শিবির বিহীন ক্যাম্পাস চোর,ডাকাত, ধর্ষণকারীর আস্তানা
লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ০৫ অক্টোবর, ২০১৬, ০২:৪০:১৬ রাত
ইসলামী ছাত্র শিবির বিহীন প্রতিটি ক্যাম্পাস চোর,ডাকাত,ধর্ষনকারী,ইভটিজার, চিন্তাইকারী, চাঁদাবাজ , টেন্ডারবাজ, সন্ত্রাসীদের অভয়ারন্য তা আজকের বাংলাদেশের চরম বাস্তবতা। আর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এসকল কাজের নিরাপদ আশ্রয়স্হল । এম সি কলেজের ক্যাম্পাসে একটি মেয়েকে যেভাবে কুপিয়েছে ছাত্রলীগ নেতা , ক্যাম্পাসে শিবির থাকলে তা কি সম্ভব ছিলো? ছাত্রলীগ নেতা জানে, তাকে বাঁধা দেয়ার কেও নেই । বাঁধাদানকারী সকলেই আছে তাদের নিজেদের জান বাঁচানোর দৌড়ে। আজকে চট্টগ্রাম মহসিন কলেজের সামনে দাড়িয়ে অভিভাবকরা আক্ষেপ করে বলে আগে ত এই কলেজে কোপাকুপি ছিলোনা! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় , রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্টান আজ কোপাকুপির প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে পরিনত হয়েছে। অথচ, ছাত্র শিবির যতদিন ক্যাম্পাসে নারায়ে তাকবিরের ধ্বনি দিয়েছিলো ততদিন প্রতিটি ক্যাম্পাস ছাত্র, ছাত্রী, অভিভাবক এমনকি শিক্ষকদের জন্য নিরাপদ ছিলো। পুলিশ আর মামলা দিয়ে ছাত্র শিবিরকে ক্যাম্পাস ছাড়া করা হয়েছে।
কোথায় আজ সুশিল সমাজের কুশিলেরা? তোমরা না ছাত্র শিবির নিষিদ্ধের দাবী তুলো! আজ মুখে কুলুপ এটে বসে আছো কেন? বিশ্বজিত থেকে শুরু করে এম সির ক্যাম্পাস পর্যন্ত এত কোপাকুপি দেখার পরেও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবী তুলতে পারো না। ছাত্র শিবির নিষিদ্ধের দাবী তুললে শিবিরের নেতা কর্মীরা মুখ টিপে হাসে তোমাদের নির্বুদ্ধিতায়। তারা প্রতিবাদ করেনা, মর্মাহত হয় তোমাদের জ্ঞানের দৈন্যতায়। একবার ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবী তুলে দেখোনা, তোমাদের বউ - মেয়েদেরকে সোনার ছেলেরা ঘরে থাকতে দেয় কি না। কোথায় আজ স্যার জাফর ইকবাল? আপনি না বলেছিলেন, ছাত্ররা প্রেমের প্রস্তাব করবে এটা স্বাভাবিক। এখন নিশ্চয় বলবেন, প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হলে ছাত্ররা কোপাকুপি করবে এটা তাদের ন্যায্য অধিকার। কোথায় আজ সেই পুলিশ অফিসার? যে কি না ক্যাম্পাসে ইসলামের কথা বলা কোন ছাত্র থাকতে দেবে না। তোমাদের শিবির বিহীন ক্যাম্পাস কেমন চলছে দেখে যাও।
মনে রেখ,ইসলামী ছাত্র শিবির আবার ক্যাম্পাসে ফিরে আসবে। ভোরের সোনালী আলোর রেখা পুব আকাশে উদিত হলে লোকালয়ে আসা শিয়ালগুলো যেমনি দলে দলে গর্তে লোকায় ঠিক তেমনি তোমাদের সোনার ছেলেরাও সেদিন লুকিয়ে যাবে। সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা লেখাপড়ার সুষ্ট পরিবেশ পাবে, অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ক্যাম্পাসে দিয়ে চিন্তিত হবে না, শিক্ষকরা নির্বিঘ্নে ক্লাস নিতে পারবে। ফজরের সময় হলে হলগুলোতে আবার সালাত সালাত বলে হাঁকডাক শুনা যাবে। ইনশা আল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
১০২৯ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ফাসি না হলে,
জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে।
সময় এসেছে ছাত্রলীগকে সার্জিক্যাল ট্রিটমেন্ট দেবার । হাসুবু ফাটাকেষ্টকে এই সার্জারীর দ্বায়িত্ব দিতে পারেন।
আর জাফর স্যারে শিশুরা এখন কোপাকুপিতে সাফল্য দেখাচ্ছে । তাতে তো জাফর স্যারের খুশিতে চোখে পানি চলে আসার কথা !
মন্তব্য করতে লগইন করুন