এরপরেও কী জ্বালা ধরবে?

লিখেছেন লিখেছেন জিনিয়াস ০৭ জানুয়ারি, ২০১৪, ১০:১৭:৪০ রাত

দীনের অতি বিশ্লেষণ করে দীনের প্রাণশক্তি বিনষ্ট করে দেওয়ার কাজটা নতুন নয়. আমাদের পণ্ডিতরাই শুধু এ কাজ করেন নি। পূর্ববর্ত্তী দীনগুলোতেও অতি-ধার্মিকরা গজিয়েছেন ও পাণ্ডিত্য জাহির করে তাদের দীনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আল্লাহ কোর’আনে একটি উদাহরণ দিয়ে আমাদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন তার নবী মূসার (আ) জীবনী থেকে যেখানে আল্লাহ বনী ইসরাইলদের একটি গরু কোর’বানী করতে আদেশ দিলেন। মূসা (আ) যখন এই কোর’বানীর আদেশ বনী ইসরাইলদের জানিয়ে দিলেন তখন যদি তারা মোটামুটি ভাল একটি গরু এনে কোর’বানী করে দিতো তাহলে তাতেই কাজ হয়ে যেতো। কারণ কোরবানীর গরুটা কেমন হবে সে সম্বন্ধে আল্লাহ কোন শর্ত্ত দেন নি। কিন্তু আল্লাহ কোর’আনে বলছেন- বনী ইসরাইল তা করে নি। তারা মুসার (আ) মাধ্যমে আল্লাহকে প্রশ্ন করতে লাগলো- গরুটার বয়স কত হবে, গায়ের রং কি হবে, সেটা জমি চাষের জন্য শিক্ষিত কিনা, জমিতে পানি দেয়ার জন্য শিক্ষিত কিনা, ওটার গায়ে কোন খুঁত থাকতে পারবে কিনা, ইত্যাদি ইত্যাদি। তারা প্রশ্ন করে যেতে লাগলো আর আল্লাহ তাদের প্রত্যেক প্রশ্নের জবাব দিতে লাগলেন। তারপর যখন প্রশ্ন করার মত আর কিছুই রইলো না তখন স্বভাবতঃই ঠিক অমন একটি গরু পাওয়া দূরুহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ালো। একটা সহজ সরল আদেশ- “একটা গরু কোরবানী কর” এটাকে খুচিয়ে খুচিয়ে এমন কঠিন করে ফেলা হলো যে, অমন গরু আর পাওয়া যায় না। এই জাতির মহা পণ্ডিতরাও বিশ্বনবীর (দ) ওফাতের ৬০/৭০ বছর পর ঠিক ঐ কাজটাই মহা ধুমধামের সাথে আরম্ভ করলেন। দু’টি মাত্র আদেশ- আমাকে ছাড়া কাউকে মানবে না আমার দেয়া জীবন-বিধান ছাড়া আর কোন বিধান মানবে না, আর এই জীবন-বিধানকে সংগ্রামের মাধ্যমে সমস্ত পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করবে। সহজ, সরল দু’টি আদেশ। বিশ্বনবীর (দ) উম্মাহ ইস্পাতের মত কঠিন ঐক্য নিয়ে ঐ কাজ করতে আরব থেকে বের হয়ে অবিশ্বাস্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। পূর্ববর্ত্তী দীনের পণ্ডিতদের মত এ উম্মাহর পণ্ডিতরাও একে ধ্বংস করে দিলেন।

এখানে একটা কথা পরিষ্কার করা দরকার। আমি ফিকাহ বা ফকিহদের বিরুদ্ধে বলছি না। কারণ কোর’আন ও হাদীস থেকে জীবন বিধানের নির্দেশগুলি একত্র ও বিন্যাস করলে যা দাঁড়ায় তাই ফিকাহ- অর্থাৎ ফিকাহ ছাড়া কোন মুসলিমের জীবনব্যবস্থা অনুসরন অসম্ভব। আমার বক্তব্য ঐ ফিকাহর অতি বিশ্লেষণ, সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম বিশ্লেষণ যা আল্লাহ ও তার রসুল (দ) কঠোরভাবে নিষেধ করে দিয়েছেন। আমাদের ফকিহরা যদি কোর’আন-হাদীসের মৌলিক আদেশ নিষেধগুলিকে সুন্দরভাবে শ্রেণী বিন্যাস করেই ক্ষান্ত হতেন এবং লিখতেন যে এই-ই যথেষ্ট- এরপর আর অতিরিক্ত বিশ্লেষণে যেও না, কারণ আল্লাহ বলেছেন দীন নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না এবং রসুলাল্লাহও (দ) নিষেধ করেছেন, তাহলে তাদের কাজ হতো অতি সুন্দর। ইসলামকে প্রকৃতভাবে সেবা করা হতো এবং আল্লাহর কাছ থেকে তারা পেতেন প্রচুর পুরস্কার। কিন্তু দুর্ভাগ্য হোচ্ছে তারা তা করেন নি। তারা আজীবন কঠিন পরিশ্রম করে আল্লাহর আদেশ নিষেধগুলি ও বিশ্বনবীর (দ) কাজ ও কথাগুলিকে সুক্ষ্ম থেকে সুক্ষ্মতম বিশ্লেষণ করতে করতে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন যে, সাধারণ মানুষের পক্ষে তা পূর্ণভাবে পালন করা প্রায় অসম্ভব এবং কেউ চেষ্টা করলে তার জীবনে অন্য আর কোন কাজ করা সম্ভব হবে না, এ দীনকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের তো প্রশ্নই আসে না। কারণ ফকিহরা তাদের ক্ষুরধার প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে প্রত্যেকে হাজার হাজার মসলা-মাসয়েল সৃষ্টি করেছেন। প্রধান প্রধানগণের এক এক জনের সিদ্ধান্তের সংখ্যা কয়েক লক্ষ। জাতি ঐ মসলা-মাসায়েলের মাকড়সার জালে জড়িয়ে পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে গেছে, স্থবির হয়ে গেছে।

এই পঙ্গুত্ব, স্থবিরত্ব থেকে জাতিকে রক্ষা করার জন্য আল্লাহ এই দীনকে করলেন অতি সহজ ও সরল, সেরাতুল মোস্তাকীম, দীনুল কাইয়্যেমা। কোন বিষয়েই আল্লাহ ছাড়া কারো বিধান, কারো নিয়ম-কানুন মানি না, শুধু এইটুকুমাত্র। এ যে কত গুরুত্বপূর্ণ, কত জরুরী তা বোঝাবার জন্য বললেন, এর বেশী তো আমি তোমাদের কাছে চাইনি। এতেও সন্তুষ্ট না হয়ে তিনি সেরাতুল মোস্তাকীমকে প্রতি রাকাতে অবশ্য পাঠ্য করে দিলেন, যাতে প্রতিটি মুসলিম মনে রাখে যে, আমার দীন অতি সহজ, অতি সরল, আমি যেন কখনও একে জটিল না করে ফেলি, জটিল করে ফেললে আমার দীনের সর্বনাশ হয়ে যাবে। এই সেরাতুল মোস্তাকীমের সহজতার, সরলতার মহা গুরুত্ব উপলব্ধি করে রসুলাল্লাহ (দ) এক হাদীসে বললেন- দীন সহজ, সরল (সেরাতুল মোস্তাকীম) একে নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করবে তারা পরাজিত হবে। অন্য হাদীসে বললেন, জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে । এই সাবধান বাণীতেও আশ্বস্থ না হোতে পেরে বিশ্বনবী (দ) আরও ভয়ংকর শাস্তির কথা শোনালেন। বললেন- কোর’আনের কোন আয়াতের অর্থ নিয়ে বিতর্ক কুফর। এবং কোন অর্থ নিয়ে মতান্তর উপস্থিত হোলে আমাদেরকে কি করতে হবে তারও নির্দেশ তিনি আমাদের দিচ্ছেন। বলছেন, কোন মতান্তর উপস্থিত হোলে তা আল্লাহর উপর ছেড়ে দাও । অর্থাৎ দীনের ব্যাপারে যখনই মতান্তর উদ্ভব হবে তখনই চুপ হয়ে যাবে, কোন তর্ক-বিতর্ক করবে না। অর্থাৎ বিতর্কে যেয়ে কুফরি করবে না, এবং যে বিষয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই সেই সেরাতুল মোস্তাকীম, দীনুল কাইয়্যেমাকে আকড়ে ধোরে থাক, এখানে লক্ষ্য করার একটা বিষয় আছে, দীনের ব্যাপার নিয়ে বিতর্ককে আল্লাহর রসুল (দ) কোন পর্যায়ের গুনাহ, পাপ বোলে আখ্যায়িত করছেন। চুরি নয়, হত্যা নয়, ব্যভিচার নয়, বলছেন- কুফর। যার চেয়ে বড় আর গোনাহ নেই, শুধু তাই নয় যা একজনকে এই দীন থেকেই বহিষ্কৃত করে দেয়।

এতবড় শাস্তি কেন? শেষ নবীর (দ) হাদীস থেকেই এর উত্তর পাওয়া যাবে। তিনি বলছেন- তোমরা কি জান, ইসলামকে কিসে ধ্বংস করবে? এই প্রশ্ন করে তিনি নিজেই জবাব দিচ্ছেন- শিক্ষিতদের ভুল, মোনাফেকদের বিতর্ক এবং নেতাদের ভুল ফতোয়া । যে কাজ ইসলামকেই ধ্বংস করে দেয় সে কাজের চেয়ে বড় গোনাহ আর কি হোতে পারে! তাই বিশ্বনবী (দ) এই কাজকে কুফ্রি বোলে সঠিক কথাই বলেছেন।

এই জাতির মহাদুর্ভাগ্য। আল্লাহর ও তার রসূলের (দ) এতসব কঠোর সতর্কবাণী এই উম্মাহর পণ্ডিতদের কিছুই মনে রইল না। তারা সারা জীবন অক্লান্ত পরিশ্রম করে কোর’আন-হাদীসের সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম বিশ্লেষণ করে এক বিরাট ফিকাহ শাস্ত্র গড়ে তুললেন। এদের মণীষার, প্রতিভার, অধ্যবসায়ের কথা চিন্তা করলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে, কিন্তু তাদের ঐ কাজের ফলে এই উম্মাহ ছিন্ন-বিছিন্ন হয়ে ধ্বংস হয়ে গেলো। শত্র“র কাছে পরাজিত হয়ে গেলো।

ফিকাহর যে অতি বিশ্লেষণ করা হয়েছে তার পক্ষে একটি যুক্তি আছে এবং সে যুক্তি আমি সম্পূর্ণ স্বীকার করি। সেটা হোচ্ছে ইসলামের আইন-কানুনের বিচারালয়ে ব্যবহার। অর্থাৎ বিচারালয়ে এই আইনের সুক্ষ্ম প্রয়োগ যাতে কোন নিরপরাধ শাস্তি না পায়। অনৈসলামিক যেসব আইন বর্ত্তমানে পৃথিবীতে চালু আছে, অর্থাৎ মানুষ রচিত আইনগুলি, এগুলিও সুক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করেই বিচরালয়গুলিতে বিচার করা হয়- উদ্দেশ্য সেই একই- সুবিচার। কিন্তু সে জন্য কোন দেশেই জ্ঞানের অন্যান্য সমস্ত শাখাকে অপ্রয়োজনীয় ঘোষণা করে সেই দেশের সংবিধানের এবং আইনের সুক্ষ্ম বিশ্লেষণকে সকলের জন্য বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয় নি। শুধু যারা আইনজ্ঞ হোতে চান, আইনজীবি হোতে চান তারা স্ব-ইচ্ছায় ঐ বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করেন, ডিগ্রী নেন এবং তারপর আদালতে যোগ দেন। অর্থাৎ চিকিৎসা, প্রকৌশল, স্থাপত্য, শিক্ষা, সাংবাদিকতা ইত্যাদির মত আইনকেও একটি বিশেষ (special) জ্ঞান হিসাবে শিক্ষা করেন। কিন্তু আমাদের ধর্মীয় পণ্ডিতরা তা না করে জাতির মধ্যে এমন একটা ধারণা সৃষ্টি করে দিলেন যে আইনজ্ঞ হওয়াই মানুষের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিৎ, জ্ঞানের অন্যান্য শাখা শিক্ষা করার কোন প্রয়োজন এ জাতির নেই। এই কাজের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি যা হবার তাই হলো, জাতি জ্ঞানের অন্যান্য শাখাসমূহে যে বিস্ময়কর জ্ঞান চর্চা করে পৃথিবীর শিক্ষকের আসন লাভ করেছিলো তা ছেড়ে দিয়ে একটি মুর্খ, অশিক্ষিত জাতিতে পরিণত হলো। উদাহরণরূপে বলা যায় যে, আজকের কোন রাষ্ট্রে যদি শিক্ষা নীতি এই করা হয় যে, সেই রাষ্ট্রের সংবিধান ও ঐ সংবিধান নিসৃতঃ আইন-কানুন ও তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষনই একমাত্র শিক্ষার বিষয়বস্তু হবে, বর্ত্তমানের মাদ্রাসা শিক্ষার মত, তবে কি হবে? নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, তাহলে বিদ্যালয়গুলিতে নিচু ও প্রাথমিক শ্রেণী থেকেই ঐ বিষয় একমাত্র পাঠ্যবিষয় করা হবে। দু’এক প্রজন্মের মধ্যেই ঐ রাষ্ট্রের লোকজন শুধু তাদের দেশের সংবিধান ও আইন-কানুনের সুক্ষাতিসুক্ষ্ম ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ছাড়া আর কিছুই জানবে না, অন্যান্য সব বিষয়ে অজ্ঞ হয়ে যাবে। জাতির যা ভাগ্য হওয়া উচিত তাই হলো- অন্য জাতির কাছে পরাজিত হয়ে যে সংবিধান ও আইন-কানুন নিয়ে এত বিশ্লেষণ করা, সেই আইন-কানুন বাদ দিয়ে বিজয়ী জাতির আইন-কানুন গ্রহণ করা হলো। নিজেদের আইন-কানুন সংবিধান শুধু ব্যক্তিগত পর্যায়ে কোন রকমে টিকে রোইলো। যে আইন শিক্ষাকেই একমাত্র শিক্ষণীয় বোলে ঘোষণা করা হলো, মুসলিম দুনিয়াতে আজ সেই আইনে বিচার হয় না, বিচার হয় পাশ্চাত্যের মানুষের তৈরী, গায়রুল্লাহর আইনে, দণ্ড হয় পাশ্চাত্যের দণ্ডবিধি মোতাবেক অর্থনীতি পরিচালিত হয় পাশ্চাত্যের সুদভিত্তিক অর্থনীতি মোতাবেক। অথচ এ সবই ফিকাহ শাস্ত্রের আওতাধীন। তবুও এদের মাদ্রাসগুলিতে অন্ধের মত এগুলো পড়িয়ে যাওয়া হাচ্ছ, শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। যে আইনের প্রয়োগই নেই সেই আইনই শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। কী নিষ্ঠুর পরিহাস। অতি বড় সুন্দরী না পায় বর, অতি বড় ঘরনী না পায় ঘর। তাই আল্লাহ ও তার রসুল (দ) বারবার সতর্ক করে দিয়েছেন দীন নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য। কাউকে বাড়াবাড়ি করতে দেখলেই রাগে বিশ্বনবীর (দ) পবিত্র মুখ লাল হয়ে যেতো। কারণ তিনি জানতেন যে, অতি বড় সুন্দরী ও অতি বড় ঘরণীর মত অতি বড় মুসলিম না পায় দুনিয়া না পায় জান্নাত।

বিষয়: বিবিধ

১৬৩০ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

160146
০৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৪৯
বুড়া মিয়া লিখেছেন : আপনি এবং আসাদ ভাই তো দেখা যায় – ভালোই বিশ্লেষন করেন। মাজহার-ভাইকেও মাঝে মাঝে আপনাদের সাথে তাল মিলাতে দেখা যায়।

তবে অকপটেই বলতে হবে এ ধর্মের এজেন্ডার ব্যাপারে আপনাদের যুক্তি এবং বিশ্লেষন প্রশংসার যোগ্য।

যে যা-ই বলুক, বর্তমানের আমরা আসলেই অথর্ব হয়ে গেছি!

আগের মন্তব্যটা মুছে দেন।
০৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:১৮
114586
জিনিয়াস লিখেছেন : সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর। আসলে মূল লেখাটা আমার নয়। এটা আমাদের মাননীয় এমামুযযামানের লেখা বই থেকে নেওয়া। এই লিঙকে পুরো অংশটুকু পাবেন http://www.tawheedprocation.org/index.php?option=com_content&view=article&id=59&Itemid=38

আর আগের মন্তব্য মুছে দিলাম।

আসলেই আমরা অথর্ব হয়ে গেছি। কিন্তু সেটা মেনে নিতে সমস্যাটা কোথায় আমরা বুঝি না।

এটা সম্ভবত অহঙ্কার থেকে আসে। নিজেদেরকে সঠিক প্রমাণের মানসিকতা থেকে।
160157
০৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:১৮
সঠিক ইসলাম লিখেছেন :
আমাদের দেশের মোল্লা, পাতি মোল্লাদের দেখা যায় কোন কথা বললেই দলিল খোজে।

আল্লাহ যাকে হেদায়াহ না দেন সে যত বড় জ্ঞানীই হোক, যত বড় মোহাদ্দিসই হোক, আলেম পাশ করে আসুক, আর কামেল পাশ করে আসুক সে সত্য বুঝবে না।


যাদের কাছে কুরআনের দলীল-হাদীসের দলীলের বিন্দুমাত্র দাম নাই, তাদের কাছে মাহাদ্দীস আর ফকীহদের দাম না থাকাটাইতো সাভাবিক।

একটা প্রশ্ন করেছিলাম, উত্তর যে দিলেন না ?
কোন পদ্ধতিতে দেশে ইসলামী আইন বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখেন আপনারা ?
০৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:২৮
114594
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আমি গত দিন আসাদ সাহেবের একটা লেখায় আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর সাহায্যে প্রমাণ করতে পেরেছিলাম তিনি কত বড় ভুল কথা বলছেন ও প্রচার করছেন। আজকে সকালে পোস্টে গিয়ে দেখি আমার কমেন্টটা ডিলেট হয়ে গেছে। আজব কমেন্ট কি একা একা গায়েব হয়?
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:৩৮
114625
জিনিয়াস লিখেছেন : ওহে, দাবিদার সঠিক ইসলাম! বাউন্ডারির বাইরে থেকে ইতিউতি না করে করে সাবজেক্ট অনুযায়ী কথা বলেন। অন্য পোস্টের লেখা এখানে আনেন কেন? যথাস্থানে আপনার উত্তর যথাসময়েই দেওয়া হয়েছে। আপনি কোন গোয়ালের গরু তা আমার চেনা হয়ে গেছে। আপনাদের কাজ হচ্ছে সব জায়গায় নাক গলানো। মাইর খাইয়া কইবেন মাইর দিসি। সত্য বোঝার মানসিকতা আপনার নাই। আর আপনাকে আমার পোস্টে কমেন্ট করতে মানা করতেছি। এরপরেও যত্র তত্র লেদাইতে আইলে ডাইরেক্ট খোয়াড়ে পাঠামু।
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:৪১
114629
জিনিয়াস লিখেছেন : ঘুম ভাঙ্গাইবেন কি, নিজেই তো মনে হয় পাতালপুরিতে থাকেন। আসাদ আলীকে হারাইতে পারসেন, এইবার আনন্দে বগল বাজান গিয়া।
160177
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:১৩
শেখের পোলা লিখেছেন : এক দম খাঁটি কথা৷ আমাদের ঠিক তাই হয়েছে৷ সহমত রইল৷ কিন্তু চাই এর প্রতিকারের উপায়৷
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:৪৭
114633
জিনিয়াস লিখেছেন : উপরের কমেন্ট কারীদের কমেন্টগুলো পড়ে দেখেন না! এরপরেও এদের পেছন পথ জ্বলছে। খুব সম্ভবত শীতকালে স্বভাব অনুযায়ী মাহফিল করতে না পেরে এখন ব্লগে আসছে। এরাই নাকি ঘুম ভাঙ্গাতে চায় এরাই নাকি সঠিক ইসলাম।

আর প্রতিকারের কথা বলছেন? আপনার রোগ যদি ১২ বছর ধরে শরীরে বাসা বেধেছে তাকি এক ডোজ ঔষধ খেয়ে সাড়ানো যায়? এর জন্য সত্যের সংষ্পর্শে আসতে হবে। বুঝতে হবে। আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।সকল প্রশংসা আল্লাহরই প্রাপ্য।
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৪৩
114668
শেখের পোলা লিখেছেন : ১২ বছর নয় ৪৩ বছরধরে শরীরে আস্তানা গেড়েছে৷ এক ডোজ নয় দশ ডোজেও না সারতে পারে৷ তবে চিকিৎসা শুরুও হয়েছে বলে বিশ্বাস করি৷ তবে একে ত্বরান্বিত করার জন্য স্পেশালিষ্ট চাই৷ তার জন্য চাই সবার সহ যোগীতা৷ সেই পথের সন্ধান দিন৷ধন্যবাদ৷
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
114739
জিনিয়াস লিখেছেন : @ ভাই শেখের পোলা, সহজ স্বীকারোক্তির জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ তাদেরকেই হেদায়াহ দেন যারা নিজেদের ভুল ভ্রান্তি সম্পর্কে অনুতপ্ত থাকে। কিন্তু অহংকারীদের পথ দেখান না। যার ছিদ্রান্বেষণ করে আল্লাহর তাদের দৃষ্টির সামনে ছিদ্রকে বড় করে দেন। সরল পথের সন্ধান আপনাকে দিতে পারি, কিন্তু সেপথে চলার শক্তি আমি দিতে পারবো না। অনেক ধন্যবাদ।
160262
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৫২
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : হযরাত আবু বাকরাহ (রাঃ) বলেন , আমি রাসুল (সাঃ)কে এই এরশাদ করতে শুনিছি যে, তুমি আলেম হও ,,, অথবা তালেবে এলেম হও, ,,, অথবা মনোযোগ সহকারে এলেম শ্রবণকারী হও ,,, অথবা এলেম ও আলেমদের মহব্বতকারী হও !!! (এই ৪ প্রকার ব্যতিত ) ৫ম প্রকার হইও না নতুবা ধ্বংস হয়ে যাবে !!! ৫ম প্রকার এই যে, তুমি এলেম ও আলেমদের সহিত শত্রুতা পোষণ কর !!!! (মুন্তাখাব ঃতাবারাণী)
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩২
114735
জিনিয়াস লিখেছেন : আমি প্রকৃত আলেমদের বিরোধিতা কোথায় করলাম? আমি তো সেই আলেমদের কথা বলছি যারা পোশাক আশাক ধারণ করে নিজেদেরকে আলেম প্রমাণে ব্যস্ত। আর আপনি যদি তা না হন তাহলে এত ক্ষেপছেন কেন? চুলকানী ধরলে মান্দার গাছ খুজুন। আরাম পাাবেন। পোশাকধারী ধোকাবাজরা তো আলমেদের পোশাক ধরেছে মাত্র। তারা তো প্রকৃত আলেম নয়। প্রকৃত আলেমদের প্রতি আমার আছে অশেষ শ্রদ্ধা।
160343
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:১৩
মাজহার১৩ লিখেছেন : আমরা আসলে মেইন স্ট্রীম থেকে সরে এসে বিবি তালাকের ফতোয়া খুজছি, যে কারনে মুসলমানদের অধঃপতন।
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:০৪
114775
জিনিয়াস লিখেছেন : ঠিক বলেছেন। কবির ভাষায়: বিশ্ব যখন এগিয়ে চলছে আমরা তখনো বসে/ বিবি তালাকের ফতোয়া খুজছি কোরান হাদিস চষে
160377
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:৫৭
মাজহার১৩ লিখেছেন : পোষাকধারীরা ধোকাবাজ অথবা আলেমের পোষাক ধরেছে এটার সাথে আমি একমত না। কারন ইসলাম সম্পর্কে তাদের বিভ্রান্তি অথবা ভুল শিক্ষার ধরুন ইসলামের যে আবেদন তা বুঝতে পারছে না। যারা মাদ্রাসায় শিক্ষিত তাদের শিক্ষাজীবন শেষে আউটপুট কি?
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:১৬
114998
জিনিয়াস লিখেছেন : আপনি একমত নাও হতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্চে আপনি যখন এদের সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন তখন আপনি আশা করি আমার সাথে একমত হবেন। কারণ মাঠ পর্যায়ে কাজ করে আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে। হেযবুত তওহীদের কাজ চালাতে গিয়ে আমরা দেশের এমন কোন এলাকায় নেই, এমনকি এমন কোন প্রত্যন্ত এলাকা নেই যেখানে আমাদের পা পড়েনি। গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে শহুরে চাকুরিজীবী, শিক্ষক, আইনজীবী, অধ্যাপক, পেটমোটা পুলিশ কেউই বাদ যাননি। আর ইমাম, মুয়াযযিনরাতো প্রথম পদক্ষেপই ছিলেন। আমরা সর্বপ্রথম এবং সবচেয়ে বেশি হতাশ হয়েছি এদের কাছ থেকেই এবং এখন পর্যন্ত তাদের কাছ থেকেই বাধাপ্রাপ্ত হয়ে আসছি। আমরাও প্রথম প্রথম ভুল শিক্ষার কারণে ইসলামের প্রকৃত আবেদন বুঝতে পারছেনা বলে মনে করেছিলাম। সেই সাথে তা মনে করে তাদের প্রতি সমবেদনাও প্রকাশ করতাম। কিন্তু বাস্তবে দেখলাম, সাপটা মৃত নয়-কাছে যেতেই ছোবল মারতে উদ্দত হচ্ছে। সত্য প্রকাশ করে দেখুন এবং নিজেই অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। আমাদের ধারণা আপনাকে গ্রহণ করতে জোর করবো না। সেটা ঠিকও হবে না।
160408
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৪০
মাজহার১৩ লিখেছেন : শুধুমাত্র ইসলাম প্রতিষ্টার মত এককেন্দ্রিক চিন্তা নিয়ে এগুনো সম্ভব না। তাই কিছু পথের কাঁটা ও দূর করতে হবে। বর্তমান সময়ে ইসলামের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাস হলো মিডিয়া সন্ত্রাস। যেমন ইসলামিস্টদের বিরুদ্ধ্বে বিষেধাগার সৃষ্টির জন্য ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা সংখ্যালঘুতত্ত্ব প্রতিষ্টা করতেছে এক্ষেত্রে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। বর্তমান সময়ে ইসলামকে বিজয়ী করতে হলে দুস্তরে কাজ করতে হবে।
প্রথমত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব ,দ্বিতীয়ত সঠিক ইসলামের দাওয়াত।
তাই যারা বর্তমানে ইসলামিষ্ট আছে তাদের সাথে বাদানুবাদে না জড়ানোই ভালো। কারন ইসলাম প্রতিষ্টা হলে তারা ভাল নাগরিক হবে অন্যদিকে ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা দেশেবিদেশে হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে ইসলামের বিজয়কে পরাস্ত করার জন্য ষড়যন্ত্র করবে। তাই আমাদের সবার কমন শত্রু হওয়া উচিত সেকুলারিস্ট।
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:২৯
115001
জিনিয়াস লিখেছেন : আপনার দেওয়া দুস্তুরের ধারণাটি অবশ্যই ভালো এবঙ সেটা আমরা করেও যাচ্ছি। বাদানুবাদ করার পক্ষে আমাদের ন্যুনতম ইচ্ছেও নেই। কিন্তু এরাই নিজেদের গোমর ফাস হয়ে যাওয়ার ভয়ে আমাদেরকে অঙ্কুরে নষ্ট করে দিতে চায়। আর অন্যদিকে মিডিয়াকে জব্দ করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ২০১২ সাল থেকে দেশেরপত্র এবং দৈনিক নিউজ নামে দুটি দৈনিক আমাদের হাতে আসার পর মিডিয়ার ভন্ডামীর মুখোশ খুলে দেওয়া শুরু করলে এবং তাদের মিথ্যাচারের উপযুক্ত জবাব দেওয়া শুরু করলে তারা নিজেদেরকে গুটিয়ে নেয়। এর আগে এরা আমাদে বিরুদ্ধে হেন অপপ্রচার নেই যা তারা করেনি। প্রতিবাদ পাঠালে তারা ছাপত না। এক সময় বাধ্য হয়ে আমরা এই গরীব আন্দোলনের পক্ষ থেকে প্রায় লাখ দুয়েক টাকা দিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতিবাদ ছাপাই।

তাদের ঐ একতরফা কপিপেস্ট জাতীয় অপপ্রচারের কারণে এদেশের প্রশাসন ও বিচার বিভাগ পর্যন্ত ধরে নিয়েছে যে আমরা আসলেই বোধ হয় নিষিদ্ধ সংগঠন। অপরদিকে আমাদের আইনী সহায়তা বিভাগের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর তাদের প্রতিটি মিথ্যার জবাবে মামলা করা শুরু হলে তারা ক্রমাগত এই উভমুখি প্রত্যাঘাতে নিজেদেরকে গুটিয়ে নেয়। তবে একেবারেই যে হয় না তা নয়, অজানা অচেনা, বিশেষ করে মেইনস্ট্রিম বাদে বাকীদের মধ্য থেকে কিংবা অজ্ঞ রিপোর্টারদের কারণে ভুল করে তারা এখনো অপপ্রচার করেই থাকে। তখন পরিচিতদের কাছে আপত্তি জানালে প্রতিবাদ ছাপায় কিংবা মৌখিকভাবে দু:খ প্রকাশ করে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File