শফি হুজুরের তেঁতুল নাকি রংপুরে বেশি পাওয়া যেত : আবিষ্কারক বেগম মতিয়া

লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ১৬ জুলাই, ২০১৩, ০৭:৪১:৩০ সকাল



১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে রংপুরের মেয়েরা ক্ষুধার জ্বালায় ভাতের দাবিতে সরকারি দফতরে রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে পতিতাবৃত্তিতে নেমেছিল। তখন শফি আহমদ কোথায় ছিলেন? তিনি তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেননি কেন ? জাতীয় সংসদে হেফাজতের আমীর আল্লামা আহমদ শফীর ভিডিও ফুটেজের বক্তব্য নিয়ে বিষোদগার করতে গিয়ে তৎকালীন সিপিবি নেত্রী, শেখ মুজিবুর রহমানের গায়ের চামড়া দিয়ে ‘ডুগডুগি’ বাজানোর খায়েস ওয়ালী,বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর(!) সৈনিক ও আওয়ামী সরকারের কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী একথাগুলো বলেন।

তার এ বক্তব্যের পর প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে রংপুরের বউরা কি করছিলো ? আমাদের প্রধানমন্ত্রী রংপুরের বউ। প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে পুতুল রংপুরের মেয়ে । কে দেবে এ প্রশ্ন গুলোর উত্তর।

আল্লামা শফি হুজুর মেয়েদেরকে তেঁতুলের সাথে তুলনা করায় প্রগতিশীল(!) নারী সমাজ, প্রগতিশীল(!) বুদ্ধিজীবি, প্রগতিশীল(!) তরুন-যুবক,রাম-বাম ও সরকার কি যে একটা হুলোস্হুলো অবস্তার সৃষ্টি করেছে। আমাদের এই ব্লগেও এই বিষয়ে পক্ষে বিপক্ষে অনেক ধরনের লেখা চোঁখে পড়েছে। শফি হুজুর এটা বলাতে সকলের যেন গা জ্বালা শুরু হয়েছে।কিন্তু এই মহিলাদের নিয়ে কত কবি সাহিত্যিক,কলামিষ্ট,নাট্যকার কতশত বাজে কথা বলেছেন, তা নিয়ে কারো কোনো বক্তব্য কোনোদিন ছিলোনা,এখনো নেই।

আমাদের সমাজে একধরনের প্রানী আছে যারা মুখের জ্বিহবা বের করে লালা ফেলে ফেলে দৌড়ায়,জানিনা তারা কেন এভাবে জ্বিহবা বের করে লালা ফেলে দৌড়ায়।কিসের লোভে জ্বিহবা বাহিরে থাকে আর লালা ফেলে ?

আমার দেশের কিছু প্রগতিবাদী সুশীলদের এরকমই মনে হয় আমার কাছে। সারাক্ষন মেয়েদের নিয়ে খেলানেলা,ফস্টিনস্টি করতে তারা পছন্দ করে।সবসময় যেন মহিলাদেরকে তাদের কাছাকাছি রাখতে চায়।জ্বিহবা বের করে লালা ফেলে মহিলাদের পিছু পিছু ওদের সবসময় দৌড়াতে দেখা যায়।আর কিছু প্রগতিশীল নারী সমাজ যারা তাদের সাথে পুরুষের এমন আচরনে মজা উপভোগ করে শুধু তারাই শফি হুজুরের সহজ কথাটাকে এভাবে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করে তুলেছে।

আর আমাদের সরকার (!) মাশা আল্লাহ ইসলাম, ইসলামি আন্দোলন ও তাদের নেতাদের বিষয়ে কিছু পেলে যেন চাঁদ হাতে পায়, এই বুঝি সুযোগ মুল্লাদের ধরার।আর মুল্লাদের ধরতে গিয়ে এমন কিছু কান্ড কারখানা করে ফেলেন যা হিতে বিপরীত হয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদেরকেই এই জন্য খেসারত দিতে হয়।

জানিনা, শফি হুজুরের তেঁতুল ও লালা তিওরীতে যাদের ইজ্জতে চরমভাবে আঘাত হেনেছে, মতিয়া চৌধূরীর এই কথায় তাদের ইজ্জতের কোথাও আঘাত হানতে পেরেছে কি না ? তবে আমার নিজস্ব উপলব্দি থেকে যে কথাটা বলতে পারি তাহলো, এক্ষেত্রে তারা নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করবে।

তবে রংপুর বাসী এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে কৃষিমন্ত্রীকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ঝাড়ু - মিছিল থুথু নিক্ষেপ করেছে।এখন দেখা যাক ঘটনা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাড়ায়।

একটি কথা না বললেই নয়, আল্লাহ তায়ালা তার দ্বীনের পথের মানুষগুলিকে সম্ভবত এভাবেই হেফাজত করেন।তা নাহলে শাহবাগের গাঁজাখোর আন্দোলন শুরু হওয়ার পর কেন নাস্তিকদের বিষয়টা সামনে চলে আসবে। আর শফি হুজুরের কথাটাকে ঘুলা করতে গিয়ে মতিয়া চৌধূরী এ কথা বলবেন।

বিষয়: বিবিধ

২৩৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File