স্যরি ভাই, আপনার বউয়ের ছবিতে লাইক দিতে পারলাম না।
লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ২১ জুন, ২০১৬, ০৮:২৪:৫৪ সকাল
প্রায়শই ফেসবুকের বদৌলতে অনেক সিনিয়র জুনিয়র ভাই বন্ধুর বউয়ের ছবি নজরে আসে। যাদের মধ্যে অনেকেই ছাত্রজীবনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনে এক্টিভ ভুমিকা রেখেছেন। কর্মজীবনে কেও কেও এক্টিভ আছেন, আবার কেও কেও ইনেক্টিভ থাকলেও মনের দিক দিয়ে এখনো ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু তারা ব্যক্তিগত জীবনে ডিজিটাল জীবন যাপনে সাচ্ছন্দ বোধ করেন। তাইতো তারা অবলীলায় তাদের বউয়ের বেপর্দা ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে থাকেন।
ফেসবুকে বউয়ের ছবি শেয়ার করার একমাত্র উদ্দেশ্য কয়েকটা লাইক আর রসালো কয়েকটি মন্তব্য পাওয়া। আপনাদের জুটিকে খুব সুন্দর লাগছে, ভাবী হেভি সুন্দরী, ভাবীর সাথে আপনাকে খুব মানিয়েছে, এরকম কয়েকটি চটকদার মন্তব্যে উনারা খুব তৃপ্ত হন। বারংবার আইডিতে বিচরণ করে গুনে যান কয়টা লাইক পড়লো আর কয়টা মন্তব্য এলো। পরিচিতজনদের পক্ষ থেকে নেগেটিভ মন্তব্যও এসে থাকে। অনেকের মন্তব্যের জবাব দিলেও নেগেটিভ মন্তব্য উনারা নিরব থাকেন। বড়জোর ইনিয়েবিনিয়ে দু'একটার জবাবও দেন কদাচিত।
ছাত্রজীবনে তারা হালাল হারামের পথ বেচে চলতেন। মেয়েদের দিকে চোখ তুলে তাকাতেন না। এমনও সিনিয়র ভাই আছেন যারা পর্দার খেলাপ হবে বিধায় সার্ট ইন করে পরতেন না। অথচ কর্মজীবনে তারা এতটাই ডিজিটাল হয়েছেন যে,যারা মেয়েদের দিকে চোখ তুলে তাকাতো না সেই তারা তাদের বউয়ের ছবি ফেসবুকে দিয়ে অনেকের চক্ষু শীতল করেন।
এই মানসিক অধঃপতনের দুটি কারণ হতে পারে। হয় তারা তাদের নফসের কাছে পরাজিত,না হয় তারা তাদের বিবির কাছে পরাজিত। আমার কাছে শেষেরটাই যুক্তিযুক্ত মনে হয়।
বিষয়: বিবিধ
১৫৮৯ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর বউটি চায় যে তার আসলে র্যাংক কেমন হতে পারতো ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন