তা ছিল। পরে জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে অংশ নেয়। Dr Israr Ahmed,1957 সালে জামায়াতে ইসলামীর থেকে পদত্যাগ করেন, নির্বাচনে কারণে। গণতান্ত্রিক ইসলামী দল যে শিরক করছে ,বাংলাদেশে ১৯৮২ সাল থেকে চিন্ত শুরু হয়। আমি তখন ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাএ এবং বৃহত্তর ইসলামী সংগঠনের সাথে জড়িতও ছিলাম। পরে বাহিরে আসার সময় সংগঠন ছেড়ে দেই।ওনাদের সমর্থন জানাই। আমি নিজেও ভাবিনি সংগঠন টিকে থাকবে। মাএ ৪ মাস আগে পএিকায় খবর পাই। পরে ফোনে যোগাযোগ হয়। বাংলাদেশের সমস্ত দল মানুষের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File