ইসলামী ছাত্রশিবির একটি নির্জীব ও ভীতু ছাত্র সংগঠনের নাম
লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ২৮ এপ্রিল, ২০১৪, ০৫:১৫:১২ সকাল
একটা সময় শুনতাম ইসলামী ছাত্রশিবির মানেই একটি সাহসী ছাত্র সংগঠন। বাংলাদেশের যে কোন ক্যাম্পাসে ইসলামী ছাত্রশিবির একটি অপ্রতিরোদ্ধ ছাত্র সংগঠন হিসাবে নিজেদের আভির্ভুত করতে পেরেছিলো।ক্যাম্পাস কিংবা রাজপথ সবখানেই ছিলো শিবিরের সাহসী পদচারনা। শিবির মানেই ছিলো আল্লাহদ্রোহী ছাত্রনেতাদের বুকে এক অজানা আতংক। আর আল্লাহ প্রেমি নিরীহ ছাত্র-জনতার আশা আকাংখার প্রতিক ছিলো ইসলামী ছাত্রশিবির।
আজ কেন যেন একটি নির্জীব ও ভীতু ছাত্র সংগঠনে পরিনত হচ্ছে শিবির ! আজ ইসলামী ছাত্রশিবির অনেক গুলো ক্যাম্পাসেই অনুপস্হিত ! আজ ইসলামী ছাত্র শিবির মিছিল করে, যে মিছিলের নাম শিবিবের ঝটিকা মিছিল । সেই ঝটিকা মিছিলেও আগ পিছ দেখে দৌড়াতে হয় । আজ শিবিরের কোন নেতা কর্মী সমর্থক তার নিজ বাসা বাড়িতে থাকার সাহস করেনা। পরীক্ষায় অংশ নিতে ভয় পায় শিবির কর্মীরা,পুলিশ ধরে নিবে । একটার পর একটা নেতা কর্মী মারা পড়ছে, আর তারা একটি ঝটিকা মিছিল করে প্রতিবাদ জানিয়ে দায় মুক্ত হচ্ছে।
আজ কারো বাড়িতে বিয়ের অনুষ্টানে গেলে সেখান থেকেও পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। আজ কারো জানাযায় শরিক হলেও সেখানে পুলিশি হানা। আজ ৫/৭ জনের একটি ঘরুয়া বৈঠক করলেও সেখানে পুলিশ গুলি চালিয়ে আহত- নিহত করছে। ৩ জন শিবির কর্মী একসাথে চা'য়ের দোকানে বসে চা পান করলেও সেখান থেকে ধরে নিয়ে গুম করছে,নতুবা গুলি করে লাশ ফেলে দিচ্ছে । আজ মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হলে পথিমধ্যে গ্রেফতার করে ৩/৪ দিন পর গুলিবিদ্ধ লাশ রাস্তায় ফেলে দেয়া হচ্ছে শিবির কর্মীদের। কতদিন হয় শিবিরের প্রতিটি কার্যালয় বন্ধ ! অথচ শিবির নির্জীব ভুমিকা পালন করছে।যেন তাদের কোন দায় দায়িত্ব নেই।
কিসের ভয়ে ? জংগি নাম গায়ে লাগবে ? সন্ত্রাসী সংগঠনের নাম গায়ে লাগবে ?
আরে সেটা তো লেগেই আছে। যতই ধৈর্য্যের সহিত পরিস্হিতি মোকাবেলা করোনা কেন সরকার ও পত্রিকাওয়ালারা তোমাদের কে জংগী-সন্ত্রাসী হিসেবেই উপস্হাপন করবে। টকসোতে পাচাটা গোলামেরা তোমাদের চৌদ্দগোষ্টী উদ্ধার করবেই। পুলিশ বন্দুক যুদ্ধের নাম দিয়ে তোমাদের বুকে চালানো প্রতিটি গুলিকে জায়েজ করে নিবেই,তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে সে লাইসেন্স দেয়াই আছে। তবে কিসের ভয় ?
পুলিশের সাথে এত বন্দুক যুদ্ধ কর,কই একটাও পুলিশকে তো মরতে শুনিনা। কিসের বন্দুক যুদ্ধ কর ! পত্রিকায় দেখি পুলিশের সাথে শিবিরের সংঘর্ষ,আহত নিহত হও তোমরা, অথচ একটা পুলিশকে নিহত হওয়া তো দুরে থাক আহত হতেও দেখিনা । তোমরা পুলিশের সাথে কিসের সংঘর্ষ করে থাক ! শুধুই কি পুলিশ ? আওয়ামীলীগের আগে পিছে পুলিশ নিয়ে মিছিল করা সাহসী (?) যোদ্ধাদের সাথেও তোমরা সংঘর্ষ কর,গুলাগুলি কর। অথচ সেখানেও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত-নিহত হও তোমরা। পত্রিকাওয়ালারা তোমাদের হাতে একটা অস্ত্র দেখাতে না পারলেও তোমাদের দায়ি করে, তোমাদের গায়ে সন্ত্রাসের মলম লেপন করে নিউজ সাজিয়ে থাকে।
অথচ তোমরা নির্বিকার ! তোমরা নাকি হেকমত অবলম্বন করছো। এটা কিসের হেকমত ! তোমাদের কিসের ভয় ? তোমাদের নিষিদ্ধ করবে ? সেটা তো করেই আছে। আজ তোমরা তোমাদের প্রতিটি কর্মসূচি পালন করছো একটা নিষিদ্ধ সংগঠনের মত। অথচ তোমরা হেকমত হেকমত করছো।
হা, তাই বলে আমি তোমাদেরকে অস্ত্র হাতে নিতে বলছিনা। যেখানেই আওয়ামীলীগ কিংবা পুলিশলীগ আছে সেখানেই হামলা করে কাওকে হত্যা করার কথা আমি বলছিনা। কিংবা ক্যাম্পাসে অযথা সংঘর্ষ বাধিয়ে অপরপক্ষকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়নের কথা বলছিনা।
তবে। আমি অবশ্যই তোমাদের এমনি এমনি মরতে বারন করবো। এমনি এমনি তোমাদের গায়ে জংগী কিংবা সন্ত্রাসী শব্দগুলো যোগ হতে বারন করবো। আমি চাইবো,যেখানেই যাদের সাথে বন্দুক যুদ্ধ হবে তা যেন আসলেই যুদ্ধ হয়। যেখানেই গুলাগুলি হবে সেখানে উভয় পক্ষে যেন গুলিবিদ্ধ হয়। মিছিল নিয়ে যেন না দৌড়িয়ে অপর পক্ষকে দৌড়াতে হয় সে যেই হোক আমি তাই চাই। নতুবা যেখানে একজন কর্মী মারা যাবে যার হাতে কিছুদিনের ভেতর সেই ব্যাক্তিটিও যেন বিদায় নেয় দুনিয়া থেকে সে যেই হোক। যেদেশে বিচার নেই,মানুষের নিরাপত্তা নেই, মানুষের জীবনের কোন মুল্য নেই, আদর্শের কোন ইজ্জত নেই, যে দেশে সরকার তার সকল বাহিনীকে হত্যার লাইসেন্স দিয়ে রেখেছে সেই দেশে হত্যার বদলে হত্যা চাই। শুধু আমি নয়, সারা বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় নিরীহ মানুষগুলো তাই ই চায়।
বিষয়: বিবিধ
৩৮১৮ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর সমসাময়িক মিশরের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়ার কথা বলেছেন তো, এগুলোই পর্যালোচনার বিষয়। তবে, একটি কথা মনে রাখবেন ভাই বিপ্লব কখনো ধার করে বা ফটোকপি করে হয় না।
প্র্রত্যকটি দেশের আলাদা আলাদা কিছু বৈশিষ্ঠ আছে, রাজনৈতিক পটভূমি আছে। তাই সবদেশে একই স্টাইলে কখনোই বিপ্লব হবে না। তবে,মৌলিক বিষয়গুলো অবশ্যই একইরকম হবে। মিশর যখন আরব বস্ন্ত হয় তখন আমাদের কারো কারো মাথা নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। এদিকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উতপ্ত হতে লাগলো। শুধুমাত্র সোশ্যাল কাজ করতে হবে,এদেশের ই.আ.-র কৌশল নতুন করে ঠিক করতে হবে। কেউ কেউ তো প্রশ্নই তুলে ফেলল- আমরা কি মাক্কী না মাদানী যুগে আছি। আল্লাহর হক্ক না বান্দার হক। নাম পরিবর্তন করলেই পারে ইত্যাদি ইত্যাদি। আরে ভাই মুসলিম ব্রাদারহুড সেদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে স্বাধীনতা অর্জনে সবচেয়ে বড়ো ভূমিকা রাখে। তাতে কি তাদের অপবাদ দেয়া কমেছে। একটা অস্ত্রই কেউ কোনো আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় দেখোতে পারে নাই তারপরও ব্রাদারহুড বিশ্বের অন্যতম সন্ত্রাসী সংগঠন।
আমাদের কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন-যারা শুধু মিসরের উদাহারণ দিয়ে থাকেন। আরে ভাই মিশরে তো ডক্টরেট ডিগ্রি করা, পিএইচডি হোল্ড ধারী, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ীরাও যেমন আন্দোলনের সমালোচনা, পরামর্শ দিয়েছেন ঠিক তেমনি রাজপথেও শহীদ হয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন-কুল ইন্নাছ সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহইয়াইয়া ওয়া মামাতিলিল্লাহী রাব্বিল আলামীন . . .
বসে বসে শুধু বক্তিতা বিবৃতি, সমালোচনা আর পরামর্শ দেন নাই। তবে এটাই অস্বীকার্য যে, মিসরের ভাইদের কাছ থেকে আমাদেরও অনেককিছু শিক্ষার আছে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের তার দ্বীনের পথে টিকে থাকার তৌফিক দিক ও ঈমানের সাথে মৃত্যু দিন
ভাই আল্লাহর রাসূল (সা.) কি হত্যার বদলা হত্যা করার নীতী গ্রহণ করেছেন??? করে থাকলে কোন ক্ষেত্রে, কি প্রেক্ষাপটে??? আর প্রতিবাদ মানেই কি হত্যার বদলা হত্যা??? অন্যকোনো ভাবে প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ করা যায় না।
যদিও বা মাঝে মাঝে মনটা বিগড়ে যায়। কিন্তু . . .একটা ভুল সারাটা জীবনের কান্না আর পরকাল বরবাদ হয়ে যেতে পারে।
*ইসলামী আন্দোলন চলবে ইসলামের নিয়মের আলোকে
**ইসলামী আন্দোলনে দৃশ্যমান শৃংখলা থাকবে।
রাজপথ থেকে ততক্ষন পালানোর সুযোগ নেই, ভয়ে পিছন থেকে পলায়ন মুমিনের বৈশিষ্ট বিরোধী, দুর্বল ঈমানের লক্ষণ এমনি তা কখনো কখনো ঈমান ধ্বংসকারীও বটে। আর অপবাদ সেটা ততদিন থাকবে যতদিন এদুনিয়ায় ইসলামী আন্দোলন থাকবে। আপনি কখনোই এখান থেকে মুক্ত হতে পারবেন না।
মিশরের প্রায় অর্ধেক মানুষ ব্রাদারহুডকে সমর্থন দেয়ার পরেও কেন এ করুন পরিনতি বরন করতে হয়, তা থেকে শুধু বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বের ইসলামি আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের জন্য শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে বলেই আমি মনে করি ।
অতিমাত্রায় রাজনৈতিক বলতে কি তাহলে আপনি এই জোটভুক্ত হওয়াকেই বুঝিয়েছেন???
আপনার মন্তব্যটা আবারও পড়ার অনুরোধ
শিবিরের সাথে সরকারের কেন এতো দূরত্ব আমি জানিনা, আমি বারবারই বলি শিবিরকে সন্ত্রাসী ভাবার কোন কারণ নেই। কিন্তু শিবিরের হাতে নিহত হওয়া পুলিশের সংখ্যা কিন্তু কম না, পার্বত্য চট্রগ্রামে অনেক মানুষ কিন্তু শিবিরের হাতে নিহত হবার খবর আসে। ইট ছুঁড়ে পাটকেলটি খাচ্ছে শিবির, গাড়ী পুড়িয়ে নিরীহ মানুষ মারার পর এই যে শিবির মরছে মার খাচ্ছে এর জন্য শিবিরের হাইকামান্ডই কি দায়ী নয়।
লেখক কে অনুরোধ করব গত দুই বছরের পরিসংখ্যান দেখুন, প্রথম ১৪ মাস পুলিশ মার খেয়েছে এবং ১০ মাস থেকে তাঁরা মারছে। ভাই হিংসা হিংসার জন্ম দেয়। আপনি কারো কাছ থেকে সম্প্রীতির আশা করলে ভালোবাসাটা আপনার মনেও থাকতে হবে। শিবিরকে আজকের অবস্থানে নিয়ে গেছে শিবিরই। কষ্ট সেই সকল মাদের জন্য যাঁরা জামাত আওয়ামীলীগ আসলে বুঝেনই না, যাঁরা সরল মনে নিজের সন্তানটিকে পড়তে পাটিয়ে ফেরৎ পাচ্ছেন তার লাশ। লাশের রাজনীতিকে উৎসাহিত করা সহজ কিন্তু লাশ কাঁধে নিয়ে ঘরে ফেরা কঠিন এক কাজ।
আর আপনি যে হিসাবটা জানতে চেয়েছেন তা সবার চেয়ে বেশী না হলেও শিবিরের বেলায় ও কম ছিলো না। গাড়ী পুড়িয়ে মানুষ মারার কৌশলটাও তো শিবিরেরই কম্য। যাক, শুধু মুসলমান বা মানুষ হিসাবেই নয় একটি দেশের পুলিশের বিরুদ্ধে যদি সেই দেশের নাগরিক অন্য নাগরিককে সহিংস হওয়ার উৎসাহ প্রদান করেন তা অন্যায় ও অপরাধ।
হা, আমি প্রতিশোধের কথাই বলছি।
যে দেশে কোন আইনের শাসন নেই,নির্বিচারে পাখির মত গুলি করে যে দেশে মানুষ মারা হয় সে দেশে কিসের পুলিশ ?
ওহহো, শিবিরতো আর মানুষ নয় !
শত ধিক এমন প্রতিবন্ধি বিবেকগুলোকে।
কিছু দিন আগে চট্টগ্রামের একজন বিখ্যাত প্রবাসী ব্লগার দেশে আসছে, পুলিশের গাড়ি দেখে ওনি ভয় পেয়ে গেলেন। গাড়িটা ক্রস করার পর আমাকে বলছে সিরাজ ভাই আমার ভয় করছে, অথচ আপনার শঙ্কাহীনভাবে হেঁটে যাচ্ছেন...বাস্তবতা বড়ই কঠিন(আপনি নিশ্চয় জানেন)।
আর সাহস এবং ভয় দুটোই আল্লাহর দান। যার ভেতরে আল্লাহ যেটা দিয়েছেন।
হে, নরম গরম কথাতো থাকবেই।শুনে কারো ভালো লাগবে আবার কারো ছান্দি গরম হবে। তাই বলে আমি কি আমার মনের কথাগুলো বলবোনা।
স্বাধীনতার ৪২ বছরে আমরা কি স্বাধীন হয়েছি?
স্বাধীনতার ৪২ বছরে তবে কেন হত্যা আর মারামারি?
স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা আজ শত রক্তে বিলীন !
আমরা বাংলাদেশী বাংলা আমার ভাষা-
ভাষার জন্যে কত প্রাণ দিয়ে গেলো
কতো নিষ্পাপ মায়ের সন্তান-
মুক্তিযুদ্ধে হয়েছে স্বাধীন দেশ!
কারো হাত কারো পা জীবন হয়েছে শেষ
স্বাধীনতার ৪২ বছরে এসে কেন এতো হিসাব নিকাষ?
প্রতিদিন খবরের কাগজে আসে কতো মৃতু্র খরব !
কেউ লাশ হয়ে কেউ গুলিবৃদ্ধ হয়ে পড়ে থাকে!
স্বাধীনতার ৪২ বছরে এসে কেন এতো হানাহানি?
মায়ের কোল খালি হয়ে যায় প্রতিদিন!
রাস্তার এপাশ ওপাশ পড়ে থাকে শুধু লাশ আর লাশ !
এ-তো ৭১' নয় এ-তো স্বাধীন বাংলাদেশ!
এ-তো ফিলিস্তিন আর কাস্মীর হয় নয়!
এ-তো আমার সোনার বাংলাদেশ-
তবে কেন এতো হানাহানি মারিমারি আর লুটতরাজ?
এখনো আগের মতো ধর্ষিত হচ্ছে মা বোন আর নারী জাতি!
কিসের স্বাধীনতা কিসের অহংকার এই জাতির?
স্বাধীনতা যদি বদলে দিতো জাতির ভাবমূর্তি-
বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পাড়তো আমাদের জাতি!
স্বাধীনতার ৪২ বছরে আমরা কি স্বাধীন হয়েছি?
স্বাধীনতার ৪২ বছরে তবে কেন হত্যা আর মারামারি?
স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা আজ শত রক্তে বিলীন !
আমরা বাংলাদেশী বাংলা আমার ভাষা-
ভাষার জন্যে কত প্রাণ দিয়ে গেলো
কতো নিষ্পাপ মায়ের সন্তান-
মুক্তিযুদ্ধে হয়েছে স্বাধীন দেশ!
কারো হাত কারো পা জীবন হয়েছে শেষ
স্বাধীনতার ৪২ বছরে এসে কেন এতো হিসাব নিকাষ?
প্রতিদিন খবরের কাগজে আসে কতো মৃতু্র খরব !
কেউ লাশ হয়ে কেউ গুলিবৃদ্ধ হয়ে পড়ে থাকে!
স্বাধীনতার ৪২ বছরে এসে কেন এতো হানাহানি?
মায়ের কোল খালি হয়ে যায় প্রতিদিন!
রাস্তার এপাশ ওপাশ পড়ে থাকে শুধু লাশ আর লাশ !
এ-তো ৭১' নয় এ-তো স্বাধীন বাংলাদেশ!
এ-তো ফিলিস্তিন আর কাস্মীর হয় নয়!
এ-তো আমার সোনার বাংলাদেশ-
তবে কেন এতো হানাহানি মারিমারি আর লুটতরাজ?
এখনো আগের মতো ধর্ষিত হচ্ছে মা বোন আর নারী জাতি!
কিসের স্বাধীনতা কিসের অহংকার এই জাতির?
স্বাধীনতা যদি বদলে দিতো জাতির ভাবমূর্তি-
বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পাড়তো আমাদের জাতি!
.........এম.এ.মামুন...........
মন্তব্য করতে লগইন করুন