মিলান সফর::(পর্ব দুই) গিয়েছিলাম কমো লেকে, পাহাড়ের চুড়ায় উঠতে পারিনি সাহসের অভাবে কিন্তু সে............।

লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ১১ মে, ২০১৩, ০২:৩২:০৪ রাত





বাসী হয়ে যাচ্ছে মিলান সফর।মিলান যাওয়ার পর একটা পোষ্ট দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলাম আমাদের অবস্তান,তাই অনেকে মিলান সফরের কাহিনী শুনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।মিলান সফর:পর্ব এক দিয়ে শুরু করেছিলাম সফরের কাহিনী। কিন্তু দেশে একটার পর একটা মর্মান্তিক ঘটনা রচিত হওয়ায় আমি আমার ভ্রমন কাহিনী লিখা স্হগিত করি। দেশের সার্বিক পরিস্হিতিতে আমার সহ সকলেরই মনের অবস্হা ভালো নেই।সকল কষ্টকে বুকে ধারন করে আমরা বেচে আছি তাই একটু আনন্দ দানের জন্য আমার মিলান সফরের ২য় পর্ব পোষ্ট দিলাম।



মিলান যাওয়ার ২য় দিন আমার চাচাত বোন তার স্বামী ও দুইটা বাচ্চাকে সহ আমাদের নিয়ে গেলেন মিলানের কমো লেকেতে।লেকটি চমৎকার।লেকের অপর পার্শ্বে সুইজারল্যান্ড। যদিও দেখার সুযোগ নাই, কেননা লেকের সাথে পাহাড়। পাহাড়ের অপাশেই সুইজারল্যান্ড।



টকটকে রোদের মধ্যে লেকে যাওয়ার পরই সবাই মিলে কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম।লেকে অনেক গুলো ছোট ছোট ইন্জিন চালিত বোট রয়েছে, আপনি ইচ্ছে করলেই ভাড়া করে বোটে চড়তে পারেন। আমরা আর ওদিকে গেলাম না। কয়েকটি ছবি তুলে আমি ছাড়া সবাই আইসক্রিম খেল। আমি সাধারনত আইসক্রিম খুব একটা পছন্দ করিনা, মাঝে মধ্যে বউয়ের আইসক্রিম থেকে একটু ভাগ বসাই। এতে আমারও একটু খাওয়া হলো আর বউও খুশি।





লেকটা কিন্তু যেন পাহাড়ের মধ্যেই অবস্হিত।লেকের চতুর্দিকে বিশাল উঁচু উঁচু পাহাড়।পাহাড়ের চুড়ায় আবার রীতিমত বাড়িঘর, মানুষের বাস।পাহাড়ের চুড়ায় উঠার দুটু পথ। একটা হলো আপনি আপনার গাড়ি নিয়ে পাহাড় ঘুরে ঘুরে উঠবেন। আর আরেকটা হলো রেল পথ।ফোনিকুলার ট্রেনে করে আপনি উপরে উঠতে পারেন। নীচ থেকে সোজা আপনার মাথার উপর দিয়ে একটা রেলপথ চলে গিয়েছে পাহাড়ের চুড়ায়।



আমিতো দেখেই না করে দিয়েছি যে ওখানে উঠবোনা। কিন্তু আমার বউ আর বোনের ৯ বছরের মেয়ে মাহিয়া তারা দুজন বায়না ধরলো ওখানে উঠবে।কি আর করা, ওদের বায়নার কাছে হার মানতে হলো। কিন্তু চাচাত বোন অসুস্হ বিধায় সে আর তার ছোট মেয়ে উঠবেনা, তাদেরকে সংগ দিতে গিয়ে বোন জামাইও উঠবেনা।





সিদ্ধান্ত নিলাম আমি আমার বউ আর বড় ভাগনী আমরা তিনজন উপরে উঠবো।তিনটা টিকেট কাটলাম। ওখানে উঠতে গেলে আবার টিকেট কাটতে হয়।আমরা টিকেট কেটে যথারীতি ট্রেনে গিয়ে উঠলাম। ট্রেনে একসাথে ৩০/৩৫ জন মানুষ চড়তে পারে।ঐদিন আমরা ছাড়া আরোও ৩ জন বয়ষ্ক মহিলা ট্রেনে উঠেন।



ট্রেনে উঠে সামনের দিকে উপরে তাকাতেই আমার বুকে কাঁপন শুরু হয়। সোজা মাথার উপর দিয়ে ট্রেন উপরে উঠবে দেখেই আমি রীতিমত ভয় পেয়ে যাই। বউকে বলি তোমরা যাও আমি নেমে যাচ্ছি,বলেই ট্রেন থেকে নেমে পড়ি। তাদের সাথে আমার টিকেটে বোন জামাইকে পাঠিয়ে দেই। তারা ৩জন উপরে উঠে। ছবি গুলো সব আমার বউ উপর থেকে তুলেছে।তাই একটু অন্ধকার।





আমি সাহস করে না উঠলেও আমার বউ সাহস করে উঠেছে, সাথে ভাগনীটি কোন প্রকার ভয়টয় যেন নাই।বোন জামাই তাদের সাথে উঠলেও ভয়ে রীতিমত ঘেমে যান।নীচে নামার পর তাকে ঠান্ডা পানি দিয়ে মাথা বেজাতে হয়।

চলবে...

পরবর্তি পর্বে থাকবে ভ্যানিস শহরের কথা।

বিষয়: বিবিধ

৩০৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File