হুজুররা জাগুন,শোয়রদের ধরুন
লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ১৪ মে, ২০১৮, ০৩:৪৮:১৪ দুপুর
আলেম উলামারা কই? অপেক্ষা করুন, বেশিদিন নয় সকলের মাথায় এরকম মলমূত্র ঢালা হবে।পা ছাটুন,সমস্যা নাই।তবে নিজেদের মাথা বাঁচিয়ে। নিজেরা আছেন শুধু জান্নাত জাহান্নামের টিকেট হাতে নিয়ে।কে কার আগে জান্নাতে যাবেন,আর কারে জাহান্নামে পাঠাবেন।কে কোন সুন্নত ছেড়ে দিল,কে বেশি করে নিল,কে রাফে ইয়াদাইন করল না,আর কে করে নিল, আট রাকায়াত বিশ রাকায়াত নিয়ে টানাটানি,থাকুন এগুলোতে লিপ্ত। আর তারা মলমূত্র হাতে নিয়ে অপেক্ষা করছে। যখন যেখানে সুযোগ আসবে এভাবেই আপনার মাথায় ঢালা হবে।
"মুসলমানদের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকা ফরজ" কুরানের এই বাণী দিয়ে ওয়াজ করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন,আর নিজেদের মধ্যেই যত ফেরকামী।কুরানের জ্ঞান রাখনেওয়ালারা একে অপরকে যতটা বিশোধগার করেন দুনিয়াতে আর কেউ ততটা করে না। দুনিয়াতে সব কর্মের মানুষের মধ্যে ঐক্য হয়, শুধু আলেম উলামাদের মধ্যে হয় না। তাইত পদে পদে লাঞ্চিত হয় এবং হচ্ছে।
এই হুজুররা দেখেও শিখে না। একজন হিন্দু স্যারকে গলায় জুতা পরানোর জন্য সারা দেশেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। স্কুল কলেজের স্যার, ছাত্ররা এই নেক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু হুজুররা পারবে না। তারা খুঁজবে বাকের গঞ্জের মাওলানা হানিফা কোন মছলকের? জামায়াতী, জমিয়তী, খেলাফতি, হেফাযতি, আহলে হাদিস, আহলে খানকা? এটাই বড় হয়ে তাদের সামনে আসবে। মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে হুজুররা নির্জীব করে রাখে। ছাত্র, এই শব্দটার মধ্যে একটা জোশ আছে, স্পিরিট আছে, উদ্যম আছে, সাহস আছে। অন্যায় রুখে দেয়ার ক্ষমতা আছে। ন্যায় প্রতিষ্ঠার শক্তি আছে। তা সে হোক স্কুল কলেজের ছাত্র কিংবা মাদ্রাসার ছাত্র। বরঞ্চ, মাদ্রাসার ছাত্রদের বেলায় এই শক্তি, সাহস, হিম্মত, প্রবণতা বেশি থাকার কথা। কিন্তু, আশ্চর্যজনক ভাবে আমরা উল্টাটাই দেখছি। মাদ্রাসার ছাত্ররা শুধু হুজুরদের খেদমতেই সময় পার করছে। হুজুরদের মাথায় মল ঢালা হলেও তাদের চেতনা ফেরে না,তারা হুজুরদের পা টিপতে ব্যস্ত।
যারা বাকের গঞ্জের মাওলানা হানিফার মাথায় মলমূত্র ঢেলেছে ঐ সমস্ত শোয়রদের যদি এখনি ঠুটি চেপে না ধরা হয় তাহলে অপেক্ষা করুন, কাল বা পরশু আপনার মাথায়ও মল ঢালা হবে। আজ বাকের গঞ্জে হয়েছে কাল মানিক গঞ্জে হবে।পরশু অন্য কোথাও।
বিষয়: বিবিধ
১৩০২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন