জামাত শিবিরের চোরা গুপ্তা হামলা ও নাশকতার ধরন

লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ০৫ নভেম্বর, ২০১৩, ০৫:৫২:২৩ বিকাল

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রতিটি মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশি আলোচিত রাজনৈতিক সংগঠন জামাত শিবির। ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া বলেন আর প্রিন্ট মিডিয়া সবখানেই জামাত শিবিরের আধিপত্য, অর্থাৎ খবরের শিরোনাম হচ্ছে জামাত শিবির। জামাত শিবিরকে জড়িয়ে রিপোর্ট করলে পত্রিকার কাটতি বাড়ে, জামাত শিবিরকে জড়িয়ে টকশো হলে টিভি চ্যানেলের দর্শক বাড়ে।তাইতো সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন, ব্যাবসাটা ভালোই চলছে।কি সত্য, কি মিথ্যা এগুলো বিচারের সময় কোথায় ? দে একটা রিপোর্ট করে জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে।এতে করে পত্রিকার কাটতি বাড়লো বা চ্যানেলের দর্শক বাড়লো, আর পাশাপাশি সরকারের আনুকুল্যে থেকে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা নিয়ে, অবৈধ পথে ৫/৭ টা বাড়ির মালিকও হওয়া গেলো।

কতটা মিথ্যাচার করতে পারে একেকটা মিডিয়া বলার অপেক্ষা রাখেনা, যা দেখে শয়তানও লজ্জায় কান্না শুরু করে,কেননা তার কাজ সে ঠিকমত করতে পারছেনা এই অসহায়ত্বে।শয়তানের থেকেও মানুষ আরো বেশি ভয়ংকর হতে পারে, এই জন্যই আল্লাহ তায়ালা সুরা নাস এর মধ্যে মানুষকে জ্বিন ও মানুষরুপি জ্বিনদের থেকে তার কাছে আশ্রয় নেয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। আজকে অবস্হাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আমাদেরকে বেশি বেশি করে মানুষরুপি জ্বিনদের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হবে।

আল্লাহর রহমতে ইতিমধ্যে এইসব মিডিয়া ও মিডিয়ার সাথে সংশ্লিষ্টরা সাধারন মানুষের কাছে মিথ্যাবাদি ও কোন একটা পক্ষ বা গোষ্টির, আধিপত্যবাদি কোন দেশের দালাল হিসাবে পরিচিত হয়েছেন।এভাবে তারা যত বেশি মিথ্যার প্রচার ও প্রসারে ব্যস্হ থাকবেন তত বেশি তাদের পরিচয় মানুষের কাছে ফোটে উঠবে।

আপনারা দেখেছেন গত ৩ দিনের হরতালে রাজশাহিতে শিবিরের মিছিলের উপর আক্রমনকারি অস্ত্রধারী নরপশুকে প্রথম আলো পত্রিকা শিবিরের লোক করতে গিয়ে কিভাবে ধরা খেল। আপনারা আরো দেখে থাকবেন যে,বিভিন্ন সময়ে মিডিয়া গুলোর শিরোনাম এবং ভিতরের খবরে বিস্তর পার্থক্য।যেমন ধরুন খবরের শিরোনাম অমুক স্হানে শিবিরের হামলা আহত ৩ জন কিন্তু ভিতরে গিয়ে দেখবেন আহত ৩ জনই হচ্ছে শিবিরের। প্রশ্ন হলো,যদি শিবির হামলা করে তাহলে আহত শুধু তাদের ৩ জনই হয় কিভাবে ? এভাবে আরো কত চমকপ্রদ শিরোনাম দিয়ে জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যাচার করেই যাচ্ছে মিডিয়া গুলো।

বর্তমান সময়ে পত্রিকা খুললেই দেখা যায় বড় বড় শিরোনামে দেয়া আছে, বা চ্যানেলগুলোর নিউজ শুনতে গেলেই শুনবেন জামাত শিবিরের চোরা গুপ্তা হামলা বা নাশকতার আশংকা শিরোনামের কিছু উদ্ভট খবর। কিন্তু চোরা গুপ্তা হামলা বা নাশকতার যে আশংকা করা হয় তা কতটা সত্য। জানিনা তাদের দৃষ্টিতে চোরা গুপ্তা হামলা বা নাশকতার সংজ্ঞা কি ? কেননা আমরা সাধারন জনগন এখন পর্যন্ত দেখিনি বা শুনিনি জামাত শিবির কোথাও লুকিয়ে থেকে কোন হামলা করেছে। আমরা দেখিনি জামাত শিবির কোথাও সাধারন মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছে বা জ্বালাও পোড়াও করে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেছে।

সব সময়ই দেখেছি তারা একটি মিছিল করার জন্য (যা তাদের অধিকার) লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে। সুযোগ পেলেই হয়তো মিছিল বের করবে। দেখা গেলো এক সময় তারা একটা মিছিল বের করেছে সাথে সাথে তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছে পুলিশ সাথে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। তখন তারা সান্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে গেলো, সেখানে হয়তো ২/১ জন পুলিশও আহত হলো,দেখা গেলো মিডিয়ার শিরোনাম হয়েছে জামাত শিবিরের চোরা গুপ্তা হামলায় ২ জন পুলিশ আহত। এটাই কি চোরা গুপ্তা হামলা ? কেন সরকার জামাত শিবিরকে একটা মিছিল করার অধিকার থেকে বন্চিত করছে। পুলিশ অযথা বাড়াবাড়ি করবে, লীগের সন্ত্রাসীরা মিছিলে হামলা করবে আর প্রতিহত করতে গিয়ে হতাহত হলে আপনারা বলবেন জামাত শিবিরের চোরাগুপ্তা হামলা।

এত নাশকতা নাশকতা বলে কেন মানুষের মনে অযথা ভয় ঢুকাচ্ছেন ? জামাত শিবির যদি এতই নাশকতা করে তাহলে তাদের হাতে কোথায় কতটি বাড়ি পুড়ানো হয়েছে, তাদের হাতে কোথায় কতজন মানুষ আহত নিহত হয়েছে তার হিসাব দিন। সব সময়ই দেখা যায় প্রতিটি ঘটনায় জামাত শিবিরের লোকজন অকাতরে মরতেছে। তারাই চোরাগুপ্তা করে, তারাই নাশকতা করে, আবার মরে শুধু তাদের লোকজন, আহতও হয় শুধু তাদের লোকজন, এটা কেমন ধরনের চোরাগুপ্তা হামলা বা নাশকতা হলো ?

বিষয়: রাজনীতি

১৯৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File