জরুরী এলান ! আল্লাহর ইসলামের পরিবর্তে জামায়াত-শিবির মওদুদির ইসলাম পালন করে, তাই জামায়াত-শিবির মুরতাদ, নাস্তিক (পর্ব-3)
লিখেছেন লিখেছেন tritiomot ২৬ মার্চ, ২০১৩, ০৪:৫২:৫৩ বিকাল
মওদুদীর উপর যেসব অভিযোগ করা হয়:
ইসলাম বিদ্বেষী কাফির-মুশরিকরা মূলত মুসলমানগণের থেকেই এজেন্ট তৈরি করে। যারা মুসলমানগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ইসলামী আক্বীদার মধ্যে ফিৎনা তৈরি করে। তাদের মতে, পাক ভারত উপমহাদেশে এ ধারায় অগ্রগামী হয়েছে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মওলানা মওদুদী। স্বয়ং আল্লাহ পাক ও রসূল (স), হযরত ছাহাবায়ে কিরাম , হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম, মোদ্দাকথা ইসলামের সব অনুষঙ্গেই তিনি মিথ্যা, কুফরী ও জঘন্য সমালোচনার জাল বিস্তার করেছেন।
ব্রিটেন থেকে প্রকাশিত ‘দ্য মিত্রোখিন আর্কাইভ’ নামকে একটি বইয়ে বলা হয়েছে “ধর্মীয় দল জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবুল আলা মওদুদী ছিলো সিআইএ’র এজেন্ট।”
নিম্নে জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মওদুদীর বিরোদ্ধে নিম্নোক্ত অভিযোগ গুলো তোলা হয় :-
1) আল্লাহ পাক সম্পর্কে ভ্রান্ত আক্বীদাঃ
“যে ক্ষেত্রে নর-নারীর অবাধ মেলামেশা, সেক্ষেত্রে যেনার কারণে (আল্লাহ পাকের আদেশকৃত) রজম শাস্তি প্রয়োগ করা নিঃসন্দেহে জুলুম।”
(তাফহীমাত, ২য় খণ্ড, ২৮১ পৃষ্ঠা)
2. পবিত্র কুরআন শরীফ সম্পর্কে বক্তব্য:
মাওলানা মওদুদী পবিত্র কুরআন শরীফ-এর মূল্যায়ন প্রসঙ্গে লিখেছেন,
“কোরআন শরীফ হেদায়েতের জন্য যথেষ্ট, কিন্তু' নাজাত বা মুক্তির জন্য নয়।” [তাফহিমাত, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩১২]
3) ফেরেশতা সম্পর্কে ভ্রান্ত আক্বীদাঃ
“ফেরেশতা প্রায় ঐ জিনিস যাকে গ্রীক, ভারত ইত্যাদি দেশের মুশরিকরা দেবী-দেবতা স্থির করেছে।”
(তাজদীদ ও ইহইয়ায়ে দ্বীন, ১০ পৃষ্ঠা)
4) নবীদের ক্ষেত্রে মওদূদী মন্তব্য:
আম্বিয়া আলাইহিমুছ ছালাত ওয়াস সালাম সম্পর্কে কুফরী আক্বীদাঃ “নবীগণ মা’ছূম নন। প্রত্যেক নবী গুনাহ করেছেন।” (তাফহীমাত, ২য় খণ্ড, ৪৩ পৃষ্ঠা)
“ইসমত বা নিষ্পাপ হওয়াটা মূলত নবীদের প্রকৃতিগত গুণ নয়। বরং নবুয়তের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের জন্য আল্লাহ তায়ালা কৌশলগতভাবে তাঁদেরকে ভুল-ত্রুটি ও পদস্খলন থেকে নিরাপদ রেখেছেন। নতুবা তাঁদের উপর আল্লাহ তায়ালার হেফাজত ক্ষণিকের জন্য উঠে গেলে সাধারণ মানুষের মত তাঁরাও ভুল-ভ্রান্তিতে পড়তে পারেন। এখানে একটি সূক্ষ্ম বিষয় এই যে, আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছা করেই প্রত্যেক নবীর উপর থেকে কোন না কোন সময় তার হেফাজত উঠিয়ে নেন এবং তাদেরকে দু’একটি গুনাহে লিপ্ত হতে দেন। যাতে করে মানুষ যেন খোদা বলে ধারণা না করে এবং জেনে রাখে এরাও মানুষ।” [তাফহীমাত, ৪র্থ সংস্করণ, ২য় খণ্ড, ৫৬-৫৭ পৃষ্ঠা]
“কোন কোন নবী দ্বীনের চাহিদার উপর স্থীর থাকতে পারেননি। বরং তারা আপন মানবীয় দূর্বলতার কাছে হার মেনেছেন।” [তরজমানুল কোরআন, ৩৫তম সংখ্যা, ৩২৭ পৃষ্ঠা]
ক)“হযরহ আদম আলাইহিস সালাম মানবিক দূর্বলতায় আক্রান্ত ছিলেন। তিনি শয়তানী প্রলোভন হতে সৃষ্ট তরিৎ জযবায় আত্মভোলা হয়ে নিজ নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলেন। ফলে আনুগত্যের উচ্চ শিখর হতে নাফারমানীর অতল গহ্বরে গিয়ে পড়েন।” (তাফহিমুল কোরআন (উর্দু): ৩য় খণ্ড, ১২৩ পৃ.)
খ) “হযরত নূহ আলাইহিস সালাম চিন্তাধারার দিক থেকে দ্বীনের চাহিদা হতে দূরে সরে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে জাহিলিয়াতের জযবা স্থান পেয়েছিল।” (তাফহিমুল কোরআন: ২য়খণ্ড, ৩৪৪ পৃ. ৩য় সংস্করণ, ১৯৬৪ ইং)
গ) মুসা আঃ এর উদাহরণ ঐ তাড়াহুরাকারী বিজেতার মত, যে নিজের অধীনতদের নির্দেশ দেয়া ছাড়াই মার্চ করতে করতে চলে যায়, আর পিছনে জংলার অগ্নির মত বিজিত এলাকায় বিদ্রোহ ছড়িয়ে যায়। {রেসালায়ে তরজুমানুল কুরআন-২৯/৪-৫}
“নবী হওয়ার পূর্বে মুসা আলাইহিস সালাম দ্বারা একটি বড় গুনাহ হয়েছিল। তিনি এক ব্যাক্তিকে কতল করেছিলেন।”
(রাসায়েল ও মাসায়েল, ১ম খণ্ড, ৩১ পৃ.)
ঘ)হযরত দাউদ আঃ যে কাজটি করেছিলেন তাতে প্রবৃত্তির কামনার কিছু দখল ছিল, শাসন ক্ষমতার অসংগত ব্যবহারের সাথেও তার কিছু সম্পর্ক ছিল, এবং তা এমন কোন কাজ ছিল যা কোন ন্যায়নিষ্ঠ শাসকের জন্য শোভনীয় ছিল না। [তাফহীমুল কুরআন-১৩/৯৫, আধুনিক প্রকাশনী, ১১শ প্রকাশ}
ঙ) হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম সম্পর্কেঃ “এখানে আর একটি প্রশ্নের উদ্রেক হয় যে, হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম যখন নক্ষত্র দেখে বলেছিলেন, এটা আমার প্রতিপালক এবং চন্দ্র-সূর্য দেখে এগুলোকেও নিজের প্রতিপালক হিসাবে আখ্যা দিয়েছিলেন, তখন সাময়িকভাবে হলেও কি তিনি শিরকে নিপতিত হননি?” (তাফহিমুল কোরআন ১মখণ্ড, ৫৫৮ পৃ.)
চ) “হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম সম্পর্কেঃ ‘আমাকে মিসরের রাজকোষের পরিচালক নিয়োগ করুন’- এ কথাটি বলে শুধু অর্থমন্ত্রী হওয়ার জন্যই প্রার্থনা করেননি। কারো কারো ধারনা,বরং তিনি এ বলে ডিকটিটরীই চেয়েছিলেন মৌলিকভাবে। এরই ফলশ্রুতিতে বর্তমান ইতালীর মুসোলিনির যে মর্যাদা তিনিও এর কাছাকাছি মর্যাদার অধিকারী হয়েছিলেন।”
(তাফহীমাত: ২য় খণ্ড, ১২২ পৃ. ৫ম সংস্করন এবং নির্বাচিত রচনাবলী(বাংলা) ২য় খণ্ড, ১৫১ পৃ, আধুনিক প্রকাশনী, ১ম সংস্করন ১৯৯১ইং)
ছ) “হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম এর দ্বারা রিসালাতের দায়িত্ব আদায় করার ব্যাপারে কিছু ত্রুটি হয়ে গিয়েছিল। সম্ভবত তিনি ধৈর্যহারা হয়ে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই আপন স্থান ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন।”
(তাফহিমুল কোরআন: ২য়খণ্ড, সূরা ইউনুস (টিকা দ্রষ্টব্য) ৩য় সংস্করণ, ১৯৬৪ ইং)
জ) “হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম মারা গেছেন একথাও বলা যাবেনা, বরং বুঝতে হবে ব্যাপারটি অস্পষ্ট।”
(তাফহিমুল কোরআন ১মখণ্ড (সুরা নিসা), ৪২১ পৃ.)
ঝ) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে বলেছেন :
“আল্লাহ তায়ালার নিকট কাতর কন্ঠে এই আবেদন করুন, যে কাজের দায়িত্ব আপনাকে দেওয়া হয়েছিল, তা সম্পন্ন করার ব্যাপারে আপনার দ্বারা যে ভুল ত্রুটি হয়েছে কিংবা তাতে যে অসম্পূর্ণতা রয়ে গেছে তা যেন তিনি ক্ষমা করে দেন।” [তাফহিমুল কোরআন (বাংলা), ১৯শ খণ্ড, ২৮০ পৃষ্ঠা, ওরিয়েন্টাল প্রেস, ঢাকা, ১৯৮০ ইংরেজি]
“মহানবী (স.) মানবিক দুর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন না। [তরজুমানুল কোরআন, ৮৫তম সংখ্যা, পৃষ্ঠা ২৩০]
চলমান পব-4
বিষয়: রাজনীতি
১৪২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন