আওয়ামীলীগের গালে খালেদা জিয়ার চপেটাঘাত

লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ২২ অক্টোবর, ২০১৩, ০২:০২:০৩ রাত

এই দুই দিনে আওয়ামীলীগের গালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কয়েকটি চপেটাঘাত করেছেন তা আপনাদের সাথে আবারও শেয়ার করছি। বিষয়গুলো আপনারা জানেন, এরপরও আমি লোভ সামলাতে পারলামনা বলেই আবার তুলে ধরছি।বিষয়গুলো নিয়ে বিশেষ করে নির্বাচনকালীন সরকারের রুপরেখা নিয়ে খালেদা জিয়ার প্রস্তাবে প্রতিথযশা কলামিষ্টরা, বুদ্ধিজীবিরা পক্ষে বিপক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরবেন নিশ্চয়।যে যেভাবেই তারা তাদের মতামত তুলে ধরেননা কেন,খালেদা জিয়ার এমন সুস্পষ্ট প্রস্তাবনা দেশের আপামর জনসাধারনের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। এবং সে প্রস্তাবনা গ্রহন করে সরকার যদি সামনের দিনে সীদ্ধান্ত নেয় তাহলে দেশ ও জাতির জন্য তা মংগল বয়ে আনবে বৈকি।

এবার আসি চপেটাঘাত প্রসংগে :

প্রথমত, চপেটাঘাত হলো খালেদা জিয়ার নির্বাচনকালীন সরকারের রুপরেখা প্রদান। এক্ষেত্রে খালেদা জিয়া তার রুপরেখা সুস্পষ্ট করেছেন।তিনি কিভাবে, কোথা থেকে নিরপেক্ষ লোক নিয়ে এসে এবং কাকে এই সরকারের প্রধান করতে পারবেন তা জনগনের সামনে ক্লিয়ার তুলে ধরেছেন।যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী পারেন নি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তা ছিলো অস্পষ্ট। এবং তার দেয়া প্রস্তাবে কে এই সরকারে প্রধান হবেন তাও বলেন নি। আসলে তিনি ইচ্ছা করেই বলেন নি।তিনি বললেতো তার নিজের কথাই বলতে হয়,তাই একটু এড়িয়ে গিয়ে দেশের জনগনকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছেন মাত্র।

দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রী ও তার দলের সবাইকে ক্ষমা করে দেয়ার মত উদারতা দেখিয়েছেন খালেদা জিয়া।তাকে, তার পরিবারের সদস্যদেরকে, এমনকি তার দলের বিরুদ্ধে এমন কোন দিন নেই, এমন কোন সভা-সমাবেশ নেই যেখানে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে তার দলের প্রতিটা নেতাকর্মী কুৎসা রটনা করেন নি বা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেননি। এক্ষেত্রে খালেদা জিয়া সব সময়ই সংযমী ছিলেন এবং গত ২০ অক্টোবরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পেশাজীবীদের জাতীয় কনভেনশনেও তিনি একই ভুমিকা রাখেন। তবে এখানে তিনি আওয়ামীলীগের সবাইকে সাধারন ক্ষমা করে দিয়ে চরম একটা চপেটাঘাত করেন।তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ যেভাবে তার ও তার দলের বিরুদ্ধে কথা বলে তিনি সেভাবে কথা বলতে পারবেন না।কেননা দেশের মানুষ এধরনের অশ্লীল কথা শুনতে চায়না।তাই তিনি তাদের বিরুদ্ধে তাদের মত করে কথা না বলে ক্ষমা করে দেন।

তৃতীয়ত, একই প্রোগ্রামে খালেদা জিয়া আওয়ামীলীগের এমন দুর্দিনে মিলাদ পড়ানোর কথা বলেন। তিনি বলেন, মহানগর পুলিশ নগরীতে সব ধরনের সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, এমনকি ঘরোয়া প্রোগ্রামও করা যাবেনা।তাহলে কি করা যাবে ? শুধুই কি মিলাদ পড়ানো যাবে।তিনি বলেন, তাহলে আওয়ামীলীগের এমন দুর্দিনে মিলাদ পড়াতেই হয়।

চতুর্থত,খালেদা জিয়া দেশের জনগনকে মনে করিয়ে দেন যে, আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে একসময় দেশের সর্বোচ্চ আদালত ‘রং হেডেড’ বলে ঘোষনা করেছিলো।তিনি বলেন, এই ‘রং হেডেড’ মহিলা দেশকে ‘রং’ পথে পরিচালিত করছেন। দেশের মানুষকে অনেক আগেই সতর্ক হওয়া দরকার ছিলো বলেও খালেদা জিয়া আক্ষেপ করেন। কেননা একজন রং হেডেড মানুষকে কিভাবে মানুষ ভোট দেয়।

পরিশেষে একথাই বলবো যে এই দু'দিনে খালেদা জিয়া চমৎকার বক্তব্য রাখছেন। যা দেশের মানুষকে নতুন করে উজ্জিবিত করছে।

বিষয়: রাজনীতি

১৬০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File