“ইসলামী সমাজ”এর উদ্যোগে দুই দিন ব্যাপী বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত।
লিখেছেন লিখেছেন স্বপন২ ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৭:০৯:১৬ সন্ধ্যা
আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী নেতা, “ইসলামী সমাজ” এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। মানুষের প্রয়োজন ও কল্যাণেই সমাজ ও রাষ্ট্র। সমাজ ও রাষ্ট্রের মূল বিষয় সার্বভৌমত্ব, এ ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্ব হচ্ছে- সমাজ ও রাষ্ট্রের মালিকানা এবং সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আইন প্রনয়ণ ও প্রয়োগের সর্বোচ্চ ক্ষমতা। তিনি বলেন, মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করে মানবাধিকার নিশ্চিত করার এবং আখিরাতে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাত লাভের লক্ষ্যেই সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ প্রদান করেছেন। ইসলামে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনাসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র, আল্লাহর মানুষের নয়।
জনাব আব্দুর রব মোল্লার সভাপতিত্বে ,কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন “কুশিয়ারা দারুল ইসলাম মাদ্রাসা” সংলগ্ন মাঠে দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত বার্ষিক ইসলামী সম্মেলনে “ইসলামী সমাজ”এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, গণতন্ত্রসহ সকল মানব রচিত ব্যবস্থার মূল বিষয় সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব মানুষের যা সুস্পষ্ট আল্লাহর সার্বভৈৗমত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, আল্লাহর সাথে কুফর ও র্শিক। আল্লাহর সাথে বিদ্রোহ এবং কুফর ও শিরকের কারণেই সকল আমল হয় বিনষ্ট, যার পরিণতি দুনিয়ায় অকল্যাণ,অশান্তি এবং আখিরাতে নিশ্চিত জাহান্নাম। তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ব কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা ‘ইসলাম’-এর পরিবর্তে মানব রচিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকায় মানুষের দুনিয়ার জীবনে অশান্তির দাবানল জ্বলছে এবং মানব রচিত ব্যবস্থা মেনে চলার কারণে তাদের আখিরাতের জীবনও ধ্বংস হচ্ছে। এহেন নাজুক পরিস্থিতিতে দুনিয়ায় মানুষের জীবনে কল্যাণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় হচ্ছে- সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে মানব রচিত ব্যবস্থার মূলোৎপাটন করে সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার সুযোগ রেখে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আল্লাহ প্রদত্ত ‘ইসলাম’- এর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠা করা। তিনি বলেন, একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতি ঈমানের ঘোষণা এবং তারই দাসত্ব, আইনের আনুগত্য ও উপাসনা করার অঙ্গীকারের ভিত্তিতে ছবর ও ক্ষমার নীতিতে অটল থেকে “সমাজ গঠন আন্দোলন” ই সমাজ ও রাষ্ট্রে “ইসলাম” এর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠায় রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রদর্শিত পদ্ধতি।
“ইসলামী সমাজ” এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ইসলামী সম্মেলনে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী নেতা ইসলামী সমাজের আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে ‘ইসলামী সমাজ’ গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র ইত্যাদি মানব রচিত ব্যবস্থা এবং দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা, জঙ্গিতৎপরতা ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহন করে “মানুষের নয়! সার্বভৌমত্ব,আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর” এ মহা সত্যের ভিত্তিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে ‘ইসলাম’ এর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব মেনে মানুষেরই আইন-বিধানের আনূগত্য স্বীকার করেই গণতন্ত্রের অধীনে জোট, ভোট ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় বিধায়; গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা লাভের পদ্ধতি নয়। অপর দিকে মক্কাসহ সারা বিশ্বে মানব রচিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকাকালীন সময়ে রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মদীনায় রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতায় প্রতিষ্টিত হওয়ার আগে আল্লাহ রাব্বূল আলামীন সশস্ত্র লড়াই করার নির্দেশ দেননি এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সশস্ত্র সংগ্রাম করেননি বিধায়; ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা লাভের জন্য সশস্ত্র সংগ্রামও আল্লাহর নির্দেশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রদর্শিত পদ্ধতি নয়। এ দু’টো পদ্ধতি আল্লাহ প্রদত্ব ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ এর আইন-বিধানের সুস্পষ্ট লংঘন বিধায় এ সবের সাথে “ইসলামী সমাজ” এর নেতা ও কর্মীদের কোন সম্পর্ক নেই। দলমত নির্বিশেষে সকলকে তিনি গণতন্ত্রসহ সকল মানব রচিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহন করে সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে মানব রচিত ব্যবস্থা মূলোৎপাটন করে ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শামিল হওয়ার আন্তরিক আহবান জানান
বিষয়: বিবিধ
৯৮৫ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দল হবে। আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আল্লাহ প্রদত্ত ‘ইসলাম’- এর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠা করা। তিনি বলেন, একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতি ঈমানের ঘোষণা এবং তারই দাসত্ব, আইনের আনুগত্য ও উপাসনা করার অঙ্গীকারের ভিত্তিতে ছবর ও ক্ষমার নীতিতে অটল থেকে “সমাজ গঠন আন্দোলন” ই সমাজ ও রাষ্ট্রে “ইসলাম” এর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠায় রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রদর্শিত পদ্ধতি, একমত।
তাতে পুরো দেশবাসী উপকৃত হবে ।
নির্বাচনও করতে পারেন ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন