স্ট্যালিন সরকারের জামায়াত এবং হেমা মালিনী দর্শন আর ইনকিলাবের জামায়াত ধর্ষণ

লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ১৩ আগস্ট, ২০১৪, ০৯:১৫:০২ রাত



দেশ থেকে শশুর শাশুরী বেড়াতে এসেছিলেন প্যারিসে, তাদেরকে সময় দিতে গিয়ে ৩/৪ দিন নেটে বিচরণ করা হয়নি,রাতে একটু ফেবুতে চোখ বুলানো ছাড়া। আজ সকালে তাদেরকে ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে বিদায় দিয়ে এসে ল্যাপটপ অন করে ফেবুতে যেতেই চোখ পড়লো ইনকিলাব পত্রিকার একটি শিরোনামের উপর। শিরোনাম দেখেই লোভ জাগলো ভেতরে গিয়ে পড়ে দেখার যে,ভারতের সাবেক একজন নায়িকার সাথে জামায়াতের কি সম্পর্ক খোঁজে পেলো ইনকিলাব। লেখাটি আগাগুড়া সব পড়ে বুঝতে পারলাম, এ আর এমন কিছু না, পুরনো খাসলতের নতুন সংযোজন ছাড়া। জামায়াতের বিরুদ্ধে কিছু একটা লেখা দরকার তাই একটু কলম নিয়ে আঁকাআঁকি।

ইনকিলাবের ঐ কলামটি লিখেছেন স্ট্যালিন সরকার। কলামটির মুল উদ্দেশ্য জামায়াত ও আওয়ামী সম্পর্ক মানুষকে কানে ধরে বুঝানোর চেষ্টা। আর পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য ভারতের সাবেক অভিনেত্রী হেমা মালিনীর প্রসংগ ঠেনে আনা।কতভাবেই তো জামায়াতের বিরুদ্ধে লেখালেখি হলো,কোনো কিছুই দিয়েই তো আর এই দলটাকে ধরা যাচ্ছেনা তাই একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লেখা । কলামটি আগাগুড়া পড়ে আমার কাছে মনে হয়েছে এটা স্ট্যালিন সরকারের জামায়াত হেমা মালিনী দর্শন নয়, এটা ইনকিলাবের জামায়াত ধর্ষন । এটা ইনকিলাব পত্রিকার নতুন কিছু নয়,পুরনো খাসলতের নতুন সংযোজন মাত্র।

এই কলামটি পড়ে মনে হয়েছে লেখক সাধারণ মানুষকে কানে ধরে বুঝানোর চেষ্টা করছেন যে জামায়াতের সাথে আওয়ামীলীগের একটা গোপন সম্পর্ক হয়েছে। তার এই লেখায় আমার কিছু প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে যা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই।

তিনি লিখেছেন, জামায়াতের ওপর দিয়ে ক’বছর সুনামি বয়ে গেছে। দলের নেতাকর্মীদের জেল-জুলুম-নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে।


বর্তমান সময়ে তার কি ব্যতিক্রম হয়েছে,একটু কি তিনি ব্যাখ্যা করবেন।এখন কি সেই জেল-জুলুম-নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছেনা ? এইতো মাত্র সেদিন শিবিরের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদ সহ ১৯ জন নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হলো।রিমান্ডের নামে একজন আগামীর বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় সাহসী যুবককে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হচ্ছে। শিবিরের আরেক সাবেক সভাপতি বর্তমান সিলেট মহানগর জামায়াত আমীর এহসানুল মাহবুব জোবায়েরকে গ্রেফতার করা হলো। আমার প্রিয় বড়লেখার কয়েকজনকে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে গ্রেফতার করে জেলে ঢুকানো হলো। বিয়ের হাতের মেহদী শুকানোর আগে গ্রেফতার করা হলো সিলেট মহানগর শিবিরের সাবেক সভাপতি শফিকুল আলম মফিককে। এগুলো কি নির্যাতন না ?

মগবাজারের দলের কেন্দ্রীয় সদর সফতর, পল্টনের ঢাকা মহানগর কার্যালয়সহ মাঠ পর্যায়ের অনেক কার্যালয় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।


ওগুলো কি এখন খুলে দেয়া হয়েছে ? এখনোতো প্রায় সারা দেশেই জামায়াত শিবিরের কার্যালয় বন্ধ হয়ে আছে।

জামায়াত-শিবির দেখলেই তেড়ে যেত আইন শৃংখলা বাহিনী।


এখন কি তেড়ে আসা বন্দ করেছে পুলিশ ? এখনো জামায়াত শিবির মিছিল করতে পারেনা। তা কেন ?

এই দলটির কেন্দ্র থেকে শুরু করে শেকড় পর্যায়ের অনেক নেতা ছিলেন ফেরার।


ঐ ফেরার নেতারা কি ঘরে ফিরেছেন ? এখনো তো দেখি হাজার হাজার নেতা কর্মী পালিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। হাজার হাজার নেতা কর্মী তাদের প্রিয় ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে পারছেন না। অসংখ্য ছাত্রের শিক্ষাজীবন আজও হুমকির মুখে।

মানব চরিত্রই হলো কারো ওপর অন্যায়ভাবে জুলুম-নির্যাতন হলে তার প্রতি মানুষের সহানুভূতির সৃষ্টি হয়। কিন্তু জামায়াতের ক্ষেত্রে দেখা গেল ব্যতিক্রম। সুবিধাবাদী আর ধুরন্ধর কৌশলী হওয়ায় দলটি মানুষের সহানুভূতি আদায় করতে পারেনি।


এটা শুধু আপনাদের পত্রিকার পাতায় আর টিভি চ্যানেলের চোখে। গত উপজেলা নির্বাচন দেখেও যদি সাধারণ মানুষের সহানুভুতির বিষয়ে আপনাদের প্রশ্ন সৃষ্টি হয় তাহলে আপনাদের বিবেক নিয়ে আমাদের প্রশ্ন সৃষ্টি হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক নয় কি ? এক মিনিট চিন্তা করে দেখুন যদি ঐ নির্বাচনে বি এন পি বিশ্বাসঘাতকতা না করতো এবং আওয়ামীরা জোরপূর্বক সবকিছু দখলে না নিত তাহলে নিশ্চয় আপনি মানুষের সহানুভূতি টের পেতেন।

শাপলা চত্বরে পুলিশের সঙ্গে ফুল বিনিময়ের মাধ্যমে এটা শুরু হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।


পুলিশের সংগে গুলাগুলি হলে নিশ্চয় খুশি হতেন ?

সে সময় হেমা গর্ব করে বলেছিলেন, ‘আমি সঞ্জীব কুমারের প্রেমিকা থাকবো; কিন্তু ধর্মেন্দ্র’র সন্তানের ‘মা’ হবো। হেমা মালিনীর এ বক্তব্য নিয়ে সিনে ম্যাগাজিনগুলো চুটিয়ে ব্যবসা করেছে কয়েক মাস।


আপনারাও কি সেই একই ব্যবসায়িক ধান্ধায় এরকম চটকদার কলাম লিখছেন না ?

সাঈদী ইস্যুতে আন্দোলনে জামায়াত-শিবিরের যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের সহায়তা করলেও জামায়াতের বাইরে যারা নিহত হন তাদের খোঁজ নেয়নি দলটি।


এই ধরনের একটি মিথ্যা আপনাদের কলম দিয়ে আসাটাই সম্ভব। ভুক্তভোগীরাই জানে জামায়াত তাদের জন্য কি করছে।

নির্বাচনের আগে দলটির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৩০ হাজার মামলা হয়েছে। আর নির্বাচনের পরে হয়েছে মাত্র ৫ হাজার।নির্বাচনের আগে ৫০ হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। আর নির্বাচনের পর এখন পর্যন্ত মাত্র ১০ হাজার নেতাকর্মী আটক হয়েছেন।


নির্বাচনের আগের সময়টা কতটুকু তা তো বললেন না। এটা কি নির্বাচনের পরের এই ৭ মাস, নাকি ৭ বছর। তাছাড়া সরকার নিবির্বিঘ্নে নির্বাচন করার স্বার্থে যে ধরপাকড় করেছে এখনো কি সেই ধরপাকড় করবে ? নাকি মনোকষ্টে আছেন ৫ হাজারের যায়গায় কেন ৫০ হাজার মামলা হলোনা ? ১০ হাজারের যায়গায় কেন ১ লক্ষ গ্রেফতার হলোনা।

সরকারের এক মন্ত্রী লন্ডনে জামায়াতের অন্যতম এক শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন বলে মিডিয়ায় খবর বেরিয়েছে।


এই ধরনের খবরের কোন সত্যতা আছে কি ? আপনিই তো বলছেন খবর বেরিয়েছে। আর এ ধরনের খবর আপনারা জামায়াতের বিরুদ্ধে হরহামেশা করে থাকেন।

এতদিন সামনে থেকে বিরোধী জোটের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকলেও এখন জামায়াত সুর বদল করেছে। তারা এখন বিএনপির পেছনে আন্দোলনের মাঠে থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। আন্দোলন ইস্যুতে বিএনপির ডাকে আর আগের মতো সাড়া দিচ্ছে না দলটি।


এতদিন সামনে থেকে আন্দোলন করে জামায়াত দেখেছে যে পেছনে আর কেও থাকেনা,তাই হয়তো জামায়াত এখন পেছনে আসার চিন্তা করছে। আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে জামায়াত দেখতে পেয়েছে যে আর কেও মাঠে থাকেনা, সবাই খালেদা জিয়াকে বালুর পাহাড়ে একা ফেলে রেখে শাড়ী আর হাতে চুড়ি পড়ে ঘরে বসে আরাম করেছেন । জামায়াতের কি দায় পড়েছে যে আগে থেকে তারাই মাঠে থাকবে,পুলিশের গুলিতে মরবে,নির্যাতনের শিকার হবে । আর অন্যরা ঘরে বসে ক্ষমতায় যাওয়ার এবং ক্ষমতায় যাওয়ার পর ভাগবাটোয়ার হিসাব করবে।

সরকারের সঙ্গে জামায়াতের সমঝোতার সন্দেহ আরো বাড়ছে।


এই সন্দেহ বাড়ছে একদিকে সরকারের কোটকৌশল অপরদিকে সরকার আপনাদেরকে কিনে নিয়ে এই ধরনের চটকদার কলাম লিখানোর মাধ্যমে।

সত্যিকার অর্থে আপনারা এই মুহুর্তে জামায়াতের বিরুদ্ধে লেখার মত কিছু খোঁজে পাচ্ছেন না মনে হয় তাই এই অপকৌশল। জামায়াত হয়তো বর্তমান সময়ে কিছুটা কৌশলী হয়েছে । তাদের নিজেদের কর্মী সমর্থকের জান মালের নিরাপত্তায় রাজনৈতিক কর্মসূচী পালনে হয়তো তারা হয়তো কিছুটা কৌশল অবলম্বন করছেন। এই কৌশল অবলম্বন করাটা কি নাজায়েজ। নাকি আপনাদের পেটব্যাথা শুরু হয়েছে যে জামায়াত কেন আগের মত মিছিল মিটিং করছে না । হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার হচ্ছেনা । নিরীহ কর্মী সমর্থক পুলিশের গুলিতে মরছে না। আপনাদের পেটব্যাথা বাড়ানোর জন্য জামায়াতের আরো কৌশলী হওয়া দরকার বলে সাধারণ মানুষ মনে করে।

বিষয়: বিবিধ

১৬৯৩ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

254022
১৩ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:২৮
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ক্রীম ভুগিদের মাথাব্যথা ওপেটব্যাথা বাড়ানোর জন্য জামায়াতের আরো কৌশলী হওয়া দরকার সাধারণ মানুষও তাই মনে করে। লেখাটি ভালো লাগলো আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ০১:৫৯
198506
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
254025
১৩ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:৩৭
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : এইখানেও দেখলাম, Worried Worried Applause Applause

Click this link
১৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:০০
198507
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : জ্বি আমিও দেখেছি এবং খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ
254027
১৩ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:৪৬
হতভাগা লিখেছেন : ইতিহাস সাক্ষী : জামায়াতের সাথে আওয়ামী লীগের আঁতাত হয় । যার ফলে লাভবান হয় শুধুই আওয়ামী লীগ ।

১৯৯১ সালে ১৪৬ টা আসন পেয়ে ১৭/১৮ টা আসন পাওয়া জামায়াতের সাথে জোট করে সরকার গঠন করে বিএনপি । কয়েক বছর পর এই জামায়াতই আওয়ামী লীগের সাথে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে আন্দোলন শুরু করে যেটা ছিল জামায়াতেরই ফর্মূলা ।

ঘাদানিক নিয়ে যে জামায়াতকে কোন ঠাসা করে ফেলা হয়েছিল , জাহানারা ইমামের মৃত্যুর পর সেই জামায়াতই আওয়ামী লীগের সাথে যোগ দেয় সরকারের জোটের শরীক হওয়া সত্ত্বেও ।

১৯৯৬ এ জয়লাভের পর আওয়ামী লীগ সরকারে আর জামায়াত ২-৩ টা আসন পেয়ে বিএনপির সাথে বেঈমানী করা জামায়াত আবারও অস্তিত্বের সংকটে পড়ে যায় ।

পরে ২০০১ সালে আবার বিএনপির সাথে জোট করে মন্ত্রীত্বও লাভ করে ।

এই গত দুই যুগ বিশ্লেষন করলে দেখা যায় যে , জামায়াত বিএনপির সাথে বেঈমানী করে তত্ত্বাবধায়ক এনেছে যার আসল লাভ পেয়েছে আওয়ামী লীগ । এখনও ভোগ করছে ।

জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি বিপাকেই পড়েছে - এক জামায়াতের বেঈমানীর কারণে , আরেক জামায়াতের খাসলতে কারণে ।


জামায়াতের সাথে আওয়ামী লীগেরই আঁতাত হয় । কারণ এক কাদের মোল্লার পর আর কারও ফাঁসি কার্যকর হচ্ছে না ।
১৪ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৮
198062
আবু নিশাত লিখেছেন : লেখায় সামান্য ভুল হয়ে গেছে । তা হলো আওয়ামিলীগ এবং বি.এন.পি বিভিন্ন সময়ে জামায়াতের সাথে আতাত করে নিজেরাই বেঈমানি করেছে । আপনি বলছেন, কাদের মোল্লার ফাঁসী হলো, আর কোন ফাঁসী হলো না । এখানে আপনি আঁতাত দেখছেন । কিন্তু আওয়ামিলীগের নোংরা রাজনীতি দেখছেন না । আওয়ামিলীগ এই অস্ত্রের মাধ্যমে জামায়াতকে আন্দোলন হতে দূরে রাখার নীতি গ্রহণ করছে । আর নির্ভীক জামায়াত বলছে, বি.এন.পি তুমি তোমার কর্মী নামাও, আমরাও নামব, তুমি বাড়ীতে বসে থাকবে, আর আমরা রাজপথে মরব, এরপর কলা তুমি খাবে, কী চমৎকার ! জামায়াত নেতারা তো দেশে থেকে জেলে আছে, ফাঁসী হচ্ছে, তারেক জিয়াকে বলুন, দয়া করে দেশে আসার জন্য । আসলে কী হবে বলুন ? আওয়ামিলীগ নির্যাতন করবে, জেলে ভরবে, কিন্তু আন্দোলন তো জমবে । বি,এন,পি নেতারা এতটুকু ত্যাগ স্বীকার করবে না, আর জামায়াত নেতা-কর্মীরা জেলে থেকে আর কত ত্যাগ স্বীকার করবে ?
১৪ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৩৫
198100
হতভাগা লিখেছেন : এখন তো জামায়াতকেই বিএনপির ঋণ শোধ করতে হবে ।

০ যে দলটা তাদেরকে আওয়ামী লীগের ছোবল থেকে আগলে রেখেছে সবসময়

০ মুক্তিযোদ্ধাদের দল হয়েও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের কাছে টেনে নিয়েছিল দলমত নির্বিশেষে দেশ গঠন করার কাজে তাদেরকে অবদান রাখার সুযোগ দেবার জন্য

০ এসব করে চার দিক থেকে সমালোচনার তীর সয়ে গেছে
০ মুক্তিযোদ্ধাদের দল হয়েও জামায়াতের মত দলকে কোলে তুলে নেওয়ায় যুদ্ধে তাদের অবদানকেও প্রশ্নবিদ্ধ করতে শুরু করেছে অনেকে
ো০ জামায়াতকে দেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে যে দলটির প্রতিষ্ঠাতা

০ বিট্রে করার পরও যে দলকে পরে জোটে নিয়েছে , মন্ত্রীত্বও দিয়েছে

০ যাদেরকে সমর্থন দেওয়ার কারণে গত ৭-৮ বছর বিএনপি ক্ষমতার বাইরে


সেই দলটির জন্য কখনও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নি জামায়াত , বরং তাদের শত্রু সাথে সময় সুযোগ বুঝে হাত মিলিয়েছে ।

জামায়াতকে বিএনপি যেভাবে পেট্রোনাইজ করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মন্ত্রীত্বের স্বাদ পাইয়ে দিয়েছে , তার ঋণ জামায়াতের প্রত্যেকটি সদস্যের গায়ের চামড়া দিয়ে জুতা বানিয়ে দিলেও শোধ করা যাবে না ।
১৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:০৫
198508
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : "১৯৯৬ এ জয়লাভের পর আওয়ামী লীগ সরকারে আর জামায়াত ২-৩ টা আসন পেয়ে বিএনপির সাথে বেঈমানী করা জামায়াত আবারও অস্তিত্বের সংকটে পড়ে যায় ।"

বি এন পির সাথে বেইমানি করা জামায়াত- এখানে জামায়াত কি রকম বেইমানি করেছে যদি একটু ব্যাখ্যা করেন। জামায়াত কি বি এন পির সাথে এরকম কোন চুক্তি করেছিলো যে সব সময় বি এন পির সাথে থাকবে ? যা পরে জামায়াত ভংগ করেছে ? আপনার প্রতিটি কথার জবাব দিতে গেলে এই পোস্টের মত আরেকটি পোস্ট দিতে হবে। এই মুহুর্তে সেই সময়টুকু আমার নেই।
১৭ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৭
199004
হতভাগা লিখেছেন : বেঈমানী করেছে চুক্তি হিসেবে না । বেঈমানী করেছে সাথে রাখার পরও পরে বিরোধীদের সাথে হাত মিলিয়ে ফর্মুলা এনে বিএনপিকে বিপাকে ফালানোয় ।

এখন সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে এসে তত্ত্বাবধায়ককেই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে , করেছে সেই আওয়ামী লীগ যাদেরকে সঙ্গ দিয়েছিল জামায়াত ১৯৯৪-১৯৯৬ তে । বলা হয় যে জামায়াতের রাজনীতি দূরদর্শী সম্পন্ন । জামায়াত কি বুঝতে পারে নি যাদেরকে তারা এই সুযোগ করে দিয়েছে তারাই আবার তাদেরকে এটা দিয়ে ঝামেলায় ফেলবে ।

বিএনপি জামায়াতের প্রতি কখনও হস্টাইল ছিল না যতটা না আওয়ামী লীগ জামায়াতের প্রতি । অথচ আঁতাতের বেলায় জামায়াতের সাথে আওয়ামী লীগকেই দেখা যায় ।

৯৬ এ জামায়াতের ফর্মুলা নিয়ে জয়লাভ করলেও আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছিল জাতীয় পার্টিকে নিয়ে ।

বিএনপি ঠিকই জামায়াতকে মন্ত্রীত্ব দিয়েছিল জোটের শরীক হিসেবে । যেটার ঘানি বিএনপিকে এখনও টানতে হচ্ছে ।

বিএনপিকে ক্ষমতা থেকে বাইরে রেখেছে জামায়াতকে দেওয়া মন্ত্রীত্বের ভার । আর বিএনপি যদি আজকে ক্ষমতায় থাকতো তাহলে কি আজকে জামায়াতের এই পরিনতি হত ?

জামায়াতের সমর্থকদের এত অহংকার করা সাজে না । জামায়াত সামনে যক্সদি পাওয়ারে যেতে চায় তাও এই বিএনপিকে সাথে করে যেতে হবে । আর আগামীতেও যদি আওয়ামী রাজ চালু থাকে তাহলে জামায়াতের কি অবস্থা হবে আপনারা মনে হয় চিন্তায়ও আনেন নি ।
হয় আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করতে হবে ( যেটা জামায়াত ইউজুয়ালীই করে এবং এটাই সম্ভাব্য ) না হয় বিএনপির ঋণ শোধ করতে হবে ।
১৭ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৯
199006
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : তাহলে তো আপনাকে বেইমানী কাকে বলে ও বেইমানী কত প্রকার ও কি কি সেটা আগে জানতে হবে।
১৭ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৮
199034
হতভাগা লিখেছেন : জানান
254033
১৩ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:৫৮
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : পুরোটাই পড়লাম ভালো লাগলো। খুবই বিশ্লেষণধর্মী লেখা। এত অন্তত যারা ঘোরের মধ্যে আছে তাদের কান খাড়া হবে।
১৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:০৬
198509
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : যারা জেগে জেগে ঘুমায় তারা কোনদিন জাগবেনা।ধন্যবাদ
254039
১৩ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:০২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো
কি লিখতে কি লিখবে সেটাই এরা যানেনা।
১৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:০৭
198510
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : তাই বলে যা ইচ্ছা তাই লিখবে ! তাহলে মহসিন আলীর বক্তব্যকে সমর্থন করতে হয়।
254043
১৩ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:০৩
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : জামায়াত নিয়ে লিখা ওদের অনেক জরুরি কারণ নতুন নীতিমালা এসেছে যে। আমার তো মনে হয় নতুন নীতিমালার তিল মালিশ সরূপ এই রিপোর্ট।
জাময়াত কে নিয়ে প্রতিদিন একটা না একটা প্রত্রিকাতে লিখা হচ্ছে মিথ্যে বানোয়াট কাহিনী দিয়ে।
টুডে ম্যগাজিন কে অনেক ধন্যবাদ লিখাটি টুডে ম্যগাজিন কে অনেক ধন্যবাদ লিখাটি ম্যাগাজিনে প্রকাশ করার জন্য Rose
১৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:০৯
198511
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আস্তে আস্তে বিডিতে লেখার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিলাম। এই লেখাটা তারা ম্যাগাজিনে দেয়াতে আবার নতুন করে উৎসাহ উদ্দিপনা পেলাম।ধন্যবাদ আপনাকে ও কর্তৃপক্ষকে।
254072
১৩ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:৫৯
সুশীল লিখেছেন : জামাটি লেখা
১৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:০৯
198512
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : সত্য খুবই তিতা।
254102
১৪ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:০৩
শান্তমনা লিখেছেন : ভালো লাগলো
১৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:০৯
198513
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : ধন্যবাদ।
254118
১৪ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৬:১৯
কাহাফ লিখেছেন : স্ট্যালিন কে কৃমির ট্যাবলেট গিলানো হোক.............।
১৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:১০
198514
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : ব্যবস্হা করা যেতে পারে।
১০
254757
১৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৩:১৩
অজানা পথিক লিখেছেন : অাবাল কি আর গায়ে লেখা থাকে? একেকটা রিপোর্ট পড়লেই বোঝা যায়।

যতসব আবালের দল!
১৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৪:১৮
198523
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আবালদের প্রতিটি কথার জবাব দেয়া দরকার।
১১
255272
১৭ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:০৫
এস এস মারজান লিখেছেন : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানেই জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বলা ।
১৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৩:১৪
199095
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : ধন্যবাদ।
১২
258521
২৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৪৭
কথার_খই লিখেছেন : দর্শন নাকি ধর্ষণ??? শিরোনামটা দেখে সঠিকটা জানান প্লিজ।
২৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:০৬
202170
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : এখানে একটা দর্শন আর একটা ধর্ষন।
২৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:৫০
202259
কথার_খই লিখেছেন :
২৭ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:১৪
202288
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : প্রথমে আমি ভাবছি আপনি দর্শন আর ধর্ষন ভুল বুঝেছেন। এখন দেখতেছি না, আপনি ধর্ষণের বানান কোনটা সেটা জানতে চাচ্ছেন। তাহলে বলি আপনারটাই সঠিক। ধন্যবাদ
২৭ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:৪৫
202289
কথার_খই লিখেছেন : সংশোধন করা জরুরী নয় কি?

কেন সংশোধনের কথা বলছি আগামী ১ তারিখে বুঝবেন। Waiting

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File