শিবিরের ক্রান্তিকাল: বিরাশির কথকতা-১ ফরীদ আহমদ রেজা

লিখেছেন লিখেছেন স্বপন১ ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৬:১৬:০৩ সকাল



[মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার মতো রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পূর্ববাংলার প্রধান ইসলামী দল ‘জামায়াতে ইসলাম’ ও প্রধান ইসলামী ছাত্রসগংঠন ‘ইসলামী ছাত্রসংঘ’। স্বাধীনতার পরে জামায়াত ‘ইসলামী ডেমোক্রেটিক লীগ’ (আইডিএল) ও ছাত্রসংঘ ‘ ইসলামী ছাত্রশিবির’ নামে প্রকাশ্যে আসে। শিবির নামে প্রকাশ্যে আসার পর সংগঠনটি দ্রুতই জনপ্রিয়তা লাভ করে। আইডিএল নামে আসার পরে জামায়াতও জনপ্রিয়তা পায় এবং তৃতীয় সংসদে ২০টি আসন লাভ করে। পরবর্তীতে স্বনামে ফিরলে আইডিএলের সমান জনপ্রিয়তা ও সংসদীয় আসন কখনোই লাভ করতে পারেনি জামায়াত। বরং জামায়াত নামে ফেরার পর দলটি মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকার জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সাথে বড় বিরোধে জড়িয়ে যায়, যার জের ধরে দলটির দুইজন শীর্ষ নেতা আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি হয়েছে। এ দুজনই ছাত্রসংঘের সাবেক নেতা ছিলেন। কামারুজ্জামান শিবিরেরও সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। মূলতঃ জামায়াতের সিদ্ধান্তে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করতে গিয়ে পাকিস্তানী সেনাদের অপরাধের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল ছাত্রসংঘ। তাই সংগঠনটি ছাত্রশিবির নামে পুনর্গঠিত হওয়ার পর থেকেই জামায়াতের প্রভাবমুক্ত হওয়ার ও মুক্তিযুদ্ধকালীন দায় ঝেরে ফেলতে সচেষ্ট ছিল। অন্যদিকে জামায়াতও সব সময় শিবিরকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করেছে। এই নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে শিবিরের মধ্যে প্রথম বিদ্রোহ হয় ১৯৮২ সালে। ওই বিদ্রোহকালীন শিবিরের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ফরীদ আহমদ রেজা। বর্তমানে যুক্তরাজ্য প্রবাসী এই কবি, কলামিস্ট ও শিক্ষাবিদ তুলে ধরেছেন বিরাশির ঘটনাচক্রের অকথিত বিবরণ।]

প্রশ্ন উঠতে পারে, এতোদিন পর এ সকল পুরানো কথা আলোচনার কী কোন প্রয়োজন আছে? আমার মতে অন্য কোন প্রয়োজন না থাকলেও ইতিহাসের একটা দায় আছে। সে দায় মুক্তির খাতিরেই এর অবতারনা।

৮২ সালের কোন এক সকাল। চায়ের বাক্স রিক্সায় তুলে সে বাক্সের উপর আমি উঠে বসলাম। রিক্সা চালককে বললাম, ‘চলো চলো, বন্দর চলো।’ বন্দর মানে বন্দর বাজার, সিলেট শহরের আদি ব্যবসা-বানিজ্যের কেন্দ্রস্থল।

ঢাকা থেকে সিলেট এসেছি। সদ্য বিয়ে করেছি। চাকরি নেই। টাকা পয়সা নেই। যারা এক সময় খুব ঘনিষ্ট বন্ধু ছিল তারাও এখন ঘনিষ্ট নয়। এক বন্ধু আবদুল কাইয়ূম। আরেক বন্ধু মকবুল আহমদ। এ দু জন সাহায্যের হাত প্রসারিত করলেন। তাদের সাহায্য ছাড়া সিলেট শহরে আমার দাঁড়াবার ঠাঁই হতো না। আল্লাহ তাদের ভালো কাজের পুরস্কার দিবেন। মকবুল আহমদের স্ত্রী মনোয়ারা আহমদের বড় ভাই মোহাম্মদ ফারুক মৌলভীবাজার শহরে চায়ের ব্যবসা করেন। মোহাম্মদ ফারুক চট্রগ্রাম থেকে নিলামে চা খরিদ করে আনেন। তিনি খরিদমূল্যে আমাকে চা সরবরাহ করতে সম্মত হলেন। আবদুল কাইয়ূম দিলেন ব্যবসার পুঁজি।

আম্বরখানা বাজারে একটা দোকান ভাড়া নিয়ে চা ব্যবসা শুরু করলাম। চা ব্যবসা মানে চায়ের দোকান নয়, চা-পাতার দোকান। সিলেট শহরে তখন বন্দরবাজার, মহাজনপট্টি এবং কালিঘাট ছিল ব্যবসার কেন্দ্র।

ফুট ফরমায়েশ এবং আমার অনুপস্থিতিতে দোকানে বসার জন্যে সামান্য বেতনে একটি ছেলে রাখলাম। ছেলেটির নাম বাবুল। বড়াপার পেছনের বাসায় থাকে, ভালো পরিবারের ছেলে। ফারুক ভাই নিলামে চা কিনে আমার কাছে পাঠিয়ে দিতেন। ১৫/২০টা চায়ের বাক্স এক সাথে পাঠাতেন। কয়েকটা বাক্স খুলে পলিথিনের প্যাকেট করে দোকানে সাজিয়ে রাখতাম খুচরা বিক্রির জন্যে। বাকিগুলো বন্দরবাজার, কালিঘাট এবং মহাজনপট্টির কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে অল্প লাভে বিক্রি করে দিতাম। তাদের কাছে চায়ের বাক্স রিক্সায় করে নিজেই নিয়ে যেতাম। কোনো সময় বাবুলকে দিয়ে পাঠাতাম। চায়ের বাক্সের উপর বসে বন্দর বাজার, মহাজনপট্টি এবং কালিঘাটে চক্কর দেয়া প্রতি মাসের কাজ ছিল।

সারাদিন ব্যস্ত সময় কাটতো। অপেক্ষা করতাম কখন সন্ধ্যা হবে। সন্ধ্যার পর ছোট্ট চায়ের দোকানে বন্ধুদের অনেকে আসতেন। তরুণ সাহিত্যকর্মীদের সাথে মুরব্বীরাও আসতেন। স্বানমধন্য গবেষক অধ্যাপক আসাদ্দর আলী আসতেন। সিলেট আলীয়ার উস্তাদ মাওলানা জহুর আহমদ আসতেন। প্রায়ই আসতেন দুজন প্রিয় বন্ধু হারুনুজ্জামান চৌধুরী এবং আবদুল হামিদ মানিক। দোকান বন্ধ করে বেরিয়ে পড়তাম তাদের সাথে আড্ডা দিতে। কখনো যেতাম চায়ের দোকানে গরম পিয়াজু অথবা হারুনুজ্জামান চৌধুরীর প্রিয় শিক কাবাব খেতে। কখনো যেতাম বিভিন্ন পত্রিকা অফিসে। আবদুল হামিদ মানিক তখন চাকরি করতেন মুকতাবিস-উন-নূরের সম্পাদনায় প্রকাশিত সিলেট কন্ঠে। হারুনুজ্জামান চৌধুরীছিলেন সাপ্তাহিক জালালাবাদ’র সম্পাদক। প্রধানতঃ এ দুটি পত্রিকার অফিসেই আমরা যেতাম। বাসায় ভালো খাবার থাকলে মাঝে মাঝে দু জনকে নিয়ে বাসায় চলে আসতাম।

সিলেট শহরে আমি অপরিচিত ছিলাম না। দীর্ঘদিন এ শহরে থেকে লেখাপড়া করেছি। রাস্তায় মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছি, বন্দর এবং কোর্ট পয়েন্টে বক্তৃতা করেছি। সাহিত্য সভায় কবিতা পড়েছি, সুধী সমাবেশে আলোচনা রেখেছি। শহরে অনেক বন্ধু, অনেক আত্মীয়-স্বজন এবং অনেক পরিচিত জন রয়েছেন। আমার অবস্থা দেখে কেউ মুখ টিপে হাসতো। কেউ রিক্সা থামিয়ে কুশল জিজ্ঞাসা করতো। কেউ হঠাৎ দেখে চমকে উঠতো। বিস্ময়ের সাথে জিজ্ঞেস করতো, ‘রেজা ভাই? কবে এলেন?’

বলতাম, ‘আসিনি, আছি।’

- কোথায় আছেন?

- শাহী ঈদগাহ, সৈয়দ পুর হাউস।

- নিজের বাসা?

- না, দুলাভাইয়ের বাসা। তবে সৈয়দ পুর হাউস নামটা আমার দেয়া।

- সেই সুবাদে আছেন?

- না, তাদের অনেকগুলো বাসা আছে। একটিতে আমি ভাড়া থাকি।

- বাসায় কে কে আছেন?

- আমি আর আমার বউ। ছোটভাই ময়েজ। আম্মা-আব্বা মাঝে মাঝে আসেন।

- কি করেন?

- দেখছেন না কি করছি? আম্বরখানায় চা-পাতার ব্যবসা করি।

- চা-পাতার ব্যবসা!

- কেন, এটা কি দোষের? আমি কি চুরি করছি?

- না, চুরি নয়। তবে ব্যবসা করলে বড় কিছু করবেন। নতুবা বড় কোন চাকরি করবেন। সবচেয়ে বড় কথা, ঢাকায় থাকবেন। সিলেটে আপনাকে মানায় না। ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রিয় নেতা আম্বরখানায় চা-পাতার ব্যবসা করবেন, এটা মেনে নেয়া যায় না।

- আপনি না মানলেও আমি মেনে নিয়েছি।

এ কথোপকথন কাল্পনিক নয়, বাস্তব। একবার নয়, বার বার এ সকল কথার জবাব দিতে হয়েছে।

আমার বড়াপা একদিন বললেন,

- তোমার ভাগিনা কি বলে জানো?

- কি বলে?

সে বলে, ‘বড়মামা এতো লেখাপড়া করে চায়ের পাতার ব্যবসা করেন এটা বলতে লজ্জা লাগে।’

বন্ধুরা যা-ই বলুক এবং ভাগিনারা যা-ই ভাবুক, এ ভাবেই সিলেটে আমার নতুন জীবন শুরু হয়।

ঢাকার অনেক বন্ধুর কাছেও প্রশ্ন ছিল, কেন আমি সিলেট চলে এলাম? কেন ঢাকায় থাকলাম না? কিন্তু আমার কাছে এটা কোন প্রশ্নই ছিল না। সে সময় আমার কাছে বড় প্রশ্ন ছিল, কেন ঢাকায় এলাম? বাইরে ছিলাম, অনেক ভালো ছিলাম। অনেক স্বপ্ন ছিল, অনেক সুধারণা ছিল, অনেক আশা ছিল। ঢাকায় গিয়ে দীর্ঘদিন স্বযত্নে লালিত স্বপ্নসৌধ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।

আসলে আমার ঢাকায় আসার কথা ছিল না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম। চট্টগ্রাম শহরের দায়িত্বে ছিলাম। এমএ পরীক্ষার শেষ দিন ইউনিভার্সিটি এপ্রোচে এসে ভার্সিটিকে সালাম জানিয়ে বলেছিলাম, বিদায় বিশ্ববিদ্যালয়, বিদায়! পাশ করলেও বিদায়, ফেল করলেও বিদায়। আর ছাত্র হিসেবে তোমার অঙ্গনে পা দেবো না। পাশ করলে সিলেটের কোন কলেজে মাস্টারি জোগাড় করে লেখালেখির জগতে চলে যাব। এমএ পাশ করতে না পারলে দেখবো সিলেটে কোন পত্রিকায় সুযোগ পাওয়া যায় কি না। বিয়ে করবো, মা-বাবার সাথে থাকবো, লেখালেখি করবো। কিন্তু এমএ পরীক্ষার ফল বের হবার আগেই সব কিছু ওলট-পালট হয়ে গেলো।

কার্যকরী পরিষদের বৈঠকে ঢাকায় গেলাম। কেন্দ্রিয় সভাপতি বললেন, ‘ঢাকা শহরে যোগ্য লোক নেই। সভাপতি বিদায় নিয়েছেন। সেখানে এখন যারা আছেন, তাদের উপর ভরসা করা যায় না।’ আমি কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে বললাম, ‘তাদের মধ্যে যে কেউ ঢাকা শহরকে যোগ্যতার সাথে পরিচালনা করতে পারবেন। নতুবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অমুক এবং অমুককে নিয়ে আসুন।’ তিনি আমতা আমতা করলেন। বুঝলাম আমি যাদের নাম বলেছি ওরা তার পছন্দের লোক নয়। এ ধরণের সাবজক্টিভ মনোভাব আমার একদম ভালো লাগে না। অনেকক্ষণ আলাপের পরও কোন ফায়সালা হলো না। বিরতি দেয়া হলো।

বিরতির সময় আলী আহসান মুজাহিদ এসে বললেন, আপনার সাথে একান্তে কিছু কথা আছে। জিজ্ঞেস করলাম, ‘কি কথা?’ তিনি বললেন, ‘আপনাকে ঢাকা শহরে মাত্র ছয়টা মাস সময় দিতে হবে। তারপর আপনার ছুটি। আপনাদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অন্য কাউকে ঢাকা শহরে দিয়ে স্বস্তি পাবেন না। আপনি দীর্ঘ দিন সংগঠনের জন্যে কাজ করেছেন, আরো ছয়টা মাস ছাত্রশিবিরে থাকুন।’

আমি বললাম, ‘এটা সম্ভব নয়। আমাকে ছাত্রজীবন শেষ করতে হবে। চট্টগ্রাম শহরের বোঝা আমার ঘাড়ে দেয়া হয়েছিল একটা বিপজ্জনক ক্রান্তি লগ্নে। সেটা যতটুকু পারি বহন করেছি। চট্টগ্রাম শহর এখন নিজে নিজে চলতে পারবে। চট্টলায় যোগ্য লোকের অভাব ছিল না। শুধু ছিল আত্মবিশ্বাসের অভাব। এক বছরে তাদের নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জন্ম নিয়েছে। চট্টগ্রাম শহরের নির্বাচনের পর-ই আমি সিলেট চলে যাবো। আমার আব্বা-আম্মার বয়স হয়েছে। আমি তাদের বড় ছেলে। আমাকে তাদের দেখতে হবে।’

আমি আরো বললাম, ‘আমার অনার্স পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো হয়নি। আশা ছিল এমএ পরীক্ষায় সেটা পুষিয়ে নেব। কিন্তু আমাকে শান্তিতে এমএ পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়নি। আমার মনে আছে, পরীক্ষার এক মাস আগে সাংগঠনিক কাজ থেকে বিদায় নিয়ে দরজা বন্ধ করে পড়তে বসেছি। তখন চট্টগ্রাম শহরের সিনিয়র সদস্যরা একযোগে এসে বলেছেন, হয় সভাপতির পরীক্ষা হবে, নতুবা চট্টগ্রাম কলেজের নির্বাচন হবে। দুটো এক সাথে করা সম্ভব নয়। আপনি ফায়সালা দেন কোনটা হবে। টেবিলের উপর খোলা বই বন্ধ করে বলেছি, এমএ পরীক্ষা হোক বা না হোক, চট্টগ্রাম কলেজের নির্বাচন হবে। এখন থেকে আমার ছুটি বাতিল। এই ভাবে আমি এমএ পরীক্ষা দিয়েছি। এখন এমএ পরীক্ষার ফলাফল যাই হোক, আমি আর ছাত্রশিবিরে নেই।’

তিনি আমার কথার জবাবে অনেক কথা বললেন। সেখানে অনেক অযৌক্তিক এবং আবেগময় কথা ছিল। সব কথার সার কথা, ছ’মাসের জন্যে আমাকে ঢাকা শহরে কাজ করতে হবে। শেষ পর্যন্ত তার কথা ফেলতে পারলাম না। বললাম, ‘ঠিক আছে। মনে থাকে যেন মাত্র ছয় মাস, এ থেকে একদিনও বেশি নয়।’ এ ভাবেই আমাকে চট্টগ্রাম শহর থেকে সিলেটে প্রত্যাবর্তন না করে ঢাকায় আসতে হয়।

একই বৈঠকে আরেকটি ঘটনা ঘটে। ছাত্রশিবিরের সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হবার পর কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে সেক্রেটারী জেনারেল নিয়োগ করেন। এখানে ‘পরামর্শ করে’ কথাটার ভাষাগত অর্থ হচ্ছে পরামর্শ অনুযায়ী। এর ব্যবহারিক বা প্রচলিত অর্থ হচ্ছে কেন্দ্রীয় সভাপতি পরামর্শ করবেন, কিন্তু তাদের অধিকাংশের পরামর্শ গ্রহণ করা তার জন্যে বাধ্যতামূলক নয়। এই প্রচলিত ব্যাখ্যা সেই শুরু থেকে আমরা শুনে আসছি এবং কেউ এটাকে চ্যালেঞ্জ করেনি বা এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে আলোচনা হয়নি। কিন্তু আমাদের অনেকের পর্যবেক্ষণ ছিল, যে ভাবে সাংবিধানিক এ সুযোগকে ব্যবহার করা হচ্ছে তা নানা কারণে সঠিক হচ্ছে না।

এনামুল হক মনজু কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হবার পর প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী তিনি পরিষদের সদস্যদের সাথে পরামর্শ করেন এবং সাইফুল আলম মিলনকে সেক্রেটারী জেনারেল নিয়োগ করেন। এটা অনেকের কাছে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ছিল। ইতোপূর্বে যারা সেক্রেটারী জেনারেল হয়েছেন তারা এক, দুই বা তিন নম্বর চয়েসের মধ্যে ছিলেন। কিন্তু সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার বিচারে সাইফুল আলম মিলনের অবস্থান ছিল অনেক পেছনে। প্রশ্ন জেগেছে, কেন তাকে সেক্রেটারী জেনারেল করা হলো? কয়েক বছর থেকে দেখা যাচ্ছে, যিনি সেক্রেটারী জেনারেল নিযুক্ত হন পরবর্তীতে তিনি কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হন। তা হলে কি পর্দার অন্তরালে থেকে কেউ নিজেদের পছন্দমত কেন্দ্রীয় সভাপতি বাছাইয়ের কাজ সম্পন্ন করছে?

এর একটা জবাব আমার কাছে ছিল, যদিও সে সময় আমি কাউকে তা বলিনি। এনামুল হক মনজু কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হবার পর কাকে সেক্রেটারী জেনারেল করা যায় তা নিয়ে আমি সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের সাথে পরামর্শ করতে চেয়েছি। তিনি প্রথমে আমাকে কিছু বলতে চাননি। অনেক চাপাচাপি করার পর বলেছেন, ‘এটা আপনাদের ব্যাপার। যাকে ইচ্ছা আপনি প্রস্তাব করতে পারেন।’

আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘অমুক বা অমুক হলে কেমন হয়?’

তিনি বললেন, ‘বাইরে আছেন এমন কাউকে নিয়ে চিন্তা করুন।’

আমি বললাম, ‘কে এমন যোগ্য লোক যিনি বাইরে আছেন?’

তিনি বললেন, ‘কেন, সাইফুল আলম খান মিলন বাইরে আছেন।’

উল্লেখ্য যে তখন সাইফুল আলম খানকে সংগঠনের পক্ষ থেকে হজ্বে পাঠানো হয়েছিল।

আমি বললাম, ‘এটা হয় না। তার চেয়ে অনেক অভিজ্ঞ ও যোগ্য লোক আছেন।’ আমার জবাব শুনে তিনি কোন মন্তব্য করেননি। তার সাথে কথা আর এগোয়নি।

পরে যখন সাইফুল আলম খান মিলনকে সেক্রেটারী জেনারেল করা হলো, আমি বুঝলাম তিনি প্রাক্তন সভাপতিদের বাছাইকৃত ব্যক্তি। এ ঘটনা পরিষদ সদস্যদের মধ্যে সংবিধানের এ ধারা পূনর্বিবেচনার চিন্তা জাগ্রত করে। মনে হয় এ কারণেই পরিষদের পরবর্তী বৈঠকে সেক্রেটারী জেনারেল নিয়োগের এ ধারা সংশোধনের প্রস্তাব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আশেক আহমদ জেবাল উত্থাপন করেন। ‘মনে হয়’ এ জন্যে বলছি, আশেক আহমদ জেবালের সাথে এ নিয়ে আমার কোন আলাপ হয়নি। যদিও প্রচারণা রয়েছে, আমরা সবাই মিলে এ সংশোধনী এনেছি। তার সংশোধিত প্রস্তাব ছিল, কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদের অধিকাংশ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে সেক্রেটারী জেনারেল নিয়োগ করবেন।

প্রস্তাবিত সংশোধনী উত্থাপিত হবার পর দেখা গেলো দুয়েকজন ছাড়া পরিষদের আর সবাই সংশোধীনর পক্ষে মতামত রাখছেন। প্রাক্তন সভাপতি হিসেবে আলী আহসান মুজাহিদ সে বৈঠকে ছিলেন। তিনি এবং কেন্দ্রীয় সভাপতি বার কয়েক প্রচলিত ধারার পক্ষে বক্তব্য রাখার পরও দেখা গেল অধিকাংশ পরিষদ সদস্য সংশোধনীর পক্ষে রয়েছেন। তখন কেন্দ্রীয় সভাপতি বৈঠক মূলতবী করে দেন। তারপর একান্তে মন্তব্য করেন, যদি এ সংশোধনী পাশ হয় তা হলে তার পক্ষে দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়।

বিরতির সময় আবার আলী আহসান মুজাহিদ আমাকে ডাকলেন। বললেন, ‘সংশোধনী পাশ হলে এনামুল হক মনজু পদত্যাগ করবেন। এটা কি ভালো হবে?’ আমি বললাম, ‘না এটা ভালো হবে না। আপনি এনামুল হক মনজুকে বোঝান, অধিকাংশ সদস্যের মতামত মেনে নেয়ার জন্যে।’ তিনি বললেন, ‘বুঝিয়ে লাভ হবে না। আপনি একটা পথ খুঁজে বের করুন।’ আমি বললাম, ‘সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী সভাপতি অধিকাংশের মত মেনে নেবেন। এটাই তো বিধান।’ তিনি বললেন, ‘তা হবে না।’ তখন আমি বললাম ‘এ অবস্থায় আমি আশেক আহমদ জেবালকে সংশোধনী প্রস্তাব প্রত্যাহার করার জন্যে অনুরোধ করে দেখতে পারি।’ তিনি বললেন, ‘তাই করুন। জেবাল এক সময় আপনার কর্মী ছিলেন, তিনি আপনার কথা শুনবেন।’

সে অনুযায়ী আমি জেবালের সাথে আলাপ করলাম। অচলাবস্থার জটিল প্রকৃতি এবং এর সাংবিধানিক পরিণতি ব্যাখ্যা করে বললাম, ‘আপাততঃ আপনার সংশোধনী প্রত্যাহার করে নেন। প্রয়োজন হলে বছরের শেষের দিকে আবার এ সংশোধনী উত্থাপন করা যাবে।’ জেবাল আমার কথা মেনে নিলেন। আমরা একটা সংকট থেকে রক্ষা পেলাম।

ঢাকার কলাবাগানে অবস্থিত শিবিরের মেসে আমার থাকার ব্যবস্থা হলো। ছাত্রত্ব বজায় রাখার জন্যে ঢাকা ল কলেজে আইন পড়তে ভর্তি হলাম। নির্বাচন হলো এবং আমাকে ঢাকা শহরের সভাপতি নির্বাচিত করা হলো। ঢাকা শহরের অধিকাংশ সদস্যের পরামর্শের আলোকে সেক্রেটারী নিয়োগ করলাম কার্যকরী পরিষদের নতুন সদস্য আনোয়ার হোসেনকে। অত্যন্ত কর্মঠ, বুদ্ধিমান, অভিজ্ঞ এবং বিশ্বস্ত একজন ব্যক্তিকে সেক্রেটারী হিসেবে পেয়ে খুব ভালো লাগলো।

কর্মপরিষদে পেলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজের সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, সলিমুল্লাহ মেডিকেলের আমিনুল ইসলাম মুকুল, কলেজসমূহের ইনচার্জ আব্দুল হক এবং অন্যান্য জোনের দায়িত্বশীলদের। তাদের সহযোগিতা, আন্তরিকতা এবং যোগ্যতা প্রশ্নের উর্ধে ছিল। আমি নিশ্চিত ছিলাম, ছয় মাস পর আমি চলে গেলে এরা যে কেউ যোগ্যতার সাথে ঢাকা শহর পরিচালনা করতে পারবেন। বার্ষিক পরিকল্পণা গ্রহণ করলাম। সকল থানা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সফর করলাম। নতুন উদ্যমে কাজ শুরু হলো। কিন্তু কি জানতো আমার জন্যে আরো কিছু বিস্ময়কর ঘটনা অপেক্ষা করছে।

একদিন আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ আমাকে ডেকে পাঠালেন। ভূমিকা হিসেবে অনেক কথা বলার পর শেষে বললেন, ‘এনামুল হক মনজু ব্যক্তিগত কারণে কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করবেন। আমি যেন ঢাকায় অবস্থানরত পরিষদ সদস্যদের সাথে আলাপ করে তাদের মানসিক ভাবে প্রস্তুত করি। এর কোন বিকল্প নেই। দ্রুত এর ব্যবস্থা করুন।’ আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঢাকার পরিষদ সদস্যদের ডাকলাম। বিষয়টা ব্যাখ্যা করলাম। তারা সবাই কারণ জানতে চাইলেন। আমি বললাম, ‘কারণ ব্যক্তিগত। এর চেয়ে বেশি কিছু আমি বলতে পারবো না।’ তারা অনেক চাপাচাপি করলেন। বললেন, ‘কেন্দ্রীয় সভাপতি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করতে চাইলে করবেন। আমরা কারণ জানতে চাই এ জন্যে যে তা হলে হয়তো কারণ দূর করার একটা পথ আমরা খুঁজে পেতে পারি।’ আমি বললাম, ‘প্রয়োজন হলে আপনারা পরিষদের বৈঠকে তাকে কারণ জিজ্ঞেস করবেন। তবে আমার অনুরোধ, বৈঠকে আপনারা পদত্যাগের কারণ জানতে বা তা প্রত্যাহার করার জন্যে বেশি চাপাচাপি করবেন না।’ দুয়েক দিনের মধ্যে পরিষদের বৈঠক ডাকা হলো। বৈঠকে এনামুল হক মনজু পদত্যাগ করলেন। উপস্থিত সদস্যরা আমার অনুরোধ আমলে না নিয়ে কারণ জানতে এবং পদত্যাগ না করতে অনেক অনুরোধ করলেন। কিন্ত এনামুল হক মনজু তার সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন।

কেন্দ্রীয় সভাপতি পদত্যাগের পর সংবিধান অনুযায়ী পরিষদের সদস্যদের ভোটে আহমদ আব্দুল কাদেরকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। এ বৈঠকেই পরবর্তী কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন হয় এবং সারা দেশের সদস্যদের ভোটে আহমদ আব্দুল কাদের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।

আহমদ আব্দুল কাদের সেক্রেটারী জেনারেল নিয়োগের জন্যে পরিষদের সদস্যদের সাথে পরামর্শ শুরু করলেন। আমি তাকে প্রস্তাব দিলাম, ‘আপনি সাইফুল আলম খান মিলনকে সেক্রেটারী জেনারেল হিসেবে রাখুন। মেয়াদ শেষ হবার আগে তাঁকে বাদ দেয়া ভালো দেখায় না’ তিনি বললেন, ‘আপনার পরামর্শ শুনলাম। তবে অধিকাংশ পরিষদ সদস্য যার পক্ষে মতামত দিবেন তাকেই আমি সেক্রেটারী জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দিতে চাই।’ আমি বললাম, ‘আর যা-ই করুন, আমাকে সেক্রেটারী জেনারেল করবেন না। আমার ছয় মাসের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এখন ঢাকা শহরের জন্য নতুন সভাপতি নির্বাচনের ব্যবস্থা করে আমাকে বিদায় দেন।’ তিনি বললেন, ‘দেখা যাক পরিষদ সদস্যরা কি বলেন।’

এক সময় পরিষদের বৈঠক শুরু হলো। প্রথম এজেন্ডা সেক্রেটারী জেনারেল নিয়োগ। আহমদ আব্দুল কাদের বৈঠক শুরু করেই বললেন, ‘আমি অধিকাংশ পরিষদ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে সেক্রেটারী জেনারেল হিসেবে ফরীদ আহমদ রেজার নাম ঘোষণা করছি।’ ঘোষণা শুনে আমি থ হয়ে গেলাম। আমার মুখ দিয়ে কোন কথা বের হলো না। অন্যরা আলহামদুলিল্লাহ বলে ঘোষণাকে স্বাগত জানালেন। বৈঠকে ঠিক আমার পাশে বসেছিলেন সাইফুল আলম খান মিলন। চেয়ে দেখলাম তার ফর্সামুখ, হয়তো রাগে-দুঃখে, লাল হয়ে গেছে। পরক্ষণেই তিনি উঠে দাঁড়ালেন এবং কাউকে কিছু না বলে ঝড়ের বেগে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন। সবাই সেটা দেখেও না দেখার ভান করলেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে কয়েক মুহূর্ত চুপ থাকলেন। তারপর পরিষদের বৈঠক সেখানেই মুলতবী ঘোষণা করলেন।

পরে এক সময় আমি ফোন করলাম সাইফুল আলম খান মিলনকে। জিজ্ঞেস করলাম, ‘আপনি যে ভাবে রাগ করে এবং কাউকে কিছু না বলে পরিষদের বৈঠক থেকে বেরিয়ে গেলেন, তা কি ঠিক হয়েছে?’ তিনি জবাব দিলেন, ‘না ঠিক হয়নি। কিন্তু আমি সহ্য করতে পারিনি। এ জন্যে বেরিয়ে গেছি।’ পরদিন পরিষদের বৈঠক শুরু হলে সাইফুল আলম খান মিলনের সে দিন বৈঠক থেকে বেরিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গ উত্থাপিত হলে আমি বললাম, ‘আমার সাথে তাঁর আলাপ হয়েছে, তিনি স্বীকার করেছেন এটা ঠিক হয়নি। সুতরাং এ বিষয়ে আর কথা না বাড়ানোই ভালো।’ আমার এ অনুরোধ কারো কারো মনঃপুত না হলেও অধিকাংশ সদস্য মেনে নেন। নির্বাচন এবং দায়িত্ব বন্টন সম্পন্ন হবার পর সংগঠনের নিয়মিত কাজের দিকে আমরা মন দিলাম। চলবে

অন লাইন বাংলা থেকে কপি পেষ্ট।

বিষয়: বিবিধ

১৬৪৪ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

342296
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:৩৬
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : Listen this song
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:৪২
283686
আয়নাশাহ লিখেছেন : সঠিক কাজটি করছেন।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
283736
আবূসামীহা লিখেছেন : গ্রেইট!
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:২৪
284094
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : সংগঠনকে ভালোবাসতে গিয়ে যদি আল্লাহর ভালোবাসা কমে যায়, তাহলে বিজয় কিভাবে কামনা করব? কৌশলের নামে মিথ্যার আশ্রয়, সেতো সত্য বিমুখতার প্রথম ধাপ। কিছু কৌশল মানুষকে সাময়িক মুক্তি দিতে পারে, দিতে পারে স্বস্তি, কিন্তু তাতে চুড়ান্ত সাফল্য তথা বিজয় অর্জন করা সম্ভব নয়।
আমি সেই সংগঠনের স্বপ্ন দেখি, যেই সংগঠনের কর্মী বাহিনীর মাঝে ইসলামী আন্দোলন এবং তথা কথিত রাজনীতির মাঝে পার্থক্য করার সম্যক ধারনা থাকবে। যারা কেবল মাএ আল্লাহর সন্তোস্টি অর্জনের জন্য সংগঠন করবে, সংগঠনের বিজয়টা যেখানে মূখ্য নয়। আল্লাহ আমাদের প্রকৃত ব্যাপারটা বুঝার তৌফিক দান করুক, আমীন।
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৫:২৪
284102
স্বপন১ লিখেছেন : সুন্দর গান সংযুক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
342354
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
আবূসামীহা লিখেছেন : তাহলে সব কিছু ঐ চুক্তিযুদ্ধ নিয়েই। এখনও তাই ইস্যু রয়ে গেছে। বাঙালী জাতীয়তাবাদী মানসিকতা নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের ভান করার দরকারই বা কী?
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:২৩
284093
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : সংগঠনকে ভালোবাসতে গিয়ে যদি আল্লাহর ভালোবাসা কমে যায়, তাহলে বিজয় কিভাবে কামনা করব? কৌশলের নামে মিথ্যার আশ্রয়, সেতো সত্য বিমুখতার প্রথম ধাপ। কিছু কৌশল মানুষকে সাময়িক মুক্তি দিতে পারে, দিতে পারে স্বস্তি, কিন্তু তাতে চুড়ান্ত সাফল্য তথা বিজয় অর্জন করা সম্ভব নয়।
আমি সেই সংগঠনের স্বপ্ন দেখি, যেই সংগঠনের কর্মী বাহিনীর মাঝে ইসলামী আন্দোলন এবং তথা কথিত রাজনীতির মাঝে পার্থক্য করার সম্যক ধারনা থাকবে। যারা কেবল মাএ আল্লাহর সন্তোস্টি অর্জনের জন্য সংগঠন করবে, সংগঠনের বিজয়টা যেখানে মূখ্য নয়। আল্লাহ আমাদের প্রকৃত ব্যাপারটা বুঝার তৌফিক দান করুক, আমীন।
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৫:১৯
284100
স্বপন১ লিখেছেন : আপনার সাথে একমত।
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৫:১৯
284101
স্বপন১ লিখেছেন : আপনার সাথে একমত।
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৫:২৪
284103
স্বপন১ লিখেছেন : আপনার সাথে একমত।
342765
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:৪১
ব১কলম লিখেছেন : তালাক দেয়া স্বামীর জন্য় মায়া কান্না ভাল লক্ষণ নয়

:\
আমি জামায়াতে ইসলামীকে আর দোষ দেই না।জামায়াত ৪২ বছর আগে যা বুঝেছিল আমরা ৪২ বছর পর তা বুঝেছি।দেশের অবস্থা এমন হবে জানলে মুক্তিযুদ্ধ করতাম না --- বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File