¤¤¤¤¤¤¤¤ সাপে কাটলে করণীয় ¤¤¤¤¤¤¤¤¤
লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ১৪ জুন, ২০১৩, ০৫:১৭:৩৬ সকাল
সর্প দংশন বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ন স্বাস্হ্য সমস্যা।বাংলাদেশে প্রায় ৮০ প্রজাতির সাপের মধ্যে ২৭ প্রজাতির সামুদ্রিক সাপ সহ ৬ প্রজাতির ডাঙ্গা সাপ খুবই বিষধর। এই বিষধর সর্প দংশনের ফলে প্রতি বছর অসংখ্য সাপে কাটা মানুষ মারা যায়। আমাদের দেশে যখন বন্যা হয় তখন সর্প দংশন ও এই কারনে মৃত্যুর পরিমান বেড়ে যায়।তবে প্রচলিত ভ্রান্তধারনা প্রসূত চিকিৎসা না নিয়ে বিজ্ঞান সমস্ত চিকিৎসা নিলে এ সর্প দংশনের মৃত্যুহার অনেকটা কমানো যাবে।
আসুন জেনে নেই কি সেই চিকিৎসা।
সর্প দংশনের পর আমরা যদি প্রাথমিক চিকিৎসাগুলো সম্পন্ন করে রোগীকে নিকটস্ত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাই তাহলে সর্প দংশনের রোগী আল্লাহর রহমতে সুস্হ্য হয়ে উঠবেন।
প্রাথমিক পর্যায়ে যা করণীয়-
¤¤¤ সাপে কামড়ানো ব্যাক্তিকে প্রথমে খোলামেলা একটি জায়গায় নিয়ে দ্রুত শুইয়ে দিতে হবে।তারপর চারপাশের লোকজনকে সরিয়ে দিতে হবে যাতে রোগী যতেষ্ট আলো-বাতাস পায়।
¤¤¤ রোগীর জ্ঞান আছে কি না তা যাচাই করুন।জ্ঞান থাকলে কথা বলে তার মনোবল যোগান।
¤¤¤ শরীরের বর্ণ ও দংশনের স্হান ভালোভাবে পরীক্ষা করে জেনে নিন সাপটি বিষধর কি না।সাধারনত বিষধর সাপ হলে এক বা দুই দাঁতের কামড়ের চিহ্ন থাকবে।দুইয়ের অধিক দাঁতের কামড় থাকলে সাপটি বিষধর নয়।
¤¤¤ রোগীর হাতে বা পায়ে কোনো অলংকার থাকলে তা খুলে ফেলতে হবে।
¤¤¤ সাবান বা পরিষ্কার পানি দিয়ে রোগীর ক্ষতস্হানটি ভালোভাবে ধুয়ে দিতে হবে।
¤¤¤ হাত বা পায়ে কামড় দিলে ক্ষতস্হানে বাঁশ বা কাঠের চটা দিয়ে হালকা ভাবে বাঁধতে হবে।
¤¤¤ সাপে কাটা ব্যক্তিকে সারাক্ষন সজাগ রাখার চেষ্টা করতে হবে।
এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিকটস্ত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
যা করা যাবেনা-
$$ বেশি নড়াচড়া করলে বিষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে, তাই রোগীকে নড়াচড়া করা থেকে বিরত রাখতে হবে।
$$ রোগীর দংশীত স্হান শক্তভাবে না বেঁধে হালকাভাবে বাঁধুন।কোনো প্রকার টুর্নিকেট ব্যবহার করবেন না।
$$ ক্ষতস্হানটি কোনো প্রকার লতাপাতা, তৈলাক্ত বা ঘি জাতীয় কোনোকিছু লাগিয়ে ময়লা করা যাবেনা।
$$ ক্ষতস্হানে কোনো প্রকার কাঁটা-ছেড়া করবেন না।
$$ ক্ষতস্হান মূখ দিয়ে চুষবেন না।
ফেসবুকের একটি সর্ট ভিডিও থেকে নেয়া। এটা নির্মান করেছে বাংলা টেলিফিল্ম।
বিষয়: বিবিধ
২৮৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন