ছাত্রলীগের সেক্রেটারির পদ কি তাচ্ছিল্যের,নাকি জাকির ?
লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ২২ জুন, ২০১৭, ০৫:৪৩:১৫ বিকাল
আলম মুহাম্মদ
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। একটি নাম, একটি ইতিহাস, একটি ঐতিহ্য। মানবরচিত আদর্শের সর্ববৃহত ছাত্র সংগঠনের নাম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত এই ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশের সকল দুর্যোগে এই ছাত্র সংগঠনের ভূমিকা ইর্ষনীয়। মানুষের মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের আন্দোলনে,৬৯ এর গণ আন্দোলনে, একাত্তরের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রামে, স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে, কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এই ছাত্র সংগঠনের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
এমন ইতিহাস ঐতিহ্যসম্পন্ন ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি/ সেক্রেটারি জেনারেলের পদ নিশ্চয় অতিব গুরুত্ব বহন করে। আর বর্তমান সময়ে ত কথাই নেই। এই পদ দু'টিতে যারা সমাসীন হন তারা একেকজনে কয়েকজন মন্ত্রীর মর্যাদা বহন করে চলেন। অবস্থাদৃষ্টেও তাই প্রতিয়মান।আর এটা স্বাভাবিকও। সেই ছাত্রলীগের সেক্রেটারি জেনারেলকে যখন তাদের মুরব্বি সংগঠনের কেউ তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন, তখন স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে পদটা কি খুবই তাচ্ছিল্যের ? নাকি এই পদে যিনি সমাসীন তিনি তাচ্ছিল্যের?
ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি, সেতু মন্ত্রী , ফাটাকেস্ট নামে সর্বাধিক পরিচিত জনাব উবায়দুল কাদের ছাত্রলীগ সেক্রেটারি এস এম জাকিরকে কয়েক দফা হেনস্থা করেছেন জনসমক্ষে। প্রথম দফায় তিনি "এত এত বহর নিয়ে চলো কেন" বলে সভাস্থলের সামনেই হেনস্থা করেছেন। ছাত্রলীগ সেক্রেটারি সভাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। আরেক দফায় ফাটাকেষ্ট জাকিরকে বলেন, কি আকাম করে এসেছো? তা ও জনসমক্ষে। তারপরই সামাজিক মিডিয়া ফেসবুকে নানান প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। আর এই প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে সিলেট অঞ্চলের ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা।
কেউ কেউ প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন, ছাত্রলীগ সেক্রেটারির পদটা কি তাচ্ছিল্যের ? নাকি সিলেটি হওয়ায় জাকির তাচ্ছিল্যের শিকার হচ্ছেন? কেউ কেউ মন্ত্রীর অতি কথনকে দায়ী করছেন। কেউ কেউ আবার একদাপ বাড়িয়ে মন্ত্রীর আকাম কুকামের ছবিসহ পোস্ট দিচ্ছেন। অনেকে আবার বলছেন, জাকিরের যায়গায় অন্য কেউ হলে এতদিনে মন্ত্রীর পেছনে ছাত্রলীগকে ক্ষেপিয়ে তুলতো। কেউ বলছেন, মন্ত্রী উবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের অভিভাবক। তিনি জাকিরকে শাসাতে পারেন। কেউ আবার বলছেন, অবশ্যই তিনি জাকিরকে শাসাতে পারেন।তবে জনসমক্ষে নয়, একান্তে। জাকিরের উপর এমন আচরণে মন্ত্রীর সিলেট বিরোধী মনোভাব প্রকাশ পাচ্ছে বলেও অনেকে উল্লেখ করছেন।
বিষয়: রাজনীতি
৪২৬৭ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো লাগলো , অনেক ধন্যবাদ
ইসলামী ছাত্র শিবির বিহীন প্রতিটি ক্যাম্পাস চোর,ডাকাত,ধর্ষনকারী,ইভটিজার, চিন্তাইকারী, চাঁদাবাজ , টেন্ডারবাজ, সন্ত্রাসীদের অভয়ারন্য তা আজকের বাংলাদেশের চরম বাস্তবতা। আর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এসকল কাজের নিরাপদ আশ্রয়স্হল । এম সি কলেজের ক্যাম্পাসে একটি মেয়েকে যেভাবে কুপিয়েছে ছাত্রলীগ নেতা , ক্যাম্পাসে শিবির থাকলে তা কি সম্ভব ছিলো? ছাত্রলীগ নেতা জানে, তাকে বাঁধা দেয়ার কেও নেই । বাঁধাদানকারী সকলেই আছে তাদের নিজেদের জান বাঁচানোর দৌড়ে। আজকে চট্টগ্রাম মহসিন কলেজের সামনে দাড়িয়ে অভিভাবকরা আক্ষেপ করে বলে আগে ত এই কলেজে কোপাকুপি ছিলোনা! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় , রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্টান আজ কোপাকুপির প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে পরিনত হয়েছে। অথচ, ছাত্র শিবির যতদিন ক্যাম্পাসে নারায়ে তাকবিরের ধ্বনি দিয়েছিলো ততদিন প্রতিটি ক্যাম্পাস ছাত্র, ছাত্রী, অভিভাবক এমনকি শিক্ষকদের জন্য নিরাপদ ছিলো। পুলিশ আর মামলা দিয়ে ছাত্র শিবিরকে ক্যাম্পাস ছাড়া করা হয়েছে।
কোথায় আজ সুশিল সমাজের কুশিলেরা? তোমরা না ছাত্র শিবির নিষিদ্ধের দাবী তুলো! আজ মুখে কুলুপ এটে বসে আছো কেন? বিশ্বজিত থেকে শুরু করে এম সির ক্যাম্পাস পর্যন্ত এত কোপাকুপি দেখার পরেও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবী তুলতে পারো না। ছাত্র শিবির নিষিদ্ধের দাবী তুললে শিবিরের নেতা কর্মীরা মুখ টিপে হাসে তোমাদের নির্বুদ্ধিতায়। তারা প্রতিবাদ করেনা, মর্মাহত হয় তোমাদের জ্ঞানের দৈন্যতায়। একবার ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবী তুলে দেখোনা, তোমাদের বউ - মেয়েদেরকে সোনার ছেলেরা ঘরে থাকতে দেয় কি না। কোথায় আজ স্যার জাফর ইকবাল? আপনি না বলেছিলেন, ছাত্ররা প্রেমের প্রস্তাব করবে এটা স্বাভাবিক। এখন নিশ্চয় বলবেন, প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হলে ছাত্ররা কোপাকুপি করবে এটা তাদের ন্যায্য অধিকার। কোথায় আজ সেই পুলিশ অফিসার? যে কি না ক্যাম্পাসে ইসলামের কথা বলা কোন ছাত্র থাকতে দেবে না। তোমাদের শিবির বিহীন ক্যাম্পাস কেমন চলছে দেখে যাও।
মনে রেখ,ইসলামী ছাত্র শিবির আবার ক্যাম্পাসে ফিরে আসবে। ভোরের সোনালী আলোর রেখা পুব আকাশে উদিত হলে লোকালয়ে আসা শিয়ালগুলো যেমনি দলে দলে গর্তে লোকায় ঠিক তেমনি তোমাদের সোনার ছেলেরাও সেদিন লুকিয়ে যাবে। সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা লেখাপড়ার সুষ্ট পরিবেশ পাবে, অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ক্যাম্পাসে দিয়ে চিন্তিত হবে না, শিক্ষকরা নির্বিঘ্নে ক্লাস নিতে পারবে। ফজরের সময় হলে হলগুলোতে আবার সালাত সালাত বলে হাঁকডাক শুনা যাবে। ইনশা আল্লাহ। এক সময় ছাএ শিবির করতেন। কেউ কেউ প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন, ছাত্রলীগ সেক্রেটারির পদটা কি তাচ্ছিল্যের ? নাকি সিলেটি হওয়ায় জাকির তাচ্ছিল্যের শিকার হচ্ছেন? আপনি ছাএলীগের আর্দশে বিশ্বাসী?
তাছাড়া, আমার লেখা কখনো প্রমান করেনা যে আমি ছাত্রলীগের আদর্শে বিশ্বাসী।
মন্তব্য করতে লগইন করুন