রামাদ্বানে বর্জনীয় ও গ্রহনীয়
লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ১১ জুলাই, ২০১৩, ১০:৫২:৪৪ রাত
পবিত্র মাহে রামাদ্বান,প্রতিটি মুমিন মুসলমানের গুনাহ মাফের মাস।এ মাস হচ্ছে ছওয়াব অর্জনের মৌসুম।প্রতিটি নেক আমলের দ্বিগুন থেকে অনেক গুন বেশী ছওয়াব দেয়া হয়। একজন রোযাদ্ধারের যাযা আল্লাহ নিজেই।এত মহিমান্বিত একটি মাসে আমরা রোযা রাখি ঠিকই কিন্তু পাশাপাশি এমন কিছু কাজ করি যা রোযার ফজিলত কমিয়ে দেয়।যে উদ্দেশ্যে রোযা রাখি সে উদ্দেশ্যে ব্যঘাত ঘঠে।
আসুন, জেনে নেই এমন কিছু কাজ যা আমরা করে থাকি কিন্তু তা অবশ্যই বর্জনীয়।
বর্জনীয় :
রামাদ্বান মাসে আমরা খাবারের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ি।সেহরী ও ইফতারীতে রকমারী খাবারের বাহার।রামাদ্বানে যা খেতে পারো কোনো হিসাব নাই, এই সুযোগে আমরা যেন সব খেয়ে ফেলতে চাই।এত খাবার আয়োজন করা হয় যে, পরে অনেক খাবার ফেলে দিতে হয়।এতে করে খাবারের অপচয় হয়। মনে রাখবেন যা খাবেন তার হিসাব না নেয়া হলেও যা অপচয় করবেন তার হিসাব দিতে হবে।
অনেকে আছেন রোযা রেখে দিনের বেলা যাতে কষ্ট অনুভূত না হয় সে জন্য সারাদিন নানারকম খেলাধুলার মধ্যে মত্ত থাকি। কখন যোহর ও আসর নামাযের সময় চলে যাচ্ছে সেদিকে কোনো খেয়াল রাখিনা।মাগরিবের একটু পূর্বে খেলাধুলা বন্ধ করে ইফতারি খেতে বসি।এমন ভাবে খাই মাগরিবের নামাজটাও আর পড়া হয়না।
অনেকে খেলাধুলা করেন না, কিন্তু দিনের বেশীটা সময় ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেন।সেই যে সেহরীর পর ঘুমে গিয়েছিলেন আর যোহরের শেষ ওয়াক্তে উঠে তাড়াতাড়ি করে কোনোমতে যোহরটা আদায় করেন।
অনেকে রাতের বেশীটা সময় জেগে থাকেন, কিন্তু কোনো ধরনের নফল ইবাদাত না করে খেলাধুলা বা টিভিতে নানা রকম ছবি দেখে সময় অতিবাহিত করেন। সেহরীর সময় হলে সেহরী খেয়ে ফজরের নামায আদায় না করে ঘুমিয়ে পড়েন।
এশার নামাযে যথাসময়ে উপস্হিত হইনা।এশার ফরজ শেষ হয়ে যাচ্ছে এমন সময় মসজিদে দৌড় দেই।ততক্ষনে এশার ফরজ শেষ, মুসল্লিরা তারাবীহ পড়ার জন্য বসে আছে। আমরা গিয়ে খুব তাড়াতাড়ি করে একা একা এশার নামায আদায় করি,ঠিকমত সুরা কেরাতটাও পড়িনা। যেন এশার ফরজের চেয়ে তারাবির নামাযটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বোপরি অনেকে বর্তমান সময়ে ফেসবুক ও ব্লগে লেখালেখি করে সময় পার করেন।
আমাদের যাদের মধ্যে উপরুক্ত অভ্যাসগুলো বিদ্যমান, আসুন, আমরা এগুলো বর্জন করি এবং নিন্মোক্ত অভ্যাস গ্রহন করি।
গ্রহনীয় :
সংযমের মাসে খাবার দাবারেও একটু সংযত হই।যতটুকু খাব তা তৈরী করি,কোনো অবস্তায় যাতে অপচয় না হয় সেদিকে খেয়াল রাখি।আমাদের তৈরী করা খাবার থেকে, অথবা অতিরিক্ত খাবারগুলো গরিব প্রতিবেশীদের মধ্যে দিয়ে দেই।
আমাদের গরিব প্রতিবেশীদের এই রামাদ্বানে একটু খুঁজ খবর নেই। সেহরী ও ইফতারীতে তারাও যাতে খেতে পারে এজন্য সাধ্যমত সাহায্য করি।
দিনে কিংবা রাতে খেলাধুলা বা টিভি দেখার মধ্যে সময় না কাটিয়ে অবসর সময়টা নফল ইবাদাতে কাটাই।কুরআন তেলাওয়াত করি, কুরআন-হাদীস অধ্যয়ন করি, ইসলামি জ্ঞানার্জনের চেষ্টা করি।
প্রতি ওয়াক্তের নামায যথাসময়ে জামায়াতের সহিত আদায় করার চেষ্টা করি। মনে রাখবেন দিনের ৫ ওয়াক্ত নামায ফরজ আর তারাবীহ সুন্নাত।
ফেসবুক ও ব্লগে শিক্ষামূলক পোষ্ট দেই।
বিষয়: বিবিধ
২৬২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন