প্রসংগ:ব্রিটিশ পার্লামেন্ট থেকে জামায়াত নেতাকে বের করে দিলো সিকিউরিটি!!কুকুর মক্কায় গেলেও কুকুর

লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ২১ জুলাই, ২০১৬, ১০:০৫:৪৭ রাত



খবর এক. "ব্রিটিশ পার্লামেন্ট থেকে জামায়াত নেতাকে বের করে দিলো সিকিউরিটি"-শিরোনামে নিউজের ভেতরে বলা হয়েছে,বিনা আমন্ত্রনে যোগদান করায় ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউজ অব কমন্সে বাংলাদেশ বিষয়ক সেমিনার থেকে জামায়াতের ইউরোপীয় মূখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লাকে বের করে দিয়েছে সিকিউরিটি।ভেতরে আরো বলা হয়েছে,সেমিনারে ফ্লোর নিয়ে আবু বকর মোল্লা জামায়াতের পক্ষে সাফাই গাইতে গেলে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি এম এ রহিম,ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নঈমুদ্দিন রিয়াজ( আরও অনেকের নাম আছে) সকলে একযোগে অনুষ্টানের চেয়ার আন মেইন এম পি'র দৃষ্টি আকর্ষন করেন।তারা বলেন, জামায়াতকে আমন্ত্রন জানালে আওয়ামীলীগ ভবিষ্যতে এতে যোগদান করবে না।

তাদের অভিযোগে নাকি আই মেইন জানান,জামায়াতের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রন জানানো হয়নি।

খবর দুই. অভদ্র আচরণবিধির কারনে জামায়াতের মুখপাত্র আবু বকর মোল্লার বয়কট। আর এর জন্য আন মেইন আবু বকর মোল্লার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

খবর একনম্বরটাকে অনেকেই শেয়ার করেছেন এবং সাথে রংছং লাগিয়ে ক্যাপশনও দিয়েছেন। অথচ,তারা যদি তাদের বিবেককে একটু কাজে লাগাতেন তবে তাদের বিবেকই বলে দিত এই মিথ্যা নিউজের অসারতা।তাদের বিবেকের কাছে কিছু প্রশ্ন-

ক) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউজ অব কমন্সে আমন্ত্রন ছাড়া কিংবা অনুমতি ছাড়া ঢুকা যায় কি না ?

খ) মনে করলাম,কেও চুপিসারে ঢুকে পড়লো। যে চুপিসারে ঢুকে সে কি ফ্লোর নিয়ে বক্তব্য রাখতে পারে ?

গ) আর একজন যদি কোন সুযোগে ফ্লোর নিয়ে কথা শুরু করে তবে অন্যরা হইহুল্লুড় করবে কেন ?

কুকুর মক্কায় গেলেও কুকুরই থাকে

মানুষকে কথা বলতে না দেয়া,মানুষের বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, কথা বলার সময় গালাগালি-হইহুল্লুড়, অভদ্র আচরণ এটা আওয়ামীদের পুরনো খাছলত। যখন তারা অন্যের কথার যুক্তির কাছে হেরে যায় তখনই তাদের খাছলতগত আচরণ শুরু করে।প্রয়োজনে মারতেও উদ্যত হয়। এই আচরণ তারা সবখানে সব সময় করে আসছে।তা গ্রাম্য শালিসে হোক,বিচার আদালতে হোক,বাংলাদেশের সংসদে হোক আর ব্রিটিশ সংসদে হোক।তারা তাদের পুরনো খাছলত দেখাবেই। এটা কেন ? জবাবে একজন বললো, কুকুর মক্কায় গেলেও কুকুরই থাকে।

ওরা মজা নেয়

ব্রিটিশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ । সকলের কথা বলার অধিকারকে তারা সম্মান করে এবং সেই অধিকারকে সমুন্নত করতে তারা সুযোগও দিয়ে থাকে। সেই কারনে বাংলাদেশ বিষয়ক সেমিনারে তারা বাংলাদেশের প্রধান প্রধান দলগুলোকে,দলের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানাবে এটাই স্বাভাবিক।

কথা হলো, আওয়ামীলীগ সম্পর্কে তো তারা জানে।তবুও কেন আওয়ামীলীগের সাথে অন্যান্ন দলকে,দলের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রন করে ? আসলে তারা মজা নেয়। তারা জানে আওয়ামীলীগ থাকলে খেলা জমবে। তারা কিন্তু মজাপ্রিয় মানুষ।

বিষয়: রাজনীতি

২৪৫২ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

375066
২২ জুলাই ২০১৬ রাত ১২:৩৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আমার একাধিক আত্মিয় আওয়ামিলিগ নেতা। তাদের বাসায় যে কোন অনুষ্ঠানে দেখি বিনা দাওয়াতে নেতাদের সাঙ্গপাঙ্গ রা খেয়ে যায়। নিজেদের ওই অভ্যেস কে ওরা বৃটিশ পার্লামেন্ট এও সম্ভব বলে মনে করে!!!
375069
২২ জুলাই ২০১৬ রাত ০৩:৫৪
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আদালতে হোক,বাংলাদেশের সংসদে হোক আর ব্রিটিশ সংসদে হোক।তারা তাদের পুরনো খাছলত দেখাবেই ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
375072
২২ জুলাই ২০১৬ সকাল ০৭:৪৮
শেখের পোলা লিখেছেন : জোর যার মুল্লুক তার। কি আর বলার আছে।
375078
২২ জুলাই ২০১৬ সকাল ০৮:৩৩
হতভাগা লিখেছেন : জামায়াতকে সব জায়গাতেই প্রতিরোধ করা উচিত ।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ১০:২২
312729
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : কিছু দিন পরে বাংলার জমিন থেকে এই জামায়াতকেই বিতাড়িত করবে
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ০৩:১২
312735
হতভাগা লিখেছেন : জঙ্গি সংগঠন শিবিরকে নিষিদ্ধ করবে বলেই মনে হয়
377296
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ১০:২২
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File