অনুগল্প: নিয়তি
লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ২৪ এপ্রিল, ২০১৬, ০৭:০১:৩৬ সন্ধ্যা
টানা পাঁচ সাতদিন বৃষ্টির পর আজ আকাশে সুর্য্যি মামার দেখা মিলেছে। রোদ ঝলমল আলোয় রঙ্গীন করেছে ভুবন।সাগরতীরেও আলোর ঝলমলানি।সুর্য্যের আলোয় চিকচিক করছে সাগরের পানি। এই পাঁচ সাতদিন ঘর থেকেই বের হয়নি ঝিনুকেরা। ক'দিন থেকে দুই ঝিনুকের বিয়ের কথাবার্তা চলছিলো। কিন্তু টানা বৃষ্টির কারনে কেও ঘর থেকে বের হয়নি।আজ সবাই বের হয়েছে।সাগরতীরের বালুতে ছোটছোট ঝিনুকেরা মনের আনন্দে এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি করছে। বড় ঝিনুকেরা এক যায়গায় মিলিত হয়েছে ঝিনুক সোনালি আর শাহজাদার বিয়ের আয়োজন করার জন্য। আজই বিয়ের কাজটা সম্পন্ন করতে হবে। এরকম হাস্যোজ্বল আলো সবদিন সবসময় পাওয়া যায়না।
যে যার মত কাজে লেগে গেছে। খাবার সংগ্রহ ও রান্নাবান্নার কাজ করছে কয়েকজন। কেও কেও বের হয়েছে আজকে যারা ঘর থেকে বের হয়নি তাদেরকে নিয়ে আসতে। বিয়ে বলে কথা, সকলের অংশগ্রহন চাই। যুবক ঝিনুকেরা লেগেছে শাহজাদাকে সাজাতে। অপর পাশে আবার যুবতি ঝিনুকেরা সোনালিকে নিয়ে মহা ব্যস্ত।
উত্তর আকাশে কি যেন একটা উড়ে আসছে তাদের দিকে। হয়তো কোন উড়োজাহাজ হবে ,তাদের মাথার উপর দিয়ে চলে যাবে তার গন্তব্যে।এটা নিয়ে এখন ভাবার কোন সময় নেই ঝিনুকদের। পরক্ষনেই হুশ আসে সকলের।যখন দেখে তাদের মাথার উপর একটা কালো শকুন ঘোরাঘুরি করছে। ঘোষনা হলো, সবাই জলদি জলদি ঘরে ঢুকে যেতে। ঘোষনানুযায়ী সবাই প্রাণপনে দৌড়াচ্ছে। এমনি সময় শকুন ছোঁ মেরে একটা ঝিনুক তুলে নিয়ে যায়। আর সে ছিলো সদ্য বিয়ের আসরে বসা সোনালি।
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৯ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে একটি কথা: কপাল না লিখে ভাগ্য বা নসীব বা তাক্বদীর বা নিয়তী লিখাটাই শ্রেয়। কেননা, হিন্দু ধর্মমতে জন্মের সপ্তম দিনে অন্তীম ঋষি এতে শিশুর কপালে তার ভাগ্য লিখে যান।
মুলসমানের ভাগ্য লিখা থাকে আল্লাহর সংরক্ষিত স্থানে, কপালে নয়। ধন্যবাদ
শিরোনাম পরিবর্তন করে দিয়েছি।
শকুন ছোবল মারেনা- ছোঁ মারে। আল 'জ্বলমল' নয় ঝলমল হবে। স্যরি। ধন্যবাদ।
আমি ঠিক করে দিয়েছি।
স্যরি সাথে লাগিয়েছেন বলে ধন্যবাদ দিলাম না।
সুন্দর গল্পকার
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন