যারা নিজেদেরকে সঠিক প্রমাণে ব্যস্ত, একটু ভেবে দেখবেন কী
লিখেছেন লিখেছেন জিনিয়াস ০৭ জানুয়ারি, ২০১৪, ০২:২১:২১ দুপুর
আমাদের দেশের একশ্রেণির মোল্লা, পাতি মোল্লাদের দেখা যায় কোন কথা বললেই দলিল খোজে। আবার দলিল খুজতে গিয়ে সহীহ হাদিস ছাড়া হাদিসকে কোন পাত্তাই দেয় না। ভাল কথা। কিন্তু তারা যে কয়টা হাদিস গ্রন্থকে সহীহ মনে করে সেগুলোর মধ্যেও বহু হাদিস আছে যা পরস্পর বিরোধী বক্তব্যে ভরা। কিন্তু এই পাতি মোল্লারা তাদের পূবসুরিদের কাছ থেকে পাওয়া জ্ঞান নিয়ে তা দিয়েই চলে যায়। মনে রাখা দরকার হাদিস কিন্তু কোর'আনের মত নয়। এর রক্ষাভার আল্লাহর নয়। এটা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন লোকের হাত ধরে সংকলিত হয়েছে। যারা এর সংকলন করেছেন তাদের অনেকেরই জন্ম রসুলাল্লাহর ওফাতের পর। পণ্ডিতরা যেসব মানদণ্ডে সহীহ ও জাল হাদীস চিহ্নিত করেছেন সেই মানদণ্ডে ফিল্টারিং হয়ে বহু সহীহ হাদীসও সঠিক সনদের অভাবে দয়িফ হাদিস হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে আবার দয়িফ হাদিস সহীহ হাদিসের গ্রন্থে স্থান পেয়েছে। এখন এসব নিয়ে এই পাতি মোল্লাদের বিভ্রান্তিই বেড়েছে। মূল কথা হলো, শুধু হাদিস দিয়ে যাচাই করে অনেক বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয় না।
এই লেখার অবতারণা এই জন্য যে, যামানার এমাম জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী লিখিত বই এবং হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে বর্তমান যামানার এই আলেমসহ অতীতের অতি পণ্ডিত শ্রেণির এই ভূমিকাকে নেতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে এদের গভীর গবেষণা, অধ্যবসায় দেখলে তাদের প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আসে। কিন্তু তাদের এই কাজের ফল এই হোয়েছে যে তা জাতীর মধ্যে বিভিন্ন মতভেদের সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে দিয়ে জন্ম হয়েছে বিভিন্ন মাযহাব যা জাতির ঐক্যকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দিয়েছে। অথচ রসুলাল্লাহ বলেছেন, ঐক্য নষ্ট করার জন্য চোখের ঈশারাও কুফর। কিন্তু এই পণ্ডিতরা অতি পণ্ডিতির কাজটি করতে গিয়ে জাতীর ভিত্তিমূলেই আঘাত করেছে। এরা যে পথভ্রষ্ট এবং আল্লাহর রসুলের চোখে এরা ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত তা এই পণ্ডিতদের অন্ধ ভক্তরা মানতে রাজিই নয়। এরা যুক্তি এবং হাদীস দেখায় যে, এই উম্মাহ কখনোই একেবারেই ধ্বংস হবে না। সূত্র হিসেবে তারা উল্লেখ করে এই হাদিসগুলো:
"উবায়দুল্লাহ ইবন মূসা (র)....মুগিরা ইবন শুবা (রাথেকে বর্ণিত। নবী(সা) বলেছেন, আল্লাহর হুকুম অর্থাৎ কিয়ামত আসা পর্যন্ত আমার উম্মতের এক জামায়াত সর্বদাই বিজয়ী থাকবে। আর তারা হলেন(সেই দল যারা প্রতিপক্ষের উপর)প্রভাবশালী।(বুখারী:৬৮১৩)।
ইসমাইল (র)...মুআবিয়া ইবনে আবূ সুফিয়ান (রা)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী(সা)কে বলতে শুনেছি যে,আল্লাহ তায়ালা যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন। আমি তো(ইলমের)বন্টনকারী মাত্র; আল্লাহ তা প্রদান করে থাকেন। এ উম্মতের কর্মকান্ড কিয়ামত পর্যন্ত কিংবা বলেছিলেন, মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুম আসা পর্যন্ত (সত্যের উপর) সুদৃঢ় থাকবে। (বুখারী:৬৮১৪)"
কিন্তু তাদের বুঝে আসে না যে এই হাদীসগুলোতে যাদের সম্বন্ধে বলা হয়েছে তারা জাতিগতভাবে সত্যের উপর দৃঢ় থাকবে তা বলা হয় নি। এরা ব্যক্তিগতভাবে কিংবা বিচ্ছিন্নভাবে সত্যের উপর দৃঢ় থাকবেন। এ ব্যাপারে বহু হাদিস রয়েছে। কিন্তু আল্লাহ রসুল আরো বলেছেন, “সুসংবাদ দাও সুসংবাদ দাও,আমার উম্মাহর উদাহরণ এমন এক বৃষ্টির মত,যার প্রথম ভালো নাকি শেষ ভালো বলা মুশকিল। এই জাতি কেমন কোরে ধ্বংস হবে যার প্রথমে আমি, মধ্যে মাহদী এবং শেষে ঈসা। কিন্তু এর মাঝে আছে বিভ্রান্তরা। তারা আমার কেঊ নয় আমিও তাদের কেউ নই।”(আনাস(রা)থেকে তিরমিযি; জাফর(রা) থেকে রাযিন) " যারা রসুলের কেউ নয়, রসুল যাদের কেউ নন তারা কে? পরকালে তাদের অবস্থান কোথায় গিয়ে পৌছবে এই বিষয়টা কি তারা ভেবে দেখে না? মনে রাখতে হবে এই মধ্যবর্তী সময়ে কিন্তু সেই ইসলামের স্বর্ণযুগের পণ্ডিতরাও এসে যাচ্ছেন, বহু পণ্ডিত, মুহাদ্দিস, মুফাসসিররাও এসে যাচ্ছেন। কিন্তু এটা জাতিগতভাবে বলা হচ্ছে, এর বাইরে বিচ্ছিন্নভাবে কেউ কেউ হক পথকে আগলে থাকতেই পারেন।
আরো প্রমাণ দেখুন, আল্লাহর রসূল আরো ভবিষ্যদ্বাণী করেন, “আল্লাহ যতদিন চান ততদিন তোমাদের মাঝে নবুওয়াত থাকবে (অর্থাৎ তিনি নিজেই), তারপর আল্লাহ তা উঠিয়ে নেবেন। তারপর আসবে নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত। যতদিন আল্লাহ চান ততদিন তা থাকবে তারপর আল্লাহ তা উঠিয়ে নেবেন। তারপর আসবে মুলকান(রাজতন্ত্র), যতদিন আল্লাহ চান ততদিন তা থাকবে অতপর আল্লাহ তা উঠিয়ে নেবেন। তারপর আসবে জাবারিয়াত(শক্তি প্রয়োগ,জোর-জবরদস্তিমূলক শাসন)। এরপর আবারো আসবে নবুয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত।”(দালায়েলুম নবুয়াত,বায়হাকী,মুসনাদ-আহমদ বিন হাম্বল,মেশকাত)"
এখানে যারা রাজতন্ত্র এবং যাবারিয়াত এর অধীনে জীবন-যাপন করছে তারাও কি জাতিগতভাবে সত্যের উপর দৃঢ় থাকছে? কিংবা তারা কি বলতে পারবে যে বর্তমান সময়ে মুসলিম উম্মাহ পৃথিবীতে বিজয়ীর বেশে আছে? হ্যা, গায়ের জোরে, ঘাউরামী করে তা বলা যায়। অনেক হারু লোকও বেদম মার খেয়ে বলে আমিও নিচে পড়ে কম মার দিইনি কিন্তু! কিন্তু আল্লাহকে তো আর এইসব ফাকিঝুকি বুঝিয়ে ম্যানেজ করা যাবে না, যাবে কী? অপরদিকে আলাদাভাবে, বিচ্ছিন্নভাবে কেউ কেউ সঠিকভাবে থাকতেও পারেন। কথিত অতি আলেম শ্রেণি, যারা নিজেদেরকে সঠিক প্রমাণে ব্যস্ত আছেন তারা কি ভেবে দেখবেন এটা জোর করে সঠিক প্রমাণের ব্যর্থ চেষ্টা শেষ পর্যন্ত কাজে আসবে কী?
বিষয়: বিবিধ
১৯৬৫ বার পঠিত, ৪৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কাদীয়ানী? নাকি তারই কোন অঙ্গ-প্রতঙ্গ?
এই চিহিৃতকরণ কারা করেছেন ? এখন তাহলে সহিহ ও জয়ীফ হাদীস চিনার উপায় কি ?
তোমাদের মত আরেক ভন্ড ও তার পাচ সহযোগির মত তোমাদেরও সেই অবস্থাই হবে। তবে কোন মুসলিম তোমাদেরকে মারবে না, তোমাদের মতই অন্য ভন্ডরাই তোমাদেরকে মারবে। যেমন তোমরা কয়েক সপ্তাহ আগে গোপীবাগে ভন্ড ও তার পাচ সহযোগিকে হত্যা করেছ।
অচিরেই তোমাদের বিচার হবে।
তবে এটাও আল্লাহ তায়ালার এক হিকমত যে, তিনি ভন্ডকে দিয়েই ভন্ডকে ধ্বংস করেন। যেমন তোমাদের দ্বারা সেই ভন্ডকে সায়েস্তা করেছেন।
তাহলে কি কি দিয়ে যাচাই করতে হবে এখন ?
এই সুত্রটা কি আল্লাহ আপনাদের ওহী করে জানাইছে ?
এটা একটি আপেক্ষিক ব্যাপার। আপনার লেজিকে যেটাকে যুক্তিযুক্ত মনে হবে আরেকজনের লজিকে সেটাকেই ভুল প্রমাণিত হবে। তাই যুক্তি/লজিক গ্রহণযোগ্য নয়, আসল হলো কুরআন-হাদীস। কুরআন-হাদীস বাদ দিয়ে পাগলামী মার্কা কথা বললে নিষদ্ধ হয়েই থাকবেন আজীবন, কোনদিনই জনসম্মুখে এসে দু কথা বলার সাহসও পাবেন না।
আর আমরা নিষিদ্ধ এই কথাটা আপনার অজ্ঞতার স্বাক্ষর বহন করে। অবশ্য আপনি তারপরে নিজেকে সত্যবাদী মনে কর আহলাদিত হতে পারেন। কারণ পাগলের সুখ মনে মনে।
আমরা দিনে দিনে মানুষের সামনেই যাচ্ছি। আমাদের কাজ এখন জনসম্মুখে। কিন্তু আপনারাই পালাচ্ছেন। কই এই শীতের সিজনে ওয়াজ নসিহতের সুর কানে আসছে না। সব দৌড়ের উপরে আছে। কিন্তু আমরা এই অবস্থায়্ও মা'শায়াল্লাহ পূর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে মানুষের কাছে যেতে পারছি। বলবেন আমরা সরকারের দালালি করি? না, কোথা্ও আমরা দালালি করি না। সেটা হবে আপনারই কথার বিরুদ্ধতা। আমাদের ন্যায্যতার কারণে, আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ না করার কারণে তারা আমাদের বিরুদ্ধে কোন
পপদক্ষেপ নিতে পারছে না। এমনকি তারা সহযোগিতা করতে একপ্রকারে বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু আপনারা খাচ্ছেন পেদানি।
অযুক্তিক ও বিভ্রান্তমূলক কথা বলে আমাকে হারাতে পারবেন হয়তো কিন্তু তাতে নিজের কাছেই নিজে হেরে যাবেন।
অযুক্তিক ও বিভ্রান্তমূলক কথা বলে আমাকে হারাতে পারবেন হয়তো কিন্তু তাতে নিজের কাছেই নিজে হেরে যাবেন।
বায়াজীদ খান পন্নীকে যদি আল্লাহ তাই করেন তাহলে আপনার আপত্তি কেন? আপনি হতে পারলেন তাই? তাতে আপত্তিটা আল্লাহর কাছে করলেই পারেন।
যাদেরকে আমরা তাদের অশেষ শ্রমের কারণে শ্রদ্ধা করি, যাদের গবেষণা ও অধ্যবসায় আমাদেরকে অবাক করে।
