গুলির হিসাব নেই, ভয় দেখিয়ে পুলিশের আয়, আর্তনাদে বাংলার আকাশ ভারী ।

লিখেছেন লিখেছেন tritiomot ৩০ মার্চ, ২০১৩, ১০:৩২:০৩ সকাল





স্বাধীনতার পর সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় এত বড় সুযোগ পুলিশ আর কখনোও পাইনি। দূণীতিতে পুলিশ সবসময় প্রথম সারির দিকে থাকলেও POLICE শব্দের যে অথ রয়েছে তা ধরে রাখার জন্য নূন্যতম একটু চেষ্টা করা হত ।পুলিশের বন্দুক, বন্দুকের জন্য ব্যবহৃত গুলি , পোষাক-পরিচ্ছেদ, টাকা-পয়সার এর একটি হিসাব রাখতে হত।একজন লোকের নিকট থেকে ঘুষ নিতে হলেও মাঝে মাঝে একটু লজ্জাশরম, ভয় ভীতি কাজ করত। বতমান সরকার পুলিশের সেই লজ্জাশরমটুকু কেড়ে নিয়ে বিরোধী দলকে শায়েস্তা করার জন্য মাঠে নামিয়ে দিয়েছে এবং রাস্তায় দেখা মাত্রই গুলি করার নিদেশও দিয়েছেন।

অভুক্ত বাঘ তার সামনে খাবার পেয়ে ভক্ষন করবে, এটাই স্বাভাবিক। ঠিক এমনি অবস্থায় পুলিশ জামায়াত-শিবির তথা বিরোধী দলকে একের পর এক হত্যা , নিযাতন ও আটক করে বড় রকমের ঘুষ বানিজ্যের পথ সৃষ্টি করেছে। পুলিশের সহযোগীতায় এগিয়ে এসেছে শেখ হাসিনার ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা।অবশ্য এ ব্যাপারে শুধু সোনার ছেলেদের কথা বললে ছেলেদের পিতারা আবার অভিমান করতে পারেন। কেননা তারা তাদের ছেলেদেরকে গ্রামে গ্রামে, পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় জামায়াত-শিবিরকে খুঁজে পুলিশের হাতে সর্পোদ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সোনার ছেলেরা অক্ষরে অক্ষরে সে নির্দেশ পরিপালন করছেন। তারা গ্রামে গ্রামে, পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় জামায়াত-শিবিরের তালিকা করে পুলিশের নিকট দিয়েছেন এবং পুলিশ সেই তালিকা অনুযায়ী তাদের বাসায়, বাড়িতে গিয়ে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে টাকা উর্পাজনের ব্যবস্থা করেছেন। তার নামে কোন মামলা থাক অথবা না থাক, কাউকে ধরতে পারলেই মোটা অংকের একটি টাকা পাওয়া যাবে ।আর এই টাকার একটি অংশ শিকারধৃতকারীরাও গ্রহণ করছেন। এই টাকা প্রাপ্তির পরিমানের উপর শাস্তির হের ফের হচ্ছে । টাকা কম দিলে অমানবিক নির্যাতন আর টাকা বেশী দিলে দু-এক ঘা। আর টাকা না দিলে ধরে নিতে হবে তার জীবন শেষ । আল্লাহ যদি তাকে বাঁচিয়ে রাখে, তাহলে প্রায় মৃত মানুষের মতই তাকে থাকতে হবে।



এখন এই বানিজ্য চালাতে সরকার তাদেরকে সুবিধা করে দিয়েছেন । যেহেতু রাস্তায় দেখা মাত্রই গুলি করার নির্দেশ দেওয়া আছে, তাই বেপরোয়া গুলি করাতে গুলির সঠিক হিসাব রাখা আর সম্ভব হচ্ছেনা। কখনো দুটি গুলি করে দশটা বললেও সরকারকে মানতে হচ্ছে। এই সুযোগে অতিরিক্ত গুলি তা্রা বাইরে বিক্রি করে অথবা কাউকে জোরপূবক ধরে এনে কাংখিত পরিমান টাকা না পেলে হত্যা করতেও দ্বিধা করছেনা।

জামায়াত-শিবিরের অসংখ্য কর্মী এখনো নিখোঁজ আছে।তারা বেঁচে আছে না মারা গেছে, তা কেউ বলতে পারেনা। শুধু তাই নয়, কাউকে আটক করার পর 24 ঘন্টার মধ্যে কোর্টে হাজির করার যে নিদেশনা রয়েছে, এখন তা আর লক্ষ্য করা যায়না। লক্ষ্য করা যায় যে, কাউকে আটক করলে আটককৃত ব্যক্তি কয়েকদিন একেবারে গায়েব হয়ে যায়। প্রিন্ট মিডিয়া কিংবা ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াতে যখন তোলপাড় উঠে , কেবলমাত্র তখনই তাকে কোর্টে হাজির করা হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে তাও হয়না।জামায়াত-শিবিরকর্মীরা এখন স্কুল , কলেজ, ইউনিভারসিটিতে তাদের শিক্ষা অজন করতে পারছেনা , রাতের বেলায় তারা বাসায় ঘুমাতে পারেনা।এছাড়া হাজার হাজার কর্মী তো জেলের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

এটা রীতিমত একটি বিভীষিকাময় অবস্থা। এভাবে অনিশ্চিতভাবে প্রতিটি দিন পার করতে হচ্ছে ।একটি স্বাধীন সাবভৌম গনতান্ত্রিক দেশে এই অবস্থা আর কতদিন চলবে? কবে ফিরে পাব আমার বাঁচার অধিকার ? কবে ফিরে পাব রাস্তায় চলার অধিকার ?

বিষয়: রাজনীতি

১৩১৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File