ভ্যান ও কাঁধে চড়া নিয়ে রাজনীতি:হুজুররা পা টিপাইলে সমস্যা নাই
লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১০:২৩:৪৮ রাত
দেশ থেকে মা বলেছেন রাজনৈতিক বিষয়ে না লিখতে।কারণ, আমার লেখা নিয়ে মাতামাতি হয়। চাচাত ভাই দেশ ঘুরে এসে বললো,রাজনীতি নিয়ে লিখবেন না।কারণ, একই। তাই ক'দিন থেকে রাজনীতি নিয়ে লেখালেখি থেকে দুরে আছি।কিন্তু হাত ও মন মানছে না। তাই আজকে আবার লিখতে শুরু করলাম। আর লেখাটা যেহেতু সরকারের পক্ষে যাবে এতে বাধা আসবে না।
ক'দিন থেকে ফেবু, পত্রপত্রিকায় দু'টি বিষয় ঘুরেফিরে আসছে। সবাই মজা করছে,গালাগালি করছে,রাজনীতি করছে। বিষয়গুলো হলো, বাংলাদেশের অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী পরিবার পরিজন নিয়ে গ্রাম দেখতে গিয়ে ভ্যানে চড়েছেন।পরে আবার ভ্যান চালককে বিমান বাহিনীতে চাকুরী দিয়েছেন এবং ভ্যানটি যাদুঘরে স্থান করে নিয়েছে। আর দ্বিতীয়টি হলো, ছাত্রদের কাঁধে চড়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান।
দুটি অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে এতবেশী আলোচনা পর্যালোচনা হচ্ছে যা সত্যিই বিব্রতকর।প্রধানমন্ত্রী ভ্যানে চড়েছেন, ভ্যান চালক কাছে পেয়ে তাকে একটি চাকুরীর আবেদন করতেই পারে। সে হয়তো করেছেও। প্রধানমন্ত্রী তার আবেদনে সাড়া দিয়েছেনমাত্র। বিমানবাহিনীর ছোট কোনো পোস্টে তার শিক্ষাগত যোগ্যতানুযায়ী একটা চাকুরী সে পেয়েছে। আর শুরু হয়ে গেলো আমাদের হইচই। আমার মনে হচ্ছে, আমরা আসতে আসতে খুব হিংসুটে জাতিতে পরিনত হচ্ছি।সামান্য ভ্যান চালিয়েই চাকুরী পেয়ে গেলো এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না। আর মেনে নিতে পারছি না বলেই এত চিল্লাচিল্লি। কেন রে ভাই, একজন কি চাকুরী পেতে পারে না? তবে হা, ভ্যানটি যাদুঘরে নেয়া অবশ্যই হাস্যকর। মনে হচ্ছে কোনো কালে প্রধানমন্ত্রী আর ভ্যান চড়েন নি। ভ্যান চড়তে না পারেন। এরকম ছোটখাট কিছু কি প্রধানমন্ত্রী তার জীবনে আর চড়েন নি! ভবিষ্যতে কি আর চড়বেন না? অতিথে যে সকল সরকার প্রধান রিক্সা বা এরকম ছোট গাড়ি চড়েছেন তাদের ওগুলোকি যাদুঘরে স্থান পাবে? ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রীর জন্যও কি একটি পথ তৈরী হলো না? এটা নিশ্চয় হাস্যকর।
দু'জন উপজেলা চেয়ারম্যান স্কুলের ছাত্রদের কাঁধে চড়েছেন। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় তারা আওয়ামীলীগ করেন। আর গেলো কই? এইত ধরা খাইছে। সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছে , তাদের ছবিগুলো পত্রপত্রিকা সহ সব সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে পড়েছে। কিন্তু কেন? তারা কি মহাভারত অশুদ্ধ করলো। স্কুলের শিক্ষকরা যে আয়োজন করেছেন তারা শুধু সেই আয়োজনে অংশ নিয়েছেন। মহাভারত অশুদ্ধ করলে ত স্কুলের শিক্ষকরাই করেছেন।ছাত্র শিক্ষকরা আয়োজন করেছেন তারা ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন। বিনিময়ে ছাত্ররা তাদের কাছ থেকে পয়সাও হাতিয়ে নিয়েছে।আমরা এটা নিয়ে এট হুমড়ি খেয়ে পড়ার কি আছে? সবকিছুতে রাজনীতি করতে হবে কেন? মসজিদ মাদ্রাসার হুজুররা যখন কোমলমতি ছাত্রদের দিয়ে পা টিপান তখন ত কেউ কোনো কথা বলেন না!
বিষয়: বিবিধ
৪৯৪০ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভাইরে , চামচামির একটা সীমা থাকা দরকার
মন্তব্য করতে লগইন করুন