জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচীর মধ্যকার মিল: আল্লাহ রক্ষা করেছেন হেফাজতে ইসলামকে, নতুবা আরেকটি ২৮ শে অক্টোবর হতে পারতো।।

লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ০৮ এপ্রিল, ২০১৩, ০৭:২৬:২৭ সকাল



লগি-বৈঠা দিয়ে এভাবেই ওরা পিটিয়ে হত্যা করে ।





লংমার্চ ও সমাবেশ শেষে ফেরার পথে আক্রমনের শিকার এক বয়স্ক মুসল্লি ।

জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতে ইসলাম দুটি ইসলামীক সংগঠনের নাম। বাংলাদেশের ইসলামপ্রিয় জনতার প্রানের সংগঠন এ দুটি।

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্তায় ইসলামের বিধিবিধান সু-প্রতিষ্টিত করার লক্ষে তার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।তাদের মূল লক্ষই হলো রাষ্ট্রের সর্বস্তরে আল্লাহর আইন ও সৎ - যোগ্য লোকের শাসন প্রতিষ্টা করা। যার কারনে জামায়াতে ইসলামীকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নানারকম রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করতে হয়।

আর হেফাজতে ইসলাম কোন রাজনৈতিক দল নয়।তারা একটি অরাজনৈতিক দল।তাদের মূল লক্ষ হলো ইসলামের হেফাজত করা।অর্থাৎ যেখানেই ইসলাম আক্রান্ত হবে সেখানেই তাদের কর্মসূচী থাকবে।যা এই কদিনে আমরা দেখতে পাচ্ছি। অবশ্য এ ব্যাপারে আমার সাথে অনেকের দ্বিমত থাকতে পারে।

তবে আমি এ দুটি ইসলামীক দলের মধ্যে একটি মিল খোঁজে পেয়েছি।তা হলো.................।

জনগনের দোয়া নিয়ে আসার আহবান :

২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রেডিও-টিভিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। পরদিন চারদলীয় জোট ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশে নানা রকম কর্মসূচীর মাধ্যমে ৫ বছর পূতির উদ্যোগ নেয়।

এই দিনে আওয়ামীলীগ সহ অন্যান্ন বিরুধী রাজনৈতিক দলও নানা রকম কর্মসূচী হাতে নেয়। সে দিনকে সামনে রেখে তৎকালীন প্রধান বিরুধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা পরদিন অর্থাৎ ২৮ অক্টোবর লগি বৈঠা হাতে নিয়ে রাজপথে নামার জন্য তার দলীয় নেতা কর্মীকে আহবান জানান।

অপরদিকে চারদলীয় জোটের অন্যতম শরিকদল জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ শেখ হাসিনার এই নেক্কার জনক ঘোষনার জবাবে তার দলের নেতা কর্মীকে জনগনের দোয়া নিয়ে আসার আহবান জানান।

ঠিকই উভয় দলের নেতা কর্মী তাদের দলীয় নেতার আহবানে সাড়া দেয় এবং কেও হাতে করে নিয়ে আসে লগি বৈঠা আর কেও আসে খালি হাতে জনগনের দোয়া নিয়ে।

তারপরের অবস্তা আপনারা সবাই জানেন। সেদিন আওয়ামীলীগ ও তাদের দোসরদের লগি বৈঠার নারকীয় তান্ডবে সারা দেশে জামায়াত সহ চারদলীয় জোটের ৫৪ জন নেতা কর্মী শহীদ হন।

সেদিন যদি মুজাহিদ সাহেব তার দলীয় নেতা কর্মীকেও লগি বৈঠার মোকাবেলায় প্রত্যেককে একটি করে হাতে লাঠি নিয়ে আসার কথা বলতেন তাহলে হয়তো এত নেতা কর্মীকে প্রাণ দিতে হতনা।

হাতে তাসবীহ ও জায়নামাজ নিয়ে আসার আহবান :

গত ৬ তারিখে হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ কর্মসূচীকে বাঁধা প্রদানের জন্য সরকার ও তাদের দোসররা নানা রকম কর্মসূচী হাতে নেয়।সরকারের মদদে নামস্বর্বস্য কিছু রাম বাম সংগঠন মিলে হরতালের ডাক দেয়।সরকার ঢাকার সাথে সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্তা বিচ্ছিন্ন করে দেয়।শাহবাগ থেকে ঘোষনা আসে হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ করতে দেয়া হবেনা এবং সকল শাহবাগীকে লাঠি হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে হেফাজতে ইসলামকে প্রতিহত করতে।

এই অবস্তায় হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে তাদের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী ঘোষনা দিলেন হাতে তাসবীহ ও জায়নামাজ নিয়ে আসতে এবং যেখানে বাঁধা আসবে সেখানেই বসে পড়ে জিকির আজকার করতে।

জামায়াত নেতা মুজাহিদের মত চমৎকার একটি ঘোষনা !

হেফাজতের ডাকে সাড়া দিয়ে সারা দেশে যেভাবে সাধারন ইসলাম প্রিয় জনতা মাঠে নেমেছিলো,যদি রাম বামরা তাদের হুংকারের মত কাজ করত তাহলেতো সারা দেশে আরেকটি রক্তের বন্যা বয়ে যেত।তখন কি তাসবীহ ও জায়নামাজ দিয়ে ওদের মোকাবেলা করা যেত ?

আল্লাহ হেফাজতে ইসলামকে একান্ত মেহেরবানী করে রক্ষা করেছেন।নতুবা ৬ এপ্রিল আরেকটি ২৮ অক্টোবর হতে পারতো।

বিষয়: রাজনীতি

২৯৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File