ফ্রান্স পুলিশের চাঁদাবাজি : প্রবাসী বাংলাদেশীরাও চাঁদাবাজির শিকার, ফ্রান্সের ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চ দূষি পুলিশদের গ্রেফতার করে।
লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ২০ মার্চ, ২০১৩, ০৪:০৬:৫২ রাত
ফ্রান্সে পুলিশের চাঁদাবাজির খবরে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।ফ্রান্সের লিল শহরে এ চাঁদাবাজির ঘটনা ঘঠে।আর এ চাঁদাবাজির শিকার লিল শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী।
সেখানে বসবাসরত অল্প সংখ্যক বাংলাদেশী আছেন যারা রাতের বেলা বিভিন্ন বারে, রেষ্টুরেন্টে ফেরি করে ফুল বিক্রি করেন। সাধারনত ফ্রান্সে ফেরি করে যে কোন জিনিষই বিক্রি করা নিষেধ। তাই কেও যদি এটা করেন আর পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তাহলে পুলিশ তাকে হয়তো থানায় ধরে নিয়ে যাবে, বা কারো হাতের সব মাল পুলিশ নিয়ে যাবে। সাথে আপনাকে জরিমানা করতে পারে।
কিন্তু লিল শহরে কতিপয় অসাধু পুলিশ বাংলাদেশীদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়া শুরু করে।তাদের এই চাঁদাবাজি আবার বেশীদিন ঠিকেনি।তারা মাত্র শুরু করেছিলো।৩য় দফা চাঁদাবাজির সময় এটা জানজানি হয়ে যায় এবং ফ্রান্সের ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চ দূষি পুলিশদের গত ২মার্চ গ্রেফতার করে।
ফ্রান্সের পপুলার টিভি চ্যানেল টি এফ আই তে এ নিউজটি বেশ ফলাও করে প্রচার করে।
ফ্রান্সে পুলিশের চাঁদাবাজি বাংলাদেশের পুলিশের মত এত মহামারী আকারে না।তবে মাঝে মধ্যে ছোটখাটো এরকম চাঁদাবাজি দেখা যায়।
আমি প্যারিসের একটি টোরিষ্ট এলাকায় মানি এক্সেঞ্চ এ কাজ করি।আমার পাশাপাশি রাস্তার ধারে কিছু জুয়াড়ি একটা খেলার আসর বসায়। খেলাটা হচ্ছে ৩ টি কালো রং এর রাবার জাতীয় জিনিষের একটির নীচ থাকবে সাদা,২টির কালো। আপনার চোঁখের সামনে তারা ওগুলো বসাবে।আপনি যদি সাদা রংয়ের রাবারটা ধরতে পারেন তাহলে আপনি ৫০ ইউরো জিতবেন। আর আপনি যদি ধরতে না পারেন তাহলে আপনাকে ৫০ ইউরো দিতে হবে।
আমি দাঁড়িয়ে প্রায়ই খেলাটা দেখি।কিন্তু কাওকে জিততে দেখিনি। সব সময়ই দেখি জুয়াড়িরা জিততেছে।
আমি দেখেছি ঐসব জুয়াড়িদের কাছ থেকে সিবিল পোশাকে একজন ফরাসি পুলিশ চাঁদা নিয়ে যাচ্ছে।
তবে মজার বিষয় হলো, ফ্রান্সে কিন্তু একটি থানার সব পুলিশ বাংলাদেশের মত ভাগবাটোয়ারা করে খায়না। হয়তো ২/১ জন পুলিশ এরকম কাজের সাথে জড়িত।ধরা পড়লে কিন্তু তাদেরও রক্ষা নাই।
বিষয়: বিবিধ
১৬৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন