জুতা সমাচার : জামাত শিবির আসলেই জুতা চুর
লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ১৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৭:২২:১৭ সন্ধ্যা
গেলো বছরের ৭ এপ্রিল জুতা নিয়ে একটি লেখা এই ব্লগে পোষ্ট দিয়েছিলাম আপনারা চাইলে সেই লেখাটি পড়তে পারেন, লেখাটির লিন্ক দেয়া আছে পরিশিষ্টে।ভাবিনি সেই জুতা নিয়ে আবারো কোন পোষ্ট দিব। কিন্তু কি আর করি,যেভাবে জুতার কদর বাড়তেছে আমি কি আর অবহেলা করতে পারি।তাই আজও জুতা বিষয়ে লিখতে বসলাম।
২/৩ দিন থেকে এই জুতা জিনিষটা আমার মাথা থেকে যাচ্ছেনা।এমনিতেই লেখার সময় পাচ্ছিনা,কতশত এলোমেলো বিষয় মাথার মধ্যে অহরহ ঘোরাঘুরি করছে।ভাবছিলাম আরেকটা বিয়ের গল্প লিখবো,কিন্তু পরক্ষনেই ভাবলাম বিয়ের গল্পতো কতজনেই লিখছে,আমিও ইতিমধ্যে একটি লিখেছি তাই আজ ওদিকে না গিয়ে জুতা বিষয়টাকে মাথা থেকে নামিয়ে ফেলি, যেহেতু একটু সময় পেয়েছি।
আমি এই জুতা বিষয়ে লিখতে গিয়ে দুটি বিষয় আপনাদের সামনে তোলে ধরার চেষ্টা করবো,তার একটি হলো, এটি এম শামছুজ্জামান কর্তৃক জামাত শিবিরকে মসজিদের জুতা চুর হিসাবে সাব্যস্হ করা।আর অপরটি হলো জুতা কর্তৃক আওয়ামী মন্ত্রীদের সায়েস্হা করা।যদিও আওয়ামী মন্ত্রীদের উপর জুতা দিয়ে সায়েস্হা করার বিষয়টি এই নতুন নয়। আপনাদের স্মরন শক্তি যদি খুব দূর্বল না হয় তাহলে অবশ্যই মনে থাকার কথা কিছুদিন পূর্বেও আওয়ামীলীগের এক মন্ত্রীকে সাধারন মানুষ কি না জুতা পেটা করলো।
আসা যাক এটি এম শামছুজ্জামানের কথায়।তিনি সেদিন বলেছেন, জামাত শিবিরের নেতা কর্মীরা মসজিদে যায় জুতা চুরি করতে।তার এই কথা শুনে অনেকেই অনেকভাবে মন্তব্য করছেন। যদিও কথাগুলি তার গায়ে লাগবেনা।কেননা ওরা আওয়ামীলীগ! আশ্চর্যজনক এক প্রজাতি আল্লাহ বাংলাদেশে সৃষ্টি করেছেন।ওদের মনুষত্যতো নেইই, সামান্যতম লজ্জা শরমও নেই,যা আমি বা আপনারা ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের পর দেখেছি। ওদের প্রধান থেকে শুরু করে একজন কর্মী ও পর্যন্ত বলেছে যে নির্বাচন খুব ভালো হয়েছে।এটি এম শামছুজ্জামান তো তাদেরই একজন না কি। বেচারাকে আর কি দুষ দেবেন।সারাটা জীবন নাটক আর সিনেমাতে অভিনয় করেছে চুরি, ডাকাতি,বাটপারি,লম্পট,নেশাকুর,ধর্ষনকারী হিসাবে ,যার প্রভাব পড়েছে এই বৃদ্ধ বয়েসে এসে।পরিবারেতো পড়েছে অনেক আগে,যার কারনে এক ছেলের হাতে আরেক ছেলের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে।তিনি নিজেও ছেলেদের হাতে কত মার খেয়েছেন তা তিনি নিজেই জানেন।
শুনেছি বৃদ্ধ বয়েসে নাকি ভীমরতি দেখা দেয়,তার বেলায় একটু বেশি দেখা দিয়েছে। নাটক সিনেমাতে সব সময় অশ্লীল কথাবার্তা বলতে বলতে এখন এমন অভ্যাস হয়েছে যে এখন কোনটা অভিনয় জগত আর কোনটা বাস্তব জীবন সে জ্ঞানটুকুও লোপ পেয়েছে।নাটক সিনেমাতে যেভাবে অশ্লীল ও নির্লজ্জ কথাবার্তা বলে সাধারন মানুষকে হাসানোর চেষ্টা করতেন বাস্তব জীবনেও মনে হয় তার সে অভিনয়ের নেশা কাটছেনা,তাই যেখানে সেখানে মুখে যা আসছে বলে দিচ্ছেন ।আর আমরা সাধারন মানুষ নাটক সিনেমার মত তার কথা শুনে হাসাহাসি করছি। আমরা হাসাহাসি করলে কি হবে তিনি কিন্তু অভিনয় জগত বলেন আর বাস্তব জগত বলেন দুই জগত থেকে পয়সা কামাচ্ছেন।জাতেতো ভাদা।
এবার আসি মন্ত্রীদের উপর জুতা নিক্ষেপের কাহিনীতে।আপনারা সকলেই দেখেছেন মাত্র সেদিন অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার আমাদের দেশের সাবেক সফল (!) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীরের উপর সাধারন মুসল্লিরা জুতা নিক্ষেপ করেছেন। ঠিক সেভাবে চট্টগ্রামেও এক বর্তমান প্রতিমন্ত্রী জুতা নিক্ষেপের শিকার হতে গিয়েও বেচে গেছেন। চিন্তা করে দেখেন মানুষের ক্ষোভ কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌছলে মানুষ এতটা সাহসী হতে পারে।যে সময়ে সকলেই জানে যে একজন আওয়ামীলীগারের বিরুদ্ধে কিছু করা বা বলাতেই জেল জুলুমের শিকার হতে হয়। মানুষ এত নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থেকেও এরকম সাহসী কাজ করে কিভাবে।
এ থেকে কি আওয়ামীলীগের জন্য কোন বার্তা নেই ? একটু ভেবে দেখুন পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেও যাদেরকে মানুষ জুতাপেটা করতে পারে তারা যখন পুলিশি নিরাপত্তা ছাড়া বের হবে তখন তাদের কি অবস্হা হবে। আসলে জুতা নিক্ষেপ করেতো আর কাওকে হত্যা করা যায়না। হত্যা করার উদ্দেশ্যে কেও জুতা নিক্ষেপ করেনওনা। শুধুমাত্র ঘৃনাটুকু জানিয়ে দেয়ার লক্ষেই মানুষ এই কাজ করে। মানুষ কতটা ঘৃনা করে আওয়ামীদের এই জুতা নিক্ষেপ থেকে কি তা প্রমানিত হয়না। দিনে দিনে আওয়ামীদের উপর জুতা নিক্ষেপের ঘটনা যে হারে বাড়তেছে জানিনা কখন তা আবার আসল যায়গায় গিয়ে পড়ে।
আচ্ছা মানুষ কি কমদামি জুতা ওদের উপর নিক্ষেপ করে,নাকি বেশ দামি জুতা। নতুন জুতা নাকি পূরনো জুতা। আমার এক বন্ধু আছে যে রাগ করলে বলবে, পুরনো জুতা দিয়ে বাড়ি দিবে। একদিন জিজ্ঞেস করলাম পুরনো জুতা কেন ? বললো, নতুন জুতা দিয়ে বাড়ি দিলে যাকে বাড়ি দেয়া হলো তার নাকি ইজ্জত বেড়ে যাবে। হু হু হু হু হু । তবে আমি শতভাগ নিশ্চিত যে জুতা নিক্ষিপ্ত হয় তা খুবই কমদামি,কেননা খেটে খাওয়া মানুষগুলো কি আর বেশি দামি জুতা পরবে।আর হা,জামাত শিবির মনে হয় সাধারন মানুষের কাছে জুতা সরবরাহ করছে। এমনি এমনিতো আর মানুষ তার জুতা ফেলে দেবেনা।তাই এত জুতা সংগ্রহ করতে গিয়ে জামাত শিবির মনে হয় মসজিদ থেকে জুতা ..........করছে।কি বলেন ভাদারা।
অতএব ভাদারা সময় থাকতে সাবধান হোন। নতুবা পুরনো জুতাগুলো কখন কোথায় গিয়ে পড়ে আল্লাহই ভালো জানেন।
জুতা নিয়ে যত বিড়ম্বনা : পায়ে পরলে সম্মান জুতা গায়ে পড়লে অপমান।।
বিষয়: রাজনীতি
৫২৮৯ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বড় হতবাগা
বসিতে পারতেছে ওদের গালে নিশানা
তবে আশা আছে
সুযোগ পেলেই বসাবে
আপনি কিভাবে জানেন?
রতনে রতন ছিনে
হা হা হা
মন্তব্য করতে লগইন করুন