সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠিত হলেই জাতি,মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে । আমীর, ইসলামী সমাজ
লিখেছেন লিখেছেন স্বপন২ ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০২:৩৭:০৯ রাত
গুলশান স্প্যানিশ রেস্তোরা হলি আর্টিজান বেকারিতে এবং শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে মানুষ হত্যাসহ এ ধরণের সকল অপরাধের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে “ইসলামী সমাজ এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর প্রেস বিজ্ঞপ্তি বলেছেন, সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ‘ইসলাম’এ দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা ও জঙ্গি তৎপরতার কোন স্থান নেই। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলাম প্রতিষ্ঠিত না থাকাকালীন সময়ে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার জন্য কিতালের নামে সশস্ত্র সংগ্রাম, বোমাবাজি ও জঙ্গি হামলা পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী অপতৎপরতা যা দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতের জন্য চরম ক্ষতি ব্যতীত আর কিছুই নয়। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের অধীনে তথা মানুষের মনগড়া সংবিধানের অধীনে জোট, ভোট ও নির্বাচন যেমন ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি নয়, তেমনি সশস্ত্র্র সংগ্রামও সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি নয়। আল্লাহর নির্দেশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতি ব্যতীত অন্য কোন পদ্ধতি সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার জন্য গ্রহন যোগ্য নয়, হতেও পারে না। “ইসলামী সমাজ” এর আমীর আজ এক বিবৃতিতে বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর নির্দেশ তাঁরই সর্বশেষ নাবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লোকদেরকে ইসলাম’এর মৌলিক তিনটি বিষয় গ্রহনের দাওয়াত দিয়েছিলেন। সর্বপ্রথম তিনি লোকদেরকে তাদের রব্বের প্রতি ঈমান গ্রহনের অর্থাৎ আল্লাহকেই একমাত্র রব্ব স্বীকার করে মেনে নেওয়ার দাওয়াত দিয়েছিলেন। দ্বিতীয়তঃ তিনি লোকদেরকে আল্লাহ ব্যতীত সকল ইলাহ (মাবুদ) অমান্য ও অস্বীকার করে একমাত্র আল্লাহকেই ইলাহ (দাসত্ব, আনুগত্য ও উপাসনা পাওয়ার অধিকারী) গ্রহন করার দাওয়াত দিয়েছিলেন এবং তৃতীয়তঃ তিনি লোকদেরকে তাঁকে একমাত্র সর্বশেষ নাবী ও রাসূল মেনে তাঁরই নিঃশর্ত আনুগত্য স্বীকারের দাওয়াত দিয়েছিলেন। মৌলিক এ সকল বিষয়ের দাওয়াতের প্রেক্ষিতে যারা দাওয়াত কবুল করেছিলেন তাদের ঘোষণা, অঙ্গিকার ও সাক্ষ্য ছিল- (১) “রাব্বুনাল্লাহু” অর্থাৎ আল্লাহই আমাদের একমাত্র রব্ব- সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক। হাদীসের ভাষায় এরই ঘোষণা ছিল “আল্লাহু আকবার”। “রাব্বুনাল্লাহু” বা “আল্লাহু আকবার”ই মুলতঃ আল্লাহর প্রতি ঈমানের ঘোষণা। (২) “আশহাদু আল্লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু” অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি (অঙ্গিকার করছি) যে, নেই কোন দাসত্ব, আনুগত্য ও উপাসনা পাওয়ার অধিকারী সত্বা একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত। এটাই হলো মূলতঃ ইসলামের অঙ্গিকার অর্থাৎ একমাত্র আল্লাহর ইবাদাতের অঙ্গিকার এবং (৩) “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহু” অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি (অঙ্গিকার করছি) যে, হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল (শর্তহীন আনুগত্য-অনুসরণ,অনুকরণ পাওয়ার অধিকারী একমাত্র নেতা)। এটাই মুলত ইসলাম বাস্তবায়নের অঙ্গিকার। এভাবে যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দাওয়াত কবুল করে ঈমানের ঘোষণা, ইসলাম ও ইসলাম বাস্তবায়নের সাক্ষ্য প্রদান করেছিলেন তাদেরকে নিয়েই আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর নিজ নেতৃত্বে ও আনুগত্যে ইসলাম গ্রহনকারী ঈমানদারদের সমাজ গঠন করেছিলেন। আল্লাহর রাসূল এবং ইসলাম গ্রহনকারী সকল ঈমানদার সাহাবীগণ ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতির সকল মানুষদের নিকট ‘ইসলাম’এর মৌলিক বিষয় সমুহের দাওয়াতের মাধ্যমে সমাজ গঠন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে মানব রচিত ব্যবস্থার ধারক-বাহক ও অনুসারীদের সকল প্রকার বিরোধীতার মোকাবিলার দায়িত্ব আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়ে নিজেরা ছবর ও ক্ষমার নীতিতে অটল থেকে ছালাত ও কুরআনের ওহী তেলাওয়াতের মাধ্যমে নিজেদের ঈমান ও চরিত্রের উন্নতি সাধন এবং আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করতে থাকেন। এভাবেই দীর্ঘ ১৩ বছর শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাজ গঠনের আন্দোলনের মাধ্যমে ঈমানের সর্বোচ্চ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মদীনায় ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার অনুকুল পরিস্থিতি তৈরি করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মদীনায় রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা (খিলাফত) দান করলেন। এটাই সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঈমানদারগণের রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা লাভের আল্লাহর নির্দেশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রদর্শিত একমাত্র পদ্ধতি। মদীনায় রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তিনি কিত্বাল বা সশস্ত্র সংগ্রাম করেন নি। কারণ আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশ ছিল হাত বেধে রাখ এবং ছবর ও ক্ষমার নীতিতে অটল থাক। তিনি যতগুলা কিতাল অর্থাৎ সশস্ত্র সংগ্রাম করেছেন মদীনায় রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা লাভের আগে নয় বরং পরেই করেছিলেন। “ইসলামী সমাজ” এর আমীর বলেন, আল্লাহর নির্দেশিত ও রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রদর্শিত পদ্ধতিতেই সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর মাধ্যমে ইসলামী সমাজের নেতা ও কর্মীগণ ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে । তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বের কোন সংগঠন বা সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সাথে ইসলামী সমাজের নেতা ও কর্মীদের দাওয়াতি সম্পর্ক ব্যতীত আর কোন সম্পর্ক নেই। এমতাবস্থায় যদি “ইসলামী সমাজ” এর পরিচয়দানকারী কোন ব্যাক্তি ইসলামী সমাজের নীতিবিরোধী যে কোন তৎপরতায় শামিল হয়, সে ইসলামী সমাজের অন্তর্ভুক্ত নয়। “ইসলামী সমাজ” এর সকল নেতা ও কর্মীদেরকে তিনি ইসলাম এর মৌলিক বিষয় গুলার ভিত্তিত সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে শান্তিপূর্ণভাবে ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রদান করেন এবং দুর্নীতি, সন্ত্রাস, ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে উগ্রতা, জঙ্গিতৎপরতা ও বোমাবাজী ইসলাম ও মানবতা বিরাধী চরম অপরাধ এ কথার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকল প্রকার দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা ও জঙ্গীতৎপরতাসহ সকল অপতৎপরতা নির্মূল করে মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রে “ইসলাম” প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “মানুষের নয় সার্বভৌমত্ব আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তত্ব একমাত্র আল্লাহর”- এ মহা সত্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠনের বিকল্প নেই। সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে দল মত নির্বিশেষে দেশবাসী সকলকে তিনি মহাসত্যের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় “ইসলামী সমাজ” পরিচালিত শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্ট
গুলশান স্প্যানিশ রেস্তোরা হলি আর্টিজান বেকারিতে এবং শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে মানুষ হত্যাসহ এ ধরণের সকল অপরাধের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে “ইসলামী সমাজ” এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ‘ইসলাম’এ দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা ও জঙ্গি তৎপরতার কোন স্থান নেই। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলাম প্রতিষ্ঠিত না থাকাকালীন সময়ে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার জন্য কিতালের নামে সশস্ত্র সংগ্রাম, বোমাবাজি ও জঙ্গি হামলা পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী অপতৎপরতা যা দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতের জন্য চরম ক্ষতি ব্যতীত আর কিছুই নয়। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের অধীনে তথা মানুষের মনগড়া সংবিধানের অধীনে জোট, ভোট ও নির্বাচন যেমন ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি নয়, তেমনি সশস্ত্র্র সংগ্রামও সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি নয়। আল্লাহর নির্দেশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতি ব্যতীত অন্য কোন পদ্ধতি সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার জন্য গ্রহন যোগ্য নয়, হতেও পারে না। “ইসলামী সমাজ” এর আমীর আজ এক বিবৃতিতে বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর নির্দেশ তাঁরই সর্বশেষ নাবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লোকদেরকে ইসলাম’এর মৌলিক তিনটি বিষয় গ্রহনের দাওয়াত দিয়েছিলেন। সর্বপ্রথম তিনি লোকদেরকে তাদের রব্বের প্রতি ঈমান গ্রহনের অর্থাৎ আল্লাহকেই একমাত্র রব্ব স্বীকার করে মেনে নেওয়ার দাওয়াত দিয়েছিলেন। দ্বিতীয়তঃ তিনি লোকদেরকে আল্লাহ ব্যতীত সকল ইলাহ (মাবুদ) অমান্য ও অস্বীকার করে একমাত্র আল্লাহকেই ইলাহ (দাসত্ব, আনুগত্য ও উপাসনা পাওয়ার অধিকারী) গ্রহন করার দাওয়াত দিয়েছিলেন এবং তৃতীয়তঃ তিনি লোকদেরকে তাঁকে একমাত্র সর্বশেষ নাবী ও রাসূল মেনে তাঁরই নিঃশর্ত আনুগত্য স্বীকারের দাওয়াত দিয়েছিলেন। মৌলিক এ সকল বিষয়ের দাওয়াতের প্রেক্ষিতে যারা দাওয়াত কবুল করেছিলেন তাদের ঘোষণা, অঙ্গিকার ও সাক্ষ্য ছিল- (১) “রাব্বুনাল্লাহু” অর্থাৎ আল্লাহই আমাদের একমাত্র রব্ব- সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক। হাদীসের ভাষায় এরই ঘোষণা ছিল “আল্লাহু আকবার”। “রাব্বুনাল্লাহু” বা “আল্লাহু আকবার”ই মুলতঃ আল্লাহর প্রতি ঈমানের ঘোষণা। (২) “আশহাদু আল্লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু” অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি (অঙ্গিকার করছি) যে, নেই কোন দাসত্ব, আনুগত্য ও উপাসনা পাওয়ার অধিকারী সত্বা একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত। এটাই হলো মূলতঃ ইসলামের অঙ্গিকার অর্থাৎ একমাত্র আল্লাহর ইবাদাতের অঙ্গিকার এবং (৩) “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহু” অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি (অঙ্গিকার করছি) যে, হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল (শর্তহীন আনুগত্য-অনুসরণ,অনুকরণ পাওয়ার অধিকারী একমাত্র নেতা)। এটাই মুলত ইসলাম বাস্তবায়নের অঙ্গিকার। এভাবে যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দাওয়াত কবুল করে ঈমানের ঘোষণা, ইসলাম ও ইসলাম বাস্তবায়নের সাক্ষ্য প্রদান করেছিলেন তাদেরকে নিয়েই আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর নিজ নেতৃত্বে ও আনুগত্যে ইসলাম গ্রহনকারী ঈমানদারদের সমাজ গঠন করেছিলেন। আল্লাহর রাসূল এবং ইসলাম গ্রহনকারী সকল ঈমানদার সাহাবীগণ ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতির সকল মানুষদের নিকট ‘ইসলাম’এর মৌলিক বিষয় সমুহের দাওয়াতের মাধ্যমে সমাজ গঠন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে মানব রচিত ব্যবস্থার ধারক-বাহক ও অনুসারীদের সকল প্রকার বিরোধীতার মোকাবিলার দায়িত্ব আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়ে নিজেরা ছবর ও ক্ষমার নীতিতে অটল থেকে ছালাত ও কুরআনের ওহী তেলাওয়াতের মাধ্যমে নিজেদের ঈমান ও চরিত্রের উন্নতি সাধন এবং আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করতে থাকেন। এভাবেই দীর্ঘ ১৩ বছর শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাজ গঠনের আন্দোলনের মাধ্যমে ঈমানের সর্বোচ্চ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মদীনায় ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার অনুকুল পরিস্থিতি তৈরি করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মদীনায় রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা (খিলাফত) দান করলেন। এটাই সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঈমানদারগণের রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা লাভের আল্লাহর নির্দেশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রদর্শিত একমাত্র পদ্ধতি। মদীনায় রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তিনি কিত্বাল বা সশস্ত্র সংগ্রাম করেন নি। কারণ আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশ ছিল হাত বেধে রাখ এবং ছবর ও ক্ষমার নীতিতে অটল থাক। তিনি যতগুলা কিতাল অর্থাৎ সশস্ত্র সংগ্রাম করেছেন মদীনায় রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা লাভের আগে নয় বরং পরেই করেছিলেন। “ইসলামী সমাজ” এর আমীর বলেন, আল্লাহর নির্দেশিত ও রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রদর্শিত পদ্ধতিতেই সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর মাধ্যমে ইসলামী সমাজের নেতা ও কর্মীগণ ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে । তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বের কোন সংগঠন বা সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সাথে ইসলামী সমাজের নেতা ও কর্মীদের দাওয়াতি সম্পর্ক ব্যতীত আর কোন সম্পর্ক নেই। এমতাবস্থায় যদি “ইসলামী সমাজ” এর পরিচয়দানকারী কোন ব্যাক্তি ইসলামী সমাজের নীতিবিরোধী যে কোন তৎপরতায় শামিল হয়, সে ইসলামী সমাজের অন্তর্ভুক্ত নয়। “ইসলামী সমাজ” এর সকল নেতা ও কর্মীদেরকে তিনি ইসলাম এর মৌলিক বিষয় গুলার ভিত্তিত সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে শান্তিপূর্ণভাবে ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রদান করেন এবং দুর্নীতি, সন্ত্রাস, ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে উগ্রতা, জঙ্গিতৎপরতা ও বোমাবাজী ইসলাম ও মানবতা বিরাধী চরম অপরাধ এ কথার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকল প্রকার দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা ও জঙ্গীতৎপরতাসহ সকল অপতৎপরতা নির্মূল করে মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রে “ইসলাম” প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “মানুষের নয় সার্বভৌমত্ব আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তত্ব একমাত্র আল্লাহর”- এ মহা সত্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠনের বিকল্প নেই। সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে দল মত নির্বিশেষে দেশবাসী সকলকে তিনি মহাসত্যের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় “ইসলামী সমাজ।
বিষয়: বিবিধ
৮০৯ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
করছি মাএ।
ইনি কি রায়পুরের?
গৌরীপুর, গ্রাম কুশিয়ারা। ১৯৮২ সাল পর্যন্ত
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিবিরের সভাপতি ছিলেন। জামাতের প্রথম আমীর মাওলানা আবদুর জব্বার সাহেবের সাথে কাজ করতেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন