অনেক আহত হয়েছিলাম,সাথে আমার প্রিয়তমা স্ত্রীও: তারপর......
লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ১৭ মার্চ, ২০১৩, ০২:৫৩:৫৩ রাত
সাধারনত একটি লেখা পাবলিশ হওয়ার পর এটার উপর আর কেও কিছু লেখেনা । আমার কেন জানি মনে হলো আমিই শুরু করি।তাছাড়া লেখাটার অন্তরালে কিছু মজার বিষয় লুকিয়ে আছে। ভাবলাম বিষয়টা সবার সাথে শেয়ার করলে কেমন হয়।
গত ১৪ ই মার্চ ২০১৩ ইং তারিখে বিকাল ৩ টা ২৮ মিনিটে "একজন বাবার গল্প:আমি ভালবাসতে পারিনি আমার বাবাকে" শিরোনামে একটা লেখা পোষ্ট করি ব্লগে।পোষ্টের পর যথারীতি লেখাটি পাবলিশ হয়।কিন্তু কিছুক্ষনের ভিতর দেখি আমার লেখা যে পাতায় থাকার কথা সে পাতায় নাই।অনেক খুঁজাখুজি করলাম,কিন্তু আমার ব্যাক্তিগত পাতা ছাড়া লেখাটি আর কোথাও খুঁজে পেলাম না।
লেখাটি খুঁজে না পেয়ে সাংঘাতিক ভাবে আহত হই,সাথে আমার প্রিয়তমা স্ত্রীও।কেননা সে আমার লেখায় উৎসাহ উদ্দিপনা দিয়ে থাকে।তাকে না দেখিয়ে আমি কোন লেখা পোষ্ট করতে পারিনা।আসলে পারিনা এমন না, আমি করিনা।তাই সেও যখন দেখলো আমার লেখাটি কোথাও নাই, আমার চেয়ে সে বেশি আহত হলো। সে আহত হওয়ার আরেকটা কারন আছে তা হলো, সে আগেই মনে মনে ধরে নিয়েছিলো যে আমার লেখাটি নির্বাচিত পোষ্টে যাবে।
তো লেখাটি যখন খুঁজে পেলাম না, তখন রাগে দুঃখে ক্ষোভে আরেকটি লেখা পোষ্ট করি। শিরোনাম ছিলো "আমার সাথে এ আচরন কেন ? আমি কি আর লেখবনা।" সন্ধা ৭ টা ১৭ মিনিটে এ লেখাটি পোষ্ট হয়। ৫/৭ মিনিট পর দেখি আমার দেয়া শিরোনামটি পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে "আমার লেখাটি খুঁজে পাচ্ছিনা।" এটা দেখার পর আবার রাগ হলো। আমার স্ত্রী এডিটে গিয়ে পূর্বের শিরোনাম আবার নিয়ে এলো। ২/৩ মিনিট পর আবার দেখি শিরোনাম পরিবর্তন করে মডুদের দেয়া শিরোনাম ।
আমরা দুজনে আর সামনে এগুলামনা। স্ত্রীকে বলেছিলাম আমি আর ব্লগে লেখবনা।কিন্তু ৪০/৪৫ পর দেখি আমার বাবার উপর লেখা পোষ্ট টি নির্বাচিত পোষ্টে দেয়া হয়েছে। দেখার পর অনেক অনেক খুশি হয়েছিলাম, সাথে আমার স্ত্রীও। সে তখন দুষ্টামি করে জিগ্গেস করেছিলো আমি আর ব্লগে লেখব কি না ?
লেখাটি নির্বাচিত পোষ্টে দেয়ার জন্য মডুদের আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
এ লেখাটির উপর অনেকেই মন্তব্য করেছেন। ব্লগার নন এমন একজন পাঠক ও মন্তব্য করেছেন। তার মন্তব্যটি খুব আবেগময়। আমার হৃদয়ে লেগেছে মন্তব্য টি তাই আপনাদের সাথেও শেয়ার করছি।
মন্তব্যটি ...
Abdus Samad Azad · Works at Sub Editor The Daily Amar Desh
"পড়ে আমি চোখে জল ধরে রাখতে পারিনি। আমার আম্মা আর আব্বার কথা মনে পড়ে গেল। আমি বেশি দূরে থাকি না। ঢাকায় থাকি। আব্বা আম্মা থাকেন যশোরের মনিরামপুরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয় থেকে লেখাপড়া করে ভালো কোনো জব পায়নি। তাই অর্থ দিয়ে মা বাবাকে এখনো সহযোগিতা করতে পারিনি। শুধু নিজেই চলতে গিয়ে টাকা শেষ হয়ে যায়। ৩৩তম বিসিএস রিটেন দিয়েছি। সবার কাছে দোয়া চাই আমি যেন এমন একটা জব পাই তা দিয়ে সারাজীবন মা বাবার খেদমত করতে পারি। আপনার লেখাটা ভাল লেগেছে।"
বিষয়: বিবিধ
১৩২৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন