জামাত শিবিরের মগজ ধোলাইর পর মানুষ কতটা পাগল হয়
লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ৩০ নভেম্বর, ২০১৩, ০৩:১৪:২৫ রাত
সবাই বলেন জামাত শিবির মানুষের মগজ ধোলাই করে। এ কথাটার সাথে আমিও শতভাগ একমত।জামাত শিবিরের হাতে যদি কেও পড়ে যান তাহলে তার আর নিস্তার নাই।তাকে এমন ভাবে মগজ ধোলাই করা হয় তার দুনিয়ার প্রতি লোভ লালসা কমে যায়, অনেক ক্ষেত্রে আর থাকেইনা।দুনিয়ার মায়াবী হাতছানি তার পথ থেকে সামান্য পরিমানও বিচ্যুতি ঘটাতে পারেনা।ইতিমধ্যে আমি জামাত শিবিরের মগজ ধোলাইর পন্হা বলে দিয়েছি।মুলত সেই পন্হায়ই জামাত শিবির মানুষের মগজকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ফেলে।
আর সত্যিকার অর্থে একটা মানুষের মগজে কুরআন হাদীস ঢুকিয়ে দেয়ার পর তারতো আর দুনিয়ার প্রতি কোন মোহ থাকার কথা নয়।সে তখন অবারিত সুন্দরের পানেই থাকিয়ে থাকে।ভবিষ্যতের অফুরন্ত নেয়ামতের আশায় সে থাকে পাগলপ্রায়। হা, সে ধরনের কিছু পাগলপ্রায় মানুষের কথা আপনাদের শুনাবো।যাদের কে জামাত শিবির মগজ ধোলাই করে এরকম পাগল করতে পেরেছে।
শহিদ আব্দুল মালিকের নাম আপনারা অনেকেই শুনেছেন।১৯৬৯ সালের ১৫ ই আগষ্ট তিনি শাহাদাত বরন করেন।১২ ই আগষ্ট ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্হার পক্ষে বক্তব্য রাখায় তার যুক্তির কাছে হেরে গিয়ে সেকুলারিষ্টরা তাকে ঢাকার ততকালীন রেসকোর্স ময়দানে কাপুরুষিত হামলা করে আহত করে এবং তিনি ১৫ ই আগষ্ট হাসপাতালে শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করেন।
ঢাকায় তিন দিন ব্যাপী এক শিক্ষা শিবিরের (ট্রেনিং ক্যাম্প) আয়োজন করা হয়।এই শিক্ষা শিবিরে ঢাকা জেলার সভাপতি হিসাবে আব্দুল মালেক ভাইয়ের কত কাজ।শিক্ষা শিবির শুরু হওয়ার আগের রাতে আব্দুল মালেক ভাইকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। অনেক খুজাখুজির পর দেখা গেলো আব্দুল মালেক ভাই একটি ড্রেনে নর্দমার মধ্যে কমর পর্যন্ত ঢুবিয়ে দাড়িয়ে আছেন আর উপর থেকে আরও একজন ভাই তাকে কিছু বাশ তুলে দিচ্ছেন আর তিনি বাশ দিয়ে টিসিতে আগত ডেলিগেটদের জন্য সেনিটেশনের ব্যবস্হা করছেন।দেখুন কতটা পাগল হলে একজন জেলা সভাপতি এই কাজ করতে পারেন! যিনি অর্ডার করলে শত শত কর্মী এই কাজ করতে পারে সেই তিনি অন্য কে না বলে নিজেই কাজটি করে নিচ্ছেন তাও আবার ড্রেনে নিজে নেমে পড়ে।বাংলাদেশের অন্য যেকোন ইসলামী সংগঠন বলেন আর দুনিয়াবি সংগঠন বলেন কোথাও কি এধরনের কাজ আপনি কল্পনাও করতে পারেন।
ইংল্যান্ডে সংগঠনের এক সাথী চলে এলো। কাজ পেয়েছে এক সুপার মার্কেটে। সেখানে আরো অনেক যুবক যুবতি এক সাথে কাজ করেন। সবাই একে অপরের সাথে ফ্রি মেলামেশা করে শুধুমাত্র সংগঠনের ঐ সাথী ছাড়া। সে বিশেষ করে মেয়েদেরকে এড়িয়ে চলতে থাকে। এটা নিয়ে তার কলিগরা কতরকম ঠাট্টা বিদ্রুপ করে। বেশীরভাগ ঠাট্টা বিদ্রুপ মেয়েদের পক্ষ থেকে আসতে থাকলো। এই মেয়েদের মধ্যে সুন্দরী এক মেয়ে অনেক চেষ্টা করলো তার সাথে ফ্রি হওয়ার।কিন্তু সে ব্যর্থ হয়ে বলেই ফেললো তুমি পুরুষ না অন্য কিছু। তোমার মাঝে পুরুষত্য বলে কি কিছু আছে।তখন ছেলেটি বললো, যদি মেয়েদের সাথে অবাধে মেলামেশার নাম হয় পুরুষত্য তাহলে সত্যিই আমি সে ধরনের পুরুষ নই। আল্লাহ তায়ালা নিজের স্ত্রী ছাড়া অবাধে মেয়েদের সাথে মেলামেশা নিষেধ করেছেন।তাই আমি আল্লাহকে ভয় করি বলেই মেয়েদের এড়িয়ে চলি।এর পর মেয়েটি বুঝতে পারে যে সত্যিকার পুরুষতো সেই। তখন মেয়েটি তার পরিবারের মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় এবং তাদের বিয়ে হয়।
একদিন আমার এক দায়িত্বশীল ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বললেন আপনার বাসার কাছে থানাতে নুরুল ভাই আছেন।উনার দোকানে একটা আফগানি ডিস্টার্ব করতো তাই তিনি পুলিশে ফোন দেন এবং পুলিশ তারা দুজনকেই থানায় নিয়ে আসে। আমি ফোন পেয়ে তাড়াতাড়ি থানার কাছে গেলাম।যেতে না যেতে যিনি ফোন করেছিলেন তিনিও চলে এসেছেন দেখলাম। আমরা দুজনই থানায় ঢুকলাম। পুলিশ জানালো যে আমাদের থাকার দরকার নাই।নুরুল ভাই থাকবেন শুধু এই জন্য যে পুলিশ তাকে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করে তারপর ঐ আফগানির নামে মামলা করবে। পুলিশের কথায় আমরা নিরুল ভাইকে রেখে বাইরে এসে অপেক্ষা করতে লাগলাম।এরই মাঝে মাগরিবের নামাজের সময় এসে যায় যায় অবস্হা। আমরা দুজনই নামাজের যায়গা খুজতেছি। এই সময় নুরুল ভাই ম্যাসাজ দিলেন যে ভাই আমি তায়াম্মুম করে বসে বসে নামাজ পড়ে নিয়েছি, আপনারা পড়ে নিন।
যে নুরুল ভাই প্যারিসে বড় হয়েছেন, যার পরিবারের ৯০ ভাগ মানুষ সেকুলারিষ্ট, যিনি নিজেও পশ্চিমা সংস্কৃতির গড্ডালিকা প্রবাহে গা বাসিয়ে দিয়ে বড় হয়েছেন সেই নুরুল ভাই শুধুমাত্র ইসলামি সংগঠনের সংস্পর্শে এসে এতটাই পরিবর্তন হয়েছেন যে আজ থানায় বসেও তিনি আল্লাহর ভয়ে নিজেকে তার হাতে সোপর্দ করছেন, আল্লহর হুকুম পালন করছেন।
মাত্র তিনটি ঘটনার মাধ্যমে আমি জামাত শিবিরের মগজ ধোলাইর ফলাফল তুলে ধরলাম। এখন আপনারাই চিন্তা করুন এধরনের মগজ ধোলাই আমাদের সকলের জন্য জরুরী কি না। কারা আছেন এ ধরনের মগজ ধোলাই করবেন তারা হাত তুলুন এবং তাড়াতাড়ি ভর্তি হন জামাত শিবিরের মগজ ধোলাই কারখানায়। আর হে আপনার সন্তানকেও ভর্তি করতে ভুলবেন না কিন্তু।
বিষয়: রাজনীতি
২৪৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন