জরুরী এলান ! আল্লাহর ইসলামের পরিবর্তে জামায়াত-শিবির মওদুদির ইসলাম পালন করে, তাই জামায়াত-শিবির মুরতাদ, নাস্তিক (পর্ব-1)

লিখেছেন লিখেছেন tritiomot ২৫ মার্চ, ২০১৩, ১০:২১:২৮ রাত



সবাই বলে ইসলাম শান্তির ধর্ম । এর ধারক ও বাহক হলো মুসলমানেরা। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই একটা প্রশ্ন এসে যায়, পৃথিবীর মুসলীম প্রধান দেশগুলোতে এত অশান্তি কেন ? কেন এত মারামারি , এত হানাহানি ? এতদিন জানতাম বিপথগামী, খোদাবিমুখ পথহারা মানুষদেরকে সঠিক পথে আনার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে যুগে যুগে নবী-রসূলদের উপর যে বিধি বিধান এসেছে তাই হল ইসলাম । সেই বিধিবিধান পালন করলে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। আর এই জন্যই বলা হয় ইসলাম শান্তির ধর্ম। এটা তো কোন ব্যক্তির হতে পারেনা। তাহলে প্রায়শই: শুনা যায় যে, জামায়াত-শিবির মওদুদির ইসলাম পালন করে। এমনকি গত 22.03.2012 তারিখে সরকারপন্থী আলেম মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদ মতিঝিল মহাসমাবেশে জামায়াত-শিবিরকে বড় মুরতাদ ও নাস্তিক বলে অভিহিত করেন এবং জামায়াত-শিবির মওদুদির ইসলাম পালন করে মর্মে দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে উল্লেখ করেন। তার অভিযোগ শুনে অনেকের মনে হয়ত মওদুদিকে জানার কৌতুহল জাগতে পারে।

মওদুদি আবার কে ? একে তো চিনলাম না, একে চিনতে হবে, জানতে হবে। যেহেতু আল্লাহর ইসলামের বিপক্ষে তার একটি ইসলাম আছে, যে ইসলাম বিশ্বের অনেক মানুষ গ্রহণ করেছে, সেই ইসলামটি কী ? তা জানা সবারই দরকার।

নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আবেগ সবসময় বেশী কাজ করে । কাউকে যদি বলা হয়, ঐখানে যাবেনা, তাহলে সেই জায়গায় কী আছে তা জানার জন্য মনটা আকুলি বিকুলি করে। তাকে যতই নিষেধ করা হোকনা কেন , সে সুযোগ খুজঁতে থাকে কখন সেখানে যাওয়া যায় । আমার Student life এর একটি ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল। তখন আমি এইচ এস সি তে পড়ি । আমার সিনিয়র এক ভাই আমাকে তার রুমে ডেকে পাঠালেন। আমি তার রুমে গিয়ে দেখি তিনি নেই । টেবিলের উপর কাল মার্কসের লেখা ‘কমিউনিষ্ট মেনোফেস্ট’ নামে একটি বই রয়েছে। তার আগমনের অপেক্ষায় কাল মার্কসের বইটি হাতে নিয়ে দেখছিলাম। ইতিমধ্যে তিনি এসে দেখেন যে, আমি কাল মার্কসের বইটি পড়ছি। তিনি বইটি আমার নিকট থেকে নিয়ে নিলেন এবং বললেন, এই বয়সে এত কঠিন বই পড়তে হয়না। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম কেন ? বইটিতে এমন কী লেখা আছে যে, আমি পড়তে পারবনা। তিনি বললেন, এত কথা তোমার জানার দরকার নেই । বড় হলে পড়। কি আর করা, তার প্রয়োজনীয় কথা শুনে ফিরে এলাম। কিন্তু আমার মনের মধ্যে কাল মার্কসের বই পড়ার জন্য সব সময় কৌতুহল কাজ করতে লাগল। বেশ কিছুদিন পর কাল মার্কসের ‘ডাস ক্যাপিটাল’, ও ‘কমিউনিষ্ট মেনোফেস্ট’, ‍দুটি বই পড়েছিলাম । জানতে পেরেছিলাম, দ্বান্দিক বস্তুবাদ কী, শ্রেণী সংগ্রাম কী, শোষণহীন সমাজ কীভাবে আসে, প্রলেতারিয়েতের এক নায়কত্ব কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, ইতিহাসের অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা কেমন, ধর্ম কীভাবে মানুষকে আফিমের ন্যায় একটি নিদিষ্ট গন্ডীর মধ্যে আবদ্ধ রাখে ইত্যাদি। সিনিয়র ভাইয়ের নিষেধ করা বিষয়ে আমার আবেগ কাজ করেছিল বিধায় বলা যায় বেশ ভালভাবেই কাল মার্কসের দর্শন সর্ম্পকে আমার জানা হয়েছিল।

এখন আমার মনে হয় মওদুদি সম্পর্কে কিছু মানুষের নেতিবাচক কথাবার্তায়, বিশেষ করে ইসলামের ভুল ব্যাখার অভিযোগ নিয়ে তাকে সমালোচনা করায় তার সর্ম্পকে মানুষের কৌতুহল বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং মানুষ তার কৌতুহল নিরসন করার জন্য তার লিখিত বই কিংবা তার দর্শন জানার চেষ্টা করছে । সত্যিই যদি তার লেখা বা তার দর্শন ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক হয়, তাহলে তো অবস্যই মুসলমানদের জন্য তা পরিত্যজ্য এবং তার লিখিত সমস্ত বই বাজেয়াপ্ত করতে হবে। শুধু তাই নয়, তার বিরোদ্ধে ব্লাসফেমী আইনের মাধ্যমে প্রয়োজনে কবর থেকে উঠিয়ে হলেও ধর্মদ্রোহী হওয়ার কারনে তাকে বিচার করতে হবে।

তাই দেখা যাক তিনি কী লিখেছেন এবং তার দর্শনটি কেমন ? আসুন সবাই চেষ্টা করে দেখি তার লেখনিতে কী রয়েছে ?

চলমান পাতা-২



বিষয়: বিবিধ

১৬১৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File