তাইলেতো ছলিমুদ্দি-কলিমুদ্দি সবাই ই দাবী করবে যে,আল্লাহ তাকে সে জ্ঞান ও বুঝ দান করেছে। তাইলেতো অমুসলিমরাও নিজেদেরকে হকদ্বার দ্বাবী করে বসবে। হক্ব এর কোন সঠিক মানদন্ডই তখন আর বাকী থাকবেনা। সবাই ই তখন বলবে আমিই সঠিক পথ প্রাপ্ত। আমাকেই আল্লাহ সেই জ্ঞান ও বুঝ দান করেছেন।
- নাউজুবিল্লাহ।
এরপর ক্রমানুযায়ী
আল হাদীস > প্রাক্তন ইমামদের মত > বর্তমান যুগের দায়ী দের মতামত > বিবেক ও কমনসেন্স।
আল্লাহ যাকে হেদায়াহ না দেন সে যত বড় জ্ঞানীই হোক, যত বড় মোহাদ্দিসই হোক, আলেম পাশ করে আসুক, আর কামেল পাশ করে আসুক সে সত্য বুঝবে না।
আর শুয়রের খোয়ারটা খুলল কে?
আপনাদের কাজের ফলাফলটা কি ? দেশে ইসলামি কোন আইনটা জারি করতে পেরেছেন ?
তাইলে আর কুরআন-হাদীসের দরকার কি ? যদিও আপনাদের কুরআন-হাদীসের জ্ঞান নাই বললেই চলে !
আ:ট: আপনাদের সদস্য সংখ্যা কত ? কোন পদ্ধতিতে দেশে ইসলামী আইন বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখেন আপনারা ?
মানুষ কি আল্লাহর কথা শুনবে নাকি পাগলদের কথা শুনবে ?
আমরা বহাসে বসি না। সেটা আল্লাহর নিষেধ আছে। আর একটা কাজ অবশ্য করতে পারেন। সেটা হচ্ছে মোবাহেলা।
আপনার কথা তো কুরআনের বিপরীতে গেল! কুরআনে আল্লাহ পাক স্পষ্ট ইরশাদ করেন "ادْعُ إِلِى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُم بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ" অর্থাৎ-আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়।"
অন্যত্র বর্ণনা এসেছে "ইসলামের উত্তোরত্তর জনপ্রিয়তায় ক্ষুব্ধ হয়ে ৬৩০খ্রি: নাজরান থেকে একদল খিষ্ট্রান পন্ডিত আবুল হারিসের নেতৃত্বে রাসূল (সা এর সাথে ধর্মীয় বিতর্কের উদ্দেশ্যে মদীনায় এসে পৌছায়। রাসূল (সা তাদের প্রস্তাব সাদরে গ্রহন করেন এবং তাদের থাকার ব্যবস্থা করেন। ৩দিন পর্যন্ত এই বিতর্ক চলে। এক পর্যায়ে খিস্ট্রন দল যখন দেখলো যে তারা কিছুতেই রাসূল (সা কে পরাজিত করতে পারছে না, তারা প্রস্তাব করলো- আসুন আমরা খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করি যে আমাদের মধ্যে যার মতবাদ ভ্রান্ত আল্লাহ যেন তাকে সবংশে ধ্বংস করে দেয়। এর প্রেক্ষাপটে সূরা আল ইমরানের ৬১নং আয়াত নাজিল হয়" (দ্রষ্টব্য- সহীহ মুসলিম, তাফসিরে মাআরেফুল কুরআন, তাফসীরে ইবনে আব্বাস, ফি যিলালিল কুরআন ইত্যাদিতে উপরোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায়, সীরাতে মোস্তফা, সীরাতে ইবনে হিশাম, আস-সিরাতুন নাবাবীয়া)
কুরআন সুন্নাহ তো তাই বলে, দ্বীনের প্রচারে, দ্বীন রক্ষার্থে বাহাস বা উত্তম বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। সুতরাং এখানে আপনাদের অবস্থান কুরআন-সুন্নাহর বিপরীতে। আর যারা কুরআন-সুন্নাহর বিপরীত আমল করে, তারা মুসলমান হয় কিভাবে?
আপনার কথা তো কুরআনের বিপরীতে গেল! কুরআনে আল্লাহ পাক স্পষ্ট ইরশাদ করেন "ادْعُ إِلِى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُم بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ" অর্থাৎ-আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়।"
অন্যত্র বর্ণনা এসেছে "ইসলামের উত্তোরত্তর জনপ্রিয়তায় ক্ষুব্ধ হয়ে ৬৩০খ্রি: নাজরান থেকে একদল খিষ্ট্রান পন্ডিত আবুল হারিসের নেতৃত্বে রাসূল (সা এর সাথে ধর্মীয় বিতর্কের উদ্দেশ্যে মদীনায় এসে পৌছায়। রাসূল (সা তাদের প্রস্তাব সাদরে গ্রহন করেন এবং তাদের থাকার ব্যবস্থা করেন। ৩দিন পর্যন্ত এই বিতর্ক চলে। এক পর্যায়ে খিস্ট্রন দল যখন দেখলো যে তারা কিছুতেই রাসূল (সা কে পরাজিত করতে পারছে না, তারা প্রস্তাব করলো- আসুন আমরা খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করি যে আমাদের মধ্যে যার মতবাদ ভ্রান্ত আল্লাহ যেন তাকে সবংশে ধ্বংস করে দেয়। এর প্রেক্ষাপটে সূরা আল ইমরানের ৬১নং আয়াত নাজিল হয়" (দ্রষ্টব্য- সহীহ মুসলিম, তাফসিরে মাআরেফুল কুরআন, তাফসীরে ইবনে আব্বাস, ফি যিলালিল কুরআন ইত্যাদিতে উপরোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায়, সীরাতে মোস্তফা, সীরাতে ইবনে হিশাম, আস-সিরাতুন নাবাবীয়া)
কুরআন সুন্নাহ তো তাই বলে, দ্বীনের প্রচারে, দ্বীন রক্ষার্থে বাহাস বা উত্তম বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। সুতরাং এখানে আপনাদের অবস্থান কুরআন-সুন্নাহর বিপরীতে। আর যারা কুরআন-সুন্নাহর বিপরীত আমল করে, তারা মুসলমান হয় কিভাবে?
এই জন্যই আপনাদের মত লোকেদের উদ্দেশ্য করে এই লেখাটা লিখেছি। আর বাকীটার মাধ্যমে তার জবাব দিয়েছি।
বহুল প্রচলিত দুইটা হাদীস ১: "জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজনে চীন দেশে যাও" ২: "যে ব্যক্তি ইলম অনুযায়ী আমল করে আল্লাহ তাকে না জানা বিষয়ের ইলম দান করেনÓ- এই দুইটির গ্রহনযোগ্যতা, মানদন্ড, সনদ ও মতন নিয়ে একটু আলোচনা করুন তো দেখি।
তামাম দুনিয়ার ইতিহাসে লাখো আলেম যে জ্ঞান কোথাও খুঁজে পেলো না, আপনাদের এমাম(!) কেথাকার কোন বায়েজিদ খান পন্নী, যার লেখার রেফারেন্স দিতেও বাংলা অনুবাদ দেখতে হয়, তিনি সেই লুকায়িত জ্ঞান পেয়ে গেলেন!তিনি আবার আরবীর উচ্চারণের ভূল ধরেন, ইসলাম না হয়ে এসলাম হবে! তার কাছে ওহী আসে নাকি?
বিগত ৩ বছর আগে আপনাদের মহামান্য এমাম বরাবর তার মতবাদকে চ্যালেঞ্জ করে চিঠি দিয়েছিলাম, সেটার উত্তর আজ পর্যন্ত আসেনি। আমাদের শ্রদ্ধেয় আলেমদের বরাবর প্রশ্ন করার সাহস থাকলে করে দেখান, দেখেন কেমন দাঁতভাঙ্গা জবাব পাবেন।
অপেক্ষা করেন, কয়েকদিনের মধ্যেই বায়েজীদ পন্নীর সব হাঁড়ির খবর এই ব্লগেই ফাস করবো ইনশাআল্লাহ, তৈরি থাকেন।
আল্লাহ আমাদের এমামকে জ্ঞান দেওয়ায় আপনাদের দু:খটার কারণ বুঝি। কিন্তু কি করবো বলুনতো? আল্লাহ কেন যেন তাই করলেন।
আর আপনি কি যেন চ্যালেণ্জ করে চিঠি দেওয়ার কথা বললেন, সেটার ব্যাপারে আমার কোন জানা নেই। সবচেয়ে বড় কথা হলো আপনারা প্রশ্ন করেন আপনাদের আঙ্গিক থেকে। কিন্তু সেভাবে উত্তর দিয়েতো আপনাদের খুশি করা যাবে না। সনাতন ধর্মীদের দেবী কালীকে খুশি করলে নাকি জবাব ফুল দিতে হয়, গোলাপ দিলেও সে খুশি হয় না। আপনাদের খুশিমত উত্তর দিতে পারলাম না বলে অত্যন্ত দু:খিত।
আর হ্যা, আপনার হুমকিতে সাংঘাতিক ভয় পেয়েছি। তবে আশা করছি আপনার দেওয়া সবকয়টাই অনুমানভিত্তিক কথা হবে। আর সাহস থাকলে যা সত্য তা দিয়ে হাড়িটা ভেঙগে দিয়েন। বাউন্ডারীর বাইরে দিয়ে না ঘুরে সঠিক তথ্য তুলে ধরুন। আমাদের ভুলটা কোথায় দেখিয়ে দিন।
আশা করেছি বটে, তবে হতাশ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ওকে দেখা যাক কি করতে পারেন। হাতি ঘোড়ার কথাটা মনে রাখবেন।
সাঈদ ইবনে তালীদ (রঃ)...উরওয়া(রঃ)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ)আমাদের এদিক দিয়ে হজ্জ্বে যাচ্ছিলেন।আমি শুনতে পেলাম,তিনি বলছেন যে,আমি নবী (সাঃ)কে বলতে শুনেছি,আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে যে ইলম দান করেছেন তা হটাৎ করে ছিনিয়ে নেবেন না বরং ইলমের বাহক উলামায়ে কিরামকে তাদের ইলেমসহ ক্রমশ তুলে নেবেন।তখন শুধুমাত্র মূর্খ লোকেরা অবশিষ্ঠ থাকবে। তাদের কাছে ফাতওয়া চাওয়া হবে।তারা মনগড়া ফাতওয়া দিবে।ফলে নিজেরাও পথভ্রষ্ঠ হবে,অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ঠ করবে। (বুখারী:৬৮০৯)
আর এখানে জ্ঞান নিয়ে অহংকারের কিছু নেই কারণ আল্লাহ যার মঙ্গল চান তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন আর এসব দ্বীনি আলেমরাই সমাজে আলো ছড়ান এবং মিথ্যাকে চ্যালেঞ্জ করেন। যেমন:
ইসমাইল (রঃ)...মুআবিয়া ইবনে আবূ সুফিয়ান (রাঃ)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন,আমি নবী(সাঃ)কে বলতে শুনেছি যে,আল্লাহ তায়ালা যার কল্যাণ চান,তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন।আমি তো(ইলমের)বন্টনকারী মাত্র;আল্লাহ তা প্রদান করে থাকেন। এ উম্মতের কর্মকান্ড কিয়ামত পর্যন্ত কিংবা বলেছিলেন,মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুম আসা পর্যন্ত (সত্যের উপর)সুদৃঢ় থাকবে।(বুখারী:৬৮১৪)
ইসলামের ক্ষতিটা আপনারাই করে শেষ করে দিয়েছেন তর্ক-বিতর্ক করে। আমরা যদি ভুল হই ( যা মোটেই নয়) তাহলে আল্লাহই আমাদেরকে রাখবেন না। আর আপনাদের অবস্থাতো দেখছিই। দায়িত্বটা আল্লাহর হাতেই ছেড়ে দিন।
আপনারদের কাছে জ্ঞানের ডালি মেলে ধরার কোন প্রয়োজনীয়তাই তো দেখি না, মেলে আর ধরলাম কই? জ্ঞান তো তার সামনেই দেখাতে হয় যে দেখার উপযুক্ত। আর আপনারা....মাশাআল্লাহ।
হ্যাঁ ভাই....দুঃখিত না হয়ে যাবো কই, হাজার বছরের ইতিহাসে নিজের জীবন জ্ঞানের পথে উৎসর্গ করে হাজারো আলেমে দ্বীন যে জ্ঞান পেল না, আপনাদের তরজমা পড়া এমাম উক্ত জ্ঞান যে কোন কলসের মধ্যে থেকে আবিস্কার করলো তা ভেবেই তো দুঃখে জান খারাপ, আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার জোগাড়।
দ্বীনের ক্ষেত্রে কাউকে খুশি করার উদ্দশ্যে যদি কেউ মাসআলা বয়ান করে, সে ফাসেক। আপনার কথা থেকে আবারো প্রমাণিত হলো আপনাদের মধ্যে ফাসেকিও পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান। সাহস থাকলে উত্তর দেন, কুরআন থেকে, হাদীস থেকে, ইজমা, কিয়াসের আলোকে, সাহাবী-তাবেঈ-মুফতি-মুহাদ্দিসদের মতামতের আলোকে, তারপর দেখেন কে গ্রহন করে আর কে বর্জণ করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় তা তো পারবেন না, কারন আপনাদের রেফারেন্স শুরু হয় পন্নী থেকে আর শেষ হয় পন্নী থেকে।
আর আগের জবাবে আমি হুমকি দেইনি, হুংকার দিয়েছি। অপেক্ষা করেন, আর আমিও অপেক্ষা করবো- পন্নী বাহিনী কি উত্তর দেয় সেই অপেক্ষা।
আপনারদের কাছে জ্ঞানের ডালি মেলে ধরার কোন প্রয়োজনীয়তাই তো দেখি না, মেলে আর ধরলাম কই? জ্ঞান তো তার সামনেই দেখাতে হয় যে দেখার উপযুক্ত। আর আপনারা....মাশাআল্লাহ।
হ্যাঁ ভাই....দুঃখিত না হয়ে যাবো কই, হাজার বছরের ইতিহাসে নিজের জীবন জ্ঞানের পথে উৎসর্গ করে হাজারো আলেমে দ্বীন যে জ্ঞান পেল না, আপনাদের তরজমা পড়া এমাম উক্ত জ্ঞান যে কোন কলসের মধ্যে থেকে আবিস্কার করলো তা ভেবেই তো দুঃখে জান খারাপ, আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার জোগাড়।
দ্বীনের ক্ষেত্রে কাউকে খুশি করার উদ্দশ্যে যদি কেউ মাসআলা বয়ান করে, সে ফাসেক। আপনার কথা থেকে আবারো প্রমাণিত হলো আপনাদের মধ্যে ফাসেকিও পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান। সাহস থাকলে উত্তর দেন, কুরআন থেকে, হাদীস থেকে, ইজমা, কিয়াসের আলোকে, সাহাবী-তাবেঈ-মুফতি-মুহাদ্দিসদের মতামতের আলোকে, তারপর দেখেন কে গ্রহন করে আর কে বর্জণ করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় তা তো পারবেন না, কারন আপনাদের রেফারেন্স শুরু হয় পন্নী থেকে আর শেষ হয় পন্নী থেকে।
আর আগের জবাবে আমি হুমকি দেইনি, হুংকার দিয়েছি। অপেক্ষা করেন, আর আমিও অপেক্ষা করবো- পন্নী বাহিনী কি উত্তর দেয় সেই অপেক্ষা।
আর একটা কথা। কোন ব্যক্তি সম্বন্ধে এত ক্রোধ বজায় রেখে তাকে সঠিকভাবে জাস্টিফাই করা যায়না। নিরপেক্ষ থাকতে পারবেন না। আপনাদের অবস্থা অনেকটা যারে দেখতে নারি তার চলন বাকা টাইপের। আগে মন থেকে ক্লেদ দূর করুন। নিজেরাই রাইট এই মানসিকতা দূর করতে না পারার অহঙ্কারে চিরদিন ডুবে মরবেন। আশা করি এরপরে আমার পোস্টে আসবেন না। এরপরেও যদি আসেন তাহলে বাধ্য হবো খোয়ারে পাঠাতে। কারণ আমিতো কাউকে বাধ্য করছিনা আমার উত্থাপিত মতামতকে গ্রহণ করে নিতে। কারো মাথায় বাড়িও দেইনি। আমার কথা যদি কেউ গ্রহণ করে তো করবে আর যদি ভালো না লাগে তো করবে না। এমনিতেই আমি ব্যর্থ হয়ে হতাশ হয়ে থেমে যাব। কিন্তু আমিতো দেখি খুব কম হলেও কেউ কেউ সঠিক বলে সাক্ষ্য দিচ্ছেন। পেছনে লাগতে আসবেন না। পারলে সত্য কথা বলে আলাদা করে পোস্ট দিন।
সহমত
আপনার হাড়ি ভাংগার অপেক্ষায় আছি। তবে (দয়া করে) চর্বিত চর্বণ করবেন না। ওসবের দিন শেষ। ওই দুধ থেকে আর ঘি বের হবে না। কারণ, এখন শুধু ঘোলটাই বাকি আছে। আর কয়দিন পর পিঠে স্টিলের ছালা বাধতে হবে। আপনাদের সময় দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে। নতুন পর্ব শুরু হতে চলেছে। পারলে দু'হাত দিয়ে ঠেকান।
আর পিঠের ছালের চিন্তা করছেন? নিজের টা আগে করেন। আমরা এখনো সমাজে বুক ফুলিয়ে টিকে আছি, আর ছুচোর মতো কিছু আছে আপনি ও আপনারা, যাদের জনসম্মুখে আসতে বললেই হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। আর ভাব খানা এমন ঠিক পেঁচার মতো "জানোনা তোমরা সূর্যের সাথে আমার শত্রুতা?" যদি নিজদের হক মানেন, আপনাদের ভন্ড এমামের উপর এতটাই কনফিডেন্স থাকে, প্রকাশ্যে আসুন। ভয় পাবেন না, আপনাদের সুরক্ষার লিখিত নিশ্চয়তা দেয়া হবে। আসুন, জনগন দেখুক, কতদুর কি পারেন....আর যদি প্রকাশে না আসতে পারেন তো ব্লগে লিখে নিজের জ্ঞান ঝাড়তে আসবেন না, এমন কাপুরুষের জ্ঞান কারো দরকার নেই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন