জামাত শিবিরের মগজ ধোলাই
লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ২৩ নভেম্বর, ২০১৩, ১০:২৮:৪৬ সকাল
জামাত বা শিবিরের কাছে যেয়োনা। ওদের কাছে গেলে ওরা তোমাকে এমন ভাবে মগজ ধোলাই দিবে তুমি নিজেও বুঝতে পারবেনা তুমি কোথায় আছ। প্রায়ই এধরনের কথা শুনা যায় অনেকের কাছ থেকে।বিশেষ করে এধরনের কথা বলে জামাত শিবিরের নানা রকম ইসলামিক মাহফিল থেকে মানুষকে দুরে রাখার চেষ্টা করে থাকেন প্রতিপক্ষরা।
ধোলাই। এ শব্দটা সাধারনত বেশি শুনা যায় কেও কাওকে মারার পর। যে পক্ষ মারামারিতে জিতে গেলো তারাই বলে থাকে আজ ওদেরকে ধোলাই দিয়ে আসছি, এরকম কথা। আবার যারা কাপড় পরিষ্কার করে ইস্ত্রি দিয়ে পরিপাটি করে দেন তাদের প্রতিষ্টানকেও কাপড় ধোলাই বলা হয়ে থাকে। ধোলাইর মুল অর্থটা হলো ময়লা লেগে থাকা কোন কিছু এমন ভাবে পরিস্কার করা যাতে সামান্য পরিমানও ময়লা অবশিষ্ট থাকেনা।
আর মারামারির বেলায় বলা হয় এজন্য যে এমন ভাবে মারটা দেয়া হয়েছে প্রতিপক্ষের আর কোন সাহসই অবশিষ্ট থাকেনা।
তাহলে মগজ ধোলাই জিনিষটা কি ? সম্ভবত ময়লা আবর্জনাযুক্ত মগজটাকে কোন কিছু দিয়ে এমন ভাবে পাকসাফ করে দেয়া হয় যাতে আগেকার আর কোন কিছুই অবশিষ্ট থাকেনা। যেমন ধরুন কারো মগজে সব সময় খারাপ চিন্তা থাকে, তাকে এমন ভাবে বুঝিয়ে শুনিয়ে এই খারাপ কাজ থেকে দুরে রাখার নামই মগজ ধোলাই।মগজ ধোলাইতে আরেকটা জিনিষ লক্ষনীয়, আর তাহলো মগজ পাকসাফ করার পর কান্ত না দিয়ে সেই মগজে এমন কিছু ঢুকিয়ে দেয়া যাতে করে এরপর থেকে এই মগজ দিয়ে ভালোটা ছাড়া অন্য কিছু চিন্তাও না করে।
এবার আসুন জামাত শিবির কিভাবে মগজ ধোলাই করে তা জেনে নেই।সত্যিকার অর্থে জামাত শিবির সাধারনত মানুষদেরকে কুরআন এবং হাদীসের দিকে আহবান করে, এধরনের মাহফিলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই মাহফিল গুলোতে কুরআন হাদীস থেকে আলোচনা করা হয়, যা শুনে একজন ইমানদারের অন্তর কেঁপে উঠে। মানুষের মনে জাহান্নামের ভয় ঢুকে এবং মানুষ জান্নাতের জন্য লোভি হয়ে উঠে। এতে করে আস্তে আস্তে মানুষের অন্তরের সমস্ত কুপ্রবৃত্তি লোপ পায় এবং সেখানে কুরআন হাদীসের বাণী প্রতিস্হাপন হয়। মানুষের চিন্তা চেতনায় তখন আল্লাহর সন্তুষ্টিই হয়ে উঠে মুখ্য। মানুষ তার মগজ দিয়ে শুধু কল্যানের কথাই চিন্তা করে।
জামাত শিবির ও মানুষদেরকে এভাবেই মগজ ধোলাই করে থাকে। যার কারনে দেখা যায় তাদের প্রতিটি নেতা কর্মীর মধ্যে আল্লাহর ভয় ছাড়া আর কারো ভয় থাকেনা। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই তারা একে অপরকে ভালোবাসে, আল্লাহর সামনেই মাথা নত করে, জীবন উৎসর্গ করতে কুন্ঠাবোধ করেনা।
এমন ভাবে মগজ ধোলাই করে টাকা পয়সা দিয়ে ঐ মগজ কেনা যায়না। পুলিশি নির্যাতন চালিয়ে মগজের কাজ বন্ধ করা যায়না।পুলিশ দিয়ে হাত পা ভেংগে ফেলার পরও মগজ তার লক্ষে স্হির থাকে। কারেন্টের সর্ট দেয়ার পরও মগজ তার চিন্তা থেকে বিচ্যুত হয়না।চোঁখ উপড়ে ফেলে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে দেখেও মগজ এতটুকুন ভয় পায়না বা মগজ পেছনে থাকানোর চিন্তাও করেনা।
তাহলে কি দিয়ে সেই মগজকে পরিষ্কার করা হয়েছে বা ধোলাই করা হয়ছে! সেই মগজকে কুরআন আর হাদীস দিয়ে ধোলাই করা হয়েছে। শুধু ধোলাই করেই শেষ নয়, কুরআন হাদীসের আলোও জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে সেই মগজে। আর যে মগজে কুরআন হাদীসের আলো আছে সেই মগজ দুনিয়ার কোন শক্তি কি তার কাজ থেকে সামান্য পরিমান সরাতে পারে ?
বিষয়: রাজনীতি
২০০৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন