জামাত শিবিরের লোক গুলো এত বোকা কেন ?

লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ০১ নভেম্বর, ২০১৩, ০৫:৪০:০৩ বিকাল



২৮ শে অক্টোবর কে ঘিরে প্রতিটি ইসলামি আন্দোলনের নেতা কর্মী ও ইসলামপ্রিয় সাধারন মানুষের অন্তরে এক চাপা রক্তক্ষরন অবিরত হচ্ছে। শুধু ইসলামি আন্দোলনের নেতা কর্মী ও ইসলাম প্রিয় মানুষই নয়, যারা সুন্দর সমাজ ব্যবস্হা আশা করেন, যারা মারামারিতে বিশ্বাসী নন, মানুষের মমতায় যাদের অন্তর ভরপুর তারা আটাশের লোমহর্ষক হত্যা কান্ডের ভিডিও দেখে হয়েছেন বাকহারা, জানিয়েছেন ধিক্ষার। এখনো তাদের অন্তর থেকে সে কালো দিনটি মুছে যায়নি,মুছে যাবেও না।

এই ক'দিনে ২৮ শের সেই লোমহর্ষক দিনকে নিয়ে অনেকেই লিখেছেন, জানিয়েছেন তাদের মনের কথাগুলো।প্রত্যেকের লেখার মধ্যেই তাদের মনের কষ্টগুলো ফুটে উঠেছে।একটা বেদনা, একটা হাহাকার, আহা, কি লোমহর্ষক সেই দিন।এখনো সেই দিনটি মনে হলে, সেই দিনের ঘটনাগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠলে কষ্টে যেন দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।একজন মানুষ কিভাবে অন্য একজন মানুষ মেরে লাশের উপর নৃত্য করতে পারে ! হা পারে,কোন মানুষ না পারলেও আওয়ামীলীগ পারে। কেননা ওরা মানুষ নয়,ওরা আওয়ামীলীগ।

আটাশের সেই দিন মনে হলে, সেই দিনের কিছু পড়লে, সেই দিনের ভিডিও আমার চোখের সামনে ভেসে উঠে। আমার খুব কষ্ট হয়,খুব। তাই সেই দিনকে আমি মনে করতে চাইনা। আজ ব্লগার Sada Kalo Mon এর ২৮শে অক্টোবর-আমার কিছু কথা! শিরোনামের লেখাটি পড়ে তাকে একটি মন্তব্য করেছিলা। মন্তব্য টি ছিলো-

যেখানে ছিল রণ প্রস্তুত আর অস্ত্রো সজ্জিত এক বাহিনীর সাথে অস্ত্রোহীন কিছু যুদ্ধা! এক দল শুধু অস্ত্র দিয়ে আঘাত দিতেই আছে আর এক দল শুধু নিরব্ আঘাত সহ্য করছে!তাদের কিছুই করার ছিল না ।(তার লেখা থেকে নেয়া)

এভাবে মার খাওয়া শরিয়তে এলাও করে কি ?


তিনি জবাব দিয়েছেন, প্রতিহত করা উচিত ছিল!কিন্তু তাদের হাতে কিছুই ছিল না! তাই....

আমার প্রশ্ন হলো কেন তাদের হাতে কিছুই ছিলোনা ? যেখানে আওয়ামী নেত্রী তার দলের প্রতিটি নেতা কর্মীকে লগি বৈঠা সাথে করে নিয়ে মাঠ দখলের জন্য আহবান করেন, সেখানে জামাতের সেক্রেটারি জেনারেল কিভাবে তার দলের নেতা কর্মীকে মানুষের দোয়া সাথে নিয়ে আসতে বলেন? কেন বলেননি বড় বড় দাঁড়িপাল্লা সাথে করে নিয়ে আসতে ? তাহলে অন্তত প্রতিটি নেতা কর্মীর সাথে দাঁড়িপাল্লার হাতলটা সাথে থাকতো যা দিয়ে আওয়ামী হায়েনাদের প্রতিহত করা যেত।

আসি বর্তমান সময় নিয়ে কিছু কথায়। এখনো দেখা যায় জামাত শিবিরের প্রতিটা মিছিল খুবই সাদামাটা। একদিকে আওয়ামী হায়েনাদের প্রতিহত করার ঘোষনা আসবে আর অপরদিকে খালি হাতে মিছিলে এসে অযথা মার খাবে এটা কেন হবে! যেখানে হলুদ মিডিয়া গুলো জামাত শিবিরের একজন কর্মীর হাত উচিয়ে নারায়ে তাকবীর শ্লোগান দেয়া আংগুলকে পিস্তল বলে, যেখানে কোন এক কুলাংগারের অস্ত্রসহ ছবি দিয়ে বলে এটা শিবির, যেখানে প্রতিটি মিছিল মিটিং এ আওয়ামী হায়েনারা অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করে,যেখানে হায়েনারা পাখির মত গুলি করে মানুষ মারছে, সেখানে কেন এত ভালো মানুষি! কেন মিছিলে আগত প্রতিটি কর্মীর হাতে একটা করে লাঠি অন্তত থাকবেনা।

খালি হাতে হায়েনাদের সাথে লড়তে যাওয়া এটা কি বোকামি নয় ? শরিয়তে এভাবে মরতে যাওয়া কতটা সমর্থন করে ? আদৌ সমর্থন করে কি না ? মরবো, তবে লড়াই করে কেন মরবোনা ? লড়াই না করে মরা আদৌ সমিচিন হচ্ছে কিনা, তা ভেবে দেখা দরকার দায়িত্বশীলদের। দায়িত্বশীলদের মনে রাখা দরকার আওয়ামীলীগকে মার দিলেই মানুষ খুশি। কি দিয়ে মারছেন মানুষ এটা এখন আর দেখবেনা। আর যেহেতু হলুদ মিডিয়া শুধু শুধু মিথ্যা দিয়ে তাদের রিপোর্ট সাজাচ্ছে সেহেতু দেননা কিছু সত্য রিপোর্ট করার সুযোগ।

বিষয়: রাজনীতি

১৯০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File