শিবিরের ক্রান্তিকালঃ ১৯৮২ সালের কথকতা-৫ POSTED BY ফরীদ আহমদ রেজা ON 14/09/2015 IN আলোচিত-সমালোচিত |
লিখেছেন লিখেছেন স্বপন১ ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৬:৩৯:৩৩ সন্ধ্যা
এক সময় বৈঠক শুরু হলো। দুয়েকটি প্রাথমিক কথা বলে আমি প্রফেসার সাহেবকে তার ফায়সালা ঘোষণা করতে বললাম। তিনি তাঁর স্বভাব সুলভ ভাষায় যতটুকু সম্ভব মাধুর্য ও আবেগ মিশিয়ে দীর্ঘক্ষণ ভূমিকা দিলেন। তারপর তাঁর ফাইন্ডিংস এবং ফায়সালা শোনালেন। আজ এতদিন পর সব কথা মনে নেই। যতটুকু মনে পড়ে তাঁর সারকথা ছিলঃ
(১) যেহেতু সদস্যদের মধ্যে অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে সেহেতু বর্তমান নেতৃত্বকে চলে যেতে হবে। (নোটঃ শাহ জাহান চৌধুরীর এটা দাবি ছিল এবং অনাস্থা এমনিতে সৃষ্টি হয়নি, অনাস্থার জন্যে জামাতের সহযোগিতায় প্রচারণা চালানো হয়েছে।)
(২) অনতিবিলম্বে নতুন নির্বাচন হবে এবং নির্বাচন সম্পন্ন করার কাজে মেম্বার সেক্রেটারী হিসেবে কাজ করবেন নজরুল ইসলাম খাদেম। (নোটঃ কেন নজরুল ইসলাম খাদেমকে তড়িঘড়ি করে বিদেশ থেকে ডেকে আনা হয়েছে তা আমার কাছে পরিস্কার হলো।)
(৩) নির্বাচনের আগে কার্যকরী পরিষদের যারা নিয়মিত ছাত্র নয় তাদের সবাইকে বিদায় নিতে হবে। (নোটঃ তাদের মধ্যে আমিও একজন ছিলাম। এর মাধ্যমে, আমরা মিছামিছি ছাত্রত্ব বজায় রেখে জোর করে সংগঠনে রয়েছি, শাহ জাহান চৌধুরীর এ অভিযোগের সত্যতা প্রদান করা হলো।)
(৪) সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করে শপথ ভঙ্গের কাফফারা হিসেবে শাহ জাহান চৌধুরীকে তওবা করতে হবে এবং তিনটি রোজা রাখতে হবে।
(৫) প্রফেসার সাহেব নিজে এ সকল ফায়সালা সদস্যদের অবহিত করবেন। প্রথমে ঢাকার সদস্যদের জানানো হবে। পরে সারা দেশের সদস্যদের বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত করে ঢাকায় ডেকে আনা হবে।
প্রফেসার সাহেবের কথা শেষ হলে আমরা সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে সুবোধ বালকের মতো নিজ নিজ বাসায় চলে গেলাম। পরে প্রফেসার সাহেব যখন বিভিন্ন এলাকার সদস্যদের সাথে কথা বলেন তখন আমি মাত্র একটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। অন্যগুলোতে আমি ইচ্ছে করেই উপস্থিত হইনি। পরিষদ সদস্যের মধ্যে যারা একাধিক বৈঠকে ছিলেন তারা বলেছেন সকল বৈঠকে তাঁর ভাষা, বাচনভঙ্গী এবং দৃষ্টিকোণ সমান ছিল না। তবে মূল বক্তব্য একই ছিল, বর্তমান ব্যাচের বিদায় এবং শাহ জাহান চৌধুরীর ছেলে ভোলানো তওবা।
আমি যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম সেখানে প্রফেসার সাহেব অনেক অপ্রাসঙ্গিক কথা টেনে এনেছেন। সেখানে তাকে চ্যালেঞ্জ করার কোন পরিবেশ বা সুযোগ ছিল না। ৭১ সম্পর্কে তিনি খুব শক্তভাবে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘৭১-এ জামাতের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উত্তাপনের কোন সুযোগ নেই। ‘৭১ আমাদের ক্রেডেনশিয়েল’।
জামাতের প্রত্যক্ষ খবরদারিতে একই সেশনে শিবিরের তিন বার নির্বাচন হলো। তৃতীয় নির্বাচনে সাইফুল আলম খান মিলন কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন। ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ আমাদের বুঝিয়ে দিলেন, ইসলামী পলিটিক্স কাহাকে বলে, এবং তা কত প্রকার ও কি কি। স্বপ্নভঙ্গ বুকে ধারণ করে এখন আমার তল্পিতল্পা গুটিয়ে সিলেট যাবার পালা। আহমদ আব্দুল কাদের, ডাঃ আবিদুর রহমানসহ আরো অনেকে আমাকে ঢাকায় থাকতে বলছেন। প্রিয়ভাজন এডভোকেট এ কে বদরুদ্দোজা আমার জন্যে একটি চাকরিও জোগাড় করে ফেলেছেন, ঢাকার একটা সাপ্তাহিক কাগজের সম্পাদকীয় বিভাগে। কিন্তু আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল। আমি আর ঢাকায় থাকবো না।
আমার আজিম পুরের বাসায় তখন অনেকেই আসতেন। সদ্য বিদায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি আহমদ আব্দুল কাদের আসতেন। পরিষদ সদস্যদের মধ্যে আসতেন জসিম উদ্দীন সরকার, আশেক আহমদ জেবাল, মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, মাসুদ মজুমদার প্রমুখ। কিছুদিন আগে বিদায় নেয়া পরিষদ সদস্য ডাঃ আবিদুর রহমানও আসতেন। আমরা নানা প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করতাম, সুখ-দুঃখের গল্প করতাম। নিজের কথা বলতে পারি, অনেক অনেক বছর পর এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি হলো যে আমার উপর কোন দায়িত্ব নেই। ভালো বা খারপের বিষয় নয়, এ একটা ভিন্নতর অনুভূতি। তবে আমাদের সব আলোচনার মধ্যে ঘুরে ফিরে একটি প্রশ্ন আসতো, এখন আমরা কি করবো?
১৯৭৭ সালে শিবির গঠনের পর একটা বিরাট স্বপ্ন নিয়ে আমরা মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। আমাদের স্বপ্ন ছিল শিাবরকে বিশেষ কোন দলের নয়, বাংলাদেশের সকল মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলবো। ৭১এর ভুমিকা এবং আলেম সমাজের জামাত বিরোধী মনোভাবের কারণে জামাতের ব্যাপারে বাংলাদেশের মানুষের মনে অসংখ্য প্রশ্ন রয়েছে। শুরু থেকে আমরা বলিষ্ঠভাবে বলেছি, শিবির কারো অঙ্গ সংগঠন নয়। আমরা জামাত থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকে শিবিরকে গ্রামে-গঞ্জে পৌঁছে দিতে পেরেছি। দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, আমলা এবং অন্যান্য পেশাজীবীদের মধ্যে অনেক প্রভাশালী ব্যক্তিত্ব রয়েছেন যারা জামাতকে পছন্দ করেন না, কিন্তু শিবিরকে ভালোবাসেন। আভ্যন্তরীন এবং বাইরের অনেক বাঁধা-বিপত্তি মোকাবেলা করে শিবির দিনে দিনে এগিয়ে চলেছে। প্রাক্তন শিবিরকর্মীদের নিয়ে প্রস্তাবিত সংগঠন গড়ে তুলতে পারলে শিবির একটি অপ্রতিরোধ্য শক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে পারতো। কিন্তু এখন কি হবে? আমাদের সাথে যা করা হলো এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া শিবিরের উপর পড়বে। শিবির এখন জামাতের ছাত্র সংগঠন হিসেবে পরিচিত হবে এবং আস্তে আস্তে গণমানুষের আস্থা ও সমর্থন হারাবে।
৭১-এ জামাতের ভুমিকার কারণে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সাথে তাদের এক বিরাট দূরত্ব তৈরি হয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশের মসজিদ-মাদ্রাসায় যে সকল আলেম যুগ যুগ ধরে গণমানুষের ধর্মীয় নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তারা জামাতকে পছন্দ করেন না। জামাতে ইসলামী বাংলাদেশে নতুন নামে কাজ শুরু করলে এ দুটো বাঁধা অতিক্রম করা সহজ ছিল। জামাতে ইসলামী নামটা কুরআন-হাদীস নয় যে একে পরিবর্তন করা যাবেনা। কিন্তু জামাত নাম পরিবর্তন না করে স্বনামেই কাজ শুরু করেছে। নেতৃত্বেও রয়েছেন তারা-ই যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ছিলেন এবং এ ব্যাপারে জামাতের অবস্থান কোন গোপন বিষয় ছিল না। পরিচিত মুখগুলো-ই আবার নেতৃত্বের আসনে সমাসীন। তাই বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ৭১ সালের ভূমিকা জামাতকে সব সময় তাড়া করে বেড়াবে।
আলেম সমাজের সাথে বিরোধও কোন ছোট বিষয় নয়। শেষ ভরসা ছিল ছাত্রশিবির। রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তির উর্ধে থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার কারণে শিবির ভিন্ন মতের আলেম সমাজ এবং সুধীদের আশীর্বাদ নিয়ে দ্রুত গতিতে সাধারণ ছাত্রদের মন জয় করছিল। এখন শিবির এর স্বাতন্ত্র্য হারিয়ে জামাতের সাথে একীভূত হয়ে যাবে। হাজারো কথা আসবে, অসংখ্য দায় এর মাথার উপর এসে পড়বে। একটা সম্ভাবনাময় আন্দোলনকে অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেয়া হলো। এর কারণ কি ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ, গোষ্ঠী-স্বার্থ, একগুঁয়েমি, না কি অদূরদর্শিতা আমি জানি না। বাংলাদেশের মানুষের সামনে ইসলামের সঠিক পরিচয় তুলে ধরার মাধ্যমে একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা যাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য তারা এ ভাবে নিজের পায়ে কুড়াল মারতে পারে না। ইসলামী আন্দোলনের ভবিষ্যত পরিণতি ভেবে আমি শঙ্কিত হয়ে পড়লাম।
আমার নিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ছিল, আমি জামাতে ইসলামীতে যোগ দেবো না। যাদের মুখের ভাষা এবং বুকের ভাষা এক নয় তাদের সাথে জীবন বাজি রেখে কাজ করা সম্ভব নয়। তবে এ ব্যাপারে আমি কাউকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করিনি। নিজের কথাও নিজের মধ্যেই গোপন রেখেছি। অন্যদের বলেছি, আপনাদের মধ্যে সাহস, যোগ্যতা এবং উদ্দীপনা থাকলে নতুন কিছু করুন। তবে নিছক আল্লাহকে খুশি করার জন্যে, বাংলাদেশের মানুষের জন্যে এবং মানুষকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। যদি বিকল্প ভালো কিছু করতে পারেন আমার সমর্থন এবং সহযোগিতা পাবেন। কিন্তু উদ্যোগ বা নেতৃত্ব – কোন কিছুতে আমাকে পাবেন না। কারণ আমার মধ্যে সে সামর্থ্য বা উদ্দীপনা নেই। আমি এটাও বলেছি, গণ-সংগঠন না করে যুব সংগঠন করা ভালো। আর ‘যুব শিবির’ নামটা শুনতে চমৎকার শোনায়।
এখানে জেনে রাখা ভালো, শিবিরের তৎকালীন সদস্য-কর্মী বা সাধারণ জনশক্তির সাথে এ সব বিষয়ে আমি ইচ্ছে করেই কোন আলাপ করিনি। কাউকে কোথাও যাওয়ার জন্যে ডাক দিলে নিজেকেও এগিয়ে যেতে হবে। নিজে ঘরে বসে থেকে মানুষকে রাস্তায় নামার জন্যে বলা অর্থহীন। এ কারণেই যুব শিবির গঠনের পর আমি কোন দায়িত্ব গ্রহণ করতে সম্মত হইনি। সে সময় সদস্য-কর্মীদের অনেকে আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন। ঢাকার বাইর থেকে কেউ কেউ চিঠি লেখে আমার অভিমত জানতে চেয়েছেন। যেখানে কথা বলতে বাধ্য হয়েছি সেখানে বলেছি, ‘আপনার কবরে আপনি একা যাবেন। সুতরাং সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে। তবে যুব শিবিরের প্রতি আমার সমর্থন রয়েছে।’
তখনও ঢাকায় আছি। একদিন ফোন করলেন শিবিরের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আবু তাহের। বললেন, আমার সাথে তার জরুরী কথা আছে। গেলাম তার অফিসে। বললেন, ‘শোনলাম আপনারা যুব সংগঠন করছেন। এটা কি ঠিক?’
বললাম, ‘আমি করছি না। তবে কেউ কেউ করার কথা ভাবছেন। এটা তো নতুন কোন চিন্তা নয়। আপনি যখন সভাপতি ছিলেন তখন আপনার সভাপতিত্বে বিষয়টা নিয়ে পরিষদে আলোচনা হয়েছে এবং তাতে আপনারও সমর্থন ছিল।’
বললেন, ‘সে সময়ের প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। বর্তমান সময়ে এটা করা ঠিক নয়। পরিস্থিতির পরিবর্তন হলে পরে করা যেতে পারে।’
বললাম, ‘যারা যুব সংগঠন করার কথা এখন ভাবছেন, তাদের মতে এখন এর জন্যে চমৎকার সময়।’
বললেন, ‘ঠিক আছে, আমার কথা আমি বললাম। বাকি আপনাদের ইচ্ছা।’
আরেক দিন প্রাক্তন সভাপতি আবু নাসের আব্দুজ জাহের ফোন করলেন। খাওয়ার দাওয়াত দিলেন। আরো দুয়েক জন ছিলেন। খাওয়া দাওয়ার পর বললেন, ‘তোমাকে জামাতে ইসলামীতে যোগ দিতে হবে।’ বললাম, ‘আমি এ মুহুর্তে জামাতে যোগ দেয়ার কথা ভাবছি না।’ বললেন, ‘যোগ দেবার এখনই উপযুক্ত সময়। আজই যোগ দাও।’ বললাম, ‘আজ-কাল তো নয়-ই। কখনো যদি যোগ দেয়ার কথা ভাবি তা হলে আপনাকে বলবো।’ আমার এ জবাবে তিনি একটু আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন। অনেক কথা বলার পর বললেন, ‘কোন দিন যদি তোমার জামাতে যোগ দেয়ার ইচ্ছ হয় তবে আমাকে অবশ্যই বলবে। মৃত্যু শয্যায় থাকলেও তোমার সাথে আমি যাবো।’
বেশ কয়েক দিন পর ফোন করলেন ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক লস্কর। খাওয়ার দাওয়াত দিলেন। ইসলামী ব্যাংক নিয়ে তার অনেক আশা এবং স্বপ্নের কথা বললেন। জিজ্ঞেস করলেন, ‘ছাত্রত্ব তো শেষ। এখন কি করবেন?’ বললাম, ‘সিলেট চলে যাব। সেখানে গিয়ে কি করবো এখনো জানি না।’ বললেন, ‘ইসলামী ব্যাংকে অনেক সম্ভাবনা আছে। আমরা একজন কোম্পানী সেক্রেটারী খুঁজছি। যাকে নিয়োগ করবো তাকে ভালো ইংরেজী জানতে হবে। আমরা তাকে বিদেশ পাঠাবো ট্রেনিং নিতে। আপনি তো ইংরেজীতে অনার্স এবং মাস্টার্স করেছেন। ভালো মনে করলে আমাকে বলবেন। আমি দেখবো আপনার জন্যে কি করা যায়।’ জবাবে আমি বললাম, ‘ঠিক আছে, প্রয়োজন হলে পরে আপনার সাথে এ ব্যাপারে কথা বলবো।’
অপর একদিন ফোন করলেন, অধ্যাপক ফজলুর রহমান, তখন তিনি সিলেট জেলা জামাতের আমীর। বললেন, আপনার সাথে জরুরী কথা আছে। সময় দিলাম। তিনি আজিমপুরে আমার বাসায় এলেন। অনেক কথা হলো। আমি যখন সিলেটের দায়িত্বশীল তখনো তিনি সিলেটে জামাতের দায়িত্বশীল। তার বাসায় ছাত্রশিবির নিয়মিত প্রোগ্রাম করেছি। তাঁর স্ত্রী খায়রুন্নেসা ভাবী আমাকে খুব আদর-কদর করেন। আমার বিয়ের ঘটকালিও তিনি করেছেন।
অধ্যাপক ফজলুর রহমান আমার ভবিষ্যত পরিকল্পণার কথা জানতে চাইলেন। বললাম, ঢাকায় একটা চাকরির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আমি সিলেটে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী। খুব উৎসাহিত হয়ে বললেন, ‘খুব খুশির কথা যে আপনি সিলেট যাওয়ার বিষয় বিবেচনা করছেন। আপনি সিলেট চলে আসুন, আপনাকে শাহ জালাল জামেয়ার প্রিন্সিপাল বানাবো।’
বলালাম, ‘আপনি পারবেন না। ফরীদ উদ্দীন চৌধুরী এর প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল। তাকে সরাতে পারবেন না।’
বললেন, ‘এখন আপনাকে প্রিন্সিপাল নয়, ভাইস প্রিন্সিপাল করবো। ফরীদ চৌধুরকে সংগঠনের জন্যে প্রয়োজন। তাই আমরা যোগ্য ভাইস প্রিন্সিপাল খুঁজছি। সেই ভাইস প্রিন্সিপালের উপরই পরে প্রিন্সিপালের দায়িত্ব দেবো। ’
বললাম, ‘ঠিক আছে। আগে সিলেট আসি, তারপর দেখা যাবে। ’
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১৫০৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই জন্য আমি সময়, আমি বলতাম: আমি ইসলামি আন্দোলন করি, ইসলামি পলিটিক্স নয়। এই ইসলামি পলিটিক্স আমাদের ডুবাবে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন