এমাজ উদ্দিন সাহেবকে একজন জামায়াত কর্মীর নসিহত ও প্রাসংগিক কথা: স্যার,জাফ্রিকবাল ষাড় হইয়েন না
লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ১৭ জুলাই, ২০১৬, ০৭:৪২:৫৩ সন্ধ্যা
স্যার এমাজ উদ্দিন জাতীয় ঐক্য প্রচেষ্টার জন্য জামায়াতে ইসলামীকে কিছু বুদ্ধি দিয়েছেন।তিনি বলেছেন,(ক) মুক্তিযুদ্ধ স্বীকার করে নিয়ে ৭১ এর ভুলের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে।নতুবা, (খ) জাতির বৃহত্তর স্বার্থে পাশে সরে দাঁড়ানোর।
তিনি একজন বি এন পি পন্হি বুদ্ধিজীবি।(যারা বুদ্ধি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে তাদেরকে বুদ্ধিজীবি বলে মনে করে বাংলার সাধারণ মানুষ।)তিনি একজন বুদ্ধিজীবি।বুদ্ধি বিক্রি করবেন এটাই স্বাভাবিক।আমি জানিনা,তিনি জামায়াতের প্রতি যে বুদ্ধি উগলিয়েছেন তার বিনিময় কাদের কাছ থেকে পাবেন।তা আওয়ামীলীগ থেকে হতে পারে আবার সরাসরি 'র' এর কাছ থেকেও হতে পারে। তবে মোটা অংকের বিনিময়ে যে তিনি বুদ্ধি বিক্রি করেছেন তা সহজেই অনুমেয়।তার এই বুদ্ধি বিক্রির খবর পড়ে "আধা শিক্ষিত মানুষ" নামে একজন ব্লগার কাম জামায়াত কর্মী টুডে ব্লগে " এমাজ উদ্দিন সাহেবকে একজন জামায়াত কর্মীর নসিহত" শিরোনামে একটি লেখা পোস্ট করেছেন।যা সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ পড়ছে,লাইক কমেন্ট করছে।"শেখের পোলা নামে এক ব্লগারের কমেন্ট এরকম : আমিও একটু হেঁঁসে নিলাম। ৭১ এ জামাতের ভূমিকা আজও যারা ভূল বলে তাদের অনাকাঙ্খীত লোম গজাতে এখনও দেরী আছে।" স্যারের অবগতির জন্য জানিয়ে দেই, ব্লগার 'আধা শিক্ষিত মানুষ' কিন্তু আধা শিক্ষিত নয়,পুরাই শিক্ষিত।তার একদিকে যেমন আছে মাদ্রাসার সার্টিফিকেট তেমনি আছে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট। অর্থাত তিনি যেমনি কুরআন হাদীসের জ্ঞান রাখেন তেমনি বৈষয়িক জ্ঞানও রাখেন। আপনার মত বুদ্ধিজীবি না হলেও তিনি বুদ্ধি কম রাখেন না। তিনি আপনার প্রতি যে কয়টি প্রশ্ন রেখেছেন আপনি কি তার জবাব দেবেন।দেবেন না। কেননা আপনার সার্টিফিকেটধারী বুদ্ধিতে সেই জবাব লেখা নেই।
স্যার এতো বুদ্ধি আপনাদের! এত বুদ্ধি নিয়ে রাতে ঘুমান কিভাবে ? সেই চিন্তায় আমরা হতবুদ্ধিওয়ালাদের রাতের ঘুম হারাম।তো স্যার , আপনার এই বুদ্ধিগুলো আপনার দলের নেতাদের দেন না কেন যারা বেগম জিয়াকে বালুর ট্রাকের ভেতর অবরুদ্ধ রেখে নিজেরা মদ-নারী নিয়ে টিভির সামনে বসে খেলা দেখছিলো। আপনাদের শাহজাদা ,আপনাদের তথাকথিত দেশ নায়ককে একটু বুদ্ধি দিতেন যাতে করে তিনি নিজের জীবন নিয়ে পালিয়ে না থেকে দেশের মানুষের মুক্তি সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন। আপনি একটু বুদ্ধি দিতেন আপনার নীরিহ ছাত্রদল নেতা কর্মীদের যারা ছোট বাচ্ছাদের মুখে হুইসেলের আওয়াজ শুনে পুলিশ মনে করে জান নিয়ে পালায়।যাতে করে তারা নেত্রীর ইজ্জত সম্মান রক্ষার্থে এগিয়ে আসে। ক্ষমা চাওয়ার বুদ্ধি দিতেন আপনার নেত্রীকে। কেননা, সালাহ উদ্দিন ও আব্দুল আলিমের মত রাজাকারদের দলে ঠাই দিয়েছিলেন।
স্যার, আপনাদের এত বুদ্ধি! আপনাদের বুদ্ধিতে এটা ধরেনা যে, আওয়ামীলীগ তাদের স্বার্থের জন্যই বি এন পি জামায়াতের দুরত্ব চায়।নতুবা, এক সম্য়ে একই টেবিলে বসে, একই প্লাটফরমে দাড়িয়ে জামায়াতের সাথে কিভাবে আন্দোলন করেছিলো ? জামায়াতের সংগ ছাড়লে আওয়ামীলীগ আপনাদের সাথে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়বে এই মোলা দেখেই আপনাদের জিহবায় ক্ষমতার লোভ চলে এলো। ক্ষমতা বহুদুর,স্যার।
আচ্ছা স্যার,বি এন পি জামায়াতের জোট হওয়াতে জামায়াতের কি লাভ হয়েছে ? জামায়াতের বদান্যতায় আপনার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দু'দফা দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছেন। অপরদিকে শুধু আপনাদের সাথে জোট করার কারনে জামায়াত তাদের নেতৃবৃন্দকে হারিয়েছে বলে মনে করে জামায়াতের সকল শ্রেণীর নেতা কর্মী। আর তারা এও মনে করে যে , তাদের দল কিংবা নেতারা ৭১ এ কোন ভুল করেনি।তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত সঠিক ছিলো তা আজকের বাংলাদেশের চরম বাস্তবতা। যা অনেক মুক্তিযোদ্ধারাও আজ স্বীকার করেন।
অতএব,স্যার যেখানে সেখানে বুদ্ধি উগলিবেন না।নতুবা, স্যার জাফর ইকবাল যেভাবে জাফ্রিকবাল ষাড় হয়েছেন আপনাকেও সেভাবে ডাকতে মানুষের মুখে আঠকাবে না।
বিষয়: রাজনীতি
৫৭৮৬ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ এমাজ উদ্দিন স্যারের সাথে আমি ১০০ % সহমত পোষন করি ।
যারা বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিরুদ্ধে ছিল তারা যদি বাংলাদেশে থাকতে চায় তাহলে ৭১ এ কৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়েই থাকতে হবে ।
আর যদি না চায় তাহলে তারা তাদের পেয়ারের দেশ পাকিস্তানে চলে যেতে পারে । যেই পাকিস্তানের জন্য তারা কাজ করেছিল , যে পাকিস্তানকে তারা পছন্দ করে - সেই পাকিস্তান তাদেরকে সানন্দে বরণ করেই নিবে ।
আমাদের দেশের অনেক নেতা পশ্চিমা দেশে গিয়ে এসাইলাম পেয়ে ভালই মাস্তি করতেছে । জামায়াতের কর্মীরা সেরকম কিছু চেয়ে পাকিস্তান বা আরব দেশে চলে যেতে পারে ।
ক্ষমা না চাইলে জামায়াতকে মাইর খেয়ে যেতেই হবে ।
০ শৈবাল দিঘীরে কহে উচ্চ করে শির
লিখে রাখ এক ফোঁটা দিলেম শিশির
চরম অকৃতজ্ঞ জামায়াতের সামনে আরও করুন পরিনতি অপেক্ষা করছে । বাংলাদেশের মানুষের ভোটই তো তাদের পেতে হবে যদি রাজনীতিতে সফল হতে চায় , তাই তাদেরকে বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করতে হবে । সেটা থেকে জামায়াত ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে । সময় মত ক্ষমা না চাওয়াতে জামায়াত এখন ক্ষমার সুযোগও হাতছাড়া করে ফেলছে ।
এমাজ উদ্দিন স্যারে কথা ফলো করলে তাদের লাভ বৈ ক্ষতি হত না ।
কিন্তু মাথামোটা দল নিজেদের দাম্ভিকতার জন্য আরও তলিয়ে যাবার পরিস্থিতিতে পড়েছে ।
বান্দার হক বান্দা মাফ না করলে সেটা আল্লাহও ক্ষমা করবেন না ।
আপনারা কিভাবে নিশ্চিত হলেন যে যাদেরকে আপনাদের নেতারা হত্যা করেছিল ৭১ এ তারা বা তাদের ওয়ারিশেরা নিজামীদের ক্ষমা করে দিয়েছে ? ওরা তো ক্ষমাই চায় নি , বরং দাম্ভিকতা দেখিয়েছে ।
আল্লাহ কোন দাম্ভিক , অহংকারীকে ভালবাসেন না ।
জামায়াতের নেতারা যেহেতু মাফ চায় নি সেহেতু আখেরাতেও যে তাদের জন্য কঠিন সময় আসতেছে সেটা বলাই বাহুল্য।
আমিন
মন্তব্য করতে লগইন করুন