গোলাম আযম বললেন, ‘তোমরা নাকি একাত্তরের পর্যালোচনা করতে চাও ফরীদ আহমদ রেজাঃ
লিখেছেন লিখেছেন স্বপন১ ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১১:০৫:২৭ রাত
শিবিরের ক্রান্তিকাল: বিরাশির কথকতা-২
হঠাৎ একদিন কে একজন খবর দিলেন, শাহ জাহান চৌধুরী (মোমেনশাহী) গোটা দেশের সদস্যদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, শিবিরের বর্তমান নেতৃত্ব সংগঠনের মূল আদর্শ থেকে সরে গেছে। কার্যকরী পরিষদের সদস্যরা ছাত্রজীবন শেষ হবার পরও শিবির ত্যাগ করছে না। তারা ষড়যন্ত্র করে কেন্দ্রীয় সভাপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করে নেতৃত্ব দখল করে নিয়েছে। সে চিঠিতে সদস্যদের প্রতি আবেদন জানানো হয়েছে, তারা যেন সংগঠন রক্ষার তাগিদে বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে।
এ চিঠির খবর পাওয়ার সাথে সাথে, আমাদের অবাক করে দিয়ে ঢাকা, সিলেট, চট্রগ্রাম, রাজশাহী প্রভৃতি এলাকা থেকে সদস্যদের দস্তখত সম্বলিত অনাস্থাপত্র আসা শুরু হয়। আমরা বুঝলাম যে একটা সুচিন্তিত পরিকল্পণা, সুসংবদ্ধ জনবল এবং আনুষঙ্গিক উপায় উপকরণ ছাড়া সারা দেশে এত দ্রুততার সাথে চিঠি প্রেরণ এবং অনাস্থা প্রস্তাব আনয়ন সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।
পরিস্থিতি বোঝার জন্যে ঢাকা শহরে যারা অনাস্থাপত্র পাঠিয়েছে তাদের কয়েকজনকে আমি ডেকে আনলাম। পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ করলাম। জিজ্ঞাস করলাম, কি ব্যাপার? হঠাৎ করে গোটা দেশের সদস্যরা এমন সংগঠন-সচেতন হয়ে উঠলো কেন? কেউ কেউ মিউ মিউ করে জবাব দিলেন। কেউ এড়িয়ে গেলেন।
সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের অনেক কথা বলার পর বললেন, ‘আমি শাহজাহান চৌধুরীর চিঠি পেয়ে মতিউর রহমান নিজামীর সাথে আলাপ করেছি। তিনি যে ভাবে জবাব দিয়েছেন এতে বুঝেছি এ ব্যাপারে তার সম্মতি রয়েছে। এ কারণেই আমি এর সাথে জড়িত হয়েছি।’
বিশ্বস্ত সূত্রে আরো খবর পেলাম, শাহ জাহান চৌধুরীর চিঠি নিয়ে ছাত্রশিবিরের কিছু বর্তমান এবং প্রাক্তন সদস্য বিভিন্ন শহরে গিয়ে দ্রুত অনাস্থা প্রস্তাব প্রেরণের জন্যে শিবিরের সদস্যদের তাগিদ দিয়েছেন। যারা গিয়েছেন তাদের অনেকের নাম জেনে বিস্মিত হয়েছি। কারণ আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের সাথে আমার ঘনিষ্টতা ছিল। অনেককে আমি নিজ হাতে গড়েছি।
ঘটনার আকষ্মিকতা এবং জটিলতা ব্যক্তিগত ভাবে আমাকে মানসিক ভাবে অত্যন্ত বিপর্যস্ত করে তুলে। ধীরস্থির ভাবে ঘটনবলীর বিশ্লেষণ করে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যে মানসিক যে শক্তির প্রয়োজন তা মোটেই পাচ্ছিলাম না। কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং ঢাকায় অবস্থানরত পরিষদ সদস্য জসীম উদ্দীন সরকার, মাসুদ মজুমদার, আশেক আহমদ জেবাল, আনোয়ার হোসেন প্রমুখের সাথে কথা হচ্ছিল। তাদের কথা শুনছিলাম, কিন্তু কাউকে কোন পরামর্শ দেয়ার মতো মনের জোর ছিল না।
সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি কার্যকরী পরিষদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করলেন। বৈঠকের দিন দেখলাম সাংগঠনিক কাজে বিদেশে অবস্থানরত পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম খাদেম বিদেশ থেকে তড়িঘড়ি করে ফিরে এসে বৈঠকে হাজির হয়েছেন।
