বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর নিরংকুশ সার্বভৌমত্ব ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত না / আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর /
লিখেছেন লিখেছেন স্বপন২ ২২ নভেম্বর, ২০১৬, ০৮:৪৭:৪৬ রাত
ইসলামী সমাজ”এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃর্ষ্টিকর্তা আল্লাহ মানুষের সমাজ ও রাষ্ট্রসহ সমগ্র জীবন পরিচালনা করার জন্য কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যাবস্থা ইসলাম প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইসলাম’এর আইন-বিধান দ্বারা সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালিত হলেই সকল মানুষের দুনিয়ার জীবনে হবে কল্যাণ, শান্তি এবং সকল ঈমানদারগণও আখিরাতের জীবনে মহাক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়ে লাভ করবে জান্নাত। তিনি আরও বলেন, মানুষের সার্বভৌমত্ব মেনে গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র প্রভৃতি মানব রচিত ব্যবস্থা দ্বারা সমাজ ও রাষ্ট্র্র্র্র পরিচালিত হওয়ার কারণেই মানুষ বহুবিধ সমস্যায় জড়িয়ে অশান্তির দাবানলে জ্বলছে এবং মানব রচিত ব্যবস্থার অধীনে জীবন-যাপন করে তারা আখিরাতের জীবনেও জাহান্নামের আগুনেই বসবাসের স্থায়ী আবাস গড়ছে। তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর নিরংকুশ সার্বভৌমত্ব ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত না থাকায় রাষ্ট্র পরিচালনায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গসহ রাষ্ট্রীয় প্রশাসনসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষমতার অপব্যবহার ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণে ইনসাফ ও ন্যায় বিচার বঞ্চিত সাধারণ মানুষ দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছে। জাতির সাধারণ মানুষ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য দলে, উপদলে বিভক্ত হয়ে আন্দোলন ও সংগ্রাম করছে। বিভিন্ন দল ও মতের সমর্থকরা পরস্পর সংঘাত ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। এমনকি মানুষের জান ও মালের নিরাপত্তা দিবে যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণ, তাদের দ্বারাও জান ও মাল হারিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সাধারণ মানুষ। শাসক শ্রেণীর ছত্রছায়ায় জুলুম, নির্যাতন, খুন, গুম, হত্যা, ধর্ষণ, ছিনতাই, ডাকাতি, চাদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জবরদখলসহ বিভিন্ন অন্যায় ও অসামাজিক কার্যক্রম ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে সাধারণ মানুষ উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় আতংকিত হয়ে জীবন-যাপন করছে। মানুষের মাঝে মানবতা ও মনুষত্ববোধের পরিবর্তে হিংস্রতা ও পশুত্ব মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।
আলোচনা সভায় “ইসলামী সমাজ” এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, দেশ ও জাতির এহেন নাজুক পরিস্থিতিতে মানুষের দুনিয়ার জীবনে কল্যাণ ও শান্তি আনয়ন এবং আখিরাতের জীবনে জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাত লাভ করতে হলে সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্মীয় অনুশাসন পালনের সুযোগ রেখে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ‘ইসলাম’এর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। “ইসলাম প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা লাভের জন্য গণতন্ত্রের অধীনে জোট, ভোট ও নির্বাচন কিংবা সশস্র সংগ্রাম সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি নয়, বরং এসব কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী অপতৎপরতা” এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রদর্শিত পদ্ধতিতে ‘ঈমান ও ইসলাম’এর দাওয়াতের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ইসলামী সমাজ গঠন আন্দোলনই ঈমানদারগণের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা লাভের একমাত্র পদ্ধতি, এ পদ্ধতিতেই ঈমানী দায়িত্ব পালন করলে ঈমানদারগণ আল্লাহর রহমতে আখিরাতের জীবনে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে জান্নাত লাভ করবে এবং ঈমানের সর্বোচ্চ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আল্লাহই তাদের রাষ্ট্রিয় শাসন ক্ষমতা দিবেন আর তখনি তারা সৃষ্টিকর্তা আল্লাহরই আইন বিধান দ্বারা সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার মাধ্যমে সকল মানুষের জীবনে ইনসাফ ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করে মানবাধিকার নিশ্চিত করবেন। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে “ইসলামী সমাজ” এর নেতা ও কর্মীগণ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর মাধ্যমে ঈমানী দায়িত্ব পালন করছে। দলমত নির্বিশেষে সকলকে তিনি ঈমানী দায়িত্ব পালনে ইসলামী সমাজ গঠন আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
জনাব মুহাম্মাদ ইয়াছিনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জনাব আবু জাফর মুহাম্মাদ ইকবাল, মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী ও সুলাইমান কবীর। বক্তারা দেশবাসী সকলকে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে “ইসলামী সমাজ” পরিচালিত শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
বিষয়: বিবিধ
১১৯২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভাইয়া এরকম ১-২-৩-৪-৫-৬----------------পারলে ২০ টা পোষ্ট দেন কোন অসুবিধা নেই ,কিন্তু সবার পোষ্টে ভিডিও দিয়েন না সবাই আপনার উপর বিরক্ত হচ্ছে এটা কি ভাল !!
আবুল আলা মওদুদী ১৯৫৭ আগেও নির্বাচনের
বিপক্ষে ছিল। গণতন্ত্র যে শির্ক এটা তিনি বলতেন।তারপর জামাতের বাম ধারার লোকজন আধুনিক নির্বাচনী রাজনীতির দিকে ঝুকে পড়েন। মানুষ হয়ে যায় সার্বভৌমত্বের অধিকারী। Dr. Israr Ahmad, এপ্রিল 1957 সালে জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগ করেন। বাংলাদেশে "গণতন্ত্র যে শির্ক" এই চিন্তা শুরু হয় ১৯৮২ থেকে। ১৯৯৫ তে আমরা দেশের বাহিরে চলে
আসি। তখন ৮/১০ জন ভাইরা ছিল। আমার নিজেরও ধারনা ছিল না। সংগঠন
টিকে যাবে। আমি জানলাম মাএ দু'মাস আগে। তাও পএিকার মাধ্যমে। এখন টেলিফোনে যোগাযোগ হয়।
এটা কারো ব্যক্তিগত ব্লগ না । পাবলিক প্লেস !
জী সে জন্য আপনি চাইলে যে কোন বিষয় নিয়ে ৫/৬ নিক নিয়ে দিনে হাজারটা পোষ্ট দিতে পারেন , কেউ কিছু বলবেনা ।
কিন্তু এখানে সবার নিজস্ব একটা ঘর আছে সেখানে আপনি চাইলেই যা খুশী করতে পারেন না , সেজন্য ই ব্লগ মডারেটর ব্যন করার ব্যবস্থা রেখেছেন ।
আপনি যা করছেন এটা মোটে ও ইসলামি দাওয়াত হচ্ছে না ।
ক্ষমতা রাখেন। আপনি মডারেটর না।
অনেক মূল্যবান ম্যাসেজ মাশাআল্লাহ।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন