সাম্প্রদায়িক সংঘাত: হিন্দু, মুসলিম, রাজনীতিবিদ, সকল গণমাধ্যম একটু ভেবে দেখবেন কী?

লিখেছেন লিখেছেন জিনিয়াস ০৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০২:৫৭:০৫ রাত

বিএনপিপন্থী একজনএকেএম ওয়াহিদুজ্জামান শিক্ষক যিনি কয়েকদিন আগে একটি মামলায় জেল খেটে এসেছেন, আজ একটি ফেসবুকের বিশেষ স্ট্যাটাসের মাধ্যমে যশোরে সাম্প্রদায়িক আক্রমণের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে একটি সুন্দর পোস্ট দিয়েছেন। বিভিন্ন খবরের লিঙ্ক দিয়ে তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, যে যশোরে ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তা আওয়ামী লীগেরই অন্তর্দন্দ্বের ফল। এর জন্য দায়ী আওয়ামী লীগেরই সাবেক হুইপ অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল ওহাব। তার নির্দেশেই এই কাজটি সাধিত হয়েছে। কারণ, লীগ এবার তাকে মনোনয়ন দেয়নি। অন্য একজন রণজিত রায়কে ভোট দেওয়ার অপরাধেই সংখ্যালঘুদের উপর এই হামলা হয়েছে। হামলাকারীর প্রকৃত ইতিহাস কি তা তার দেওয়া স্ট্যাটাসটিতেই পাবেন। এ ব্যাপারে আমার কথা নেই। আমার কথা হোল:

আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়নটা দিলেইতো সব লেঠা চুকে যেত। অবশ্য তখন এই ঘোলাজলের পরিবেশটা সৃষ্টি হতো না। সেই সাথে ঘৃণ্য রাজনৈতিক খেলাটাও খেলা যেত না। অন্যদিকে অধ্যক্ষ সাহেবের কথাটাও কিন্তু স্মর্তব্য,

"এদেশের জামায়াত-শিবির শুধু সাম্প্রদায়িকতা লালন করে সেটা ঠিক নয়, এদেশের সংখ্যালঘুরাও সাম্প্রদায়িক।
" সেই সাথে সাম্প্রদায়িক বিএনপিও। কারণ তারাও জামাত-শিবিরের সাথে জোট রক্ষা করে চলে। আর আর পথভ্রষ্ট বামদের করুণ পরিণতিতো Prothom Alo দেখিয়েই দিল। অন্যদিকে চেতনাবাজদের নিশ্চুপ ভূমিকাতো দেখতেই পাচ্ছি। আসলে সংখ্যালঘু ইস্যুতে সবাই সুযোগ লাভের আশা করে। কেউ নেই এই সংখ্যালঘুদের পক্ষে। এমনকি হিন্দু, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদও যে ভূমিকা পালন করে তাও সাম্প্রদায়িক মনোভাব থেকেই করে। একমাত্র সঠিক ইসলাম, সঠিক হিন্দুইজম প্রতিষ্ঠা করলেই পৃথিবীর যেকোন ভূ-খণ্ডে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নির্মূল করা সম্ভব। আজ সেই সঠিক ধর্ম বাস্তবায়নের অভাবেই সারা পৃথিবীতে সাম্প্রদায়িকতা বিস্তার লাভ করেছে। আর সে সুযোগে নাস্তিকরা ধর্মের বিরুদ্ধে ম্যাতকার করতে পারছে। মোট কথা হলো কেউই আজ যার যার অবস্থানে নেই। যে যার আসল অবস্থানে ফিরে আসুক তাহলেই পৃথিবী থেকে এসকল নোংরা কাজ বিদায় নেবে। সেটা কী? সেটা আল্লাহ রসুলের প্রকৃত ইসলাম। যে ধর্ম বলা হয়েছে অন্য ধর্মের লোকেরা মোমেনদের কাছে এতটাই নিরাপদ যেমন নিরাপদ দাতের ভেতরে জিহ্বা। আমি আশা করি হিন্দু ধর্মেও ভিন্ন ধর্মের লোকেদের ব্যাপারে অনুরূপ কথাই আছে। কারণ তাদের ধর্মগ্রন্থ বিকৃত হলেও প্রথমত কিন্তু তা একই স্রষ্টার কাছ থেকে এসেছে।

সুতরাং সে আলোয়-ই দূর হোক সকল সাম্প্রদায়িকতা, দূর হোক ঘৃণ্য রাজনৈতিক খেলা, দূর হোক ধর্মীয় কূপমণ্ডুকতা। সবাই ফিরে আসুক ধর্মের মূল কথায় যেখানে বলা হয়েছে মানুষ একই দম্পতি থেকে আগত। সুতরাং তারা পরস্পর ভাই ভাই। ভাই ভাই এর এই ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত দূর হোক পৃথিবীর সকল প্রান্তে। কি লাভ বলুন আপনারই মতো অনুভূতিপ্রবণ একজন মানুষের শরীর থেকে রক্ত ঝড়িয়ে? তারওতো এমনি কষ্ট হয় যেমনটা হয় আপনার!

বিষয়: বিবিধ

১৪৭২ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

160687
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
বুড়া মিয়া লিখেছেন : সংখ্যালঘুদের অত্যাচার করা যাবে না সেটা মুসলমানদের ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গীই – কেননা মক্কার প্রাথমিক মুসলমানরা যখন সংখ্যায় কম ছিল তখনকার কথা স্মরণ করতে বলা হইছে আমাদের, তাই তাদের প্রতি অত্যাচার আমাদের শোভা পায় না।

তবে হিন্দু ধর্ম মানুষের জন্য আল্লাহ দিছেন কি না তা আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারবো না। কেননা তাদের অন্যতম একটা গ্রন্থ যাদুর-ভেদ, যা কালা যাদু এবং সাদা যাদুয় পরিপূর্ণ (কি সেগুলো তা তারাই ভালো জানে) এছাড়াও আছে দানুর-ভেদ (বর্তমানে ধনুর-ভেদ নামে পরিচিত, হতে পারে এটাও তাদের দেও-দানবকে ভোগ দেয়ার উপায়)।

আমাদের সূরা বাকারায় বলা হইছে এমন মানুষদের কথা যারা অনুসরন করে এমন যাদুর যা পাঠ করতো সুলায়মান এর সময়কার শয়তান (জ্বীন) গুলো এবং হারূত-মারূত এর কাছে অবতারিত বিবাহ-বিচ্ছেদের যাদুর – এবং এসব যাদুকরদের ব্যাপারে বলা হয়েছে তাদের কোন অংশ নাই পরকালে। তাই যাদুর-ভেদ, দানুর-ভেদ যাদের অনুসরনীয় ধর্মীয় জিনিস – তাদের ধর্মকে মানুষের জন্য প্রদত্ত স্রষ্টার বিধান বলে একমত হওয়া যায়না, হতে পারে সেটা শয়তানদের জন্য প্রদত্ত হইছিল – তাও হলফ করে বলা যাবে না।
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:২৮
115070
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এবং আরও জানা যায় তাদের ঋক-ভেদ-এ; মারূত তাদের অন্যতম এক দেবতা; যে মারূতকে ঋক-ভেদ-এ সংজ্ঞায়িত করা হইছে এভাবে যে প্রাণীর পুত্র সন্তান যারা শক্তিতে দ্বিগুন (মানে মেয়ে প্রাণীদের তুলনায়)।

আমাদের কুর’আনে বর্ণিত মারূত যদি তাদের দেবতা মারূত হয়, তবে ওরাই সেই মানুষ যারা সেগুলোর অনুসরন করে।
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৮
115183
জিনিয়াস লিখেছেন : আমি বলছিনা যে তাদের সব ধর্মগ্রণ্থই আল্লাহর প্রেরিত। তবে তাদের অনেক বিষয়ই কোর'আনকে সমর্থন করে। তাছাড়া যে যাদুবিদ্যার গ্রন্থের কথা বলছেন, হতে পারে তাদের সেটাও আল্লাহর পাঠানো। কারণ, আমরা অতীতের অনেক কিছুই জানিনা।এমনও একটা সময় গিয়েছে যখন কোন গোত্রের জন্য যাদুবিদ্যা অর্জনও ধর্মীয় কাজের সাথে সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। মুসা (আHappy কর্তৃক ফারাওয়ের ভাড়া করা যাদুকরদের কীর্তিটা স্মরণ করে দেখুন। তারা কিন্তু শেষ পর্যন্ত আল্লাহর সহায়তায় মুসা (আHappyএর যাদুর কাছে হার মানতে বাধ্য হয়।
160808
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৬
মাজহার১৩ লিখেছেন : তাদের ধর্ম বানোয়াট হলেও তাদেরকে আঘাত করা যাবেনা।
কোরানেই আছে- যার যার ধর্ম তাঁর তাঁর, আবার ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করিওনা, কাউকে জোর করে ধর্মান্তর না করার জন্য।
সত্যিকার মুসলমানরা কখনো অন্য ধর্মের লোকদের হামলা করে না।
কিন্তু মিডিয়ার অপপ্রচার ও একটি বিশেষ গোষ্টীকে ফাসানোর জন্য কাল্পনিক নিউজ ও আন্তজার্তিক ষড়যন্ত্রের কারনেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়।
সংখ্যালঘুরা যদি নিশ্চিন্তে মিথ্যা ভরসায় কারো ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহৃত হয় তাহলে আসল সন্ত্রাসীদের মুখোশ উন্মোচন সম্ভব হবে না, ফলতঃ এই নির্যাতনের দায় সংখ্যালঘুরাও এড়াতে পারবেনা।
১০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:১০
115306
জিনিয়াস লিখেছেন : ঠিক বলেছেন। তাদেরটা সঠিক নয় এই সিদ্ধান্তে আসার কারণেই কিন্তু তাদেরটা আমরা গ্রহণ করছিনা। তাই বলে আল্লাহ আমাদের ঠিকাদার হিসেবে প্রেরণ করে পাঠাননি যেন তাদেরকে জোর করে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করা হয়। আর জোর করে কি কখনো বিশ্বাস করানো যায়? জোর করলে মুখে স্বীকার করবে কিন্তু তার আত্মা কি তা গ্রহণ করবে? সত্যিকার মুসলমানেরই তো এখন অভাব। বেশিরভাগই রাজনীতির সাথে জড়িত। রাজনীতি করাই রাজনীতিবিদদের ধর্ম। তাদের ধর্ম ইসলাম হতে পারে না। রাজনৈতিক স্বার্থোদ্ধারে তারা যা খুশি তা করতে পারে। এমনকি তারা ইসলাম দিয়ে গণতন্ত্রকেও জায়েজ করে দিতে পারে। সংখ্যালঘুরা একটা হাতিয়ার মাত্র।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File