জুতা নিয়ে যত বিড়ম্বনা : পায়ে পরলে সম্মান জুতা গায়ে পড়লে অপমান।।
লিখেছেন লিখেছেন প্যারিস থেকে আমি ০৭ এপ্রিল, ২০১৩, ০৬:০২:৪৩ সকাল
কবে থেকে জুতা আবিষ্কার হয়েছে সঠিকভাবে জানা না গেলেও বলা যায় জুতার ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকে। আজকের অত্যাধুনিক যুগের মত সে দিনের জুতা না হলেও নানা রকম জুতা সেই প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে।
মানুষে শুভাবর্ধনের জন্য ব্যবহারিক জিনিষের মধ্যে জুতা অন্যতম। তাইতো বর্তমান সময়ে সকলেই অনেক দামি দামি জুতা ব্যবহার করে থাকেন।ধনি গরীব সকলেই জুতা ব্যবহার করেন।
ইসলাম ধর্মে জুতা ব্যবহার করা হচ্ছে সুন্নাত। মুসলমানদের পবিত্র থাকার অন্যতম বাহন হলো জুতা।জুতা ব্যবহার করলে অনায়াসে চলাফেরা করা যায়।
সাধারনত জুতা মানুষ পায়েই পরে থাকে।পায়ে পরলে জুতা মানুষের সম্মান বৃদ্ধি করে।আর সেই জুতা যদি কারোও গায়ে পড়ে তাহলে অসম্মানির শেষ থাকেনা।
সব বড় বড় ক্ষমতাবানদের গায়ে জুতা পড়েছে। জুতা যাদের গায়ে পড়েছে খুঁজলে দেখা যায় তারা সবাই ছিলেন ইতিহাসের নিকৃষ্টতম মানুষ।সেই নমরুদ থেকে শুরু করে আজ অবদি যাদের গায়ে জুতা পড়েছে তারা সবাই খুব ক্ষমতাবান।কিন্তু মানুষ তাদেরকে এতটাই ঘৃনা করত যে শেষ পর্যন্ত তাদেরকে জুতা উপহার দেয়া হয়। কোন ভালো মানুষের গায়ে জুতা পড়েছে বলে এখনো শুনতে পাইনি।
আসা যাক জুতা নিয়ে যত বিড়ম্বনা সে বিষয়ে।
কিছু বিড়ম্বনা আমার জীবন থেকে নেয়া , আর কিছু আমার দেখা বিড়ম্বনা।
প্রথমেই আসা যাক আমার ব্যক্তিগত জীবনে ঘটে যাওয়া বিড়ম্বনা নিয়ে।
দেশে এগুলো পরতাম।
এক সময় স্যান্ডেল পরতাম। একজুড়া স্যান্ডেল ছিলো খুব পছন্দের। কালার ছিলো লাল কালো মিলিয়ে তাই আমার খুব পছন্দ। তো একদিন আমাদের পৌর শহরের এক জামে মসজিদে জুহরের নামাজ আদায়ের জন্য জুতা মসজিদের বারান্দায় রাখি। নামাজ শেষ করে এসে দেখি আমার জুতা গায়েব, অর্থাৎ জুতা চুরি হয়েছে। কি আর করা মনের দুঃখে কষ্টে এক জুতার দোকানে ঢুকে আরোও একজুড়া জুতা কিনে বাড়ি ফিরি।
এখন হামেশা এগুলো পরতে হয়।
এই প্যারিসেও জুতা চুরি হয়। আমারতো মনে হয় দুনিয়ার সব দেশেই সুযোগ পেলে জুতা চুরি হয়ে থাকে।
আমার জীবনের দ্বিতীয় বিড়ম্বনা:
প্রায় দিনই শহরে মিছিলে অংশ গ্রহন করেছি। মিছিলের মধ্যখানে থেকে প্রায় সময় শ্লোগান ধরতাম। তো একদিন মিছিলের মধ্যখানে গিয়ে শ্লোগান ধরেছি। হঠাৎ করে পেছন থেকে একজন আমার পায়ের পেছনে জুতার মধ্যে পা ফেলেন আর অমনি আমার জুতার ফিতা ছিড়ে যায়। চিন্তা করে দেখেন কি অবস্তার মধ্যে পড়েছি। খুব রাগ হয়েছিলো। কোনমতে রাগ হজম করে আস্তে আস্তে মিছিল থেকে সঠকে পড়ি এবং একটি জুতার দোকানে ঢুকে জুতা কিনে তারপর পায়ে দেই।
এবার আসা যাক আমার দেখা বিড়ম্বনা বর্ণনা করি।
একসময় ছিলো বিয়ে বাড়িতে বরকে নিয়ে নানা রকম মজা করা হত।বরকে মানসিক ভাবে টেনশনে ফেলে পরবর্তিতে টেনশন থেকে আবার উদ্ধার করা হত।এজন্য বর পক্ষের লোকজনকে সদা চোঁখ কান খোলা রাখতে হয়। একটু অন্য মনষ্ক হলেই বরের জন্য বিড়ম্বনার শেষ নাই।
তো এরকম এক বিয়ের অনুষ্টানে বর এসে তার জন্য নির্ধারিত জায়গায় বসার পর বর পক্ষের অন্যমনষ্কতার সুযোগে কনে পক্ষের কারা যেন বরের জুতা লুকিয়ে ফেলে।বিয়ের সকল আনুষ্টানিকতা শেষে বরকে নিয়ে যখন ঘরে বউয়ের কাছে যাওয়া হবে তখন আর বরের জুতা পাওয়া যাচ্ছেনা। বুঝেন অবস্তাটা। অনেকক্ষন বরকে দাড় করিয়ে রেখেও যখন জুতা পাওয়া যাচ্ছেনা তখন বর রীতিমত রাগ করে ফেলে। কারন বরটা ছিলো রগছটা অর্থাৎ খুব রাগি মেজাজের।
এমন ভাবে বর রাগ করে যে সে খালি পায়ে বউ না নিয়েই চলে যাবে। অবস্তা বেগতিক দেখে এক পর্যায়ে জুতা বের করে দেয়া হয়। কিন্তু বরেরতো আর রাগ মিঠছেনা।শেষে অনেক বলে কয়ে আমরা যারা তার সহকর্মী ছিলাম একপ্রকার তার পায়ে হাতে ধরে শেষে তার রাগ কমাতে সক্ষম হই।
বর্তমান যুগের জুতা
বিষয়: বিবিধ
৭৯৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন