জোবায়দা রহমানের রাজনীতিতে আগমন ও বাংলাদেশের ধ্বজভঙ্গ গণতন্ত্রের বিকল্প প্রস্তাব।।
লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ৩১ মে, ২০১৩, ০১:৩১:৩৭ রাত
প্রায়শই বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে দেখা যায় রাজনীতিতে আসছেন শেখ রেহানা। হয়ে যাবেন সরকারের বড় কোনো মন্ত্রী বা উপদেষ্টা । রাজনীতিতে আসতেছেন হাসিনা তনয় জয়, আসতেছেন তনয়া পূতুল, পাচ্ছেন বড়সড় কোনো দায়িত্ব।শেখ হাসিনার অবর্তমানে তারাই দলের হাল ধরবেন,হাল ধরবেন দেশের।
যদিও বর্তমানে সরাসরি রাজনীতির সাথে জড়িত না হলেও, সরকারের কোনো দায়িত্বে না থাকলেও আওয়ামীলীগের কাছে,সরকারের কাছে তাদের আলাদা একটা ইমেজ ও অবস্তান আছে। যা দেখলে বা শুনলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে দলের কাছে হোক আর সরকারে হোক শেখ হাসিনার পরেই তাদের অবস্তান।
একই অবস্তা বি এন পির। তারেক রহমানতো ইতিমধ্যে রাজনীতিতে এসে লংকা কান্ড পর্যন্ত ঘঠিয়েছেন।গত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে তিনি দলের সিনিয়র যোগ্ম মহাসচিব হিসাবে রাজনীতিতে রাজকীয় আগমন করেন।সরকারের কোনো পদে না থাকলেও চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে দলে ও সরকারে বেগম খালেদা জিয়ার পর তারই অবস্তান ছিলো। এটা মানতে না পেরে বি এন পির অনেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দ দল ত্যাগে বাধ্য হন।
বেশ কিছুদিন থেকে তারেক রহমান দেশের বাহিরে আছেন শুধু সরকারের নির্যাতন থেকে বাচতে। সাথে আছেন তার স্ত্রী ডাঃ জোবায়দা রহমান। বর্তমানে বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে শুনা যাচ্ছে জোবায়দা রহমান দেশে ফিরবেন এবং রাজনীতিতে জড়িত হবেন।
শেখ হাসিনার পরিবার বলেন আর বেগম খালেদা জিয়ার পরবারের সদস্য বলেন তাদের রাজনীতিতে আগমনের সংবাদে দু'টি দলের নেতা কর্মী সমর্থকরা খুব বেশি উচ্ছাশা প্রকাশ করেন।কর্মী সমর্থকদের মধ্যে যেন অন্য রকম আবহ তৈরী করে তাদের আগমনের সংবাদে।
কিন্তু কেন ? ওরা রাজনীতিতে আসবে, দলের হাল ধরবে, দেশের হাল ধরবে! কেন এটা হবে ? দু'দলের মধ্যে কি যোগ্যতম আর কোন পুরুষ নেই যে তার দলের হাল ধরতে পারে। কেন ওরা রাজনীতিতে এসেই দলের প্রধান হয়ে যাবে, সরকারের হর্তাকর্তা হয়ে যাবে ? আওয়ামীলীগ ও বি এন পি কি ঐ দু'টি পরিবারের কাছে জিম্মি ? বাংলাদেশকে কি ঐ দু'টি পরিবারের হাতে লীজ দেয়া হয়েছে, যে ঘুরে ফিরে তারাই শুধু আমাদেরকে শাসন করবে ? আর আমাদের দেশের মানুষের মন মানসিকতা এতটাই হীন যে ঐ পরিবারের কেও রাজনীতিতে আসার খবর শুনে আমরা খেমটা তালে নাচ শুরু করি। কেন এই মানসিকতা নিয়ে আমাদের গড়ে তুলা হচ্ছে ?
যদি এই-ই হয়, তাহলে বর্তমান বাংলাদেশের ধ্বজভঙ্গ গণতন্ত্রের বিপরীতে আমার একটা বিকল্প প্রস্তাব আছে।
যেহেতু-
শেখ হাসিনার অবর্তমানে শেখ রেহানা বা জয়,পুতুল হবেন আওয়ামীলীগের প্রধান আর বি এন পিতে বেগম জিয়ার অবর্তমানে তারেক জিয়া বা জোবায়দা রহমান হবেন দলের প্রধান।
যেহেতু-
ঘুরে ফিরে এই দু'টি দলই দেশের ক্ষমতায় আসবে বা আমাদের শাসন করবে ।
যেহেতু-
ক্ষমতায় গেলেই তাদের পরিবারের কেও না কেও সরকারের প্রধান হবেন।
সেহেতু-
বাংলাদেশের নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন করা হোক। সরকার গঠনের জন্য কোনো নির্বাচনের দরকার নাই।
সরকারের মেয়াদ হবে মাত্র এক বছর।এক বছর শেখ মুজিবের পরিবারের কেও দেশ চালাবেন। এক বছর জিয়ার পরিবারের কেও দেশ চালাবেন।তারা যাকে ইচ্ছা তাকে তাদের সরকারের বিভিন্ন দায় দায়িত্ব দেবেন। প্রতি বছর শুধু তাদের পরিবার থেকে বাই রটেশনে এ কু-কাম সমাধা করবেন।
এতে করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সারা দেশ ব্যাপী কামড়া কামড়ি হবেনা। দেশের মানুষ অন্তত শান্তিতে থাকবে।
নির্বাচন দিয়ে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকার অপচয় হবেনা।
আজীবন শুধু একজনেই ক্ষমতা ধরে রাখার চিন্তাও আর কেও করবেনা।
অন্য কোনো রাজনৈতিক দলও থাকবেনা, আর তাদের দমনের জন্য সরকারকে এত মরিয়া হয়ে চেষ্টাও করতে হবেনা।
আর এই প্রক্রিয়ার কারনে কেও এটাও বলতে পারবেনা যে বাংলাদেশে রাজতন্ত্র চলতেছে।
যদিও বর্তমান অবস্তাটা হচ্ছে ধ্বজভঙ্গ গণতন্ত্রের আড়ালে একধরনের রাজতান্ত্রিক অবস্তা।
আশা করি আমার প্রস্তাবনা আপনারা সহ সংশ্লীষ্ট কর্তৃপক্ষ সকলেই ভেবে দেখবেন।
বিষয়: রাজনীতি
৩৯৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন