জীবন নামক রেলগাড়ীটা ময়লা আবর্জনায় পরিপুর্ণ ।
লিখেছেন লিখেছেন tritiomot ২৯ মার্চ, ২০১৩, ০৩:৫৪:৫৩ দুপুর
প্রায় মানুষের মুখেই System কথাটি শুনা যায়। বলা হয়, এটা কোন System নয় কিংবা ঐটা এই System করলে ভাল হত কিংবা কাজের কোন System নেই কিংবা বাংলাদেশের অমুক System ভাল নয় অথবা বাংলাদেশের রাজনৈতিক System এখন এইরকম, ইত্যাদি ইত্যাদি। তাহলে জানা দরকার System টা আসলে কি জিনিস ?
সহজ কথায়, সমাজে যত পরিবর্তন আসে, সেই পরিবর্তনের সাথে খাপ খেয়ে নেওয়ার যে ব্যবস্থা, তার সাথে নিজেকে টিকিয়ে নেওয়াই হলো System। প্রতিটি System এর আছে Input এবং Output । Input, System অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বড় System কে প্রভাবিত করে, আর Output, System থেকে বেরিয়ে পরিবেশকে প্রভাবিত করে।
ধরুন, আপনার কম্পিউটারে এন্টি ভাইরাস সফটওয়ার লোড দিবেন । কেন দিবেন ? কম্পিটারের অভ্যন্তরে একটি হার্ডডিক্স রয়েছে । এই হাডডিক্সের মধ্যে আপনার অতি প্রয়োজনীয় গুরত্বপুর্ণ ফাইল রয়েছে । এই ফাইলের কোন ডাটা মুছে গেলে অথবা ভাইরাস কর্তৃক আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হয়ে গেলে আপনার বিশাল ক্ষতি হতে পারে, এর হাত রক্ষা পাওয়ার জন্য যে কোন প্রকার একটি এন্টি ভাইরাস সফটওয়ার লোড করে নিবেন। এন্টি ভাইরাস সফটওয়ার এর দায়িত্ব হলো কম্পিটারের অভ্যন্তরে যাবতীয় ডাটাগুলো ভাইরাস থেকে মুক্ত রাখার নিশ্চয়তা দেবে।
এন্টি ভাইরাস সফটওয়ারটি যথাযথভাবে লোড না দেওয়া পর্যন্ত সে তার দায়িত্ব নেবেনা । সে বলতে থাকবে Your System is not protected। যতক্ষন না আপনি নিশ্চিত হচ্ছেন কম্পিটারটি ভাইরাসমুক্ত, ততক্ষন আপনার চিন্তা দুর হয়না। দিনের 24 টি ঘন্টা আপনাকে ব্যস্ত করে রাখে এই চিন্তায়। এরপর সঠিকমত লোড দেওয়ার পর সে তার দায়িত্ব নিয়ে বলবে যে, Your System is fully secured and protected। আপনি যেন হাফ ছেড়ে বাচঁলেন ।
অনুরুপভাবে অন্য কারো ফাইলের অভ্যন্তরে কী আছে তা আপনি দেখতে চান। তিনি যদি তার ফাইল কাউকে না পড়তে অথবা ডাউনলোড করতে না দেন , তাহলে তার অভ্যন্তরে আপনি ঢুকতে পারবেন না, যতক্ষন তিনি সুযোগ না দেবেন । সেখানে লেখা আসবে,
The file cannot be open because It is password protected.
উপরোক্ত আলোচনার অবতারনা দিয়ে আমি একজন মুসলমানের কী করণীয় তা জানানোর অভিপ্রায় ব্যক্ত করছি।
“আল্লাহ মানুষকে শুধুমাত্র তার ইবাদত বন্দেগীর জন্যই সৃষ্টি করেছেন”, “ইসলাম একটি পুর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা” ‘আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই’ ইত্যাদি । কোরআনের এই সকল আয়াতের কথা বলে যখন মানুষকে আল্লাহর ইবাদতের কথা বলা হয়, তখন সে যেসব ছোটখাটো অযুহাত দিয়ে পাস কাটাতে চাই , তাতে সহজেই বুঝা যায় যে, তিনি এই কোরআনের কথা মনের মধ্যে লালন কিংবা ধারন করেন না।
মানুষ অন্যান্য প্রানীর ন্যায় কোন বল্গাহীন জীব নয় । মানুষ সৃষ্টি করে আল্লাহ তাকে চলার জন্য রসূল (স) এর মাধ্যমে একটি সুশৃংখল গাইড লাইন দিয়েছেন। এই গাইড লাইনটি গ্রহনের দুয়ার পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য উন্মুক্ত। কিন্তু মুসলমানদের জন্য অপরিহার্য। কোন মুসলমান এটাকে ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দিতে পারবে না।
যেমন আল্লাহ সূরা আহযাবের 36 নং আয়াতে বলেছেন,
‘It is not for a believer, man or woman, when Allâh and His Messenger have decreed a matter that they should have any option in their decision. And whoever disobeys Allâh and His Messenger, he has indeed strayed in a plain error’
অর্থ্যাৎ “আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট তায় পতিত হয়।”
তাহলে একজন মুসলমানকে নিশ্চয়ই একটি System এর মধ্যে আসতে হবে , যে System টি হবে fully secured এবং fully protected. এই secured এবং protected এর মধ্যে কোন ভাইরাস ঢুকতে পারবেনা। ইসলাম এমন একটি রক্ষাকবচ, যার মাধমে বাইরের ময়লা আবজনা ঢোকা তো দুরের কথা , এর মাধ্যমে বাইরের ময়লা আবজনা পরিস্কার করা হয়। এখন কোন ব্যক্তির মধ্যে যদি ইসলামের এই রক্ষাকবচ না থাকে অথবা ইসলামের এই রক্ষাকবচ গ্রহণ না করেন তিনি কিভাবে secured এবং protected থাকবেন ? আর কিভাবেইবা পরিবেশকে প্রভাবিত করবেন ? এই অবস্থায় দিনের 24 ঘন্টা কেন , মাস, বছর, যুগ পার হয়ে যাচ্ছে , কোন চিন্তা কাজ করছে না। তাহলে জীবনকে এত অরক্ষিত রেখে কিভাবে আশা করা যায় সচ্ছ, সুন্দর ও পবিত্র কাজ করা ?
তাই আসুন কোরআন ও হাদিসের ছায়াতলে আশ্রয় নিই, গড়ে তুলি শ্বাশত জীবন, দৌড়ে যায় জান্নাতে, উপভোগ করি অনন্তজীবন।
বিষয়: বিবিধ
১২৪৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন