মহা সত্যের ডাক। সৈয়দ হুমায়ূন কবীর আমীর, ইসলামী সমাজ।

লিখেছেন লিখেছেন স্বপন২ ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৪:০৩:০৩ বিকাল



বিতাড়িত অভিশপ্ত শয়তানের কূ-মন্ত্রণা হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে

অতিশয় মেহেরবান দাতা ও দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ!

সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের, যিনি মানুষকে এই যমিনে তাঁরই প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হিসাবে সৃষ্টি করেছেন। তিনি দুনিয়ায় মানুষের সার্বিক কল্যাণ এবং আখিরাতে তাদেরকে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি দিয়ে চির সুখের স্থান জান্নাত দানের লক্ষ্যে যুগে যুগে মানুষের মধ্য থেকে নাবী ও রাসূল মনোনীত করে তাঁদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর আইন-বিধান সম্বলিত জীবন ব্যবস্থা-দ্বীন পাঠিয়েছেন, যার নাম তিনিই রেখেছেন ‘ইসলাম’। সর্বশেষে বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত বিশ্বনাবী ও আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর পথ নির্দেশনা হিসাবে আল-কুরআন নাযিলের মাধ্যমে তিনি (আল্লাহ) তাঁর প্রদত্ত একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ‘ইসলাম’কে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনাসহ সমগ্র জীবন পরিচালনার জন্য পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। কাজেই, ‘ইসলাম’ই আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রসহ সমগ্র জীবন পরিচালনার জন্য কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা।

আমরা মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। আমাদের প্রয়োজন ও কল্যাণেই ‘সমাজ ও রাষ্ট্র’। সমাজ ও রাষ্ট্রের মূল বিষয় সার্বভৌমত্ব। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে সমাজ ও রাষ্ট্রের চূড়ান্ত মালিকানা এবং সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের চূড়ান্ত ও সর্বোচ্চ ক্ষমতা। সার্বভৌমত্বের মালিক হওয়ার জন্য চিরন্তন ও চিরস্থায়ী সত্ত্বা হওয়া অপরিহার্য। আল্লাহই একমাত্র চিরন্তন ও চিরস্থায়ী সত্ত্বা, অন্য কেউ নয়। কাজেই সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন ও পরিচালনাসহ সকল ক্ষেত্রেই সার্বভৌমত্বের মালিক একমাত্র আল্লাহ, মানুষ নয়। সার্বভৌমত্ব যার, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব তাঁরই। সুতরাং সার্বভৌমত্বের মালিক একমাত্র আল্লাহ বিধায়; আইন-বিধান ও কর্তৃত্বও একমাত্র আল্লাহর, মানুষের নয়। ‘সমাজ ও রাষ্ট্র’ গঠন ও পরিচালনায় সার্বভৌমত্ব মানুষের, এটা চরম মিথ্যা এবং আল্লাহর সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, আল্লাহর সাথে সবচেয়ে বড় শিরক- ক্ষমার অযোগ্য মহা অপরাধ। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সার্বভৌমত্বের সাথে শিরক করলে দুনিয়ার জীবনে অকল্যাণ, অশান্তি এবং আখিরাতের জীবনে নিশ্চিত জাহান্নাম। শিরক করলে সকল আমল বিনষ্ট, যার পরিণতি মহাক্ষতি।

মানুষ মূলতঃ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্বের প্রতিনিধি এবং তাঁরই দাস; এটাই মানুষের সঠিক অবস্থান। এ অবস্থান থেকে বিচ্যুত হলে নিশ্চিত ধ্বংস। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষকে পরীক্ষামূলক স্বাধীনতা দিয়ে পরীক্ষা করে দেখছেন, তাদের মধ্যে কারা তাঁর সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্বের প্রতিনিধিত্ব করে এবং তাঁর আইন-বিধানের আনুগত্যের মাধ্যমে তাঁরই দাসত্ব করে। তাঁরই প্রদত্ত স্বাধীনতার সুযোগে যারা স্বাধীন জীবনে সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব মানুষের মেনে নেয় তারাই বিভ্রান্ত হয়ে মহা ক্ষতিতে নিমজ্জিত হয়।

উল্লেখ্য যে, আল্লাহকে সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্বের মালিক স্বীকার করে আল্লাহর আইনের আনুগত্য করলে আল্লাহকে ‘রব্ব’ মানা হয়, আল্লাহর দাসত্ব করা হয়। কিন্তু সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্বের মালিক মানুষকে স্বীকার করলে মানুষকে ‘রব্ব’ মানা হয় এবং মানুষের মনগড়া আইনের আনুগত্য করলে মানুষেরই দাসত্ব করা হয়। যার পরিণতি দুনিয়াতে দুর্ভোগ ও অশান্তি এবং আখিরাতে নিশ্চিত জাহান্নাম। আমাদের সকলকে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহরই দাসত্ব করা উচিত, এর মধ্যেই সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তি।

আমরা আল্লাহর সৃষ্টি, আল্লাহরই রিযিক ভোগ করে জীবন ধারণ করছি এবং আল্লাহরই দয়ার দান কর্মশক্তি, বাকশক্তি, দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি ও মেধা-বুদ্ধি ব্যবহার করে যে যার পেশায় নিয়োজিত হয়ে উন্নতি সাধন করছি; সেই আল্লাহই আমাদেরকে তাঁরই দাসত্ব, তাঁরই আইন-বিধানের আনুগত্য করার নির্দেশ প্রদাণ করেছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ’এর সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় দেশবাসী মহা র্শিক ‘গণতন্ত্র’এর মাধ্যমে “জনগণ”কে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক মেনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সার্বভৌমত্বের সাথে র্শিক করে মানব রচিত ব্যবস্থা ও মানুষের মনগড়া আইনের আনুগত্য করে মানুষের দাসত্ব করার কারণে মহাক্ষতিতে নিমজ্জিত আছে। সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব মানুষের মেনে মানব রচিত ব্যবস্থার ভিত্তিতে দেশ ও জাতি পরিচালিত হচ্ছে বিধায়; দেশবাসী বিভিন্ন দল ও উপদলে বিভক্ত হয়ে সংঘাত ও সংঘর্ষে লিপ্ত। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে চরম নৈরাজ্য ও অস্থিরতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি হুমকীর মুখে, দেশের মানুষের জান, মাল ও ইজ্জতের নেই কোন নিরাপত্তা, খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ক্রম উর্ধগতিতে দেশের মানুষ দিশেহারা। সুশাসন, ন্যায়বিচার ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে সমাজের মানুষ আজ চরম দুর্ভোগ ও অশান্তিতে দুর্বিসহ কাল কাটাচ্ছে। সার্বিক বিশ্লেষনে স্পষ্ট যে, “দেশ ও জাতি গভীর সংকটে নিমজ্জিত হয়ে ধ্বংসের মুখোমুখী”। এ নাজুক অবস্থা থেকে বাঁচার একমাত্র পথ হচ্ছে- “সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনাসহ মানুষের জীবনের সকল ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর, মানুষের নয়” এ মহাসত্যের ভিত্তিতে ‘জাতীয় ঐক্য গঠন’ এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রদত্ত কল্যাণকর ও প্রয়োজনীয় আইন-বিধান সম্বলিত পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা ‘ইসলাম’এর ভিত্তিতে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করা। এছাড়া সংকট ও মহাক্ষতি থেকে উত্তরণের কোন বিকল্প পথ নেই। বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীগণ স্ব স্ব ধর্ম পালন করার পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় জীবনে ‘ইসলাম’এর আইন-বিধান মেনে চললে সকলেরই মৌলিক অধিকারসহ সকল অধিকার প্রাপ্তি হবে, সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সকলের জান, মাল ও ইজ্জত-আবরুর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ এর মূল বিষয় হচ্ছে- সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর, মানুষের নয়; এটাই আল্লাহর প্রতি ঈমানের মূল বিষয়। আল্লাহর প্রতি ঈমানের একমাত্র দাবী হচ্ছে- দাসত্ব, আইনের আনুগত্য ও উপাসনা একমাত্র আল্লাহর এবং শর্তহীন আনুগত্য-অনুসরণ ও অনুকরণ একমাত্র আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর; অন্য কারো নয়। অপরদিকে গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও সামরিকতন্ত্র ইত্যাদি সকল প্রকার মানব রচিত ব্যবস্থায় সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব মানা হয় মানুষের এবং আনুগত্য স্বীকার করা হয় মানুষের মনগড়া আইন-বিধানের, আর এ সবই শিরক ও কুফর। কাজেই গণতন্ত্রসহ মানব রচিত সকল ব্যবস্থাই হচ্ছে বিশ্বজগতের সুষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রদত্ত ব্যবস্থা ‘ইসলাম’এর বিপরীত, বিরোধী, বিদ্রোহী ব্যবস্থা- শিরকী ও কুফরী ব্যবস্থা। শিরকী ও কুফরী মানব রচিত ব্যবস্থা মেনে বর্তমানে আমাদের দেশসহ গোটা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ ‘ইসলাম’এর মূল বিষয় থেকে বিচ্যুত হয়ে শিরক ও কুফরীতে লিপ্ত হয়ে মহাক্ষতিতে নিমজ্জিত। যার ফলে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার নামেও চলছে চরম বিভ্রান্তি। গণতন্ত্র সহ মানব রচিত ব্যবস্থার অধীনে মানুষের সার্বভৌমত্ব মেনে মানুষের মনগড়া আইনের আনুগত্য স্বীকার করে জোট, ভোট ও নির্বাচন ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি নয়। যারা ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার নামে গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহন করছে, তারাও “ঈমান-ইসলাম” থেকে বিচ্যুত হয়ে শিরক ও কুফরীতে ডুবে আছে। অপরদিকে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার নামে সশস্ত্র সংগ্রাম ও বোমাবাজিতে যারা লিপ্ত তারা আল-কুরআনের নীতি ও আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে নিজেদের মনগড়া নীতি অনুসরণ করে মহাবিভ্রান্তি ও মহাক্ষতিতে নিমজ্জিত। কেননা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দানের পূর্বে কিতাল বা সশস্ত্র সংগ্রামের কোন আদেশ-নির্দেশ দেননি।সুতরাং গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচন কিংবা সশস্ত্র সংগ্রাম সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি নয়।

আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিই হলো সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার একমাত্র পদ্ধতি। আর তা হচ্ছে- “সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর, মানুষের নয়” এই মহাসত্যের প্রতি ঈমান এনে ঈমানের ঘোষণা করা এবং “দাসত্ব,আইনের আনুগত্য ও উপাসনা একমাত্র আল্লাহর, অন্য কারো নয়’’ এ বিষয়ের দৃঢ় অঙ্গীকার করা; যা মূলতঃ ‘ইসলাম’এর অঙ্গীকার এবং এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে “শর্তহীন আনুগত্য-অনুসরণ ও অনুকরণ একমাত্র আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর, অন্য কারো নয়” এ বিষয়ের দৃঢ় অঙ্গীকার করা; যা মূলতঃ ইসলাম বাস্তবায়নের অঙ্গীকার।

এভাবে ঈমানের ঘোষণা ও ইসলামের অঙ্গীকারের ভিত্তিতে একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্বের প্রতিনিধিত্বকারী আমীরের আনুগত্যে থেকে সকল ঈমানদারগণের দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষকে ‘ঈমান’ ও ‘ইসলাম’এর দাওয়াত দিতে থাকা এবং দাওয়াতের প্রেক্ষিতে সকল প্রকার বিরোধীতার মোকাবিলায় ছবর, ক্ষমা এবং আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসার নীতিতে অটল থাকা। ঈমানের উপর দৃঢ় থেকে এভাবে দাওয়াতী কাজ করতে থাকলে এরই এক পর্যায়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনই তাঁর বিশেষ সাহায্যের মাধ্যমে ঈমানদার সৎকর্মশীলদেরকে রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা দান করবেন। সূরা নূর’এর ৫৫ নং আয়াতে আল্লাহ এ ওয়াদার কথাই ঘোষণা করেছেন। আর তখনি ঈমানদার নেতার নেতৃত্বে সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহর আইন-বিধান চালু করা সম্ভব হবে। এটাই সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার আল্লাহর নির্দেশিত এবং আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ একমাত্র পদ্ধতি।

আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আল্লাহর অসীম অনুগ্রহে সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে “ইসলামী সমাজ” আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার ঈমানী দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সকল প্রকার দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা, জঙ্গী তৎপরতা ও বোমাবাজিসহ সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে “ইসলামী সমাজ”এর দৃঢ় অবস্থান। ‘ঈমান ও ইসলাম’এর দাওয়াতের ভিত্তিতে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “ইসলামী সমাজ” শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর মাধ্যমে আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দুনিয়া ও আখিরাতের সার্বিক কল্যাণে আমরা আপনাকেও সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনাসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকেই সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্বের একমাত্র মালিক স্বীকার করে কেবলমাত্র তাঁরই দাসত্ব, তাঁরই আইনের আনুগত্য ও উপাসনা এবং আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শর্তহীন আনুগত্য-অনুসরণ ও অনুকরণের অঙ্গীকার করার এবং সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় “সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর; মানুষের নয়” এই মহাসত্যের ভিত্তিতে তাঁর সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী আমীরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ‘জাতীয় ঐক্য’ গঠনের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যথাযথ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনাকে তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে তাঁরই দাসত্ব করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং বর্তমানে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের আসনে আসীন করে পরীক্ষা করছেন। আল্লাহকেই সার্বভৌমত্বের একমাত্র মালিক তথা রব্ব স্বীকার করে দাসত্ব এবং তাঁরই প্রদত্ত কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ এর আইন-বিধানের আনুগত্য করার ভিত্তিতে তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে এ পরীক্ষায় আপনার উত্তীর্ণ হওয়া উচিত।

উল্লেখ্য যে, “সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠিত না থাকলে, নিজ অর্থ সম্পদ ও সময় ব্যয়ের মাধ্যমে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত চেষ্টা করাই ‘সর্বোত্তম আমল’ এবং আল্লাহর ক্ষমা ও জান্নাত লাভের উপায়”। সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রদর্শিত পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর মাধ্যমে “ইসলামী সমাজ” পরিচালিত প্রচেষ্টায় আপনার আন্তরিক সমর্থন ও সহযোগিতা বিশেষভাবে কামনা করছি।

সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক, সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনই আমাদের একমাত্র সহায় ও সাহায্যকারী। তিনি আমাদের সকলকে শুধুমাত্র তাঁরই দাসত্ব ও তাঁরই আইনের আনুগত্য করার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যথাযথ কাজ করার তৌফিক দিন এবং তাঁর প্রিয় বান্দাহ হিসাবে কবুল করুন। আমীন!

সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণ কামনায়

বিশ্বজগতের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী নেতা

বিষয়: বিবিধ

৯৩৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

377846
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ০১:০৯
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : ভাল লেগেছে। চালিয়ে যান। মনে হচ্ছে এটাই
মক্তির পথ। ধন্যবাদ ।পিলাচ
377847
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ০১:১১
আকবার১ লিখেছেন : “সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর, মানুষের নয়” এই মহাসত্যের প্রতি ঈমান এনে ঈমানের ঘোষণা করা এবং “দাসত্ব,আইনের আনুগত্য ও উপাসনা একমাত্র আল্লাহর, অন্য কারো নয়’’ এ বিষয়ের দৃঢ় অঙ্গীকার করা; যা মূলতঃ ‘ইসলাম’এর অঙ্গীকার এবং এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে “শর্তহীন আনুগত্য-অনুসরণ ও অনুকরণ একমাত্র আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর, অন্য কারো নয়” এ বিষয়ের দৃঢ় অঙ্গীকার করা; যা মূলতঃ ইসলাম বাস্তবায়নের অঙ্গীকার। একমত। চালিয়ে যান।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File