বৈঠক শুরুর পরই সকলের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম বললেন, ‘বর্তমান জটিল অবস্থার সমাধান করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সমস্যা সমাধানের সকল দায়িত্ব আমীরে জামাতের উপর ছেড়ে দেয়া হোক।’ মুজাহিদুল ইসলামের প্রস্তাব শুনে আমি বিষ্মিত হলাম। তিনি জানেন, ঘটনার সাথে জামাতের কেউ কেউ জড়িত আছেন। আমীরে জামাতের সম্মতি ছাড়া জামাতে ইসলামীর নেতা বা সদস্য এ রকম একটা অসাংগঠনিক কাজে জড়িত হবে তা ভাবা যায় না।
পরে ভেবেছি, মুজাহিদুল ইসলাম হয়তো মনে করেছেন, আমীরে জামাত খালেস-মুখলিস মানুষ। তাঁকে অন্ধকারে রেখে বা ভুল বুঝিয়ে জামাতের দ্বিতীয় সারির নেতৃবৃন্দ এ কাজটি সম্পন্ন করেছেন। তিনি মনে করেছেন, সকল কথা শোনার পর আমীরে জামাতের ভুল ধারণা দূর হবে এবং তিনি দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আমার ব্যক্তিগত চিন্তা ছিল, প্রথমে আমরা সংগঠনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে শাহ জাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেব। তারপর শিবিরের বর্তমান এবং প্রাক্তন সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটা শক্তিশালী কমিটির উপর পুরো ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব অর্পন করবো। কিন্তু মুজাহিদুল ইসলামের প্রস্তাব শোনার পর কতিপয় পরিষদ সদস্য খুব উৎসাহ নিয়ে তা সমর্থন করে বসলেন। কেন্দ্রীয় সভাপতিও এ ব্যাপারে ইতিবাচক কথা বললেন। সদস্যদের মনোভাব প্রত্যক্ষ করে আমি আমার প্রস্তাব উত্থাপন করা থেকে বিরত থাকলাম। ভাবলাম, আমার প্রস্তাব শুনে কেউ ভাবতে পারে যে আমি আমীরে জামাতের উপর অনাস্থা প্রকাশ করছি। তাই সর্বসম্মত ভাবে মুজাহিদুল ইসলামের প্রস্তাব পাশ হয়ে গেলো। আমীরে জামাতকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা এবং তাকে পরিষদের প্রস্তাব পৌছে দেয়ার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সভাপতি আহমদ আবদুল কাদের এবং সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে আমার উপর প্রদান করা হলো।
যতটুকু মনে পড়ে পরদিনই আমরা অধ্যাপক গোলাম আযমের সাথে দেখা করতে যাই। তার সাথে প্রায় ঘন্টা দুয়েক আলাপ হয়। প্রথমেই তিনি বললেন, ‘ঘটনা শোনার পর আমি অস্থির হয়ে পড়েছি।’ তার সাথে মূলতঃ কেন্দ্রীয় সভাপতিই কথা বললেন। আমি শুধু এটা ওটা যোগ করলাম। ঘটনার সাথে জামাতের লোকদের জড়িত থাকার কথা আমরা জোর দিয়ে বললাম। আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের আমাকে নিজামী সাহেব সম্পর্কে যে কথা বলেছিলেন তাও বললাম। তিনি অখণ্ড মনযোগ দিয়ে আমাদের কথা শুনলেন। তারপর বললেন, ‘তোমরা যখন বলছো, আমি বিষয়টার দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। দেরি না করে এখনই কাজ শুরু করে দেবো। অনেকের সাথে আলাপ করতে হবে। তোমাদের সাথেও আরো আলাপ হবে।’
আমরা সন্তুষ্ট চিত্তে তার বাসা থেকে ফিরে এলাম।
কয়েকদিন পর প্রফেসর সাহেব আমাকে যাওয়ার জন্যে খবর দিলেন। যথাসময়ে আমি গেলাম। কিছু খুচরা আলাপের পর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘এ ঘটনার আসল কারণ কি?’
আমি বললাম, ‘আমার মতে আমি সেক্রেটারি জেনারেল হওয়ার কারণেই এমনটি ঘটেছে। কিছু লোক চায়নি আমি সেক্রেটারি জেনারেল হই।’
তিনি বললেন, ‘তোমার হওয়ার কারণে জটিলতা সৃষ্টি হয়নি। মিলন না হওয়ার কারণে হয়েছে।’
আমি বললাম, ‘কথা তো একটাই।’
তিনি বললেন, ‘আর কি কারণ থাকতে পারে?’
আমি বললাম, ‘আমি আর কোন কারণ জানি না। শাহ জাহান চৌধুরী যা বলেছে তাতে সত্যের লেশমাত্র নেই। মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থাকতে পারে। তা দূর করার পথও আছে। কিন্তু যা করা হয়েছে তা জঘন্য।’
তিনি বললেন, ‘আমি তা দেখবো।’
প্রায় ঘন্টা খানেক তার সাথে আরো নানা কথা হলো। কথায় কথায় আমাকে বললেন, ‘আগে তোমাকে নিয়ে আমার সুনামগঞ্জ কেন্দ্রিক চিন্তা ছিল। সেক্রেটারি জেনারেল হওয়ার পর তোমাকে নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রিক চিন্তা শুরু করেছি।’
সব শেষে বললেন, ‘আবদুল্লাহ তাহেরের বরাতে তুমি যে কথা বলেছিলে তা আমি নিজামী সাহেবকে জিজ্ঞেস করেছি। তিনি বলেছেন তাহেরকে তিনি এ ধরণের কোন কথা বলেননি।’
প্রফেসর সাহেবের নিকট থেকে ফিরে আসার পর শুরু হলো অপেক্ষার পালা। অপর দিকে নানা রকম গুজব এবং কানাকানির খবরও কানে আসতে লাগলো। মাওলানা আবদুল জাব্বারের কথা শুনলাম। জামাতের কর্ম পরিষদের সিদ্ধান্তের কথা শুনলাম। আমি কখনো এ সকল কথা যাচাই করার জন্যে মাওলানা আবদুল জাব্বারের সাথে দেখা করতে যাইনি। আহমদ আবদুল কাদেরকে তিনি বলেছেন। অবশ্য সকল কানাকানির খবর আমার কানে আসতো না। শিবিরের কলাবাগানের মেস ছেড়ে আমি চলে এসেছিলাম। তখন আমি থাকতাম আজিমপুরে, ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বন্ধুবর হাফিজ আবদুশ শাকুরের বাসায়। আলু বাজার মেস বা কলাবাগান মেসে গেলে খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে সদস্য-কর্মীদের সাথে দেখা হতো।
ঢাকা, সিলেট, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনের কারণে এ সকল এলাকার সদস্যদের অনেকে আমার সাথে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলতে চেয়েছেন। অনেকে আমার সাথে কথা বলার জন্যে আজিমপুরে পর্যন্ত এসেছেন। অনেকে আমাকে এ বলে অভিযুক্ত করেছে যে, কতকিছু ঘটে যাচ্ছে, কিন্তু এখনো আমি মুখ খুলছি না কেন? সেই ক্রান্তিলগ্নেও কারো সাথে আমি অসাংগঠনিক কোন কথা বলিনি, আমার বলার ইচ্ছে হয়নি। একজন শাহ জাহান চৌধুরীর কারণে সাংগঠনিক শৃঙ্খলায় অভ্যস্ত ফরীদ আহমদ রেজা তার শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে পারে না। তাই আমার কথাবার্তা যা হয়েছে কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের সাথে।
একদিন পরিষদ সদস্য আনোয়ার হোসেন, যিনি ঢাকা শহরে আমার সেক্রেটারি ছিলেন, আমাকে বললেন, ‘এটা আপনারা কি করলেন? সকল দায়িত্ব আমীরে জামাতের হাতে তুলে দিলেন? তিনি কি কিছু করতে পারবেন?’ আমি বললাম, ‘দেখা যাক কি হয়?’ তিনি বললেন, ‘এক কাজ করেন। প্রফেসর সাব, আপনি আর আহমদ আবদুল কাদের, এ তিন জন মিলে একটা দল গঠন করেন। তা হলে জমবে ভালো।’ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘এ কথার মানে কি? কি জন্যে এ কথা বলছেন?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘আপনারা তিনজনই খুব সহজ সরল। পৃথিবী এ রকম নয়।’
দীর্ঘ অপেক্ষার পর সে দিন এলো যে দিন প্রফেসর সাহেব তার রায় ঘোষণা করবেন বলে ঠিক হয়েছিল। আমরা পরিষদ সদস্যরা ইবনে সিনা ক্লিনিকের একটি কামরায় জড়ো হলাম। কে একজন আমাকে বললেন, সম্ভবতঃ আলী আহসান মুজাহিদ, ‘যেহেতু কেন্দ্রেীয় সভাপতির উপর অনাস্থা তাই আজকের বৈঠক আপনার সভাপতিত্বে হওয়া দরকার।’ কেন্দ্রীয় সভাপতিও আমাকে বললেন, ‘ঠিক আছে, আপনি-ই সভা পরিচালনা করুন।’
চূড়ান্ত রায় ঘোষণার আগে প্রফেসর সাহেব আমার সাথে একান্তে কিছু কথা বলতে চাইলেন। আমরা দু জন একটা কামরায় গিয়ে বসলাম। তিনি বললেন, ‘আমি তোমাকে কয়েকটি কথা জিজ্ঞেস করতে চাই, শুনলাম তোমরা নাকি ৭১এর পর্যালোচনা করতে চাও। এটা কি ঠিক?
আমি বললাম, ‘ঠিক। আমরা জানতে চাই কোন পরিস্থিতিতে এবং কেন জামাত ৭১ সালে পাকিস্তানীসামরিক বাহিনীর সাথে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।’
- এটা কে করবে?
- করবেন আপনারা, যারা সিদ্ধান্তের সাথে জড়িত ছিলেন। আমরাও থাকবো। তবে পূর্বাপর ঘটনাবলীর ব্যাখ্যা আপনাদের দিতে হবে। আমরা তো তখন ছিলাম না। তাই অনেক কিছু আমাদের সরাসরি জানা নেই। আমরা জানতে চাই ৭১ সালে কেন পাকিস্তানী মিলিটারীদের সহযোগিতা করা হয়েছে? কেন এবং কোথায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে? এর ফলে কী লাভ-ক্ষতি হয়েছে? এ সকল বিষয় পর্যালোচনা করে এ ব্যাপারে জনশক্তি এবং জনগণকে অবহিত করতে হবে।
- জামাত যদি এ পর্যালোচনায় শরিক থাকে তা হলে তো খারাপ কিছু নয়।
আচ্ছা বলতো, তোমরা যুব সংগঠন কেন করতে চাও?
- যুব সংগঠন করতে চাই প্রাক্তন শিবির কর্মীদের ইসলামী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত করার জন্যে। কারণ ছাত্র জীবন শেষ হবার পর তারা অনেকে হারিয়ে যাচ্ছে। তবে এ সেশনে আমরা তা নিয়ে আলোচনা করিনি। কয়েক বছর আগে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল এবং আলী আহসান মুজাহিদ তখন এ ব্যাপারে খুব উৎসাহ দেখিয়েছেন।
- এটা কে করবে?
- সাবেক শিবির-সদস্যরা তা করবেন। জামাতকেও সহযোগিতা করতে হবে।
- এটাও খুব ভালো জিনিস।
আরেকটা প্রশ্ন। বলতো, শিবিরের সংবিধানে সেক্রেটারি জেনারেল নিয়োগের ধারায় সংশোধন না আনলেই কি নয়? এটা না করলে চলে না?
- প্র্যাকটিস এবং ব্যাখ্যার মধ্যে পরিবর্তন হলে যে ভাষায় তা লেখা আছে তাতেই চলবে। একজন সংশোধনী প্রস্তাব এনেছিলেন। পরে তিনি এটা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সাংগঠনিক সেশনের শেষের দিকে তা আবার আসতে পারে। আপনি বললে সংশোধনী প্রস্তাব যাতে না আসে, আমি সে চেষ্টা করবো।
- এ যদি হয় তা হলে আহমদ আবদুল কাদের সভাপতি থাকতে পারে। তোমরাও থাকতে পারো। ঠিক আছে, আমি নিজামী সাহেবের সাথে একটু আলাপ করে নেই। এ কথা বলে প্রফেসর সাহেব অন্য কামরায় উঠে গেলেন যেখানে মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ প্রমুখ বসা ছিলেন।
কিছুক্ষণ পর আলী আহসান মুজাহিদ এসে বললেন, ‘প্রফেসর সাহেব আপনাকে যে কথা বলেছেন তা এখন সম্ভব নয়। যে ভাবে বিষয়টার সমাধান হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে সে ভাবেই হবে, এখন এতে কোন পরিবর্তন করা যাবে না।’ প্রফেসর সাহেবের প্রশ্ন থেকে আমি বুঝতে পারলাম আমাদের বিরুদ্ধে কি কথা বলে তাকে প্রভাবিত করা হয়েছে। অপরদিকে আলী আহসান মুজাহিদের কথা থেকে আমার কাছে পরিস্কার হয়ে গেলো কি ফায়সালা আসছে এবং এ ফায়সালা কারা তৈরি করেছেন। চলবে
ফরীদ আহমদ রেজা: যুক্তরাজ্য প্রবাসী কবি, কলামিস্ট ও শিক্ষাবিদ; ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল
আরো পড়ুন
বিষয়: বিবিধ
১৫৫৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
:\
আমি জামায়াতে ইসলামীকে আর দোষ দেই না।জামায়াত ৪২ বছর আগে যা বুঝেছিল আমরা ৪২ বছর পর তা বুঝেছি।দেশের অবস্থা এমন হবে জানলে মুক্তিযুদ্ধ করতাম না --- বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন