ছাত্র শিবিরের নেতা কর্মীকে ছাত্রজীবন শেষে শুধু জামায়াতে যোগ না দিয়ে আলীগ,বি এন পি তেও যোগ দেয়া দরকার
লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ১৭ আগস্ট, ২০১৫, ০৫:৪১:৫৬ বিকাল
সেদিন ফেবুতে এভাবেই একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলা।সেখানে অবশ্য দরকারের যায়গায় শব্দ ব্যবহার করেছিলাম, উচিৎ। অনেক ভাই বন্ধু কাছের মানুষজন মন্তব্য করেছেন। জায়েজ, না জায়েজের ফতোয়া দিয়েছেন। অনেকে বলেছেন, আমি সম্ভবত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছি। অনেকে ইনবক্সে,সরাসরি টেলিফোনে ব্যাখ্যা চেয়েছেন।সবাইকে বলেছিলাম, আমি পরে এই বিষয়ে বিস্তারিত লিখবো। সময়ের অভাবে লিখতে একটু দেরি হয়ে গেল।
প্রথমেই বলে রাখি,আমার এই লেখাটা একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তা। আমি না আবেগতাড়িত হয়ে, আর না ক্রুধান্বিত হয়ে এই লিখা লিখছি। এই লিখার সাথে সবাইকে একমত হতে হবে এরকমও কোন কথা নেই। তবে এই লিখার পক্ষে বিপক্ষে মন্তব্য হতে পারে । আমি সকলের প্রতি সম্মান জানাই।
ইসলামি ছাত্রশিবির মানুষ গড়ার কারখানা, এই বিষয়ে আপনারা অনেকেই একমত হবেন। আপনারা একমত হবেন যে, একমাত্র ছাত্রশিবিরই বাংলাদেশের ঘুনে ধরা সমাজ ব্যবস্হায়, শিক্ষাংগনে ছাত্রদের মনে আল্লাহর প্রতি ভয় ও অফুরন্ত ভালবাসা সৃষ্টি করে দিতে প্রতিষ্টাকাল থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। অসংখ্য ছাত্র,তরুন যুবক ছাত্রশিবিরের সংস্পর্শে এসে নিজকে মুসলমান হিসাবে পরিচয় দিতে বুকে সাহস ও হিম্মত লাভ করছে। জান্নাতের লোভে লালায়িত হচ্ছে,জাহান্নামের ভয়ে কাঁদছে অবিরত। সর্ব্বোচ্চ তাকওয়াবান, উন্নত চরিত্র ও অপরিসীম মেধা ও মননের যোগ্যতাসম্পন্ন দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরী করে যাচ্ছে এই ছাত্রশিবির।
ছাত্র শিবিরের নেতা কর্মীরা চাকুরী,ব্যবসা সহ সকল স্তরেই সফলতার স্বাক্ষর রাখছে। যে সময়ে বাংলাদেশ বারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে সেই সময়ে সাধারণ মানুষ ছাত্র শিবিরের বিদায় নেয়া নেতাদের সাথে ব্যবসাবাণিজ্য করতে উদ্ভোদ্ধ হচ্ছে। তাদের হাতে বড় অংকের টাকা পয়সা আমানত রাখতেও দ্বিধা করেনা। তার একমাত্র কারন, ছাত্র শিবিরই সে ধরনের মানুষ তৈরী করছে যারা দূর্নীতিমুক্ত ।
এই সৎ,সাহসী,দূর্নীতিমুক্ত,মেধাবী মানুষগুলো দেশের কাজে লাগা দরকার। আর দেশ ও ইসলামের কাজ করার জন্যই তাদেরকে ছাত্রজীবন শেষে শুধু জামায়াতে যোগ না দিয়ে আওয়ামীলগ ও বি এন পিতেও যোগ দেয়া দরকার। এতে করে বাংলাদেশের রাজনীতিতেও কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। অন্যান্ন রাজনৈতিক দলেও কিছু ভালো মানুষ আছে যারা সংখ্যায় নেহায়েত কম বলে কিছু করতে পারছেনা। যদি শিবিরের বিদায় নেয়া নেতারা অন্যান্ন দলে যোগ দেয় তবে সেই ভাল মানুষগুলোও কিছু একটা করতে পারবে।
একই মন মানসিকতার মানুষ যখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে তখন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও একটা সহনশীলতা সৃষ্টি হতে পারে। রাজনৈতিক হানাহানি কিছুটা হলেও কমতে পারে। শিবিরের বিদায় নেয়া নেতারা অন্য রাজনৈতিক দলে থেকে মন্ত্রী, এম পি হলে দেশ অন্তত কিছু ভালো মানুষ মন্ত্রী, এম পি হিসাবে পাবে। নীতিনির্ধারনি বৈঠকে বসলে এই নেতারা নিজের কথা না ভেবে দেশের কথা,দেশের মানুষের কথা ভেবে কল্যানমুলক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। সরকারের উচ্চপদস্ত কর্মচারি হলে দেশ পাবে দুর্নীতিমুক্ত একজন কর্মচারী।
জানি, এই মুহুর্তে এটা অনেক কঠিন। রাতারাতি এরকম হওয়াটাও আরো কঠিন,তবে অসম্ভব নয়। এরজন্য ছাত্র শিবিরকে তাদের কর্মসুচিতে (রাজনৈতিক)ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। তাদেরকে জামায়াতের লেজুরভিত্তি শতভাগ ছাড়তে হবে। তাদেরকে শুধুমাত্র ছাত্রদের নিয়েই ভাবতে হবে। ছাত্রদের সমস্যা সম্ভাবনায় তাদেরকে ভুমিকা রাখতে হবে। তাদের কাজ হবে শুধুমাত্র মানুষ তৈরী করে ভিবিন্ন প্লাটফরমে সাপ্লাই দেয়া। কে সরকারে আসলো, আর কে গেলো এসমস্ত বিষয়ে তাদের নাক গলানো বন্ধ করে দিতে হবে। আর এতে করে তাদের যে নেতা কর্মীরা অকালে প্রাণ হারাচ্ছে তাও অনেকাংশে কমে আসবে।
বিষয়: রাজনীতি
২৫৫০ বার পঠিত, ৩৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জামায়াত ও ছাত্রশিবির একই পথে হেঁটে যাচ্ছেন বলে পথে পরস্পরের দেখা ও সহযোগিতা। লেজুড়বৃত্তি নয়। আপনাকে এটা মানতে হবে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা সফল এবং আখিরাতে তাদের পুরস্কার অনিবার্য। যদিও তারা পার্থিব সফলতা নাও পাতে পারে।
জামায়াত থেকে বিএনপিতে যাওয়া ঐ এমপির সাথে একই শহরে একই পর্যায়ে বছরখানেক সাংগঠনিক কাজের সুযোগ হয়েছিল!
অসাধারণ দিলখোলা মুখলিস মানুষ ছিলেন তিনি! জামায়াতের সিদ্ধান্তে উচ্চপদের সরকারী চাকরী ছেড়ে নির্বাচন করে এমপি হলেন!
সেই মানুষটির পরবর্তী ইতিহাস বড়ই মর্মন্তুদ!!
আল্লাহতায়ালা তাঁকে ক্ষমা করুন!!
এসব দুষিত চিন্তা বাদ দিন। প্যারিসে বসে আইফেল টাওয়ারটার গোড়ায় গিয়ে দিকে সোজা উপরের দিকে তাকান..জনাব কিছু দেখিতে পেলেন কি??না পেলে সন্ধানী দৃষ্টি নিবদ্ধ করুন..
----এখন লীগরা একে অপরকে কুকুরের মত মারছে, তাকে আপনি ভাল বলছেন আর কি! আপনার লেখাটা হতাশাবানদের জন্য...
অনৈসলামিক সরকার আর ঘুষ খোড় বচের অধিনা চাকুরী করা গেলে, তাদের মেয়ে বিয়ে করে জামাই হওয়া গেলে তাদের সাথে রাজনীতি করা যাবেনা কেন?
আমার শ্বশুর বাদে তাদের সব আত্মীয় স্বজন বিরোধী মাইন্ডের জুনিয়ার থেকে সিনিয়র পর্যন্ত আওয়ামিলীগের অনেক নেতা নেত্রীও আছে। তাদের মধ্যে বর্তমান সরকারের ডিসি পর্যন্ত আছে।
আমরা পরিবর্তন কিন্তু সংশোধন চাইনা। যে কারণে কিছুই হয়না।
পরিবর্তনের জন্য সোংশোধন প্রকৃয়া শুরু করলে সমস্যা কোথায়?
চিন্তার স্বাধীনতা দেয়া দরকার। কয় বোতল খেয়েছেন জাতীয় মন্তব্য দুঃখ জনক।
চিন্তা-ভাবনা করা কর্তব্য বটে, তবে সেটা যেন বাস্তবতাবিবর্জিত না হয়!
সারকথা: অন্যদলে গিয়ে আর "শিবির" থাকা সম্ভব নয়!!
গোলাপজল মিশিয়ে পচাপানির দুর্গন্ধ দূর হয়না, বরং গোলাপজলটুকু অপচয়/নষ্ট হয়!! সুতরাং এমন চিন্তাও "আত্মহত্যার শামিল"
তবে আপনার "চিন্তা-ভাবনা করা"কে স্বাগত জানাই!! হয়তো এভাবেই একসময় ভালো কিছু বেরিয়ে আসবে, ইনশাআল্লাহ!!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
কারন এই দলগুলির মধ্যে আদর্শ বলতে কিছু নাই্
কারন এই দলগুলির মধ্যে আদর্শ বলতে কিছু নাই
একমত
বাংলাদেশের মানুষ আসলে জিনিস চিনে নাই ! সেজন্যই এই অভাগা দেশটারও কোন উন্নতিই হচ্ছে না !
বাংলাদেশী পোলাপানেরা মাস্টার্স পাশ করে সবচেয়ে ভাল যে চাকরি পেত তা হত : পান্জাবীদের জুতা সাফ করা ।
তবে ...যারা চামচামি করতে পারতো তাদের ভাগ্যে পাকিদের উচ্ছিষ্ট জুটতো । এতেই তারা ধন্য হয়ে যেত।
অনৈসলামিক সরকার আর ঘুষ খোড় বচের অধিনা চাকুরী করা গেলে, তাদের মেয়ে বিয়ে করে জামাই হওয়া গেলে তাদের সাথে রাজনীতি করা যাবেনা কেন?
আমার শ্বশুর বাদে তাদের সব আত্মীয় স্বজন বিরোধী মাইন্ডের জুনিয়ার থেকে সিনিয়র পর্যন্ত আওয়ামিলীগের অনেক নেতা নেত্রীও আছে। তাদের মধ্যে বর্তমান সরকারের ডিসি পর্যন্ত আছে।
আমরা পরিবর্তন কিন্তু সংশোধন চাইনা। যে কারণে কিছুই হয়না।
পরিবর্তনের জন্য সোংশোধন প্রকৃয়া শুরু করলে সমস্যা কোথায়?
চিন্তার স্বাধীনতা দেয়া দরকার। কয় বোতল খেয়েছেন জাতীয় মন্তব্য দুঃখ জনক।
দ্বীনী প্রয়োজনে এমন করলে আসলেই ফলদায়ক হওয়ার সম্ভাবনা বেশী!
দু,এক জন বিপথে যাবেই, তাই বলে সামগ্রিক অবস্থা পরিবর্তনে আপনার ভাবনার সাথে দ্বিমত পোষণ করছি না!
মন্তব্য করতে লগইন করুন