সন্তানদেরকে কখন নামাজের তাগিদ করবেন।
লিখেছেন লিখেছেন মুমতাহিনা তাজরি ২৪ মে, ২০১৩, ০৪:৩৪:১২ রাত
ইসলামের পরিভাষায় একটি সুনির্দিষ্ট ইবাদতের নাম সালাত ।নামায তার ফরাসী শব্দ।
ইবাদত সাধারণতঃ দুই প্রকার।
এক প্রকারের ইবাদত যা মানুষ তার অংগ-প্রত্যংগ দ্বারা আদায় করে,তাকে বলা হয় ইবাদতে বদনী বা শারিরিক ইবাদত।
আর এক প্রকারের ইবাদত আছে যা মানুষ তার সম্পদ ব্যয় করে আদায় করে,তাকে বলা হয় ইবাদতে মালী বা মাল দ্বারা ইবাদত।
ইবাদতে বদনীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলো নামায।
আর ইবাদতে মালীর ভিতর সর্বশ্রেষ্ঠ হলো যাকাত।
কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বহুবার এ দু'টি শ্রেষ্ঠ ইবাদতে কথা উল্লেখ করেছেন।মানব সৃষ্টির সূচনা হতে আজ র্পযন্ত দুনিয়ায় যত নবীরই আগমন ঘটেছে,উম্মতসহ তাঁদের সকলের উপর নামায কোন না কোন রূপে ফরয ছিল।সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এবং তার উম্মতের উপর দিনে-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরজ করা হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে সাবালিগ হওয়ার সাথে সাথে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্যে নামাজ রোজা ইত্যাদি আমল ফরয হয়ে যাবে।কিন্তু পূর্বাহেৃই যদি ছেলে-মেয়েদেরকে নামাজ না শিখানো ও নামাযের অভ্যাস না করানো হয়,তাহলে সাবালিগ হওয়ার সাথে সাথেই কারও পক্ষে নামায আদায় করা সম্ভব হয় না।তাই হুজুর (সঃ) ছেলে-মেয়েদেরকে সাত বৎসর বয়সে নামাযের জন্যে উৎসাহিত করতে এবং দশ বৎসরের সময় নামাযের জন্য বাধ্য করতে পিতা-মাতাকে নির্দেশ দিয়েছেন।এ নির্দেশ অভিভাবকদের জন্য ।সুতরাং অভিভাবকরা যদি এ র্নিদেশ পালন না করেন,তাহলে আল্লাহর কাছে দায়ী হবে।
সন্তানদের নামাযের ব্যাপরে রাসুল (সঃ) এর হাদীস :
"হযরত আমর ইবনে শোয়াবের (রাঃ) তাঁর পিতা হতে এবং তার পিতা তার দাদা হতে র্বননা করেছেন , নবী করীম (সঃ)
বলেছেন : তোমাদের সন্তানদের বয়স যখন সাত বৎসর হবে, তখন তাদেরকে নামাজের আদেশ করবে ।আর দশ বৎসর হলে নামাজের জন্য তাদেরকে শাস্তি দিবে এবং তাদের বিচানা পৃথক করে দিবে।" (আবু দাউদ)
আমরা কিভাবে নামাজ শিক্ষা দিতে পারি : আপনি যখন নামাযের জন্য দাড়াবেন, তখন আপনার প্রিয় সন্তানটিকে আপনার পাশে এসে দাড়াতে বলেন।
আপনি যখন মসজিদে নামায আদায় করতে যাবেন তখন আপনার প্রিয় ছেলে সন্তানটিকে সাথে নিয়ে যান এবং আপনার পাশে তাকে নামাযে দাড় করেন। এতে করে একদিকে সে নামায শিখবে, অপরদিকে তার নামাযের প্রতি অভ্যাস গড়ে উঠবে।মনে রাখবেন,যে সময়ে আপনি তাকে নামায শিখাচ্ছেন সে সময়ে তাকে কখনো রাগত স্বরে কিছু বলবেন না। নতুবা নামাযের প্রতি তার ভয় ঢুকে যাবে।আপনি তার ছোটখাট ভুল গুলোকে বড় করে না ধরে শুধরিয়ে দিন।যেভাবেই আপনার সন্তান নামায পড়ুক তাকে বাহবা দিন। আপনার সাথে আপনার সন্তান নামায পড়ার কারনে তাকে ছোটখাট গিফট কিনে দিন।এতে করে সে নামাযের প্রতি উৎসাহিত হবে।
অতএব আসুন নিজে নামাজ পড়ি এবং সন্তানদের সঠিক সময়ে নামায শিক্ষা দেই।
বিষয়: বিবিধ
৬৩৯৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন