একটি গল্প ও আজকের বাস্তবত।। জামায়াত শিবির খাইয়া ফেললে কারো অস্তৃত্ব থাকবেনা

লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৫:২৮:১০ সকাল

প্রথমেই গল্পটা দিয়ে শুরু করি।

এক পাহাড়ের পাদদেশে ৩ টি গরু একসাথে ঘাস খাচ্ছে।খুব চমৎকার এবং সুন্দর।একটির গায়ের রং কালো, একটির সাদা, আর অপরটির লাল। ঐ পাহাড়ে ছিলো আবার একটা বাঘ।

বাঘটি প্রতিদিনই এসে দেখে যায় গরু গুলোকে। কিন্তু গরু গুলোর উপর আক্রমন করার সাহস করতে পারছেনা।কারন গরু ৩ টি যদি একজোট হয়ে তার উপর পাল্টা আক্রমন করে তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।এই ভয়ে সে আক্রমন করা থেকে বিরত থাকে।

কিন্তু তাকে তো বসে থাকলে চলবেনা।গরু গুলোকে তার খেতেই হবে।এখন কি করা।এ নিয়ে সে চিন্তা করলো।শেষে বের করলো একসাথে গরু গুলোর উপর আক্রমন করবেনা।একটা একটা করে সে ৩ টিকেই খাবে।

সে একটা বুদ্ধি বের করলো।

বুদ্ধি অনুযায়ী সে প্রথমে লাল ও সাদা গরু দুটিকে বললো, তোমরা দুজন কতইনা সুন্দর।একজনের গায়ের রং লাল, আর একজনের সাদা। তোমাদের সাথে ঐ কালোটা বড়ই বেমানান। তাই আমি যদি ঐ কালোটাকে খেয়ে ফেলি তাহলে থাকবে শুধু তোমরা দুজন।তোমরা দুজনকে দেখাবেও সুন্দর আর এখানের সকল ঘাস তোমরা দুজনেই খেতে পারবে।

লাল আর সাদা গরু দুটি বাঘের কথায় সায় দিল। অমনি বাঘ কালো গরুটিকে আক্রমন করলো এবং খেয়ে ফেলল।

কিছুদিন পর বাঘ আবার লাল গরুটিকে বললো, তুমি কতই না সুন্দর, তোমার গায়ের রং লাল, তোমার সাথে সাদা বড়ই বেমানান। তুমি যদি নীরব থাক তাহলে আমি তাকে খেয়ে ফেলি। তাহলে তুমি থাকবে একা, তোমাকে সুন্দর লাগবে, আর এখানের সব ঘাস তুমি একা খেতে পারবে।লাল গরুটিও বাঘকে সায় দিলো।আর অমনি বাঘ সাদা গরুটিকে খেয়ে ফেলল।

পরদিন লাল গরুটিকে খেতে বাঘের আর অনুমতি নিতে হয়নি।

এ গল্পটি হয়তো অনেকেই জানেন।

আজকের বাংলাদেশের অবস্তাও আমার কাছে মনে হচ্ছে এ রকমই। আমি জানিনা, জামায়াত শিবির ছাড়া বাকি সকলের সাথে আওয়ামীলীগের এরকম কোন আতাত হয়েছে কিনা। আমি জানিনা, বি এন পি ও জাতীয় পার্টিকে আওয়ামীলীগ এরকম বলছে কিনা যে, জামায়াত শিবির খেয়ে ফেলি। তার পর নির্বাচনে শুধু আমরা থাকবো। আমাদের মধ্য থেকে যে কেও নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করবে।

আমার এ রকম মনে হওয়ার কারনটা হচ্ছে, আজকে আওয়ামীলীগ যে ভাবে জামায়াত বধে মাঠে নেমেছে, আর বি এন পি সহ অপর রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের নানাবিধ অপকর্ম থাকা সত্বেও, আওয়ামীলীগের হাজারো ব্যর্থতার ইস্যু থাকা সত্বেও নীরব ভুমিকা পালন করছে তার জন্যে।বিশেষ করে বি এন পির ভুমিকা বড়ই রহস্যময়। তার সকল নেতারাই কে কোন মন্ত্রী হবে এই দিবাস্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে।

আপনারা অনেকেই বলতে পারেন বর্তমানেতো অন্যান্য ইসলামী দল সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে।

হা, অনেক ইসলামীক দল আজ মাঠে নেমেছে। কিন্তু তারা কেও ই জামায়াতের সাথে একাত্ব হয়ে মাঠে নামেনি।জামায়াতের মত একটি বৃহৎ ইসলামী দলকে সরকারের জুলুম নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কোন কর্মসূচী কেও দেননি। বরং অনেকেই জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে ফতুয়াবাজি করতেছেন। অথচ একটি বারোও বুঝতেছেন না যে জামায়াত শিবিরই সরকারের মূল টার্গেট নয়। মূল টার্গেট ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন। তাই বাংলাদেশের বৃহৎ ইসলামী দলকে ধরতে পারলেই বাকিরাতো কিছুইনা।

আজকের বাংলাদেশে বি এন পি বলেন বা আওয়ামীলীগ বলেন কিংবা বাম যে কোন দলের কথাই বলেন সকলের জন্য জামায়াতই একমাত্র ফ্যাক্টর।বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতের অবস্তান আজ সুসংহত।ক্ষমতার পালাবদলে জামায়াত একটা বিশাল ফ্যাক্টর।আর বাংলাদেশে ইসলামী আইন প্রতিষ্টার আন্দোলনে জামায়াতের ভুমিকা বামদের কাছে বড়ই কষ্টদায়ক।

অতএব, জামায়াত কে ধরতে হবে সবার আগে।তাই আজ জামায়াতের উপর দিয়ে নির্যাতনের ষ্টিম রোলার চালানো হচ্ছে । আর বাকিরা বসে বসে জামাতের শেষ অবনতি দেখার অপেক্ষায় ।

কিন্তু একটি কথা বলে রাখি, সরকার যদি জামায়াত শিবির খেয়ে ফেলে, হজম করতে পারে তাহলে বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ আর বামদল গুলো ছাড়া আর কারোও অস্তৃত্ব থাকবেনা। কি বি এন পি বলেন আর কি অন্যান্য ইসলামীক দল বলেন।কেননা, রাজনৈতিক মাঠে আওয়ামীলীগের মোকাবেলায় একমাত্র জামায়াত শিবিরই প্রধান প্রতিপক্ষ এটা আজ পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।

তাই,বি এন পি সহ সকল জাতীয়তাবাদী ও ইসলামীক শক্তির প্রতি আহবান আর কাল ক্ষেপন নয় । এখনি সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে গন আন্দোলন গড়ে তুলুন।দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করুন।নাস্তিকতার হাত থেকে দেশ, জাতি ও ইসলামকে রক্ষা করুন।

উপরের গল্পের মত আওয়ামীলীগকে ছেড়ে দেবেননা। নতুবা একদিন সবাইকে পস্তাতে হবে, তখন আর কোন সুযোগ থাকবেনা।

বিষয়: রাজনীতি

১৫৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File