র্শিক ও কুফর ত্যাগ করে সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা, জঙ্গি তৎপরতা ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহন করে সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে আল্লাহ প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা ‘ইসলাম’-সৈয়দ হমায়ুন কবীর
লিখেছেন লিখেছেন স্বপন২ ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:৫২:৫৮ রাত
আল মাদরাসাতু দারুল ইসলাম সংলগ্ন মাঠে ‘ইসলামী সমাজ’এর উদ্যোগে এক বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। উক্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভার প্রধান আলোচক আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী নেতা, ইসলামী সমাজের আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর,বিশ্বের সকল মুক্তিকামী মানুষকে গণতন্ত্রসহ সকল মানব রচিত ব্যবস্থা তথা র্শিক ও কুফর ত্যাগ করে সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা, জঙ্গি তৎপরতা ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহন করে সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে আল্লাহ প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা ‘ইসলাম’-এর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার দাওয়াতী আন্দোলনে ‘ইসলামী সমাজ’ এর সাথে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় অন্যান্য আলোচকবৃন্দ বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত ব্যবস্থা ‘ইসলাম’-এর পরিবর্তে মানব রচিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকায় মানুষের দুনিয়ার জীবনে অশান্তির দাবানল জ্বলছে এবং মানব রচিত ব্যবস্থা মেনে চলার কারণে তাদের আখিরাতের জীবনও ধ্বংস হচ্ছে। এহেন নাজুক পরিস্থিতিতে দুনিয়ায় মানুষের জীবনে কল্যাণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় হচ্ছে সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে মানব রচিত ব্যবস্থার মূলোৎপাটন করে ‘ইসলাম’-এর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠা করা। আলোচকবৃন্দ আরো বলেন, আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে নিজের সময় ও অর্থ কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী আমীরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার চুড়ান্ত প্রচেষ্টা করাই আল্লাহর ক্ষমা ও জান্নাত লাভের একমাত্র উপায়।
আলোচনা সভায় আলোচকবৃন্দ আরো বলেন, ঈমানদারগণকে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য দাওয়াতী কাজে আত্মনিয়োগ করার পূর্বে অবশ্যই কুরআন ও সুন্নাহর জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি নিজেদের ঈমান ও চরিত্রের উন্নতি সাধন করতে হবে। কারণ মানুষ শুধু কুরআন ও সুন্নাহর দলিল পেয়েই ইসলামে দাখিল হবে, ইসলামের জীবন ব্যবস্থা গ্রহন করতে আগ্রহী হবে এমনটি নয়, সাথে সাথে মানুষ দাওয়াতদাতার ঈমান ও চারিত্রিক গুণাবলীর দিকেও লক্ষ্য রাখে। অর্থাৎ যিনি ইসলামের দিকে দাওয়াত দিচ্ছেন তার নিজ জীবনে ইসলামের বাস্তব নমুনা আছে কি-না? এজন্য ঈমানদারগণ অবশ্যই নিয়মিত সালাত আদায়ের মাধ্যমে আপন রব্ব আল্লাহর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখবেন। এই সলাতের মাধ্যমে সে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থণা করবে যাতে করে যাবতীয় ফাহেশা ও মন্দ কাজ হতে সে নিজেকে বিরত রাখতে পারে। ঈমানদারগণ হালাল ও উত্তম খাদ্য গ্রহণ করার পাশাপাশি হারাম ও নিকৃষ্ট খাদ্য হতে বেঁচে থাকবে। কেননা ঈমানদার তার জান ও মাল আল্লাহর নিকট জান্নাতের বিনিময়ে বিক্রি করেছেন। এখন হারাম ও নিকৃষ্ট খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে সে যদি আল্লাহর মাল অপচয় করে এবং জানকে ধ্বংশের মুখে ঠেলে দেয় তবে সে আল্লাহর পাকড়াওয়ের মধ্যে পড়ে যাবে।
পরিশেষে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় জাতির মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার এবং মৃত সকল ইমানদার মুসলিম ভাই ও বোনদের রুহের মাগফিরাত এবং সকল মানুষের কল্যাণে দোয়া করে সভা সমাপ্ত করা হয়।
বিষয়: বিবিধ
৮৯৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ব্যস , শুধু একটা মহাসমাবেশ এর দরকার ।
সৃষ্টি হয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন