স্বাধীনতা পদক কলংকিত!নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু পদক রাখা হোক
লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ২৭ মার্চ, ২০১৬, ১০:৫১:৩২ রাত
যারা দেশের উন্নয়নে তা হতে পারে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা উন্নয়ন, খেলাধুলার উন্নয়ন, শিল্প, সাহিত্য সংস্কৃতির উন্নয়নে ভুমিকা রাখেন তাদেরকে সরকারীভাবে নানান পদক দিয়ে তাদের অবদানের স্বীকৃতি ও সম্মান জানিয়ে থাকে পৃথিবীর অনেক দেশ। প্রত্যেক দেশের পদকের নাম ভিন্ন। আমাদের দেশেও একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক নামে জাতীয়ভাবে দুটি পদক প্রদান করা হয়। দুটি পদকই অতি সম্মানীয়।প্রতি বছরই একুশে ফেব্রুয়ারি মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একুশে পদক এবং স্বাধীনতা দিবস স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়। দুটি পদকই শুরু হয় বি এন পির প্রতিষ্টাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমল থেকে। অর্থাৎ শহীদ জিয়াই এই দুটি পদকের প্রবর্তক।
প্রথমেই বলেছি,দুটি পদকই অতি সম্মানীয় ও মর্যাদার। পদকের অর্থমান কত সেটার কেও হিসাব করেন না। কারো কাছেই অর্থমানটা মুখ্য নয়। সম্মানীয় ও মর্যাদার এই দুটি পদক যারা পেয়েছেন তাদেরকেও আমরা সম্মানিত ব্যাক্তিত্ব বলে মেনে নিয়েছি। যদিও এ দুটি পদক প্রদানে দলীয়প্রীতির অভিযোগ বরাবরই আছে। তবুও যাদেরকে এই পদক প্রদান করা হয়েছে তারা কেও ই পদক পাওয়ার অযোগ্য নন। এমনকি কেও ই পদকের জন্য লালায়িত ছিলেন না। ভেতরে ভেতরে কারো লোভ থাকলেও কেও কোনদিন কথা, আচার- আচরনে সামান্যতম প্রকাশ করেন নি।
ব্যতিক্রম হলো এবার, এবারের স্বাধীনতা পদকে। কবি নির্মলেন্দু গুণ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে স্বাধীনতা পদকের জন্য নাতিদীর্ঘ একখানা স্ট্যটাস প্রকাশ করলেন। এবারের স্বাধীনতা পদক প্রাপ্তদের লিস্টে তার নাম না থাকায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এবং হুমকিও। কাজে লেগেছে। ফেসবুকের স্টয়টাসের বদৌলতে স্বাধীনতা পদকের লিস্টে তার নাম উঠে আসে।তিনি পদক পেয়ে যান এবং প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তার আহবানে সাড়া দেয়ার জন্য। কিন্তু তিনি , তার সামান্য লোভ স্বাধীনতা পদকটাকে কলংকিত করে দিলো।
তাই প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমার আবেদন, কতকিছুর নামই তো আপনারা পরিবর্তন করেছেন। কারনে অকারনে নাম পরিবর্তন করার ইতিহাস আপনাদের আছে। এই কলংকিত নামটা পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু পদক রাখা হোক। এতে করে জিয়ার প্রবর্তিত নামটাও মুছে গেল আর কলংকও মোছন হলো।
বিষয়: রাজনীতি
১৫০৩ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হাসিনা রে হাসিনা
আইগগা হুছেনা!
সব কিছুইতো বাবার নামে নামকরণ হয়ে গেছে, বাকি আছে শুধু পাবলিকের নাম। তাই আমি প্রস্তাব করছি, পাব্লিক টয়লেটের নাম রাখা হোক, 'হাসিনা টয়লেট'।
এই জাতি সবচেয়ে বেশি চিন্তা গবেষণায় মত্ত হয়, টয়লেটে গিয়ে, তাই এই নাম রাখা হলে হাসিনা নামটি অমলিন হয়ে থাকবে
বঙ্গবন্ধু আর স্বাধীনতা পরস্পরের সম্পূরক, তাই এমন দেয়া হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা! যত্তোসব তামাশা!
জাস্ট কিছুক্ষন ফ্যান করা আর কি?
ওনারা আগামিতে এটার নাম পরিবর্তন করবে
হ্যা যদি ক্ষমতায় থাকতে পারে
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন