সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠায় শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টায় শামিল হওয়ার আহ্বান ইসলামী সমাজ
লিখেছেন লিখেছেন স্বপন২ ০৪ নভেম্বর, ২০১৬, ০৫:৪৬:২৬ সকাল
সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ‘ইসলাম’এর পরিবর্তে মানব রচিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকায় দেশবাসী মানুষের সার্বভৌমত্বের অধীনে মানুষের মনগড়া আইন-বিধান পালনের অঙ্গীকারের মাধ্যমে মানুষের দাসত্ব করছে। যার কারণে জাতির মানুষ পরস্পর সংঘাত ও সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া সহ ঘূর্ণিঝড় ও ভূমিকম্পের ন্যায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বিভিন্ন রকম আযাব-গযবের শিকার হয়ে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে দুর্ভোগ ও অশান্তিতে কাল কাটাচ্ছে। একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্বের অধীনে তাঁরই দাসত্ব ও তাঁরই আইন-বিধানের আনুগত্য করা সকল প্রকার আযাব-গযব থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়। এ লক্ষ্যে সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত প্রচেষ্টা করাই প্রতিটি মানুষের মৌলিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। ‘গণতন্ত্র’ নামক মানব রচিত ব্যবস্থার অধীনে জোট, ভোট ও নির্বাচন- মানুষের সার্বভৌমত্ব মেনে মানুষেরই মনগড়া আইন-বিধানের আনুগত্য স্বীকার করে করতে হয় বিধায়; এটা ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি নয়। অপরদিকে আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনায় শাসন ক্ষমতা লাভের পূর্বে সশস্ত্র সংগ্রাম (ক্বিতাল) করেননি এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীনও এর (ক্বিতাল’এর) নির্দেশ দেননি বিধায়; “জিহাদের নামে সশস্ত্র সংগ্রাম, সন্ত্রাস ও বোমাবাজি”ও ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি নয়। মানব রচিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহন করে ছবর ও ক্ষমার নীতিতে অটল থেকে লোকদেরকে সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব মেনে আল্লাহর প্রতি ঈমানের ঘোষণা, একমাত্র আল্লাহর দাসত্ব, তাঁরই আইন-বিধানের আনুগত্য ও তাঁরই উপাসনার (ইবাদাত) অঙ্গীকার এবং এর বাস্তবায়নে আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’এর শর্তহীন অনুসরণ ও অনুকরণের অঙ্গীকার করার দাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী আমীরের নেতৃত্ব ও আনুগত্যের অধীনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর মাধ্যমে “সমাজ গঠন আন্দোলন”ই সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার আল্লাহর নির্দেশিত এবং আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রদর্শিত একমাত্র পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে সময় ও অর্থ কুরবানী করে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত চেষ্টা করাই আল্লাহর ক্ষমা ও জান্নাত এবং ঈমানদারগণের রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা (খিলাফাত) লাভের উপায়।
“ইসলামী সমাজ” এর নেতা কর্মীগণ সকল মানুষের কল্যাণে এবং আল্লাহর ক্ষমা ও জান্নাত লাভের লক্ষ্যে গণতন্ত্রসহ সকল মানব রচিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহন করে আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে আল্লাহরই সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী নেতা হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীরের নেতৃত্ব ও আনুগত্যের অধীনে সমাজ ও রাষ্ট্রে তথা মানুষের বাস্তব জীবনে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে অদ্য ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দাওয়াতী পোষ্টারিং ও প্রচার পত্র বিলি করছে। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের কল্যাণে সকলকে আমরা গণতন্ত্র-মানব রচিত ব্যবস্থা পরিত্যাগ করে গণতন্ত্রসহ সকল মানব রচিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহন করে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টায় শামিল হওয়ার এবং আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্’ই আমাদের একমাত্র সহায় ও সাহায্যকারী। আমীন
বিষয়: বিবিধ
৮৬৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানগর্ভ লিখাটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।
about Quran and Sunnah, We need apa, like you.
মন্তব্য করতে লগইন করুন