জোর করে ধর্ষণ নাকি পিরিতির নিদর্শন???

লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১০:৩৭:৫৩ রাত



আলম মুহাম্মদ

---------------###

পত্র পত্রিকা খুললেই,কিংবা ফেসবুক অন করলেই প্রায় সময়ই ধর্ষণের খবর চোখে পড়ে।কোথাও কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ।কোথাও ভার্সিটির ছাত্রী ধর্ষণ।কোথাও মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রী ধর্ষণ।কোথাও গৃহকর্তি,প্রবাসীর স্ত্রী, দুই সন্তানের জননী।আবার দু'চার বছরের শিশু সন্তানও।বেশিরভাগ ধর্ষণের সাথে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের মদদপুষ্ট নেতা কর্মীরা জড়িত থাকতে দেখা যায়। আর ধর্ষণের সব খবরের প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয় থাকে ধর্ষকের রাজনৈতিক পরিচয় এবং জোর করে ধর্ষণ এই কথাটি। রাজনৈতিক পরিচয়ের সাথে একমত হতে পারলেও সব ক'টি ধর্ষণ যে জোর পূর্বক হয় সে কথাটি মানতে নারাজ। নিউজের আদ্যোপান্ত ভালো করে পড়ে ব্যখ্যা বিশ্লেষন করলে আসল বিষয়টি চোখের সামনে পরিষ্কার হয়ে যায় যে, জোরপূর্বক নাকি পিরিতের নিদর্শন এটা।

অনেক ধর্ষণের খবর আসে ধর্ষিতা নারীর পেটে বাচ্চা আসার পর। আজকেও ঠিক এরকম একটি নিউজ চোখে পড়েছে।আজকাল পত্রিকার বরাত দিয়ে বিডি টুডে নেট"ভিডিওর ভয় দেখিয়ে ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষন করলো আ’লীগ নেতার ছেলে" এই শিরোনামের নিউজ প্রকাশ করেছে।এমনকি নিউজে বলা হয়েছে ছাত্রীটি আজ পাঁচ মাসের অন্তঃসত্বা। আসুন, একটু গবেষনা চালিয়ে দেখি অন্তঃসত্বা এই মেয়েটি জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকার হয়েছে না কি এর মধ্যে প্রেম পিরিতিও আছে কি না।

নিউজে বলা হয়, "চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখ বিকাল বেলায় লিটনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল।

বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে লিটন একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে।"


বাড়িতে কেউ না থাকাবস্তায় ছাত্রীটি কেন লিটনের বাড়িতে গিয়েছিলো? আর না জেনে গিয়ে থাকলে বাড়িতে কেউ নাই শোনার সাথে সাথে সে বেরিয়ে আসেনি কেন?

"ছাত্রীটির অপ্রীতিকর মুহূর্তের ছবি মোবাইল ফোনে ছবি ও ভিডিও তুলে রাখে লিটন। ধর্ষণের কথা কাউকে জানালে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ও বাবা-মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় শাসক দলের নেতার ছেলে লিটন।"

জোরপূর্বক কোনো কাজ করতে গিয়ে সে সময় ভিডিও তুলা কি সম্ভব? সম্ভব,যদি অন্য কেউ সাথে থাকে।কিন্তু,ধর্ষক একা হলে সম্ভব নয়,যদি ধর্ষনটা উভয়ের সম্মতিতে না হয়।

"এই ভিডিওর ভয় দেখিয়ে কয়েক মাস ধরে চলতে থাকে লাগাতার ধর্ষণ। এর ফলে ছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।"

ছাত্রীটি ধর্ষণের শিকার হওয়ার সাথে সাথে কেন তার পরিবারের কাছে বিষয়টি জানায় নি? এখন অন্তঃসত্বা হয়ে তারপর কেন প্রকাশ করছে?

আমার মনে হয়, সব কেন'র উত্তর হচ্ছে ছাত্রীটির প্রেমের সম্পর্ক ছিলো ছেলের সাথে। ছেলের বাড়িতে কেউ নাই এই সুযোগে সে তার নাগরের সাথে প্রেম প্রেম খেলতে গিয়েছিলো। এক পর্যায়ে দু'জনে একান্তে মিলিত হয় এবং সেই সুযোগে ছেলেটি হয়তো ভিডিও করেছে। প্রেমের সম্পর্কের কারনে তাদের মধ্যে শারিরিক সম্পর্কও গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে ছাত্রীটি অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ে এবং ছেলের কাছে হয়তো বিয়ের প্রস্তাব দেয়।এতে ছেলেটি সায় না দেয়াতে আর কোনো উপায় না দেখে এখন জোরপূর্বক ধর্ষনের কথা সামনে নিয়ে আসা হয়েছে।

যদি এরকম হয়,তবে শুধু ছেলের নয় উভয়ের শাস্থি হওয়া জরুরী। যাতে করে ভবিষ্যতে আর কেউ এভাবে প্রেম প্রেম খেলতে সাহস না করে।

বিষয়: বিবিধ

১৭৮৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383966
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সকাল ১১:০০
হতভাগা লিখেছেন : একা ধর্ষণ করার সময় মেয়েটি যদি তার পা দুটোকে এক করে রাখে তাহলে ছেলেটির পক্ষে তার যৌনাঙ্গ মেয়েটির যোনীপথে ঢোকানো বলতে গেলে অসম্ভব। করতে গেলে মেয়েটিকে অজ্ঞান করে ফেলতে হবে । অজ্ঞান করে সেক্স করলে সেক্সের মজা পাওয়া যায় না কাউন্টার পার্ট যদি সাড়া না দিতে পারে।

উল্টো ছেলেটির যৌনাঙ্গে মেয়েটি পা বা হাটু দিয়ে লাথি বসিয়ে দেওয়াটাই স্বাভাবিক।

আর এরকম ধস্তাধস্তি চলতে থাকলে ছেলেটির যৌনাঙ্গও আর খাড়া থাকবে না আর মেয়েটির যোনীপথ ভেজা ও খোলা থাকবে না ।

(আল্লাহ মাফ করুন নোংরা কথার জন্য)।

এসব ওয়ান টু ওয়ান খেলায় ধর্ষণের কেস খুব একটা ইফেকটিভ হয় না । কারণ - এটা সবাই বোঝে যে এক হাতে তালি বাজে না ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File