পর্দানশীলাদের ছবি ফেসবুকে দেখে খুবই বিব্রত হই, হই আহত
লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ০৭ জুন, ২০১৪, ০৭:১৫:৪০ সন্ধ্যা
ফেসবুক ওপেন করলে এখন প্রায় সময়ই বিব্রত হতে হয়। অনেকেই বিব্রত হওয়ার বিষয়টি শেয়ার করেন। তাদের বিব্রত হওয়ার কারন হলো তাদের ফ্রেন্ডলীস্টের কেও হয়তো কোনো ল্যাংটা ছবি ট্যাগ করেছে কিংবা লাইক দিয়েছে, শেয়ারও করে থাকতে পারে। যার কারনে তারা বিব্রত হন। আমি উপরুক্ত কারনে বিব্রততো হই'ই,পর্দানশীলাদের কারনেও বিব্রত হই। আর এই পর্দানশীলাদের ছবিগুলো অনেক সময় ইসালমী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা শেয়ার করে থাকেন।
এক সময় যারা সাধারন ছাত্রদের নেতৃত্ব দিয়েছেন, সুন্দর সুন্দর ইসলামের কথা বলে আমার মত হাজারো হাবাগুবাকে ইসলামের পথ দেখিয়েছেন তারাও আজ অনেকেই তাদের স্ত্রী,মা ,বোনদের ছবি ফেবুতে শেয়ার করেন।
হা তাদের স্ত্রী, মা,বোনেরা হয়তো শালীন পোষাকে বোরখা কিংবা ঢিলেঢালা পোষাকে ছবি তুলেছেন পরিবারের সকলের সাথে। তাই বলে সেই ছবিটা কি ফেবুতে শেয়ার করে হাজার হাজার মানুষকে দেখানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে ? সেটা কি শরীয়তে গ্রহনযোগ্য ?
যতদুর জানি প্রয়োজন ব্যাতিরেখে ছবি তুলাও শরীয়তে জায়েজ নেই । সেই না জায়েজ কাজটি করছি অহরহ এবং তা আবার ফেসবুকে শেয়ার করে হাজার হাজার মানুষকে দেখার সুযোগ করে দিচ্ছি এই আমরা যারা ইসালমের কথা বলে মুখের ফেনা তুলেছিলাম একসময় বা এখনো তুলছি।
দেখা গেলো স্ত্রী বা পরিবারের লোকজন নিয়ে কোথাও বেড়াতে গিয়েছেন সেখানে গিয়ে কিছু ছবি তুলেছেন সেই ছবিগুলো আবার ফেসবুকে শেয়ার করছেন। কোন বিয়ের অনুষ্টানে বা যেকোনো পারিবারিক অনুষ্টানের ছবি এখন হামেশাই ফেসবুকে দেখা যায়। সাধারন মানুষের কথা বাদ দিলাম ।কিন্তু আমরা যারা ইসলামি আন্দোলন করি তাদেরকে কিভাবে ক্ষমা করি।
অনেকেই আছেন যারা ছাত্রজীবনে ইসলামি আন্দোলনের গুরু দায়িত্বও পর্যন্ত পালন করেছেন বর্তমানে হয়তো আন্দোলনে স্বক্রীয় না, তাদের ক্ষেত্রে পরিবারের ছবি শেয়ার করতে বেশী দেখা যাচ্ছে। তারা হয়তো মনে করছেন, আমরাতো এখন আর আন্দলনের সাথে খুব একটা স্বক্রীয় না তাই এ আর এমন কি । কিন্তু আপনি জানেন না, এই আপনার কথায় যে আমি আন্দোলনে জড়িত হয়েছি সেই আমি যখন আপনার বউয়ের ছবি ফেসবুকে দেখি তখন খুবই বিব্রত হই। আপনার বউয়ের ছবি দেখে অনেক পরিচিতজন যখন আমাদেরকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করেন তখন সত্যি আমরা আহত হই।
সেদিন পরিচিত দুজন ভাইয়ের বউদের ছবি দেখলাম ফেসবুকে, যারা ছাত্রজীবনে ছাত্রসংগঠনের উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে নেতৃত্ব পর্যন্ত দিয়েছেন। ছাত্রজীবনে যারা শার্ট ইন করে পরতেন না পর্দা লংঘন হওয়ার ভয়ে তারা আজ তাদের বউদের ছবি শেয়ার করেন। একজনকে দেখলাম কোন এক বিয়ের অনুষ্টানের ছবি পর্যন্ত শেয়ার করছেন। অথচ তাদেরকে দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি একসময়। দুজনই বর্তমানে নিস্ক্রীয় আছেন তাই বলে তাদের শিক্ষাও কি নিস্ক্রীয় হয়ে পড়লো, তাদের ঈমান-আমলও কি আজ নিস্ক্রীয়। তাহলে ফেসবুক কি আমাদের শিক্ষা, ঈমান- আমল সব নিস্ক্রীয় করে দিচ্ছে ?
বিষয়: বিবিধ
২৬৩৬ বার পঠিত, ৩৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সিটিজি৪বিডিকে বলছি,ভাই আপনার কন্যার এমন কোনো বয়স হয়নি যে তার ছবি শেয়ার করা যাবেনা। তবে ভাবীর ছবি শেয়ার করাতে আমাদের আপত্তি আছে।
পিলাচ ++++++++++++++
মন্তব্য করতে লগইন করুন