‘রব্ব ও ইলাহ্’র স্থান দিয়ে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সাথে কুফ্র ও র্শিকে লিপ্ত / ইসলামী সমাজ
লিখেছেন লিখেছেন স্বপন২ ০৮ নভেম্বর, ২০১৬, ০৭:১৯:২৭ সন্ধ্যা
ঐতিহাসিক স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাসাবো বালুর মাঠে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় “ইসলামী সমাজ” এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, দেশবাসী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব মেনে এবং মানুষের মনগড়া আইন-বিধানের আনুগত্য স্বীকার করে এ ক্ষেত্রে মানুষকেই ‘রব্ব ও ইলাহ্’র স্থান দিয়ে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সাথে কুফ্র ও র্শিকে লিপ্ত হয়ে আল্লাহরই আযাব-গযবের শিকার হয়ে মহা তিতে নিমজ্জিত। তিনি বলেন, সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সাথে র্শিক ও কুফরের কারণেই দেশ ও জাতির রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি হুমকির মূখে। মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্বকেই মানব জীবনের মূল সমস্যা এবং জাতীয় অনৈক্যের মূল কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা, জঙ্গিতৎপরতা, নৈরাজ্য, সংঘাত ও সংঘর্ষসহ সকল প্রকার অপতৎপরতা নির্মূল করে দেশবাসীর জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবাধিকার নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় হচ্ছে “সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ব জীবন ব্যাবস্থা ‘ইসলাম’ আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠা করা”।
মুহাম্মাদ সোলায়মান কবীরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় “ইসলামী সমাজ” এর আমীর বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠা হলেই সকল ধর্মের লোক যার যার ধর্ম পালনের সাথে সাথে তাদের জান ও মালের নিরাপত্তাসহ সকল অধিকারের নিশ্চয়তা লাভ করবে। গণতন্ত্রের অধীনে জোট, ভোট ও নির্বাচন কিংবা সশস্র সংগ্রাম ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার লক্ষে রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা লাভের পদ্ধতি নয় এবং এসবই কুরআন ও সুন্নাহ্ বিরোধী অপতৎপরতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর মাধ্যমে ‘ঈমান ও ইসলাম’ এর দাওয়াতের মাধ্যমে দাওয়াত কবুলকারীদেরকে নিয়ে ‘সমাজ গঠন’ আন্দোলনই সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রদর্শিত একমাত্র পদ্ধতি। তিনি আরো বলেন, “ইসলামী সমাজ” শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর মাধ্যমে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানূষকে একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব মেনে নেয়ার এবং একমাত্র তাঁরই দাসত্ব ও আইনের আনুগত্যের অঙ্গীকারের দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছে এবং দাওয়াত কবুলকারী ভাই ও বোনদের নিয়ে ‘ইসলামী সমাজ গঠন’ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। দলমত নির্বিশেষে সকলকে তিনি ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠায় ‘ইসলামী সমাজ গঠন’ আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান । উক্ত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সর্বজনাব আবু জাফর মুহাম্মাদ ইকবাল, মুহাম্মাদ ইয়াছিন, মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী, আমীর হোসাইন, আব্দুল কাইয়ূম, রফিকুল ইসলাম, আবু শামাহ, রুহুল আমীন, তৌহিদুর রহমান বাপ্পি, আনছার আলী এবং গুলজার আহম্মদ প্রমুখ।
দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
বিষয়: বিবিধ
৮৮৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভাল লাগল ধন্যবাদ ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন