প্রিয় ব্লগারদের উদ্দেশ্যে কিছু কটুকথা
লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ০১ জুলাই, ২০১৪, ১০:০১:৩২ রাত
আসসালামু আলাইকুম। সম্মানিত ব্লগাররা রামাদ্বান কেমন কাটছে ? রাহমাতের দিনগুলো আমরা অতিক্রম করছি। আমরা সকলেই যেন আল্লাহর রাহমাতপ্রাপ্ত হই সে দোয়া থাকলো।
আপনাদের সাথে একটা বিষয় শেয়ার করতে চাই। অনেকে নাক চিটকাবেন, অনেকে রাগান্বিত হবেন, আবার অনেকে আনন্দিত হবেন এবং অনেকে এই বিষয়ে কমেন্ট করবেন।
আপনাকে একটা প্রশ্ন করি, জ্বি আমি আপনাকেই বলছি, একটা প্রশ্ন করি আপনাকে ?
আচ্ছা, আপনিতো একটা কিছু পোস্ট করার পর আবার আপনার প্রিয়দেরকে আমন্ত্রন করেন পোস্টখানা পড়ার জন্য। যখন দেখেন আপনার পোস্ট অনেকে পড়েছে এবং যাদেরকে আমন্ত্রন জানিয়েছিলেন তারা অনেকে মন্তব্য করেছে তখন আপনার কেমন লাগে ?
নিশ্চয় খুব ভালো লাগে, তাইনা ।
হা, আমারও ভালো লাগে খুব।
প্রশ্নটা হলো, আপনাকে যখন কেও পোস্ট পড়ার জন্য আমন্ত্রন জানায় তখন আপনি কি ঐ পোস্টখানা পড়েন ?
অনেকে পড়েন, আবার অনেকেই পড়েন না বলে মনে হয়। বা পোস্টখানা খুলে দেখার প্রয়োজনীয়তা মনে করেন না, বা নিজেকে বড়মাপের একজন লেখক মনে করে অন্যদের লেখা পড়ার প্রতি অনিহা কাজ করে।
আচ্ছা আপনি যখন একজন ব্লগারকে প্রতিনিয়ত পোস্ট পড়ার আমন্ত্রন জানিয়ে তার কাছ থেকে কমেন্ট পেয়ে থাকেন তখন আপনার কি সামান্যতম ইচ্ছা হয়না বা সৌজন্যতাবশত তার পোস্টে গিয়ে দু'একটি কমেন্ট করার ।
এমনও ব্লগার আছেন যারা প্রতিদিনই ব্লগে আসেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে লেখা পোষ্ট করেন এবং তাকে দেয়া মন্তব্যের জবাব দেন। কিন্তু তাকে আমন্ত্রন করা পোস্টে কালেভদ্রেও কোন কমেন্ট পাওয়া যায়না। কেনরে ভাই, আপনি কোন জমিদার যে আমরা শুধু আপনাকে কমেন্ট করবো আর আপনি নিজেকে একজন কেও মনে করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলবেন। অনেকের নাম উল্লেখ করে বলতে পারি,কিন্তু ব্লগের পরিবেশ সুন্দর রাখার স্বার্থে সেদিকে গেলাম না।
অনেকেই বলবেন ভাই আমি খুবই ব্যস্ত তাই.......।
ভাইরে আপনার ব্যস্ততার দৌড় তো দেখদেছি। আজাইরা পোস্ট লিখে সময় কাটাতে পারেন,নিজের পোস্টের মন্তব্যের জবাব দেয়ার সময় ঠিকই আছে,কিন্তু অন্যের পোস্টে যাওয়ার আপনার সময় নেই।
গতকাল একটি পোস্ট দিয়েছিলাম, প্রিয়দেরকে আমন্ত্রনও জানিয়েছি। কিন্তু সেখানে এখন পর্যন্ত মাত্র ৪ টি মন্তব্য এসেছে। অথচ গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত আমি অন্তত ২৫ টি মন্তব্য করেছি। যারা আমাকে আমন্ত্রন জানিয়েছে তাদের পোস্ট পড়েছি এবং যথাসম্ভব মন্তব্য করেছি।
যাদেরকে পড়ার আমন্ত্রন জানিয়েছি তারা অনেকেই এই সময়ে ব্লগে এসেছেন, লেখা পোস্ট করেছেন এবং তাদেরকে আমার দেয়া মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন।কিন্তু শুধু আমারটা পড়ার সময় নেই তাদের।
এখন আমি যদি সিদ্ধান্ত নেই কাওকে পড়ার আমন্ত্রন জানাবো না এবং কারো আমন্ত্রনে সাড়াও দেবনা তাহলে কেমন হয় ?
অনেক নতুন ব্লগারও আছেন যারা মন্তব্য করতে খুবই কার্পন্য করেন। অথচ তাদের ব্লগে আমরা নিয়মিত যাওয়ার এবং মন্তব্য করার চেষ্টা করে থাকি।
কি মন খারাপ করছেন নাকি ? মন খারাপ করবেন না। বিষয়টা একটু চিন্তা করে দেখুন। দুনিয়াটা হচ্ছে দেয়া নেয়ার মধ্যে। শুধু আপনি পাবেন তা কিভাবে আমি মেনে নেব।
বিষয়: বিবিধ
১৩৫৫ বার পঠিত, ৪৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক শুভেচ্ছা।
তবে সবার মঝে আন্তরিকতা থাকুকু এটা প্রত্যাশা। ধন্যবাদ।
ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করি কোন পোষ্ট পড়ে তারপর মন্তব্য করার জন্যে।
সাইফুল ভাই,
প্রতিদিন ব্লগে আসা হয় না, কয়েক দিন না আসলেই দেখা যায় ২০০/২৫০ উপরে পোষ্ট জমা হয়ে আছে। অহেতুক যেমন চাকুরী দোহাই দেয়া ঠিক না আবার কারো সময়ের স্বল্পতার ব্যাপারটাও আমলে নেয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি।
যারা দিনে ২/৩ টা পোষ্ট করেন তাঁরা নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যবান কেননা, প্রথমত তাঁদের হাতে অফুরন্ত সময় আছে এবং দ্বিতীয়ত তাঁরা ভালো লেখক কিংবা ব্লগার ।
আমি ভাই ইচ্ছে করলেও যেমন যখন তখন লিখতে পারিনা তেমন ইচ্ছে করলেও আবার ব্লগেও আসতে পারিনা। এটা আমার অক্ষমতা, ধন্যবাদ।
হ্যাঁ পোষ্ট না পড়ে ও "ধন্যবাদ", "ভাল লাগলো" জাতীয় কমেন্ট করা যায় বৈ কি! তাতে মজাটা আর থাকেনা। তবে কমেন্টের ব্যাপারে আমি নিজে ও হাঁড় কিপটে। তবে নিজে কখনো কাউকে আমার পোষ্টে দাওয়াত করেছি বলে মনে পড়েনা।
লিখাটি পড়া শেষ করে নিজেকে বেশ অপরাধী-ই লাগলো! তবে, এ ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে কিছু জিনিস শেয়ার করতে চাই। মুদ্রার অপর পিঠ টাও জানা থাকা উচিত বলে মনে করি-
# খুব বেশি জরুরি না হলে বিপরীত লিঙ্গের সাথে মন্তব্য-প্রতি-মন্তব্যে না জড়াতেই পছন্দ করি। মেয়েদের কন্ঠ-স্বর থেকে উপস্থিতি টাও যে পর্দার অন্তর্ভুক্ত- এই নিয়ে কিছু পড়া-শোনা করার পরে, বিশেষ করে, নবী(সাঃ) এবং সাহাবীরা ছেলে-মেয়ে মিক্সিং এর ক্ষেত্রে কি পরিমাণ সাবধানতা অবলম্বন করতেন, সেটা জানার পরে, নন-মাহরাম ছেলেদের পোস্টে মন্তব্য করতে রীতিমতন ভয় লাগে!
তারপর, রিয়া্-র ভয় রয়েছে, সময়, অহেতুক তর্ক-বিতর্ক, ফিত্নার ভয়, -- সব মিলিয়ে পর্দার আড়ালে থাকতেই পছন্দ করি। লিখা পড়া হয়, ভালো লেখকের জন্যে মন থেকে দুয়া-ও করা হয়, তবে মন্তব্য টা আর করা হয়না সে জন্যে ইচ্ছে করেই!
আর ভাবি, আপনার লিখা যদি আল্লাহ্ সুবহানুতা’আলার খাতিরে লিখা হয়ে থাকে, তাহলে কতজন মন্তব্য করলো বা না করলো, কে পড়লো বা না পড়লো- সেটা আসলেই কোন ব্যপার না! ইন শাআল্লাহ্ প্রতিদান আসবে সাত আসমানের উপরের স্রষ্টা থেকে! এই দুনিয়ার সৃষ্টি থেকে নাই বা আসলো!
আবার, উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার দেওয়ারো দরকার আছে! আর সেটাও বিপরীত লিঙ্গের সাথে Interaction করার ক্ষেত্রে যথাসাধ্য পর্দার মধ্যে থেকে করার চেষ্টা করা উচিত বলবো!।
এত কথা বললাম, ভুল কোন হয়ে গেলে ক্ষমাপ্রার্থী
... শুকরিয়া!
মন্তব্য করতে লগইন করুন